ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

জীবননগরে বেড়েছে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা : বাড়তি চাপে হিমশিম

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১১:০৭:৫১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৫ নভেম্বর ২০১৭
  • / ৩৭০ বার পড়া হয়েছে

৩১ শয্যা থেকে ৫১ শয্যায় উন্নিত করা হলেও উদ্বোধন করা হয়নি নতুন ভবণের

জীবননগর অফিস: জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দিনে দিনে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। হঠাৎ করে আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারনে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শিশু ও বৃদ্ধ ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত কয়েক দিনের ব্যবধানে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কয়েকগুন বেশি রোগী ভর্তি হয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ৩১ শয্যা থেকে ৫১ শয্যায় করা হলেও উদ্বোধনের অভাবে নতুন ভবনে রোগীদের চিকিৎসা সেবা দেওয়া সম্ভব হয়ে উঠছে না। যার ফলে সীমিত আসনে বিপুল সংখ্যক রোগীকে সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন হাপাতালের কতৃপক্ষ। হাসপাতালের এ পরিস্তিতি দেখে অনেক রোগীর পরিবারের সদস্যরা বাধ্য হয়ে জীবননগর শহরের বিভিন্ন প্রাইভেট ক্লিনিকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি অতিতে ৩১ শয্যায় ছিল কিন্তু বর্তমান চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্যর একান্ত প্রচেষ্ঠায় ও বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া প্রতিশ্রতিত্বে এবং উপজেলার জনসংখ্যার দিক থেকে বিবেচনা করে ৫১ শয্যায় উন্নতি করা হয়েছে ইতোমধ্যেই গত দুই বছর আগেই হাসপাতালের কার্যক্রম শেষ হয়েছে। শুধুমাত্র হাসাতালের আশবাসপত্র সরকারী ভাবে না আসায় ৫১ শয্যার হাসপাতালটি উদ্বোধন করা হয়নি। যতটুকু আসন আছে তার দ্বিগুন রোগী এই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এসব রোগীদের সাথে তাদের পরিবারের সদস্যরা থাকায় হাসপাতালের পুরো ওর্য়াডে মানুষের ভিড় বেড়ে গেছে। অনেক রোগী আছে বেড না পেয়ে হাসপাতালের মেঝেতে অবস্থান করছে। হাসপাতাল সুত্রে জানা যায়,আবহাওয়ার কারনে গত এক সপ্তাহে ঠান্ডাজনিত রোগে ৩৫ জন শিশু ও বৃদ্ধ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। যত শীত বেশি বৃদ্ধি পাচ্ছে ততই ঠান্ডাজনিত রোগের প্রকোপ বাড়ছে। তবে অনেক ক্ষেত্রে হাসপাতাল থেকে রোগীরা ঔষধ না পাওয়ায় রোগীর পরিবারের সদস্যরা বাইরে থেকে ঔষুধ কিনছে বলে রোগীর পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেছে। শীতজনিত রোগের মধ্যে শিশুদের নিউমোনিয়া, হাঁপানী, এ্যাজমা, ডায়রিয়া ইত্যাদি রোগের রোগী হাসপাতালে বেশী ভর্তি হচ্ছে।
এ ব্যাপারে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. হেদায়েত বিন-মাহমুদ সেতু বলেন, হাসপাতালে ঠান্ডজনিত রোগীর সংখ্যা দিনে দিনে হাসপাতালে বাড়ছে আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারনে এ সমস্যা দেখা দিচ্ছে। বিশেষ করে শিশুদের নিউমোনিয়া, ডায়রিয়াও হাঁপানি রোগে আক্রান্ত হচ্ছে বেশি। রোগীর তুলনায় হাসপাতালে পর্যাপ্ত পরিমানে ঔষধ সরবরাহ নেই। আউটডোরে অল্প সংখ্যক ঔষধ থাকলেও ইনডোরে সঙ্কট রয়েছে। যার ফলে রোগীদের বাইরে থেকে ঔষধ কিনতে হচ্ছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

