ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

জীবননগরে জান্নাতুল খাদরা মাদরাসা এতিমখানার বিভিন্ন খাতের ব্যয় দেখিয়ে ৪৮ হাজার টাকা আত্মসাতের গোপন তথ্য ফাঁস

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:৩২:১৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ অগাস্ট ২০১৬
  • / ৩৯৮ বার পড়া হয়েছে

জীবননগর অফিস: জীবননগর জান্নাতুল খাদরা মাদরাসা ইয়াতিম খানার ১ ফেব্র“য়ারী ২০১৫থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ের আয় ও ব্যয়ের খাত দেখিয়ে এতিম খানার ৪৮ হাজার টাকা আত্মসাতের গোপন তথ্য পাওয়া গেছে। জানা গেছে, গত  মঙ্গলবার  জীবননগর উপজেলার উথুলী ইউনিয়নের সেনেরহুদা গ্রামের গফুর উদ্দিনের ছেলে জান্নাতুল খাদরা মাদ্রাসা এতিমখানার শিক্ষক ও সাবেক সেক্রেটারী মাও.মহিউদ্দিনের বিরুদ্ধে এতিমখানার বিভিন্ন ব্যয়ের  খাত দেখিয়ে ৪০ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয় । সেই সংবাদের ভিত্তিতে অত্র মাদ্রাসার নতুন কমিটির সদস্যরা  তিন সদস্য বিশিষ্ঠ একটি তদন্ত টিম গঠন করে । গতকাল তদন্ত টিমের আহবায়ক ও জান্নাতুল খাদরা মাদ্রাসা এতিমখানার সভাপতি সমস্ত আয় ব্যয়ের হিসাব  লিখিতভাবে প্রকাশ করেন । তদন্ত টিমের লিখিত হিসাব অনুযায়ী ৪০ হাজার  টাকার পরিবর্তে ৪৮ হাজার ৪শত৫ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ প্রমানিত হয়েছে । এ ব্যাপারে মাদ্রাসার সভাপতি আবু জাফর ও আহবায়ক আবুল কালাম আজাদ,এস এম রাশেদুল হক এবং মোল্লারকিব উদ্দিনের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তি সূত্রে জানা গেছে কমিটির বিগত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এতিমখানার আয়-ব্যয়সহ সামগ্রিক দায়িত্ব এককভাবে পালন করেছেন এতিমখানার সেক্রেটারী ও হোস্টেল সুপার মাও.মহিউদ্দিন। তিনি উক্ত সময়ের ১৮ মাস এতিমখানা কমিটির কোন আলোচনা সভা বা মিটিং দেননি। মাদ্রাসার  আয়ের হিসাব একমাত্র ক্যাশ বহিতে লেখা ছাড়া গ্রহনযোগ্য কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। এমনকি এতিমখানার দানের কোন রশিদ বই কিংবা রশিদের মুড়ি কপি না পাওয়ায় আয়ের প্রকৃত তথ্য সংগ্রহ করা যায়নি বলে জানা গেছে । তদন্ত কমিটি সূত্রে আরও জানা যায় সাপ্তাহিক বাজারকার্য এতিমখানার ছাত্ররা সম্পন্ন করলেও তাদের বাজারের নামে বায়োবীয়ভাবে ৩৬ কেজি মুরগী যার মূল্যে ১১হাজার ৬শত৫০টাকা, একইদিনে ৩কেজি করে সর্বমোট ৫হাজার ৯শ ৯০টাকা মূল্যে ৪৮কেজি মাছ , এতিমদের নগদ টাকা প্রদানসহ ভুয়া ভাউচারের মাধ্যমে সর্বমোট  ৪৮হাজার ৪শ ৫ টাকার নানাবিধ খরচ দেখানো হয়েছে । একটি সূত্রে জানা গেছে মাও.মহিউদ্দিন পবিত্র রমজান মাস ও বিভিন্ন কারনে মাদ্রাসা ও এতিমখানা  বন্ধ থাকলেও তিনি নিয়মিত  এতিমখানার বাজার   খরচ দেখিয়েছেন । শুধু তাই নয় বোর্ডিং এ অবস্থানরত পেয়িং ছাত্র রবিউল ইসলামের ৪মাস এবং নাজিবুদ্দিনের ৩মাসের ৮হাজার ৪শ টাকা জমার কোন রেকর্ড পাওয়া যায়নি বলে জানা গেছে । এ ব্যাপারে অভিযুক্ত শিক্ষক মাও.মহিউদ্দিনের সাথে কথা বললে তিনি সমস্ত ঘটনা মিথ্যা বলে দাবি করেন । এদিকে জান্নাতুল খাদরা মাদ্রাসা এতিমখানার শিক্ষক মাও. মহিউদ্দিনের মাদ্রাসার টাকা আত্মসাতের সংবাদে এলাকার সাধারন মানুষ হতবাক হয়ে পড়েছেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

