ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

জোছনা বেগমের একটি পা কেটে বাদ দিয়েছে চিকিৎসক

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:৪৪:১৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ এপ্রিল ২০২১
  • / ৪৯ বার পড়া হয়েছে

জাফরপুরে কমিউনিটি ক্লিনিকের ডিএমএস ডা. রতনের প্রাইভেটকারে দুর্ঘটনা
নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গার জাফরপুরে প্রাইভেটকারের ধাক্কায় একই পরিবারের আহত চারজনের মধ্যে গুরুত্বর জখম জোছনা বেগমের একটি পা কেটে বাদ দিয়েছেন চিকিৎসক। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় শ্যামলী ট্রমা সেন্টারে (হাড়ভাঙা রোগীদের চিকিৎসাসেবা কেন্দ্র) অস্ত্রোপচার করে তাঁর বাম পায়ের কব্জির ওপর থেকে সম্পূর্ণ পাতাটি কেটে বাদ দিতে হয়েছে। বর্তমানে জোসনা বেগম শ্যামলী ট্রমা সেন্টারে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন। জোছনা বেগম চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বোয়ালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মশিউর রহমানের স্ত্রী।
জানা যায়, গত সোমবার (১২ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে চুয়াডাঙ্গা-ঝিনাইদহ সড়কের জাফরপুর বনবিভাগের অদূরে শিক্ষক মশিউর রহমানের মোটরসাইকেলে প্রাইভেটকার দিয়ে ধাক্কা দেয় সদর উপজেলার শংকরচঁন্দ্র ইউনিয়নের কমিউনিটি ক্লিনিকের ডিএমএস ডা. জেডএম রওশন আমিন রতন। এতে মোটরসাইকেলে থাকা মশিউর রহমান (৪০), তাঁর স্ত্রী জোছনা বেগম (৩৫), মেয়ে মাইশা রহমান নিশি (১৪) এবং শিশু পুত্র জাকারিয়া (৩) গুরুত্বর জখম হয়। তাঁদেরেকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিলে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সোহানা আহমেদ গুরুত্বর জখম অবস্থায় আহতদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার্ড করেন। ওইদিনই আহতদের পরিবারের সদস্যরা জোছনা খাতুনসহ আহত চার জনকেই উন্নত চিকিৎসার জন্য শ্যামলী ট্রমা সেন্টারে ভর্তি করে। সেখন থেকে চিকিৎসা দিয়ে মশিউর রহমান ও তাঁদের মেয়েকে ছুটি দেওয়া হলেও জোছনা খাতুনের বাম পায়ের কব্জি থেকে সম্পূর্ণ পাতার হাড়গুলি ভেঙ্গে যাওয়াসহ গুরুত্বর জখম হওয়ায় ও শিশু পুত্র জাকারিয়ার মাথায় গুরুত্বর জখম হওয়ায় তাদেরকে ভর্তি রাখা হয়। সেখোনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল একটি অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে জোছনা খাতুনের বাম-পায়ের কব্জির উপর থেকে সম্পূর্ণ পাতাটি কেটে বাদ দিয়েছে চিকিৎসকেরা। এদিকে, প্রাইভেট কারের ধাক্কায় গুরুত্বর জখম হওয়ার ঘটনার পরের দিনই আহত জোছনা বেগমের বড় বোন বাদী হয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
গতকাল মোবাইল ফোনে ওই ঘটনায় জখম চারজনের এক নিকট আত্মীয় অভিযোগ করে বলেন, ‘সম্পূর্ণ ভুল রাস্তায় সামনে থেকে এসে দ্রুতগতীর প্রাইভেটকার দিয়ে ধাক্কা মেরে একই পরিবারের চারজনকে মৃত্যুর কোলে ঠেলে দেওয়ার ঘটনা ঘটানো হয়। এ ঘটনায় অভিযুক্ত প্রাইভেটকার চালক ডা. জেড এম রওশন আমিন রতনের নামে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় মামলাও করা হয়েছে। জোছনা বেগমের একটি পা কেটে বাদ দিয়েছে চিকিৎসক অথচ অজ্ঞাত কারণে পুলিশ এখন পর্যন্ত মামলার আসামীকে গ্রেপ্তার করেনি।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

