ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

জীবননগর সীমান্তে গরিবের চাল নিয়ে চলছে চালবাজি হতাশ ক্ষতিগ্রস্থ হতদরিদ্র : কর্তৃপক্ষের নেই কোন নজরদারি

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১২:৫০:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ অক্টোবর ২০১৬
  • / ৩৫৩ বার পড়া হয়েছে

rrrrrr

জীবননগর অফিস: জীবননগর সীমান্ত ইউনিয়নে হতদরিদ্রের ১০টাকা কেজি চালের কার্ড নিয়ে চালবাজির তথ্যভিত্তিক সংবাদ প্রকাশের পরেও এব্যাপারে কোন প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহন না করায় জনমনে নানা প্রশ্নের ডালপালা ছড়াচ্ছে। গত ১০ অক্টোবর এ সংক্রান্ত সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে প্রকাশিত সংবাদের পর ভুক্তভোগী ও সচেতন জীবননগরবাসী স্বভাবতই আশা করেছিলেন এ ঘটনায় কর্তব্যে অবহেলার দায়ে দায়ীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। কিন্তু আজ অবধি দায়ীদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহন তো দূরের কথা, প্রকৃত কার্ড প্রাপ্যদের প্রাপ্তির বিষয়েও কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। ফলে  হতাশ ক্ষতিগ্রস্থ হতদরিদ্র এবং জীবননগরবাসী। উল্লেখ্য, বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী গরীব অসহায়ের কষ্ট লাঘবে কেজি প্রতি ১০টাকা মুল্যে প্রতি মাসে ৩০কেজি চাল অসহায় হতদরিদ্রের মাঝে বিতরণের লক্ষে এই খাদ্য বিতরণ কর্মসূচী চালু করেন। কর্মসূচীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অনিয়মের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর কঠোর হুশিয়ারি উচ্চারণ সত্ত্বেও গরীবের এই চাল নিয়ে চলছে চালবাজি। খাদ্যবান্ধব কর্মসুচীর ১০টাকা কেজি দরের চালের কার্ড পাচ্ছে অসহায় দরিদ্র গরীবের পরিবর্তে সরকারী কলেজের শিক্ষক ও ধনাঢ্য ব্যক্তিরা। সীমান্ত এলাকার কতিপয় কিছু নেতাদের নেতাগীরি আর নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য বঞ্চিত হচ্ছে এ ইউনিয়নের বেশির ভাগ গরীব ও অসহায় পরিবারগুলো। জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নে যে ২জন ডিলারের মাধ্যমে ১০টাকা মুল্যের চাল বিতরণ করা হচ্ছে  তাদের একজন যুবলীগনেতা অপরজন সীমান্ত ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক। এছাড়াও কিছু কিছু স্থানীয় নেতাকর্মীর স্বজনপ্রীতির কারণে ধনী ,গরীব না দেখেই দেওয়া হচ্ছে এ  কার্ড। আবার অনেকের নামে কার্ড থাকলেও তাদের দেওয়া হয়নি চালের কার্ড। তাদের নাম দিয়ে অন্য ব্যক্তি তুলে নিচ্ছে চাল। এমনটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের কয়া গ্রামের সাবেক স্কুল শিক্ষক সিরাজুল ইসলামের ছেলে জীবননগর আদর্শ সরকারী মহিলা কলেজের প্রভাষক সেলিম সাহেদকে