ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

জেলা প্রশাসক দপ্তরের কর্মচারীর কিল-ঘুষিতে স্কুলের আয়া রক্তাক্ত জখম

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:২৯:৩১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৯ মে ২০২১
  • / ৫১ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহ অফিস:
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে সরকারি নলডাঙ্গা ভূষণ পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের আয়া শিউলি খাতুনকে (৩৮) কিল-ঘুষিতে রক্তাক্ত জখম করেছেন ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের কর্মচারী নিশাত ও তাঁর সহযোগী প্রদীপ। গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে বিদ্যালয়ের প্রধান ভবনের পিছনে এ ঘটনা ঘটে। নতুন সরকারি চাকরি পাওয়া অভিযুক্ত নিশাত নিশ্চিন্তপুর এলাকার এবাদৎ হোসেনের ছেলে এবং স্থানীয় এমপির ভাতিজা।
আহত শিউলি খাতুন জানান, সকাল সাড়ে আটটার দিকে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মকবুল হোসেন তোতা তাঁকে অফিসে ডেকে আমগাছ থেকে আম পাড়ার জন্য বলেন। প্রধান শিক্ষকের কথামতো তিনি আম পাড়তে গাছের কাছে গেলে প্রদীপ ও নিশাত তাঁর গলায়, কানে জোরে থাপ্পড় ও নাকে ঘুষি মারে। এতে তাঁর নাক ও কান দিয়ে রক্ত প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। খবর পেয়ে স্কুলের সহকর্মীরা আয়া শিউলিকে উদ্ধার করে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। স্কুলের মালিকানাধীন গাছের আম নিশাত ও প্রদীপ কাউকে পাড়তে দেয় না।
সরকারি নলডাঙ্গা ভূষণ পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মকবুল হোসেন তোতা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, স্কুলের প্রধান ভবনের পেছনের গাছ থেকে আম পাড়তে যান শিউলিসহ চারজন। আম পাড়তে গেলে প্রদীপ ফোন করে নিশাতকে ডেকে আনে। নিশাত এসে শিউলি খাতুনকে নাক, মুখ ও কানে কিল-ঘুষিতে আহত করে। হামলায় শিউলির নাকের হাড় ভেঙে গেছে বলে প্রধান শিক্ষক জানান। প্রধান শিক্ষক জানান, নিশাত হচ্ছে স্থানীয় এমপির ভাতিজা।
কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহা. মাহফুজুর রহমান মিয়া জানান, খবর পেয়ে তিনি নিজেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। অভিযোগ পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেবেন।
কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি সুবর্ণা রাণী সাহা বলেন, টেলিফোনে প্রধান শিক্ষক বিষয়টি তাঁকে জানিয়েছেন। তিনি থানায় অভিযোগ করতে প্রধান শিক্ষককে নির্দেশ দিয়েছেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

জেলা প্রশাসক দপ্তরের কর্মচারীর কিল-ঘুষিতে স্কুলের আয়া রক্তাক্ত জখম

আপলোড টাইম : ১০:২৯:৩১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৯ মে ২০২১

ঝিনাইদহ অফিস:
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে সরকারি নলডাঙ্গা ভূষণ পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের আয়া শিউলি খাতুনকে (৩৮) কিল-ঘুষিতে রক্তাক্ত জখম করেছেন ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের কর্মচারী নিশাত ও তাঁর সহযোগী প্রদীপ। গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে বিদ্যালয়ের প্রধান ভবনের পিছনে এ ঘটনা ঘটে। নতুন সরকারি চাকরি পাওয়া অভিযুক্ত নিশাত নিশ্চিন্তপুর এলাকার এবাদৎ হোসেনের ছেলে এবং স্থানীয় এমপির ভাতিজা।
আহত শিউলি খাতুন জানান, সকাল সাড়ে আটটার দিকে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মকবুল হোসেন তোতা তাঁকে অফিসে ডেকে আমগাছ থেকে আম পাড়ার জন্য বলেন। প্রধান শিক্ষকের কথামতো তিনি আম পাড়তে গাছের কাছে গেলে প্রদীপ ও নিশাত তাঁর গলায়, কানে জোরে থাপ্পড় ও নাকে ঘুষি মারে। এতে তাঁর নাক ও কান দিয়ে রক্ত প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। খবর পেয়ে স্কুলের সহকর্মীরা আয়া শিউলিকে উদ্ধার করে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। স্কুলের মালিকানাধীন গাছের আম নিশাত ও প্রদীপ কাউকে পাড়তে দেয় না।
সরকারি নলডাঙ্গা ভূষণ পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মকবুল হোসেন তোতা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, স্কুলের প্রধান ভবনের পেছনের গাছ থেকে আম পাড়তে যান শিউলিসহ চারজন। আম পাড়তে গেলে প্রদীপ ফোন করে নিশাতকে ডেকে আনে। নিশাত এসে শিউলি খাতুনকে নাক, মুখ ও কানে কিল-ঘুষিতে আহত করে। হামলায় শিউলির নাকের হাড় ভেঙে গেছে বলে প্রধান শিক্ষক জানান। প্রধান শিক্ষক জানান, নিশাত হচ্ছে স্থানীয় এমপির ভাতিজা।
কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহা. মাহফুজুর রহমান মিয়া জানান, খবর পেয়ে তিনি নিজেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। অভিযোগ পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেবেন।
কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি সুবর্ণা রাণী সাহা বলেন, টেলিফোনে প্রধান শিক্ষক বিষয়টি তাঁকে জানিয়েছেন। তিনি থানায় অভিযোগ করতে প্রধান শিক্ষককে নির্দেশ দিয়েছেন।