জীবননগরে বেড়েছে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা : বাড়তি চাপে হিমশিম

আপলোড টাইম : ১১:০৭:৫১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৫ নভেম্বর ২০১৭

৩১ শয্যা থেকে ৫১ শয্যায় উন্নিত করা হলেও উদ্বোধন করা হয়নি নতুন ভবণের

জীবননগর অফিস: জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দিনে দিনে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। হঠাৎ করে আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারনে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শিশু ও বৃদ্ধ ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত কয়েক দিনের ব্যবধানে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কয়েকগুন বেশি রোগী ভর্তি হয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ৩১ শয্যা থেকে ৫১ শয্যায় করা হলেও উদ্বোধনের অভাবে নতুন ভবনে রোগীদের চিকিৎসা সেবা দেওয়া সম্ভব হয়ে উঠছে না। যার ফলে সীমিত আসনে বিপুল সংখ্যক রোগীকে সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন হাপাতালের কতৃপক্ষ। হাসপাতালের এ পরিস্তিতি দেখে অনেক রোগীর পরিবারের সদস্যরা বাধ্য হয়ে জীবননগর শহরের বিভিন্ন প্রাইভেট ক্লিনিকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি অতিতে ৩১ শয্যায় ছিল কিন্তু বর্তমান চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্যর একান্ত প্রচেষ্ঠায় ও বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া প্রতিশ্রতিত্বে এবং উপজেলার জনসংখ্যার দিক থেকে বিবেচনা করে ৫১ শয্যায় উন্নতি করা হয়েছে ইতোমধ্যেই গত দুই বছর আগেই হাসপাতালের কার্যক্রম শেষ হয়েছে। শুধুমাত্র হাসাতালের আশবাসপত্র সরকারী ভাবে না আসায় ৫১ শয্যার হাসপাতালটি উদ্বোধন করা হয়নি। যতটুকু আসন আছে তার দ্বিগুন রোগী এই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এসব রোগীদের সাথে তাদের পরিবারের সদস্যরা থাকায় হাসপাতালের পুরো ওর্য়াডে মানুষের ভিড় বেড়ে গেছে। অনেক রোগী আছে বেড না পেয়ে হাসপাতালের মেঝেতে অবস্থান করছে। হাসপাতাল সুত্রে জানা যায়,আবহাওয়ার কারনে গত এক সপ্তাহে ঠান্ডাজনিত রোগে ৩৫ জন শিশু ও বৃদ্ধ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। যত শীত বেশি বৃদ্ধি পাচ্ছে ততই ঠান্ডাজনিত রোগের প্রকোপ বাড়ছে। তবে অনেক ক্ষেত্রে হাসপাতাল থেকে রোগীরা ঔষধ না পাওয়ায় রোগীর পরিবারের সদস্যরা বাইরে থেকে ঔষুধ কিনছে বলে রোগীর পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেছে। শীতজনিত রোগের মধ্যে শিশুদের নিউমোনিয়া, হাঁপানী, এ্যাজমা, ডায়রিয়া ইত্যাদি রোগের রোগী হাসপাতালে বেশী ভর্তি হচ্ছে।
এ ব্যাপারে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. হেদায়েত বিন-মাহমুদ সেতু বলেন, হাসপাতালে ঠান্ডজনিত রোগীর সংখ্যা দিনে দিনে হাসপাতালে বাড়ছে আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারনে এ সমস্যা দেখা দিচ্ছে। বিশেষ করে শিশুদের নিউমোনিয়া, ডায়রিয়াও হাঁপানি রোগে আক্রান্ত হচ্ছে বেশি। রোগীর তুলনায় হাসপাতালে পর্যাপ্ত পরিমানে ঔষধ সরবরাহ নেই। আউটডোরে অল্প সংখ্যক ঔষধ থাকলেও ইনডোরে সঙ্কট রয়েছে। যার ফলে রোগীদের বাইরে থেকে ঔষধ কিনতে হচ্ছে।