একটি কার্ড দেওয়া হয়েছে যার কার্ড নং ৫২৯। তার সাথে কথা বললে তিনি বলেন চালটি আমি পায় এবং আমি নিজে চাল তুলে নিয়েছি। তাকে চালের কার্ড কে দিয়েছে এ বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন এ কার্ড আমাদের গ্রামে যারা তালিকা তৈরি করেছে আমি তাদের কাছ থেকে নিয়েছি। একই গ্রামের মাহাজেল হোসেনের ছেলে নিখোঁজ জসিম উদ্দিনকে একটি ১০টাকা চালের কার্ড দেওয়া হয়েছে যার কার্ড নং ৫১৯ ও গিয়াস উদ্দিনের ছেলে জাহাঙ্গীরের ছাদের বাড়ি থাকা সত্ত্বেও দেওয়া হয়েছে চালের কার্ড যার কার্ড নং ৫২২। শুধু তাই নয় জীবননগর শহরে দোকান ও গ্রামে জমিজায়গা থাকা সত্ত্বেও একই পরিবারে আবু সুলতানের স্ত্রী আকলিমা কার্ড নং ৫২৫ এবং আবু সুলতানের ছেলে তারেক কার্ড নং ৫৩২ দেওয়া হয়েছে এ চালের কার্ড। এদিকে গঙ্গাদাশপুর গ্রামের একই পরিবারের আফছার গোলদারের তিন ছেলে মহিউদ্দিন গোলদার কার্ড নং ৫৫১,তরিকুল গোলদার কার্ড নং ৫৫০ এবং জুলফিক্কার গোলদার কার্ড নং ৫৫৯ জমি জায়গাসহ পাকা বাড়ি থাকা সত্ত্বেও তাদেরকে দেওয়া হয়েছে ১০টাকা দ্বরের চালের কার্ড। তোফেল হোসেনের ছেলে আ.খালেকের জমি জায়গা পাকা বাড়ি থাকা সত্ত্বেও তাকে দেওয়া হয়েছে এ চালের কার্ড যার নং ৫৪৯। এছাড়া একই গ্রামের আত্তাপ মন্ডলের ছেলে রবিউল ইসলাম কার্ড নং ৫৩৮, মৃত রবিউল ইসলামের ছেলে আঃ হাইকেও দেওয়া হয়েছে ১০টাকা চালের কার্ড যার নং ৫৭২, শুধু সীমান্ত ইউনিয়নের কয়া, গঙ্গাদাশপুর গ্রামে নয় এ ইউনিয়নের গয়েশপুর গ্রামের গোলাম মোস্তফার ছেলে ফুর্টান কার্ড নং ৪৬, বেনীপুর গ্রামের মৃত রফিকুল ইসলামের ছেলে ইকরামুল হক কার্ড নং ৩৫৩, মৃত হোসেন মন্ডলের ছেলে আঃ করিম কার্ড নং ৩৫৬, আইজেল চৌধুরীর ছেলে ফরমান চৌধুরী কার্ড নং ৩৬৪, জাকির হোসেনের ছেলে শওকত আলী কার্ড নং ৩৬৭, মল্লিক মন্ডলের ছেলে আঃ সালাম মিয়া কার্ড নং ৩৭৭, ইমান আলীর ছেলে আবুল হোসেন কার্ড নং ৩৮০, মৃত মোজাম্মেল মন্ডলের ছেলে হাফিজুর রহমান ৩৮২, মিজানুর রহমানের ছেলে তরিকুল ইসলাম কার্ড নং ৩৮৩ রহমবারী মন্ডলের ছেলে শামিম  কার্ড নং ৩৪৮। এদের সকলের জমি এবং পাকা বাড়ি থাকা সত্ত্বেও দেওয়া হয়েছে চালের কার্ড। অথচ এদের ছাড়া আরও অনেক গরীব অসহায় ব্যক্তি আছে যারা এই কার্ড পাওয়ার যোগ্য ব্যক্তি তাদের দেওয়া হয়নি। এ কার্ড শুধু এই কয়টি গ্রামেই নয় এ ইউনিয়নের সদরপাড়া, হরিহরনগর, মেদনীপুরসহ প্রতিটি গ্রামেই চলছে এ ধরনের অনিয়ম। এদিকে বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ থেকে ক্ষুদা মুক্ত করার জন্য অসহায় দরিদ্রদের মাঝে ১০টাকা কেজিতে প্রতিমাসে ৩০কেজি হিসাবে কার্ডের মাধ্যমে চাল বিতরনের যে উদ্বোধন করেছে তা সঠিক ভাবে বিতারন না করলে এবং অসহায় গরীব বাদে ধনী এবং চাকুরীজীবিরা এ সমস্থ কার্ড পেয়ে থাকে তা হলে সে সমস্থ ডিলারদের বিরুদ্ধে কঠিন ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ দেওয়া হলেও এখন পর্যন্ত নেওয়া হয়নি তার কোন পদক্ষেপ। যেখানে গরীবদের কার্ড পাওয়ার কথা সেখানে গরীবের নাম ভাঙ্গিয়ে কোন তদন্ত ছাড়াই ঘরে বসে স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে চালের তালিকা করে দেওয়া হয়েছে। যারা প্রকৃতি গরীব তাদের মধ্যে হাতে গুনে কয়েক জন ব্যক্তি ছাড়া  এ চালের কার্ড থেকে বেশির ভাগ অসহায় গরিব হচ্ছে বঞ্জিত। এদিকে সীমান্ত ইউনিয়নের গঙ্গাদাশপুর গ্রামের মাঠ পাড়ার বেশির ভাগ মানুষ অসহায় দিনমজুর। যাদের দিন আনতে পানতা ফুরায় তাদের ভিতরেও কাউকে এ কার্ড দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। গঙ্গাদাশপুর মাঠ পাড়ার বেশ কয়েকজন ভুক্তভোগী নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অভিযোগ করে বলেন সীমান্ত ইউনিয়নের মধ্যে গঙ্গাদাশপুর গ্রামের মাঠ পাড়ার  মানুষ সবচেয়ে গরীব। যাদের শুধু  মাথা গোজা ঠাইটুকু ছাড়া আর কিছু নেই। পরের জমিতে বরগা যাওয়া আর বিভিন্ন মিস্ত্রি কাজ করে যা আয় রোজগার করে বাজার থেকে বেশি দামের চাল কিনে খাওয়া ছাড়া আর কোন পথ নেই। কিন্তু এই গ্রামে একটি ঘটনায় গ্রামে জটিলতা হওয়ায়  আমরা এ গ্রাম ছেড়ে সকলে দীর্ঘ দিন বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে থাকি। অবশেষে  চুয়াডাঙ্গা ১আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য জাতীয় সংসদের মাননীয় হুইপ ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলাইমান হক জোয়াদ্দার ছেলুন এমপির একান্ত চেষ্টায় আমরা বাড়ি ফিরে আসি। এ গ্রামে যারা এ কার্ডের নামের তালিকা তৈরি করেছেন তারা আমাদের ১০টাকা কেজি দরের চালের  কার্ড থেকে বঞ্চিত করেছে। শুধু এই কার্ড নয় আমরা এই মহল্লার সাধারন মানুষ সরকারী সমস্ত অনুদান থেকে দীর্ঘদিন বঞ্চিত হয়েছি। এদিকে সীমান্তে গরীবদের পরিবর্তে প্রভাবশালী অবস্থা সম্পন্ন ব্যক্তি চালের কার্ড পেয়ে থাকলেও প্রশাসনের নেই কোন নজরদারি। যার ফলে সাধারন মানুষ হতাশার মধ্যে দিনযাপন করছে। এদিকে বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভায় প্রশাসনের কিছু কর্মকর্তা সাংবাদিকসহ জনগনকে বলেন আমাদের মোবাইল নাম্বারটি রাখুন, যেকোন অনিয়ম দূর্নীতি হলে এবং ১০টাকা কেজি দরের চালের বিষয়ে গরীবের পরিবর্তে যদি কোন ধনী কিম্বা সচ্ছল ব্যক্তি কার্ড পেয়ে থাকে, তাহলে সেই সমস্ত খাদ্যকর্মকর্তা, ডিলার ও তালিকাপ্রস্তুত কারকের  বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। অথচ ১০টাকা কেজি দরের চালের কার্ড নিয়ে অনিয়মের সংবাদ প্রকাশ হলেও এখনও পর্যন্ত নেওয়া হয়নি তার কোন ব্যবস্থা। তাহলে কি এটা অন্য কোন ফোনের ব্যাপার, যেজন্য নেয়া হচ্ছে না কোন ব্যবস্থা। (চলবে……..)

