ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

জীবননগরে প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত ভাস্কর শিল্পীরা

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:৪৬:১৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১০ অক্টোবর ২০২০
  • / ১০৩ বার পড়া হয়েছে

মিঠুন মাহমুদ:
আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন উপলক্ষে জীবননগর উপজেলায় প্রতিমা তৈরি কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন ভাস্কর শিল্পীরা। তবে পরিশ্রমের তুলনায় গত বছরের ন্যায় এ বছর অনেক কম পারিশ্রমিক নিয়ে প্রতিমা তৈরির কাজ করছেন তাঁরা। এ বছর জীবননগর উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় ২৫টি পূজা-মণ্ডপে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পালিত হবে হিন্দু সম্প্রদায়ের বড় উৎসব দূর্গাপূজা। ইতিমধ্যেই প্রতিমা তৈরির কাজ প্রায় শেষের দিকে। এবার রঙের কাজ করলেই প্রতিমা তৈরি সম্পন্ন হবে বলে জানিয়েছেন ভাস্কর শিল্পীরা।
শাখারিয়া দাসপাড়া শিব কালিপূজা মণ্ডপের সভাপতি ডা. প্রশান্ত কুমার বলেন, প্রতিমা তৈরিতে প্রথম ধাপ মাটির কাজ প্রায় শেষের দিকে এবার রঙ করলে কাজ শেষ হয়ে যাবে। অন্যবারের তুলনায় এ বছর মহামারী করোনাভাইরাসের কারনে পূজামণ্ডপ ব্যতিক্রমভাবে সাজানো হবে। সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক আমরা পূজা উদযাপন কমিটির পক্ষ থেকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে এই উৎসব উদযাপন করা হবে।
ভাস্কর শিল্পী কৃষ্ণপদক ভাস্কর বলেন, ‘গত বছরের তুলনায় এবার প্রতিমা তৈরিতে পারিশ্রমিক অনেক কম। গত বছর প্রতিটা প্রতিমা তৈরি করেছি ৪০ হাজার থেকে ৬০ হাজার টাকা পর্যন্ত। মহামারী করোনাভাইরাসের কারণে কাজের চাহিদা অনেক কম থাকায় প্রতিমা তৈরি করতে হচ্ছে ২০ হাজার থেকে ৪০ হাজার টাকার মধ্যে। যার ফলে পরিশ্রমের তুলনায় পারিশ্রমিক অনেক কম। আমি এই প্রতিমা তৈরি কাজ করছি ৫০ বছর ধরে। তা ছাড়া এটা আমাদের বংশের ধারা এটাই আমাদের নেশা এবং পেশা। তাই শত কস্টের মধ্যে এই কাজ আমরা করে যাব।’
জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘এ বছর জীবননগর উপজেলায় ২৫টি মণ্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। আমরা পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই সব পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করেছি। আশা করি, কোথায়ও সমস্যা হবে না। শারদীয় দুর্গাপূজা যাতে সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে হয়, তার জন্য আমরা সব ধরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি।’
জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এসএম মুনিম লিংকন বলেন, আগামী শারদীয় দুর্গাপূজা উদ্যাপন উপলক্ষে আমরা সব ধরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। সবাই যাতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে পূজা পালন করে, সেজন্য আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তৎপর থাকবে। গত বছরের তুলনায় এ বছর জীবননগর উপজেলায় দুটি মণ্ডপে পূজা অনষ্ঠিত হবে না। বাকি সব কয়টি পূজা মণ্ডপে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে পূজা উদযাপন অনুষ্ঠিত হবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

জীবননগরে প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত ভাস্কর শিল্পীরা

আপলোড টাইম : ০৯:৪৬:১৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১০ অক্টোবর ২০২০

মিঠুন মাহমুদ:
আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন উপলক্ষে জীবননগর উপজেলায় প্রতিমা তৈরি কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন ভাস্কর শিল্পীরা। তবে পরিশ্রমের তুলনায় গত বছরের ন্যায় এ বছর অনেক কম পারিশ্রমিক নিয়ে প্রতিমা তৈরির কাজ করছেন তাঁরা। এ বছর জীবননগর উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় ২৫টি পূজা-মণ্ডপে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পালিত হবে হিন্দু সম্প্রদায়ের বড় উৎসব দূর্গাপূজা। ইতিমধ্যেই প্রতিমা তৈরির কাজ প্রায় শেষের দিকে। এবার রঙের কাজ করলেই প্রতিমা তৈরি সম্পন্ন হবে বলে জানিয়েছেন ভাস্কর শিল্পীরা।
শাখারিয়া দাসপাড়া শিব কালিপূজা মণ্ডপের সভাপতি ডা. প্রশান্ত কুমার বলেন, প্রতিমা তৈরিতে প্রথম ধাপ মাটির কাজ প্রায় শেষের দিকে এবার রঙ করলে কাজ শেষ হয়ে যাবে। অন্যবারের তুলনায় এ বছর মহামারী করোনাভাইরাসের কারনে পূজামণ্ডপ ব্যতিক্রমভাবে সাজানো হবে। সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক আমরা পূজা উদযাপন কমিটির পক্ষ থেকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে এই উৎসব উদযাপন করা হবে।
ভাস্কর শিল্পী কৃষ্ণপদক ভাস্কর বলেন, ‘গত বছরের তুলনায় এবার প্রতিমা তৈরিতে পারিশ্রমিক অনেক কম। গত বছর প্রতিটা প্রতিমা তৈরি করেছি ৪০ হাজার থেকে ৬০ হাজার টাকা পর্যন্ত। মহামারী করোনাভাইরাসের কারণে কাজের চাহিদা অনেক কম থাকায় প্রতিমা তৈরি করতে হচ্ছে ২০ হাজার থেকে ৪০ হাজার টাকার মধ্যে। যার ফলে পরিশ্রমের তুলনায় পারিশ্রমিক অনেক কম। আমি এই প্রতিমা তৈরি কাজ করছি ৫০ বছর ধরে। তা ছাড়া এটা আমাদের বংশের ধারা এটাই আমাদের নেশা এবং পেশা। তাই শত কস্টের মধ্যে এই কাজ আমরা করে যাব।’
জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘এ বছর জীবননগর উপজেলায় ২৫টি মণ্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। আমরা পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই সব পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করেছি। আশা করি, কোথায়ও সমস্যা হবে না। শারদীয় দুর্গাপূজা যাতে সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে হয়, তার জন্য আমরা সব ধরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি।’
জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এসএম মুনিম লিংকন বলেন, আগামী শারদীয় দুর্গাপূজা উদ্যাপন উপলক্ষে আমরা সব ধরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। সবাই যাতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে পূজা পালন করে, সেজন্য আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তৎপর থাকবে। গত বছরের তুলনায় এ বছর জীবননগর উপজেলায় দুটি মণ্ডপে পূজা অনষ্ঠিত হবে না। বাকি সব কয়টি পূজা মণ্ডপে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে পূজা উদযাপন অনুষ্ঠিত হবে।