ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

জীবননগরে বাহারি পিঠার উৎসব

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:১২:৫৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০১৯
  • / ৪২৮ বার পড়া হয়েছে

মিথুন মাহমুদ/ এ আর ডাবলু:
জীবননগর উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়নের ধোপাখালী গ্রামবাসীর আয়োজনে ও উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় দিনব্যাপী পিঠা মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার বাহারি পিঠার সমাহার নিয়ে জীবননগর উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়নের ধোপাখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয় চত্বরে এ পিঠা মেলা অনুষ্ঠিত হয়।
মেলায় হরেক রকম পিঠার পসরা নিয়ে বসেছিল ২০টি পিঠা মেলার স্টল। শুরু থেকেই ভিড় করে তরুণ-তরুণী আর পিঠা রসিকরা। অসংখ্য নামের পিঠাপুলি, তার কোনো শেষ নেই। বাহারি নামের এসব পিঠা কিনতে ভিড় করেন ক্রেতারা। বাড়িতে এত সব পিঠা তৈরি করার ঝুট-ঝামেলা এড়াতেই এখান থেকে পিঠা বাসায় নিয়ে যেতে দেখা যায় অনেকেরই।
আয়োজকেরা বলছেন, পিঠার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতেই ছিল এই পিঠা মেলা। বিভিন্ন নামধারী এসব পিঠার নাম হয়ত কারও জানা নেই। তাই রান্না করে গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী এসব পিঠা পরিবেশন করে সবাইকে পরিচয় করিয়ে দেওয়াই মেলার উদ্দেশ্য। মেলায় দক্ষতা দেখিয়ে রকমারি পিঠা পরিবেশন করতে পেরে আনন্দিত অংশগ্রহণকারীরাও।
পিঠা মেলায় অংশগ্রহণকারী মৌসুমী, রিমা ও ছন্দা বলেন, গ্রামীণ ঐতিহ্যের অনেক কিছুই এখন বিলুপ্তির পথে। কিন্তু বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্র আছে, যা বাঙালিরা কখনও বিলুপ্তি হতে দেয়না। তারই একটি অংশ হলো এ পিঠা। শহরাঞ্চলে এসব পিঠার প্রচলন না থাকলেও এখনও এসব পিঠা সবাই দেখতে পারছেন।
পিঠা মেলার দর্শনার্থী ফয়জুর রহমান খাঁন নয়ন বলেন, শহরে এসব পিঠার নাম কখনো শুনিনি। খুব ভালো লাগছে যে এক দিনের জন্য হলেও গ্রামীণ ঐতিহ্যবাহী পিঠার আয়োজন সামনে দেখতে পারছি, আর স্বল্পমূল্যে এসব পিঠা পেয়ে আরও ভালো লাগছে।
মনোহরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন খান সুরোদ্দীন বলেন, ‘প্রতিবছরের ন্যায় এবারও আমরা গ্রামের শিক্ষার্থী ও গ্রামের উদ্যোক্তাদের নিয়ে এ মেলার আয়োজন করেছি। তবে এবার একটু ভিন্নভাবে। এবারে গ্রামের কলেজের শিক্ষার্থীদের অন্তর্ভুক্ত করেছি। যাতে আমাদের শিক্ষার্থীরা নিজ উদ্যোগে ভালো কিছু করতে শেখে, বাইরের ফাস্ট ফুডের দিকে না ঝুঁকে, নিজেদের ঐতিহ্যবাহী খাবার নিজেরা তৈরি করে খায় এবং অপরকে শেখায়। তিনি প্রত্যাশা করেন, বাংলার বিভিন্ন ঐতিহ্য তুলে ধরে জীবননগর উপজেলায় মনোহরপুর ইউনিয়ন হবে দেশের মানচিত্রে অন্যতম একটি নাম। আর সে কারণে প্রতিবছর এভাবেই বিভিন্ন আয়োজনের মাধ্যমে নারী উদ্যোক্তাদের তৈরি করা হচ্ছে। নারীরা তাঁদের সৃজনশীলতার মধ্যে দিয়ে একে অপরকে শেখানোর মাধ্যমে নতুন নতুন উদ্যোক্তা তৈরি করতে পারছে, যা সত্যিই প্রশংসনীয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে পিঠা মেলার উদ্বোধন করেন যুগ্ম সচিব সালিমা জাহান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম, মনোহরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন খান সুরোদ্দীন, মনোহরপুর ইউনিয়ন পরিষদের সচিব লিয়াকত হোসেন, মনোহরপুর ইউপি সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান আহসান হাবিব রিপন, জাহিদুল ইসলাম টিপু, মনোহরপুর ইনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি আনিচুর রহমান শিমুল, সাকিল, আকিব প্রমুখ।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

