ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

ঝিনাইদহের শৈলকুপার দেবিনগরে আধিপাত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দু গ্র“পের সংঘর্ষ দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে নিহত ১ : উভয়পক্ষের রক্তাক্ত জখম ১৮

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১১:৪৩:১২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২১ অক্টোবর ২০১৬
  • / ৩৭১ বার পড়া হয়েছে

mader-photo-sailkupa-20.10.ঝিনাইদহ অফিস: ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার দেবিনগর ও সাপখোলা গ্রামে বৃহস্পতিবার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ সমর্থিত দুটি সামাজিক দলের মধ্যে সংঘর্ষে আতিয়ার রহমান খা (৪৫) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। নিহত আতিয়ার খা দেবিনগর গ্রামের মোহাম্মদ আলীর খাঁর ছেলে। পৃথক সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ১৮জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে দেবিনগর গ্রামের রাজ্জাক আলী, রুজদার আলী, সাপখোলা গ্রামের স্বপন মোল্লা (৪৫), সুজায়েদ হোসেন (৬০), জাহাঙ্গীর হোসেন (৬৫), রাজু আহম্মেদ (২০), টিপু হোসেন (৩৫), লাল্টু (৫০) ও তার ছেলে জসিম উদ্দিন (২২), মিলন হোসেন (২৫), আশরাফুল হোসেন (২২), টিটো শিকদার (৪৫), শিমুল হোসেন (২২) ও রাজু হোসেনের পরিচয় পাওয়া গেছে। শৈলকুপার রামচন্দ্র পুলিশ ক্যাম্পের তদন্ত কর্মকর্তা অজয় কুমার জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে একটি মেয়েলি ঘটনাকে কেন্দ্র করে দেবিনগর গ্রামের আওয়ামী লীগ সমর্থিত সামাজিক দলের নেতা আতিয়ার রহমান খাঁ ও শাহজাহান মোল্লার সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এতে উভয়পক্ষ ঢাল, ভেলা, ফালা ও দেশী অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এসআই অজয় কুমার আরো জানান, সংঘর্ষে এক পক্ষের সামাজিক দলের নেতা আতিয়ার রহমান খাঁকে ফালা মেরে প্রতিপক্ষরা হত্যা করে। এ সময় রুজদার আলী ও আব্দুর রাজ্জাকসহ ৩ জন আহত হন। এ নিয়ে দেবিনগর গ্রামে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন সময় বড় ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারে বলে গ্রামবাসী আশংকা করছে। অন্যদিকে শৈলকুপার সাপখোলা গ্রামে আওয়ামী লীগের ফারুক ও টিটো গ্র“পের মধ্যে সংঘর্ষে ১৫জন আহত হয়েছেন। শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তরিকুল ইসলাম জানান, নিত্যানন্দপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা ফারুক হোসেন ও একই দলের টিটোর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলছিল। এ ঘটনার জের ধরে বৃহস্পতিবার সকালে উভয়পক্ষের লোকজন ঢাল সড়কি, হাসুয়া, রামদা, ফালা ও লাঠি এবং গ্রাম্য বিভিন্ন অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে উভয়পক্ষের ১৫ জন আহত হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্থিতিশীল রয়েছে। তবে ফের সংঘর্ষের আশঙ্কায় সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

ঝিনাইদহের শৈলকুপার দেবিনগরে আধিপাত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দু গ্র“পের সংঘর্ষ দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে নিহত ১ : উভয়পক্ষের রক্তাক্ত জখম ১৮

আপলোড টাইম : ১১:৪৩:১২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২১ অক্টোবর ২০১৬

mader-photo-sailkupa-20.10.ঝিনাইদহ অফিস: ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার দেবিনগর ও সাপখোলা গ্রামে বৃহস্পতিবার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ সমর্থিত দুটি সামাজিক দলের মধ্যে সংঘর্ষে আতিয়ার রহমান খা (৪৫) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। নিহত আতিয়ার খা দেবিনগর গ্রামের মোহাম্মদ আলীর খাঁর ছেলে। পৃথক সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ১৮জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে দেবিনগর গ্রামের রাজ্জাক আলী, রুজদার আলী, সাপখোলা গ্রামের স্বপন মোল্লা (৪৫), সুজায়েদ হোসেন (৬০), জাহাঙ্গীর হোসেন (৬৫), রাজু আহম্মেদ (২০), টিপু হোসেন (৩৫), লাল্টু (৫০) ও তার ছেলে জসিম উদ্দিন (২২), মিলন হোসেন (২৫), আশরাফুল হোসেন (২২), টিটো শিকদার (৪৫), শিমুল হোসেন (২২) ও রাজু হোসেনের পরিচয় পাওয়া গেছে। শৈলকুপার রামচন্দ্র পুলিশ ক্যাম্পের তদন্ত কর্মকর্তা অজয় কুমার জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে একটি মেয়েলি ঘটনাকে কেন্দ্র করে দেবিনগর গ্রামের আওয়ামী লীগ সমর্থিত সামাজিক দলের নেতা আতিয়ার রহমান খাঁ ও শাহজাহান মোল্লার সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এতে উভয়পক্ষ ঢাল, ভেলা, ফালা ও দেশী অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এসআই অজয় কুমার আরো জানান, সংঘর্ষে এক পক্ষের সামাজিক দলের নেতা আতিয়ার রহমান খাঁকে ফালা মেরে প্রতিপক্ষরা হত্যা করে। এ সময় রুজদার আলী ও আব্দুর রাজ্জাকসহ ৩ জন আহত হন। এ নিয়ে দেবিনগর গ্রামে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন সময় বড় ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারে বলে গ্রামবাসী আশংকা করছে। অন্যদিকে শৈলকুপার সাপখোলা গ্রামে আওয়ামী লীগের ফারুক ও টিটো গ্র“পের মধ্যে সংঘর্ষে ১৫জন আহত হয়েছেন। শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তরিকুল ইসলাম জানান, নিত্যানন্দপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা ফারুক হোসেন ও একই দলের টিটোর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলছিল। এ ঘটনার জের ধরে বৃহস্পতিবার সকালে উভয়পক্ষের লোকজন ঢাল সড়কি, হাসুয়া, রামদা, ফালা ও লাঠি এবং গ্রাম্য বিভিন্ন অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে উভয়পক্ষের ১৫ জন আহত হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্থিতিশীল রয়েছে। তবে ফের সংঘর্ষের আশঙ্কায় সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।