ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

জীবননগরে বিদ্যুত অফিসের পাঁচ কর্মীকে পিটিয়ে জখম!

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১২:০৮:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ এপ্রিল ২০২১
  • / ১৯১ বার পড়া হয়েছে

জীবননগর অফিস:
জীবননগরে ঝড়ের মৌসুমে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে গাছের ডাল, লতাপাতা কর্তন করার সময় বিদ্যুৎ অফিসের পাঁচ কর্মীকে পিটিয়ে জখমের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল রোববার সকাল ৯টার দিকে জীবননগর উপজেলার কাশিপুর গ্রামের কাঁঠালতলা নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে। পরে আহতদেরকে উদ্ধার করে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়। আহতরা হলেন- মেহেরপুর পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের লাইন টেকনিশিয়ান রবিউল ইসলাম, শ্রমিক আশরাফুল ইসলাম, আরাফাত হোসেন, রাসেল, আব্বাস ও সাগর।
জানা যায়, বৈশাখী ঝড়েও বিদ্যুৎ সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন রাখার জন্য জীবননগর উপজেলার কেডিকে ইউনিয়নের কাশিপুর গ্রামের কাঁঠালতলা নামক স্থানে মৃত নূর বক্সের ছেলে আব্দুল করিমের বাড়ির নিকট বিদ্যুত অফিসের লাইন টেকনিশিয়ানের নেতৃত্বে ১২জন শ্রমিক বৈদ্যুতিক তারের নিকটে চলে আসা গাছের ডাল লতাপাতা কর্তন ও পরিস্কারের কাজ করছিল। শ্রমিকরা জিব্লে গাছের ডাল ও লতাপাতা কাটলে আব্দুল করিমের সঙ্গে শ্রমিকদের বিরোধের সৃষ্টি হয়। এরই একপর্যায়ে আব্দুল করিম, তাঁর ছেলে সাদ্দাম, বিল্লাল, করিমের স্ত্রী হাজেরা খাতুনসহ ৭-৮ জন শ্রমিকদের ওপর বাঁশ-লাঠি দিয়ে আক্রমণ করে। এতে পল্লীবিদ্যুৎ অফিসের শ্রমিকদের মধ্যে পাঁচজন আহত হন। পরে তাঁদেরকে উদ্ধার করে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
এবিষয়ে মেহেরপুর পল্লীবিদুৎ সমিতির জীবননগর শাখার সহকারী জেনারেল ম্যানেজার মুহাইমিনুল ইসলাম বিপ্লব বলেন, ‘আসন্ন রমজান ও কালবৈশাখী ঝড়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন রাখার জন্য বৈদ্যুতিক লাইনের মধ্যে চলে আসা গাছের ডাল, লতাপাতা কর্তন করা হচ্ছিল। এসময় গাছের ডাল কাটায় লাইন টেকনিশিয়ানসহ কাজে নিয়োজিত পাঁচজন শ্রমিক মারাত্মকভাবে পিটিয়ে আহত করেছে স্থানীয় একটি পরিবারের সদস্যরা। সরকারি কাজে বাঁধা প্রদান এবং সরকারি দাপ্তরিক কর্মরত পল্লী বিদুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীকে মারধর করাই প্রচলিত বিদ্যুৎ আইনে অভিযুক্ত পরিবারের সদস্যদের নামে মামলার প্রস্তুতি চলছে।’
জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ‘বিষয়টি সরকারি সম্পত্তি হস্তক্ষেপ, সরকারি কাজে বাধা প্রদান, মারধর প্রচলিত বিদ্যুৎ আইনে দণ্ডনীয় অপরাধ। মামলার প্রস্তুতি চলছে। তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

জীবননগরে বিদ্যুত অফিসের পাঁচ কর্মীকে পিটিয়ে জখম!

আপলোড টাইম : ১২:০৮:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ এপ্রিল ২০২১

জীবননগর অফিস:
জীবননগরে ঝড়ের মৌসুমে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে গাছের ডাল, লতাপাতা কর্তন করার সময় বিদ্যুৎ অফিসের পাঁচ কর্মীকে পিটিয়ে জখমের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল রোববার সকাল ৯টার দিকে জীবননগর উপজেলার কাশিপুর গ্রামের কাঁঠালতলা নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে। পরে আহতদেরকে উদ্ধার করে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়। আহতরা হলেন- মেহেরপুর পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের লাইন টেকনিশিয়ান রবিউল ইসলাম, শ্রমিক আশরাফুল ইসলাম, আরাফাত হোসেন, রাসেল, আব্বাস ও সাগর।
জানা যায়, বৈশাখী ঝড়েও বিদ্যুৎ সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন রাখার জন্য জীবননগর উপজেলার কেডিকে ইউনিয়নের কাশিপুর গ্রামের কাঁঠালতলা নামক স্থানে মৃত নূর বক্সের ছেলে আব্দুল করিমের বাড়ির নিকট বিদ্যুত অফিসের লাইন টেকনিশিয়ানের নেতৃত্বে ১২জন শ্রমিক বৈদ্যুতিক তারের নিকটে চলে আসা গাছের ডাল লতাপাতা কর্তন ও পরিস্কারের কাজ করছিল। শ্রমিকরা জিব্লে গাছের ডাল ও লতাপাতা কাটলে আব্দুল করিমের সঙ্গে শ্রমিকদের বিরোধের সৃষ্টি হয়। এরই একপর্যায়ে আব্দুল করিম, তাঁর ছেলে সাদ্দাম, বিল্লাল, করিমের স্ত্রী হাজেরা খাতুনসহ ৭-৮ জন শ্রমিকদের ওপর বাঁশ-লাঠি দিয়ে আক্রমণ করে। এতে পল্লীবিদ্যুৎ অফিসের শ্রমিকদের মধ্যে পাঁচজন আহত হন। পরে তাঁদেরকে উদ্ধার করে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
এবিষয়ে মেহেরপুর পল্লীবিদুৎ সমিতির জীবননগর শাখার সহকারী জেনারেল ম্যানেজার মুহাইমিনুল ইসলাম বিপ্লব বলেন, ‘আসন্ন রমজান ও কালবৈশাখী ঝড়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন রাখার জন্য বৈদ্যুতিক লাইনের মধ্যে চলে আসা গাছের ডাল, লতাপাতা কর্তন করা হচ্ছিল। এসময় গাছের ডাল কাটায় লাইন টেকনিশিয়ানসহ কাজে নিয়োজিত পাঁচজন শ্রমিক মারাত্মকভাবে পিটিয়ে আহত করেছে স্থানীয় একটি পরিবারের সদস্যরা। সরকারি কাজে বাঁধা প্রদান এবং সরকারি দাপ্তরিক কর্মরত পল্লী বিদুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীকে মারধর করাই প্রচলিত বিদ্যুৎ আইনে অভিযুক্ত পরিবারের সদস্যদের নামে মামলার প্রস্তুতি চলছে।’
জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ‘বিষয়টি সরকারি সম্পত্তি হস্তক্ষেপ, সরকারি কাজে বাধা প্রদান, মারধর প্রচলিত বিদ্যুৎ আইনে দণ্ডনীয় অপরাধ। মামলার প্রস্তুতি চলছে। তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’