ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

ঝিনাইদহে ক্লুলেস হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১১:১৬:৫০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০১৯
  • / ৩৪২ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহ অফিস:
নিহত হওয়ার ১৫ মাস পর চাঞ্চল্যকর সেলিম হত্যার মোটিভ ও ক্লু উদ্ধার করেছে ঝিনাইদহ পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। মোটিভ ও ক্লু উদ্ধারের পাশাপাশি খুনি চক্রের এক সদস্যকেও গ্রেফতার করেছে পিবিআই। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ঝিনাইদহ পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার আবু আশ্রাফ। এ সময় পরিদর্শক (প্রশাসন) আব্দুর রব ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক আমির আব্বাস উপস্থিত ছিলেন।
পুলিশ সুপার আবু আশ্রাফ জানান, শৈলকুপার শেখপাড়া এলাকায় ইজিবাইক চালাতে এসে খুন হয় কুষ্টিয়ার কামারখালী থানার কুলশীবাসা গ্রামের বাসিন্দা সেলিম। তিনি ওই গ্রামের জোয়াদ আলীর একমাত্র ছেলে। যাত্রীবেশী দুই খুনি ইজিবাইক ছিনতাই করতে সেলিমকে হত্যার পর তার লাশ শৈলকুপা উপজেলার ত্রীবেনি গ্রামের একটি খালে ফেলে রাখে। এ বিষয়ে মামলা হলে শৈলকুপা থানার এসআই ব্রজেন ঘোষ হত্যার মোটিভ ও ক্লু উদ্ধার করতে ব্যার্থ হয়। এরপর মামলাটি স্বউদ্যোগে তদন্তের জন্য গ্রহন করে ঝিনাইদহ পিবিআই। মামলার তৃতীয় তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে আমির আব্বাস প্রযুক্তি ও সোর্সের মাধ্যমে নিহত সেলিমের হারিয়ে যাওয়া মোবাইল উদ্ধার করে। এই মোবাইল উদ্ধারের পরই ঘাতক চক্রকে খুজে পায় পিবিআই। ধরা পড়ে এই চক্রের প্রধান শৈলকুপার ত্রীবেনি গ্রামের কারিগর পাড়ার মতিয়ার রহমানের ছেলে আশরাফুল।গ্রেফতারকৃত আশরাফুল সেলিম হত্যার পুরো ঘটনা আদালতে স্বীকার করে জবানবন্দি দেয়। পুলিশ সুপার আবু আশ্রাফ বলেন, এভাবেই ক্লু লেস একটি হত্যা মামলার রহস্য উন্মোচনের পাশাপাশি প্রকৃত হত্যাকারীদের গ্রেফতার করতে সমর্থ হয় পিবিআই। তিনি বলেন বেওয়ারিশ লাশের পরিচয় সনাক্ত করতে ঝিনাইদহ পিবিআই’র প্রযুক্তি সম্ভার সমৃদ্ধ হয়েছে। এখন যে কেও এই সেবা আমার কাছ থেকে নিতে পারে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

ঝিনাইদহে ক্লুলেস হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন

আপলোড টাইম : ১১:১৬:৫০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০১৯

ঝিনাইদহ অফিস:
নিহত হওয়ার ১৫ মাস পর চাঞ্চল্যকর সেলিম হত্যার মোটিভ ও ক্লু উদ্ধার করেছে ঝিনাইদহ পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। মোটিভ ও ক্লু উদ্ধারের পাশাপাশি খুনি চক্রের এক সদস্যকেও গ্রেফতার করেছে পিবিআই। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ঝিনাইদহ পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার আবু আশ্রাফ। এ সময় পরিদর্শক (প্রশাসন) আব্দুর রব ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক আমির আব্বাস উপস্থিত ছিলেন।
পুলিশ সুপার আবু আশ্রাফ জানান, শৈলকুপার শেখপাড়া এলাকায় ইজিবাইক চালাতে এসে খুন হয় কুষ্টিয়ার কামারখালী থানার কুলশীবাসা গ্রামের বাসিন্দা সেলিম। তিনি ওই গ্রামের জোয়াদ আলীর একমাত্র ছেলে। যাত্রীবেশী দুই খুনি ইজিবাইক ছিনতাই করতে সেলিমকে হত্যার পর তার লাশ শৈলকুপা উপজেলার ত্রীবেনি গ্রামের একটি খালে ফেলে রাখে। এ বিষয়ে মামলা হলে শৈলকুপা থানার এসআই ব্রজেন ঘোষ হত্যার মোটিভ ও ক্লু উদ্ধার করতে ব্যার্থ হয়। এরপর মামলাটি স্বউদ্যোগে তদন্তের জন্য গ্রহন করে ঝিনাইদহ পিবিআই। মামলার তৃতীয় তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে আমির আব্বাস প্রযুক্তি ও সোর্সের মাধ্যমে নিহত সেলিমের হারিয়ে যাওয়া মোবাইল উদ্ধার করে। এই মোবাইল উদ্ধারের পরই ঘাতক চক্রকে খুজে পায় পিবিআই। ধরা পড়ে এই চক্রের প্রধান শৈলকুপার ত্রীবেনি গ্রামের কারিগর পাড়ার মতিয়ার রহমানের ছেলে আশরাফুল।গ্রেফতারকৃত আশরাফুল সেলিম হত্যার পুরো ঘটনা আদালতে স্বীকার করে জবানবন্দি দেয়। পুলিশ সুপার আবু আশ্রাফ বলেন, এভাবেই ক্লু লেস একটি হত্যা মামলার রহস্য উন্মোচনের পাশাপাশি প্রকৃত হত্যাকারীদের গ্রেফতার করতে সমর্থ হয় পিবিআই। তিনি বলেন বেওয়ারিশ লাশের পরিচয় সনাক্ত করতে ঝিনাইদহ পিবিআই’র প্রযুক্তি সম্ভার সমৃদ্ধ হয়েছে। এখন যে কেও এই সেবা আমার কাছ থেকে নিতে পারে।