জোছনা বেগমের একটি পা কেটে বাদ দিয়েছে চিকিৎসক

আপলোড টাইম : ১০:৪৪:১৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ এপ্রিল ২০২১

জাফরপুরে কমিউনিটি ক্লিনিকের ডিএমএস ডা. রতনের প্রাইভেটকারে দুর্ঘটনা
নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গার জাফরপুরে প্রাইভেটকারের ধাক্কায় একই পরিবারের আহত চারজনের মধ্যে গুরুত্বর জখম জোছনা বেগমের একটি পা কেটে বাদ দিয়েছেন চিকিৎসক। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় শ্যামলী ট্রমা সেন্টারে (হাড়ভাঙা রোগীদের চিকিৎসাসেবা কেন্দ্র) অস্ত্রোপচার করে তাঁর বাম পায়ের কব্জির ওপর থেকে সম্পূর্ণ পাতাটি কেটে বাদ দিতে হয়েছে। বর্তমানে জোসনা বেগম শ্যামলী ট্রমা সেন্টারে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন। জোছনা বেগম চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বোয়ালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মশিউর রহমানের স্ত্রী।
জানা যায়, গত সোমবার (১২ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে চুয়াডাঙ্গা-ঝিনাইদহ সড়কের জাফরপুর বনবিভাগের অদূরে শিক্ষক মশিউর রহমানের মোটরসাইকেলে প্রাইভেটকার দিয়ে ধাক্কা দেয় সদর উপজেলার শংকরচঁন্দ্র ইউনিয়নের কমিউনিটি ক্লিনিকের ডিএমএস ডা. জেডএম রওশন আমিন রতন। এতে মোটরসাইকেলে থাকা মশিউর রহমান (৪০), তাঁর স্ত্রী জোছনা বেগম (৩৫), মেয়ে মাইশা রহমান নিশি (১৪) এবং শিশু পুত্র জাকারিয়া (৩) গুরুত্বর জখম হয়। তাঁদেরেকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিলে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সোহানা আহমেদ গুরুত্বর জখম অবস্থায় আহতদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার্ড করেন। ওইদিনই আহতদের পরিবারের সদস্যরা জোছনা খাতুনসহ আহত চার জনকেই উন্নত চিকিৎসার জন্য শ্যামলী ট্রমা সেন্টারে ভর্তি করে। সেখন থেকে চিকিৎসা দিয়ে মশিউর রহমান ও তাঁদের মেয়েকে ছুটি দেওয়া হলেও জোছনা খাতুনের বাম পায়ের কব্জি থেকে সম্পূর্ণ পাতার হাড়গুলি ভেঙ্গে যাওয়াসহ গুরুত্বর জখম হওয়ায় ও শিশু পুত্র জাকারিয়ার মাথায় গুরুত্বর জখম হওয়ায় তাদেরকে ভর্তি রাখা হয়। সেখোনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল একটি অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে জোছনা খাতুনের বাম-পায়ের কব্জির উপর থেকে সম্পূর্ণ পাতাটি কেটে বাদ দিয়েছে চিকিৎসকেরা। এদিকে, প্রাইভেট কারের ধাক্কায় গুরুত্বর জখম হওয়ার ঘটনার পরের দিনই আহত জোছনা বেগমের বড় বোন বাদী হয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
গতকাল মোবাইল ফোনে ওই ঘটনায় জখম চারজনের এক নিকট আত্মীয় অভিযোগ করে বলেন, ‘সম্পূর্ণ ভুল রাস্তায় সামনে থেকে এসে দ্রুতগতীর প্রাইভেটকার দিয়ে ধাক্কা মেরে একই পরিবারের চারজনকে মৃত্যুর কোলে ঠেলে দেওয়ার ঘটনা ঘটানো হয়। এ ঘটনায় অভিযুক্ত প্রাইভেটকার চালক ডা. জেড এম রওশন আমিন রতনের নামে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় মামলাও করা হয়েছে। জোছনা বেগমের একটি পা কেটে বাদ দিয়েছে চিকিৎসক অথচ অজ্ঞাত কারণে পুলিশ এখন পর্যন্ত মামলার আসামীকে গ্রেপ্তার করেনি।’