ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

জীবননগরে মুগ-কলাই মাড়ায়ে ব্যস্ত চাষীরা!

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:২২:৩২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৯ নভেম্বর ২০১৮
  • / ৭২০ বার পড়া হয়েছে

জাহিদ বাবু/মিঠুন মাহমুদ: জীবননগরে মুগ-কলাই মাড়ায়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষীরা। শীতের আগমন শুরু হতে না হতেই কৃষকরা মাঠ থেকে ফসল কাটতে শুরু করেছে। অল্প খরচে মুগ চাষে লাভবান হওয়ায় কৃষকরা এ চাষে দিনে দিনে আগ্রহ বাড়াচ্ছে। তা ছাড়া একই জমিতে মুগ চাষের পর, ধান চাষ করায় কৃষকরা একটু বাড়তি সুবিধা পাচ্ছে। তাছাড়া মুগের ডালের কোন তুলনা হয় না। মুগ থেকে একদিকে যেমন অর্থ আয় হয়, অপরদিকে পরিবারের ডাউলের চাহিদা মিটে যায়।
উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের কয়া গ্রামের মুগ চাষী মিলনের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, এ বছর ৪ বিঘা জমিতে উপশীমুগ ও দেশী মুগ চাষ করে বিঘা প্রতি ৫ মণ করে ফলন হয়েছে। মুগ বোনা থেকে শুরু করে মাড়ায় করা পর্যন্ত বিঘা প্রতি ২ থেকে ৩ হাজার টাকা খরচ হয়। খরচ খরচা বাদ দিয়ে বর্তমান বাজার হিসাবে বিঘা প্রতি ১০ হাজার টাকা লাভ হয়েছে। তাছাড়া মুগ কেটে একই জমিতে ধান লাগাবো। এই মুগ চাষের পর একই জমিতে ধান লাগাতে পেরে একটি বাড়তি আয় হয়। যার জন্য প্রতি বছরেই মুগ চাষ করা হয়। একই কথা বলেন- উপজেলার বাঁকা ইউনিয়নের মিনাজপুর গ্রামের মুগ চাষী হাসান আলী, আব্দুল গফুর, রমজান আলী, আব্দুল খালেক তারা বলেন, মুগ চাষে কম খরচ হওয়ায় এ চাষটি একটি লাভজনক চাষ বলা যায়। তাছাড়া এই চাষে খরচ বলতে বীজ ক্রয়, দুটি সেচ, আর একটু সার দেয়া ছাড়া তেমন কোন খরচ নেই বললেই চলে। সম্প্রতি গত কয়েক বছর যাবত উপজেলায় মুগ চাষ হতোনা বললেই চলতো। বর্তমানে সরকারিভাবে কৃষকদের মাঝে বীজ, সারসহ বিভিন্ন ধরনের উপকরণ দেয়ার ফলে আবারো নতুনভাবে মাঠ জুড়ে চাষ হচ্ছে মুগ। তবে বর্তমানে বিভিন্ন জাতের মুগের বীজ বের হওয়াসহ নতুন নতুন পদ্ধতি চাষাবাদ করায় কৃষকরা চাষে লাভবান হচ্ছে।
জীবননগর উপজেলা কৃষি অফিসার মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ বলেন, এ বছর আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় উপজেলায় মুগের ফলন অনেক সুন্দর হয়েছে। গত বছরের তুলনায় এ বছর উপজেলায় ব্যাপকহারে মুগ চাষ হয়েছে। কৃষি অফিস থেকে প্রতিনিয়ত কৃষকদের কৃষি চাষের উপর প্রশিক্ষণ ও সরকারিভাবে বিনামূল্যে সার, বীজসহ বিভিন্ন ধরনের উপকরণ সরবরাহ করা হচ্ছে। আশা করি আগামিতে উপজেলায় মুগ চাষ আরো বৃদ্ধি পাবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

জীবননগরে মুগ-কলাই মাড়ায়ে ব্যস্ত চাষীরা!

আপলোড টাইম : ০৯:২২:৩২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৯ নভেম্বর ২০১৮

জাহিদ বাবু/মিঠুন মাহমুদ: জীবননগরে মুগ-কলাই মাড়ায়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষীরা। শীতের আগমন শুরু হতে না হতেই কৃষকরা মাঠ থেকে ফসল কাটতে শুরু করেছে। অল্প খরচে মুগ চাষে লাভবান হওয়ায় কৃষকরা এ চাষে দিনে দিনে আগ্রহ বাড়াচ্ছে। তা ছাড়া একই জমিতে মুগ চাষের পর, ধান চাষ করায় কৃষকরা একটু বাড়তি সুবিধা পাচ্ছে। তাছাড়া মুগের ডালের কোন তুলনা হয় না। মুগ থেকে একদিকে যেমন অর্থ আয় হয়, অপরদিকে পরিবারের ডাউলের চাহিদা মিটে যায়।
উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের কয়া গ্রামের মুগ চাষী মিলনের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, এ বছর ৪ বিঘা জমিতে উপশীমুগ ও দেশী মুগ চাষ করে বিঘা প্রতি ৫ মণ করে ফলন হয়েছে। মুগ বোনা থেকে শুরু করে মাড়ায় করা পর্যন্ত বিঘা প্রতি ২ থেকে ৩ হাজার টাকা খরচ হয়। খরচ খরচা বাদ দিয়ে বর্তমান বাজার হিসাবে বিঘা প্রতি ১০ হাজার টাকা লাভ হয়েছে। তাছাড়া মুগ কেটে একই জমিতে ধান লাগাবো। এই মুগ চাষের পর একই জমিতে ধান লাগাতে পেরে একটি বাড়তি আয় হয়। যার জন্য প্রতি বছরেই মুগ চাষ করা হয়। একই কথা বলেন- উপজেলার বাঁকা ইউনিয়নের মিনাজপুর গ্রামের মুগ চাষী হাসান আলী, আব্দুল গফুর, রমজান আলী, আব্দুল খালেক তারা বলেন, মুগ চাষে কম খরচ হওয়ায় এ চাষটি একটি লাভজনক চাষ বলা যায়। তাছাড়া এই চাষে খরচ বলতে বীজ ক্রয়, দুটি সেচ, আর একটু সার দেয়া ছাড়া তেমন কোন খরচ নেই বললেই চলে। সম্প্রতি গত কয়েক বছর যাবত উপজেলায় মুগ চাষ হতোনা বললেই চলতো। বর্তমানে সরকারিভাবে কৃষকদের মাঝে বীজ, সারসহ বিভিন্ন ধরনের উপকরণ দেয়ার ফলে আবারো নতুনভাবে মাঠ জুড়ে চাষ হচ্ছে মুগ। তবে বর্তমানে বিভিন্ন জাতের মুগের বীজ বের হওয়াসহ নতুন নতুন পদ্ধতি চাষাবাদ করায় কৃষকরা চাষে লাভবান হচ্ছে।
জীবননগর উপজেলা কৃষি অফিসার মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ বলেন, এ বছর আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় উপজেলায় মুগের ফলন অনেক সুন্দর হয়েছে। গত বছরের তুলনায় এ বছর উপজেলায় ব্যাপকহারে মুগ চাষ হয়েছে। কৃষি অফিস থেকে প্রতিনিয়ত কৃষকদের কৃষি চাষের উপর প্রশিক্ষণ ও সরকারিভাবে বিনামূল্যে সার, বীজসহ বিভিন্ন ধরনের উপকরণ সরবরাহ করা হচ্ছে। আশা করি আগামিতে উপজেলায় মুগ চাষ আরো বৃদ্ধি পাবে।