জুমাতুল বিদার তাৎপর্য
- আপলোড টাইম : ১০:৩৩:৫১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ জুন ২০১৮
- / ১৩৭৪ বার পড়া হয়েছে
ধর্ম ডেস্ক: রমজানের শেষ জুমাটি মুসলিম উম্মাহর কাছে বিশেষ গুরুত্ব ও তাৎপর্য বহন করে। জুমার দিনের স্বতন্ত্র ফজিলত অনেক বেশি। শুক্রবারকে মুসলমানদের সাপ্তাহিক ঈদ হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে। রমজানের প্রতিটি জুমা ফজিলত ও তাৎপর্যের দিক থেকে অনন্য। বিদায়ী জুমা হিসেবে জুমাতুল বিদার মর্যাদা ও ফজিলত আরো বেশি। পবিত্র কোরানে জুমার নামাজ আদায়ের তাগিদ দিয়ে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘হে মুমিনরা! জুমার দিনে যখন নামাজের জন্য আহ্বান করা হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণে ধাবিত হও এবং ক্রয়-বিক্রয় ত্যাগ কর। এটাই তোমাদের জন্য শ্রেয়, যদি তোমরা উপলব্ধি কর।’ প্রত্যেক মুসলমানের ওপর জুমার নামাজ ফরজ। জুমার দিন ও রাত উভয়টিই ফজিলতপূর্ণ। জুমার দিন এমন একটি মুহূর্ত রয়েছে, যখন দোয়া করলে সরাসরি তা কবুল হয়। ধারণা করা হয়, সে মুহূর্তটি আসর থেকে মাগরিবের মাঝা-মাঝি কোনো সময়। এ ছাড়া দুই খুতবার মাঝা-মাঝি সময়টিও দোয়া কবুলের বিশেষ মুহূর্ত বলে হাদিসে উল্লেখ আছে। রমজান মাসের সর্বোত্তম রাত লাইলাতুল কদর, আর সর্বোত্তম দিন জুমাতুল বিদা। এদিন মুমিন মুসলমানদের ইমানি সম্মিলন হয়। জুমার দিনের তাৎপর্য বর্ণনা করে রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘সপ্তাহের সাত দিনের মধ্যে জুমাবার সর্বাধিক মর্যাদাবান ও নেতৃস্থানীয় দিন। এ পুণ্য দিনে আদি পিতা হজরত আদমকে (আ.) সৃষ্টি করা হয়। এ দিনে তিনি জান্নাতে প্রবেশ করেন। এ দিনে তিনি পুনরায় পৃথিবীতে আগমন করেন। এ দিনে তার ইন্তেকাল হয়। এ শুক্রবারেই কেয়ামত সংঘটিত হবে। এ পুণ্য দিনে এমন একটি সময় রয়েছে, যখন আল্লাহর দরবারে দোয়া কবুল হয়।’ জুমাতুল বিদার স্বতন্ত্র মর্যাদা ও তাৎপর্য সম্পর্কে হাদিসে তেমন কিছু উল্লেখ নেই। তবে এ দিনটি রোজাদারকে স্মরণ করিয়ে দেয়, রমজানের শেষলগ্নে এবার এর চেয়ে ভালো কোনোদিন আর পাওয়া যাবে না। সুতরাং এ পুণ্যময় দিনটির যথাযথ সদ্ব্যবহার করা উচিত। হেলায়খেলায় যেন দিনটি কেটে না যায় সে দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। হতে পারে এটাই কারো জীবনের শেষ জুমাতুল বিদা। জুমাতুল বিদা কোনো আনুষ্ঠানিকতা নয়, ইবাদতের দিন। এ দিন মসজিদে মসজিদে মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় থাকে। দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহর শান্তি এবং কল্যাণের জন্য সম্মিলিত দোয়া করলে কবুল হওয়ার আশা করা যায়।