জীবননগরে বাহারি পিঠার উৎসব

আপলোড টাইম : ১০:১২:৫৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০১৯

মিথুন মাহমুদ/ এ আর ডাবলু:
জীবননগর উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়নের ধোপাখালী গ্রামবাসীর আয়োজনে ও উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় দিনব্যাপী পিঠা মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার বাহারি পিঠার সমাহার নিয়ে জীবননগর উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়নের ধোপাখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয় চত্বরে এ পিঠা মেলা অনুষ্ঠিত হয়।
মেলায় হরেক রকম পিঠার পসরা নিয়ে বসেছিল ২০টি পিঠা মেলার স্টল। শুরু থেকেই ভিড় করে তরুণ-তরুণী আর পিঠা রসিকরা। অসংখ্য নামের পিঠাপুলি, তার কোনো শেষ নেই। বাহারি নামের এসব পিঠা কিনতে ভিড় করেন ক্রেতারা। বাড়িতে এত সব পিঠা তৈরি করার ঝুট-ঝামেলা এড়াতেই এখান থেকে পিঠা বাসায় নিয়ে যেতে দেখা যায় অনেকেরই।
আয়োজকেরা বলছেন, পিঠার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতেই ছিল এই পিঠা মেলা। বিভিন্ন নামধারী এসব পিঠার নাম হয়ত কারও জানা নেই। তাই রান্না করে গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী এসব পিঠা পরিবেশন করে সবাইকে পরিচয় করিয়ে দেওয়াই মেলার উদ্দেশ্য। মেলায় দক্ষতা দেখিয়ে রকমারি পিঠা পরিবেশন করতে পেরে আনন্দিত অংশগ্রহণকারীরাও।
পিঠা মেলায় অংশগ্রহণকারী মৌসুমী, রিমা ও ছন্দা বলেন, গ্রামীণ ঐতিহ্যের অনেক কিছুই এখন বিলুপ্তির পথে। কিন্তু বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্র আছে, যা বাঙালিরা কখনও বিলুপ্তি হতে দেয়না। তারই একটি অংশ হলো এ পিঠা। শহরাঞ্চলে এসব পিঠার প্রচলন না থাকলেও এখনও এসব পিঠা সবাই দেখতে পারছেন।
পিঠা মেলার দর্শনার্থী ফয়জুর রহমান খাঁন নয়ন বলেন, শহরে এসব পিঠার নাম কখনো শুনিনি। খুব ভালো লাগছে যে এক দিনের জন্য হলেও গ্রামীণ ঐতিহ্যবাহী পিঠার আয়োজন সামনে দেখতে পারছি, আর স্বল্পমূল্যে এসব পিঠা পেয়ে আরও ভালো লাগছে।
মনোহরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন খান সুরোদ্দীন বলেন, ‘প্রতিবছরের ন্যায় এবারও আমরা গ্রামের শিক্ষার্থী ও গ্রামের উদ্যোক্তাদের নিয়ে এ মেলার আয়োজন করেছি। তবে এবার একটু ভিন্নভাবে। এবারে গ্রামের কলেজের শিক্ষার্থীদের অন্তর্ভুক্ত করেছি। যাতে আমাদের শিক্ষার্থীরা নিজ উদ্যোগে ভালো কিছু করতে শেখে, বাইরের ফাস্ট ফুডের দিকে না ঝুঁকে, নিজেদের ঐতিহ্যবাহী খাবার নিজেরা তৈরি করে খায় এবং অপরকে শেখায়। তিনি প্রত্যাশা করেন, বাংলার বিভিন্ন ঐতিহ্য তুলে ধরে জীবননগর উপজেলায় মনোহরপুর ইউনিয়ন হবে দেশের মানচিত্রে অন্যতম একটি নাম। আর সে কারণে প্রতিবছর এভাবেই বিভিন্ন আয়োজনের মাধ্যমে নারী উদ্যোক্তাদের তৈরি করা হচ্ছে। নারীরা তাঁদের সৃজনশীলতার মধ্যে দিয়ে একে অপরকে শেখানোর মাধ্যমে নতুন নতুন উদ্যোক্তা তৈরি করতে পারছে, যা সত্যিই প্রশংসনীয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে পিঠা মেলার উদ্বোধন করেন যুগ্ম সচিব সালিমা জাহান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম, মনোহরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন খান সুরোদ্দীন, মনোহরপুর ইউনিয়ন পরিষদের সচিব লিয়াকত হোসেন, মনোহরপুর ইউপি সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান আহসান হাবিব রিপন, জাহিদুল ইসলাম টিপু, মনোহরপুর ইনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি আনিচুর রহমান শিমুল, সাকিল, আকিব প্রমুখ।