জীবননগরে জান্নাতুল খাদরা মাদরাসা এতিমখানার বিভিন্ন খাতের ব্যয় দেখিয়ে ৪৮ হাজার টাকা আত্মসাতের গোপন তথ্য ফাঁস

আপলোড টাইম : ১০:৩২:১৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ অগাস্ট ২০১৬

জীবননগর অফিস: জীবননগর জান্নাতুল খাদরা মাদরাসা ইয়াতিম খানার ১ ফেব্র“য়ারী ২০১৫থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ের আয় ও ব্যয়ের খাত দেখিয়ে এতিম খানার ৪৮ হাজার টাকা আত্মসাতের গোপন তথ্য পাওয়া গেছে। জানা গেছে, গত  মঙ্গলবার  জীবননগর উপজেলার উথুলী ইউনিয়নের সেনেরহুদা গ্রামের গফুর উদ্দিনের ছেলে জান্নাতুল খাদরা মাদ্রাসা এতিমখানার শিক্ষক ও সাবেক সেক্রেটারী মাও.মহিউদ্দিনের বিরুদ্ধে এতিমখানার বিভিন্ন ব্যয়ের  খাত দেখিয়ে ৪০ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয় । সেই সংবাদের ভিত্তিতে অত্র মাদ্রাসার নতুন কমিটির সদস্যরা  তিন সদস্য বিশিষ্ঠ একটি তদন্ত টিম গঠন করে । গতকাল তদন্ত টিমের আহবায়ক ও জান্নাতুল খাদরা মাদ্রাসা এতিমখানার সভাপতি সমস্ত আয় ব্যয়ের হিসাব  লিখিতভাবে প্রকাশ করেন । তদন্ত টিমের লিখিত হিসাব অনুযায়ী ৪০ হাজার  টাকার পরিবর্তে ৪৮ হাজার ৪শত৫ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ প্রমানিত হয়েছে । এ ব্যাপারে মাদ্রাসার সভাপতি আবু জাফর ও আহবায়ক আবুল কালাম আজাদ,এস এম রাশেদুল হক এবং মোল্লারকিব উদ্দিনের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তি সূত্রে জানা গেছে কমিটির বিগত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এতিমখানার আয়-ব্যয়সহ সামগ্রিক দায়িত্ব এককভাবে পালন করেছেন এতিমখানার সেক্রেটারী ও হোস্টেল সুপার মাও.মহিউদ্দিন। তিনি উক্ত সময়ের ১৮ মাস এতিমখানা কমিটির কোন আলোচনা সভা বা মিটিং দেননি। মাদ্রাসার  আয়ের হিসাব একমাত্র ক্যাশ বহিতে লেখা ছাড়া গ্রহনযোগ্য কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। এমনকি এতিমখানার দানের কোন রশিদ বই কিংবা রশিদের মুড়ি কপি না পাওয়ায় আয়ের প্রকৃত তথ্য সংগ্রহ করা যায়নি বলে জানা গেছে । তদন্ত কমিটি সূত্রে আরও জানা যায় সাপ্তাহিক বাজারকার্য এতিমখানার ছাত্ররা সম্পন্ন করলেও তাদের বাজারের নামে বায়োবীয়ভাবে ৩৬ কেজি মুরগী যার মূল্যে ১১হাজার ৬শত৫০টাকা, একইদিনে ৩কেজি করে সর্বমোট ৫হাজার ৯শ ৯০টাকা মূল্যে ৪৮কেজি মাছ , এতিমদের নগদ টাকা প্রদানসহ ভুয়া ভাউচারের মাধ্যমে সর্বমোট  ৪৮হাজার ৪শ ৫ টাকার নানাবিধ খরচ দেখানো হয়েছে । একটি সূত্রে জানা গেছে মাও.মহিউদ্দিন পবিত্র রমজান মাস ও বিভিন্ন কারনে মাদ্রাসা ও এতিমখানা  বন্ধ থাকলেও তিনি নিয়মিত  এতিমখানার বাজার   খরচ দেখিয়েছেন । শুধু তাই নয় বোর্ডিং এ অবস্থানরত পেয়িং ছাত্র রবিউল ইসলামের ৪মাস এবং নাজিবুদ্দিনের ৩মাসের ৮হাজার ৪শ টাকা জমার কোন রেকর্ড পাওয়া যায়নি বলে জানা গেছে । এ ব্যাপারে অভিযুক্ত শিক্ষক মাও.মহিউদ্দিনের সাথে কথা বললে তিনি সমস্ত ঘটনা মিথ্যা বলে দাবি করেন । এদিকে জান্নাতুল খাদরা মাদ্রাসা এতিমখানার শিক্ষক মাও. মহিউদ্দিনের মাদ্রাসার টাকা আত্মসাতের সংবাদে এলাকার সাধারন মানুষ হতবাক হয়ে পড়েছেন।