ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

জীবননগরে বাড়ছে শসা চাষ!

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৮:২২:৪৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • / ২৪ বার পড়া হয়েছে

মিঠুন মাহমুদ:
মাঠের চারদিকে সবুজের সমারোহে। এর মধ্যে চাষ হচ্ছে শসার। মাচায় হলুদ-সাদা ফুল কিংবা থরে থরে ঝুলছে শসা। এমন চিত্র দেখা যায় জীবননগর উপজেলার মিনাজপুর, মোক্তারপুর ও বৈদ্যনাথপুরে মাঠজুড়ে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার শসার আবাদও ভালো হয়েছে। এবং ফলনও হয়েছে বেশ ভালো। এতে হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখে।
শসার বীজ রোপণের ৩০ থেকে ৩৫ দিনের মধ্যে গাছে ফল ধরা শুরু হয়। বিঘা প্রতি খরচ হয় ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা। আর বিক্রি হয় ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকায়। লাভ বেশি হওয়ায় শসা চাষে আগ্রহী হচ্ছেন অনেকেই।
জীবননগর উপজেলার বাঁকা ইউনিয়নের বেশ কিছু গ্রামে ঘুরে দেখা যায়, শসার পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ, মহেশপুর, যশোরসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে থেকে আসা পাইকারদের কাছে শসা বিক্রি নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন অনেক কৃষক। দূর-দূরান্ত থেকে আসা পাইকারদের কাছে প্রতি মণ শসা ১ হাজার ৩ শ থেকে ১ হাজার ৪ শ টাকা দরে বিক্রি করছেন।
এবিষয়ে মিনাজপুর গ্রামের শসা চাষি মোমিন মিয়া বলেন, ‘এ মৌসুমে দুই একর জমিতে শসার আবাদ করেছেন। খরচ হয়েছে ৮০ হাজার টাকা। এগুলো বিক্রি হবে ২ লাখ টাকার বেশি। এবার আবহাওয়া ভালো রয়েছে। বাজারে শসার ভালো দাম পাওয়া যাচ্ছে।’
মোক্তারপুর গ্রামের শসা চাষি মেহেদী হাসান জানান, প্রায় দেড় একর জমিতে শসার আবাদ করেন তিনি। প্রথমবার অধিক বৃষ্টির ফলে অনেক গাছ মারা যায়। পরে আবার গাছ রোপণ করেন। তিনি বলেন, ‘এখন ভালো অবস্থায় রয়েছে। কয়েক দিনের মধ্যে শসা বিক্রি শুরু করব।
উপজেলা কৃষি অফিসার শারমিন আক্তার জানান, এ মৌসুমে পুরো উপজেলায় ৮৩ হেক্টর জমিতে শসার আবাদ করা হয়। আবহাওয়া ভালো থাকায় বাজারে শসার ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। ভালো দামও পাচ্ছেন কৃষকরা। আর কৃষি অফিস থেকে নিয়মিত তদারকি করা হচ্ছে। যাতে আরও অধিক লাভবান হতে পারে শসা চাষিরা।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

জীবননগরে বাড়ছে শসা চাষ!

আপলোড টাইম : ০৮:২২:৪৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২১

মিঠুন মাহমুদ:
মাঠের চারদিকে সবুজের সমারোহে। এর মধ্যে চাষ হচ্ছে শসার। মাচায় হলুদ-সাদা ফুল কিংবা থরে থরে ঝুলছে শসা। এমন চিত্র দেখা যায় জীবননগর উপজেলার মিনাজপুর, মোক্তারপুর ও বৈদ্যনাথপুরে মাঠজুড়ে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার শসার আবাদও ভালো হয়েছে। এবং ফলনও হয়েছে বেশ ভালো। এতে হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখে।
শসার বীজ রোপণের ৩০ থেকে ৩৫ দিনের মধ্যে গাছে ফল ধরা শুরু হয়। বিঘা প্রতি খরচ হয় ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা। আর বিক্রি হয় ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকায়। লাভ বেশি হওয়ায় শসা চাষে আগ্রহী হচ্ছেন অনেকেই।
জীবননগর উপজেলার বাঁকা ইউনিয়নের বেশ কিছু গ্রামে ঘুরে দেখা যায়, শসার পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ, মহেশপুর, যশোরসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে থেকে আসা পাইকারদের কাছে শসা বিক্রি নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন অনেক কৃষক। দূর-দূরান্ত থেকে আসা পাইকারদের কাছে প্রতি মণ শসা ১ হাজার ৩ শ থেকে ১ হাজার ৪ শ টাকা দরে বিক্রি করছেন।
এবিষয়ে মিনাজপুর গ্রামের শসা চাষি মোমিন মিয়া বলেন, ‘এ মৌসুমে দুই একর জমিতে শসার আবাদ করেছেন। খরচ হয়েছে ৮০ হাজার টাকা। এগুলো বিক্রি হবে ২ লাখ টাকার বেশি। এবার আবহাওয়া ভালো রয়েছে। বাজারে শসার ভালো দাম পাওয়া যাচ্ছে।’
মোক্তারপুর গ্রামের শসা চাষি মেহেদী হাসান জানান, প্রায় দেড় একর জমিতে শসার আবাদ করেন তিনি। প্রথমবার অধিক বৃষ্টির ফলে অনেক গাছ মারা যায়। পরে আবার গাছ রোপণ করেন। তিনি বলেন, ‘এখন ভালো অবস্থায় রয়েছে। কয়েক দিনের মধ্যে শসা বিক্রি শুরু করব।
উপজেলা কৃষি অফিসার শারমিন আক্তার জানান, এ মৌসুমে পুরো উপজেলায় ৮৩ হেক্টর জমিতে শসার আবাদ করা হয়। আবহাওয়া ভালো থাকায় বাজারে শসার ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। ভালো দামও পাচ্ছেন কৃষকরা। আর কৃষি অফিস থেকে নিয়মিত তদারকি করা হচ্ছে। যাতে আরও অধিক লাভবান হতে পারে শসা চাষিরা।