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

জীবননগর সীমান্তে গরিবের চাল নিয়ে চলছে চালবাজি হতাশ ক্ষতিগ্রস্থ হতদরিদ্র : কর্তৃপক্ষের নেই কোন নজরদারি

আপলোড টাইম : ১২:৫০:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ অক্টোবর ২০১৬

rrrrrr

জীবননগর অফিস: জীবননগর সীমান্ত ইউনিয়নে হতদরিদ্রের ১০টাকা কেজি চালের কার্ড নিয়ে চালবাজির তথ্যভিত্তিক সংবাদ প্রকাশের পরেও এব্যাপারে কোন প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহন না করায় জনমনে নানা প্রশ্নের ডালপালা ছড়াচ্ছে। গত ১০ অক্টোবর এ সংক্রান্ত সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে প্রকাশিত সংবাদের পর ভুক্তভোগী ও সচেতন জীবননগরবাসী স্বভাবতই আশা করেছিলেন এ ঘটনায় কর্তব্যে অবহেলার দায়ে দায়ীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। কিন্তু আজ অবধি দায়ীদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহন তো দূরের কথা, প্রকৃত কার্ড প্রাপ্যদের প্রাপ্তির বিষয়েও কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। ফলে  হতাশ ক্ষতিগ্রস্থ হতদরিদ্র এবং জীবননগরবাসী। উল্লেখ্য, বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী গরীব অসহায়ের কষ্ট লাঘবে কেজি প্রতি ১০টাকা মুল্যে প্রতি মাসে ৩০কেজি চাল অসহায় হতদরিদ্রের মাঝে বিতরণের লক্ষে এই খাদ্য বিতরণ কর্মসূচী চালু করেন। কর্মসূচীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অনিয়মের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর কঠোর হুশিয়ারি উচ্চারণ সত্ত্বেও গরীবের এই চাল নিয়ে চলছে চালবাজি। খাদ্যবান্ধব কর্মসুচীর ১০টাকা কেজি দরের চালের কার্ড পাচ্ছে অসহায় দরিদ্র গরীবের পরিবর্তে সরকারী কলেজের শিক্ষক ও ধনাঢ্য ব্যক্তিরা। সীমান্ত এলাকার কতিপয় কিছু নেতাদের নেতাগীরি আর নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য বঞ্চিত হচ্ছে এ ইউনিয়নের বেশির ভাগ গরীব ও অসহায় পরিবারগুলো। জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নে যে ২জন ডিলারের মাধ্যমে ১০টাকা মুল্যের চাল বিতরণ করা হচ্ছে  তাদের একজন যুবলীগনেতা অপরজন সীমান্ত ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক। এছাড়াও কিছু কিছু স্থানীয় নেতাকর্মীর স্বজনপ্রীতির কারণে ধনী ,গরীব না দেখেই দেওয়া হচ্ছে এ  কার্ড। আবার অনেকের নামে কার্ড থাকলেও তাদের দেওয়া হয়নি চালের কার্ড। তাদের নাম দিয়ে অন্য ব্যক্তি তুলে নিচ্ছে চাল। এমনটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের কয়া গ্রামের সাবেক স্কুল শিক্ষক সিরাজুল ইসলামের ছেলে জীবননগর আদর্শ সরকারী মহিলা কলেজের প্রভাষক সেলিম সাহেদকে একটি কার্ড দেওয়া হয়েছে যার কার্ড নং ৫২৯। তার সাথে কথা বললে তিনি বলেন চালটি আমি পায় এবং আমি নিজে চাল তুলে নিয়েছি। তাকে চালের কার্ড কে দিয়েছে এ বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন এ কার্ড আমাদের গ্রামে যারা তালিকা তৈরি করেছে আমি তাদের কাছ থেকে নিয়েছি। একই গ্রামের মাহাজেল হোসেনের ছেলে নিখোঁজ জসিম উদ্দিনকে একটি ১০টাকা চালের কার্ড দেওয়া হয়েছে যার কার্ড নং ৫১৯ ও গিয়াস উদ্দিনের ছেলে জাহাঙ্গীরের ছাদের বাড়ি থাকা সত্ত্বেও দেওয়া হয়েছে চালের কার্ড যার কার্ড নং ৫২২। শুধু তাই নয় জীবননগর শহরে দোকান ও গ্রামে জমিজায়গা থাকা সত্ত্বেও একই পরিবারে আবু সুলতানের স্ত্রী আকলিমা কার্ড নং ৫২৫ এবং আবু সুলতানের ছেলে তারেক কার্ড নং ৫৩২ দেওয়া হয়েছে এ চালের কার্ড। এদিকে গঙ্গাদাশপুর গ্রামের একই পরিবারের আফছার গোলদারের তিন ছেলে মহিউদ্দিন গোলদার কার্ড নং ৫৫১,তরিকুল গোলদার কার্ড নং ৫৫০ এবং জুলফিক্কার গোলদার কার্ড নং ৫৫৯ জমি জায়গাসহ পাকা বাড়ি থাকা সত্ত্বেও তাদেরকে দেওয়া হয়েছে ১০টাকা দ্বরের চালের কার্ড। তোফেল হোসেনের ছেলে আ.খালেকের জমি জায়গা পাকা বাড়ি থাকা সত্ত্বেও তাকে দেওয়া হয়েছে এ চালের কার্ড যার নং ৫৪৯। এছাড়া একই গ্রামের আত্তাপ মন্ডলের ছেলে রবিউল ইসলাম কার্ড নং ৫৩৮, মৃত রবিউল ইসলামের ছেলে আঃ হাইকেও দেওয়া হয়েছে ১০টাকা চালের কার্ড যার নং ৫৭২, শুধু সীমান্ত ইউনিয়নের কয়া, গঙ্গাদাশপুর গ্রামে নয় এ ইউনিয়নের গয়েশপুর গ্রামের গোলাম মোস্তফার ছেলে ফুর্টান কার্ড নং ৪৬, বেনীপুর গ্রামের মৃত রফিকুল ইসলামের ছেলে ইকরামুল হক কার্ড নং ৩৫৩, মৃত হোসেন মন্ডলের ছেলে আঃ করিম কার্ড নং ৩৫৬, আইজেল চৌধুরীর ছেলে ফরমান চৌধুরী কার্ড নং ৩৬৪, জাকির হোসেনের ছেলে শওকত আলী কার্ড নং ৩৬৭, মল্লিক মন্ডলের ছেলে আঃ সালাম মিয়া কার্ড নং ৩৭৭, ইমান আলীর ছেলে আবুল হোসেন কার্ড নং ৩৮০, মৃত মোজাম্মেল মন্ডলের ছেলে হাফিজুর রহমান ৩৮২, মিজানুর রহমানের ছেলে তরিকুল ইসলাম কার্ড নং ৩৮৩ রহমবারী মন্ডলের ছেলে শামিম  কার্ড নং ৩৪৮। এদের সকলের জমি এবং পাকা বাড়ি থাকা সত্ত্বেও দেওয়া হয়েছে চালের কার্ড। অথচ এদের ছাড়া আরও অনেক গরীব অসহায় ব্যক্তি আছে যারা এই কার্ড পাওয়ার যোগ্য ব্যক্তি তাদের দেওয়া হয়নি। এ কার্ড শুধু এই কয়টি গ্রামেই নয় এ ইউনিয়নের সদরপাড়া, হরিহরনগর, মেদনীপুরসহ প্রতিটি গ্রামেই চলছে এ ধরনের অনিয়ম। এদিকে বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ থেকে ক্ষুদা মুক্ত করার জন্য অসহায় দরিদ্রদের মাঝে ১০টাকা কেজিতে প্রতিমাসে ৩০কেজি হিসাবে কার্ডের মাধ্যমে চাল বিতরনের যে উদ্বোধন করেছে তা সঠিক ভাবে বিতারন না করলে এবং অসহায় গরীব বাদে ধনী এবং চাকুরীজীবিরা এ সমস্থ কার্ড পেয়ে থাকে তা হলে সে সমস্থ ডিলারদের বিরুদ্ধে কঠিন ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ দেওয়া হলেও এখন পর্যন্ত নেওয়া হয়নি তার কোন পদক্ষেপ। যেখানে গরীবদের কার্ড পাওয়ার কথা সেখানে গরীবের নাম ভাঙ্গিয়ে কোন তদন্ত ছাড়াই ঘরে বসে স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে চালের তালিকা করে দেওয়া হয়েছে। যারা প্রকৃতি গরীব তাদের মধ্যে হাতে গুনে কয়েক জন ব্যক্তি ছাড়া  এ চালের কার্ড থেকে বেশির ভাগ অসহায় গরিব হচ্ছে বঞ্জিত। এদিকে সীমান্ত ইউনিয়নের গঙ্গাদাশপুর গ্রামের মাঠ পাড়ার বেশির ভাগ মানুষ অসহায় দিনমজুর। যাদের দিন আনতে পানতা ফুরায় তাদের ভিতরেও কাউকে এ কার্ড দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। গঙ্গাদাশপুর মাঠ পাড়ার বেশ কয়েকজন ভুক্তভোগী নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অভিযোগ করে বলেন সীমান্ত ইউনিয়নের মধ্যে গঙ্গাদাশপুর গ্রামের মাঠ পাড়ার  মানুষ সবচেয়ে গরীব। যাদের শুধু  মাথা গোজা ঠাইটুকু ছাড়া আর কিছু নেই। পরের জমিতে বরগা যাওয়া আর বিভিন্ন মিস্ত্রি কাজ করে যা আয় রোজগার করে বাজার থেকে বেশি দামের চাল কিনে খাওয়া ছাড়া আর কোন পথ নেই। কিন্তু এই গ্রামে একটি ঘটনায় গ্রামে জটিলতা হওয়ায়  আমরা এ গ্রাম ছেড়ে সকলে দীর্ঘ দিন বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে থাকি। অবশেষে  চুয়াডাঙ্গা ১আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য জাতীয় সংসদের মাননীয় হুইপ ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলাইমান হক জোয়াদ্দার ছেলুন এমপির একান্ত চেষ্টায় আমরা বাড়ি ফিরে আসি। এ গ্রামে যারা এ কার্ডের নামের তালিকা তৈরি করেছেন তারা আমাদের ১০টাকা কেজি দরের চালের  কার্ড থেকে বঞ্চিত করেছে। শুধু এই কার্ড নয় আমরা এই মহল্লার সাধারন মানুষ সরকারী সমস্ত অনুদান থেকে দীর্ঘদিন বঞ্চিত হয়েছি। এদিকে সীমান্তে গরীবদের পরিবর্তে প্রভাবশালী অবস্থা সম্পন্ন ব্যক্তি চালের কার্ড পেয়ে থাকলেও প্রশাসনের নেই কোন নজরদারি। যার ফলে সাধারন মানুষ হতাশার মধ্যে দিনযাপন করছে। এদিকে বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভায় প্রশাসনের কিছু কর্মকর্তা সাংবাদিকসহ জনগনকে বলেন আমাদের মোবাইল নাম্বারটি রাখুন, যেকোন অনিয়ম দূর্নীতি হলে এবং ১০টাকা কেজি দরের চালের বিষয়ে গরীবের পরিবর্তে যদি কোন ধনী কিম্বা সচ্ছল ব্যক্তি কার্ড পেয়ে থাকে, তাহলে সেই সমস্ত খাদ্যকর্মকর্তা, ডিলার ও তালিকাপ্রস্তুত কারকের  বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। অথচ ১০টাকা কেজি দরের চালের কার্ড নিয়ে অনিয়মের সংবাদ প্রকাশ হলেও এখনও পর্যন্ত নেওয়া হয়নি তার কোন ব্যবস্থা। তাহলে কি এটা অন্য কোন ফোনের ব্যাপার, যেজন্য নেয়া হচ্ছে না কোন ব্যবস্থা। (চলবে……..)