ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

জেলার ১ লাখ ৩৫ হাজার ২৯ শিশু ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাবে

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:২৪:১৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২০
  • / ২১২ বার পড়া হয়েছে

চুয়াডাঙ্গায় জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন উপলক্ষে অবহিতকরণ সভা
নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গায় জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন উপলক্ষে জেলা সিভিল সার্জনের উদ্যোগে অবহিতকরণ ও পরিকল্পনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে সদর হাসপাতালের সম্মেলনকক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় জানানো হয়, ১১ জানুয়ারি জেলাজুড়ে সকাল থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেই অনুষ্ঠিত হবে। ওই দিন ৬-১১ মাস বয়সী শিশুকে ১টি নীল রঙের এবং ১-৫ বছর বয়সী শিশুকে ১টি লাল রংয়ের ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
জেলার ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. ওয়ালিউর রহমান নয়নের সভাপতিত্বে ও সার্ভিলেন্স ও ইমুলাইজেশন অফিসার ডা. আউলিয়ার রহমানের সঞ্চালনায় সভায় উপস্থিত ছিলেন ইপিটি সুপার, জেলা স্বাস্থ্য তত্ত্বাবধায়কসহ ও বিভিন্ন গণমাধ্যমকর্মীরা।
এ সময় ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. ওয়ালিউর রহমান নয়ন বলেন, ১১ জানুয়ারী জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনে লাল-নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। এ বছর লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুলের ঘাটতি থাকায় দেশের অধিকাংশ স্থানে শুধু নীল ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। ৬-১১ মাস বয়সী প্রতিটি শিশুকে একটি নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল (১ লাখ আইইউ) ও ১-৫ বছর বয়সী প্রতিটি শিশুকে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন একটি লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল (২ লাখ আইইউ) খাওয়ানো হবে। তিনি আরও জানান, চুয়াডাঙ্গায় চার উপজেলার ৬-১১ মাসের ১৫ হাজার ৮৩২ জন এবং ১-৫ বয়সের ১লাখ ১৯ হাজার ১৯৭ জন শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। চার উপজেলার স্থায়ী ও অস্থায়ী টিকাদান কেন্দ্র ১ হাজার ২টি, অতিরিক্ত কেন্দ্র ২৩টি এবং ভ্রাম্যমাণ কেন্দ্র ২০টি টিকাদান কেন্দ্র স্থাপন করা হবে। সর্বমোট ১ হাজার ২টি টিকাদান কেন্দ্র থেকে সরকারি-বেসরকারি, বিভিন্ন সংস্থার ১ হাজার ৮৬৮ জন (প্রতি কেন্দ্রে ২ জন) স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের কর্মী, শিক্ষক ও স্বেচ্ছাসেবকের মাধ্যমে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে।
ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন বলেন, ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল নিরাপদ। এতে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হওয়ার তেমন কোনো ঝুঁকি নেই। তবে কোনো শিশুকে যদি বয়স অনুযায়ী নির্ধারিত পরিমাণের তুলনায় বেশি ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়, তাহলে সাধারণ কিছু প্রতিক্রিয়া দেখা যেতে পারে। তাতে ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই। ভিটামিন ‘এ’ খাওয়ানোর ফলে শিশু যে শুধু রাতকানা থেকে রক্ষা পায়, তা নয়। এ ভিটামিন শিশুদের আরও বহুবিধ উপকার করে। শিশুর রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বৃদ্ধি করে, দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে ও শিশুমৃত্যুর হার কমায়।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

জেলার ১ লাখ ৩৫ হাজার ২৯ শিশু ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাবে

আপলোড টাইম : ০৯:২৪:১৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২০

চুয়াডাঙ্গায় জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন উপলক্ষে অবহিতকরণ সভা
নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গায় জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন উপলক্ষে জেলা সিভিল সার্জনের উদ্যোগে অবহিতকরণ ও পরিকল্পনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে সদর হাসপাতালের সম্মেলনকক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় জানানো হয়, ১১ জানুয়ারি জেলাজুড়ে সকাল থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেই অনুষ্ঠিত হবে। ওই দিন ৬-১১ মাস বয়সী শিশুকে ১টি নীল রঙের এবং ১-৫ বছর বয়সী শিশুকে ১টি লাল রংয়ের ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
জেলার ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. ওয়ালিউর রহমান নয়নের সভাপতিত্বে ও সার্ভিলেন্স ও ইমুলাইজেশন অফিসার ডা. আউলিয়ার রহমানের সঞ্চালনায় সভায় উপস্থিত ছিলেন ইপিটি সুপার, জেলা স্বাস্থ্য তত্ত্বাবধায়কসহ ও বিভিন্ন গণমাধ্যমকর্মীরা।
এ সময় ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. ওয়ালিউর রহমান নয়ন বলেন, ১১ জানুয়ারী জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনে লাল-নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। এ বছর লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুলের ঘাটতি থাকায় দেশের অধিকাংশ স্থানে শুধু নীল ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। ৬-১১ মাস বয়সী প্রতিটি শিশুকে একটি নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল (১ লাখ আইইউ) ও ১-৫ বছর বয়সী প্রতিটি শিশুকে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন একটি লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল (২ লাখ আইইউ) খাওয়ানো হবে। তিনি আরও জানান, চুয়াডাঙ্গায় চার উপজেলার ৬-১১ মাসের ১৫ হাজার ৮৩২ জন এবং ১-৫ বয়সের ১লাখ ১৯ হাজার ১৯৭ জন শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। চার উপজেলার স্থায়ী ও অস্থায়ী টিকাদান কেন্দ্র ১ হাজার ২টি, অতিরিক্ত কেন্দ্র ২৩টি এবং ভ্রাম্যমাণ কেন্দ্র ২০টি টিকাদান কেন্দ্র স্থাপন করা হবে। সর্বমোট ১ হাজার ২টি টিকাদান কেন্দ্র থেকে সরকারি-বেসরকারি, বিভিন্ন সংস্থার ১ হাজার ৮৬৮ জন (প্রতি কেন্দ্রে ২ জন) স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের কর্মী, শিক্ষক ও স্বেচ্ছাসেবকের মাধ্যমে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে।
ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন বলেন, ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল নিরাপদ। এতে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হওয়ার তেমন কোনো ঝুঁকি নেই। তবে কোনো শিশুকে যদি বয়স অনুযায়ী নির্ধারিত পরিমাণের তুলনায় বেশি ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়, তাহলে সাধারণ কিছু প্রতিক্রিয়া দেখা যেতে পারে। তাতে ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই। ভিটামিন ‘এ’ খাওয়ানোর ফলে শিশু যে শুধু রাতকানা থেকে রক্ষা পায়, তা নয়। এ ভিটামিন শিশুদের আরও বহুবিধ উপকার করে। শিশুর রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বৃদ্ধি করে, দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে ও শিশুমৃত্যুর হার কমায়।