ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

জোনাব আলী যুদ্ধ করেছিলেন ঝিনাইদহের বিষয়খালী এলাকায় ৪৫ বছরেও গেজেটে নাম ওঠেনি!

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০২:৪৮:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০১৬
  • / ৩০৩ বার পড়া হয়েছে

gtfঝিনাইদহ অফিস: জোনাব আলী যুদ্ধ করেছিলেন ঝিনাইদহের বিষয়খালী এলাকায়। রনাঙ্গনের সেই দুঃসহ স্মৃতি এখনো তাকে তাড়া করে ফেরে। কিন্তু রনাঙ্গনের এই যোদ্ধার এখন সার্টিফিকেটই ভরসা। ভারতের মাজদিয়া যুব ক্যাম্পের প্রশিক্ষন নিয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরেছেন। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তার নাম তালিকায় ওঠেনি। স্বাধীনতার ৪৫ বছর পার হয়েছে। কত বিতর্কিত ব্যক্তির নাম তালিকায় উঠেছে। কিন্তু জোনাব আলীর ভাগ্য টলেনি। তার নাম তালিকায় নেই। তালিকায় নাম ওঠাতে বিভিন্ন সময় টাকা দাবী করার কারণে সম্মুখ যুদ্ধে লড়াই করা এই বীর নীরবে নিভৃত্বে জীবন যাপন করছেন। জোনাব আলী ১৯৫৭ সালের ২০ ফেব্রুয়ারী ঝিনাইদহ সদর উপজেলার গাগান্না গ্রামে জন্ম গ্রহন করেন। তার বাবার নাম মৃত ইশারত আলী মন্ডল। যুবক বয়সে ডাক আসে যুদ্ধে যাওয়ার। বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে তিনি অস্ত্র হাতে ঝাপিয়ে পরেন যুদ্ধে। চোখের সামনে অনেক সহযোদ্ধাকে অকাতরে জীবন দিতে দেখেছেন তিনি।  জোনাব আলী জানান, জেবা মুন্স নামে এক কমান্ডারের অধীন তিনি বিষয়খালী ফ্রন্টে যুদ্ধ করেছেন। তিনি হতদরিদ্র হওয়ায় মাজদিয়া যুব ক্যাম্পের প্রশিক্ষন সনদ ছাড়া তার কাছে আর কিছুই নেই। তার সাথে যুদ্ধ করেছিলেন সদর উপজেলার সাহেব নগর গ্রামের ফজলুর রহমান, একই গ্রামের ইসাহাক আলী ও আবুল কাশেম। তাদের নাম তালিকায় উঠলেও তিনি বছরের পর বছর ঘুরে হয়রান হচ্ছেন। মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমান, ইসাহাক আলী ও আবুল কাশেমও জানালেন জোনাব আলী প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। তাদের দাবী জোনাব আলীর নাম তালিকাভুক্ত করার। জোনাব আলী জানান, তিনি এ পর্যন্ত বহুবার ফরম পুরণ করে দিয়েছেন, কিন্তু গেজেটে তার নাম আসেনি। স্ত্রী সন্তান নিয়ে তিনি খুব কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন রনাঙ্গনের এই যোদ্ধা। স্টেন গানের গুলিতে পাক বাহিনীকে পরাস্থ করলেও অভাবের কাছে তিনি এখন এক পরাজিত সৈনিক। এটা তার জন্য লজ্জাকর। বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহ জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ অফিসে যোগাযোগ করা হলে জোনাব আলীর বিষয়ে কোন তারা তথ্য দিতে পারেনি।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

জোনাব আলী যুদ্ধ করেছিলেন ঝিনাইদহের বিষয়খালী এলাকায় ৪৫ বছরেও গেজেটে নাম ওঠেনি!

আপলোড টাইম : ০২:৪৮:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০১৬

gtfঝিনাইদহ অফিস: জোনাব আলী যুদ্ধ করেছিলেন ঝিনাইদহের বিষয়খালী এলাকায়। রনাঙ্গনের সেই দুঃসহ স্মৃতি এখনো তাকে তাড়া করে ফেরে। কিন্তু রনাঙ্গনের এই যোদ্ধার এখন সার্টিফিকেটই ভরসা। ভারতের মাজদিয়া যুব ক্যাম্পের প্রশিক্ষন নিয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরেছেন। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তার নাম তালিকায় ওঠেনি। স্বাধীনতার ৪৫ বছর পার হয়েছে। কত বিতর্কিত ব্যক্তির নাম তালিকায় উঠেছে। কিন্তু জোনাব আলীর ভাগ্য টলেনি। তার নাম তালিকায় নেই। তালিকায় নাম ওঠাতে বিভিন্ন সময় টাকা দাবী করার কারণে সম্মুখ যুদ্ধে লড়াই করা এই বীর নীরবে নিভৃত্বে জীবন যাপন করছেন। জোনাব আলী ১৯৫৭ সালের ২০ ফেব্রুয়ারী ঝিনাইদহ সদর উপজেলার গাগান্না গ্রামে জন্ম গ্রহন করেন। তার বাবার নাম মৃত ইশারত আলী মন্ডল। যুবক বয়সে ডাক আসে যুদ্ধে যাওয়ার। বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে তিনি অস্ত্র হাতে ঝাপিয়ে পরেন যুদ্ধে। চোখের সামনে অনেক সহযোদ্ধাকে অকাতরে জীবন দিতে দেখেছেন তিনি।  জোনাব আলী জানান, জেবা মুন্স নামে এক কমান্ডারের অধীন তিনি বিষয়খালী ফ্রন্টে যুদ্ধ করেছেন। তিনি হতদরিদ্র হওয়ায় মাজদিয়া যুব ক্যাম্পের প্রশিক্ষন সনদ ছাড়া তার কাছে আর কিছুই নেই। তার সাথে যুদ্ধ করেছিলেন সদর উপজেলার সাহেব নগর গ্রামের ফজলুর রহমান, একই গ্রামের ইসাহাক আলী ও আবুল কাশেম। তাদের নাম তালিকায় উঠলেও তিনি বছরের পর বছর ঘুরে হয়রান হচ্ছেন। মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমান, ইসাহাক আলী ও আবুল কাশেমও জানালেন জোনাব আলী প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। তাদের দাবী জোনাব আলীর নাম তালিকাভুক্ত করার। জোনাব আলী জানান, তিনি এ পর্যন্ত বহুবার ফরম পুরণ করে দিয়েছেন, কিন্তু গেজেটে তার নাম আসেনি। স্ত্রী সন্তান নিয়ে তিনি খুব কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন রনাঙ্গনের এই যোদ্ধা। স্টেন গানের গুলিতে পাক বাহিনীকে পরাস্থ করলেও অভাবের কাছে তিনি এখন এক পরাজিত সৈনিক। এটা তার জন্য লজ্জাকর। বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহ জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ অফিসে যোগাযোগ করা হলে জোনাব আলীর বিষয়ে কোন তারা তথ্য দিতে পারেনি।