ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

জীবননগরে কাবিননামা চাওয়ায় কনের মাতাকে

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:৪৬:০৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৪ জুলাই ২০১৮
  • / ৩৩৯ বার পড়া হয়েছে

পিটিয়ে জখম করলো কাজী ও তার ভাই
জীবননগর অফিস: জীবননগরে মেয়ের বিয়ের কাবিননামা চাওয়ায় মেয়ের মাকে পিটিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার সময় উপজেলার কালা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি গত এক মাস আগে কেডিকে ইউনিয়নের খয়েরহুদা গ্রামের রিফুজিপাড়ার আমির হোসেনের ছেলে সেনা সদস্য তুহিনের সাথে মনোহরপুর ইউনিয়নের কালা গ্রামের আসমাউল হুসনার সাথে মোবাইলে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক পর্যায়ে ৫ লাখ টাকা দেনমোহর করে তাদের বিয়ে হয়। পরবর্তীতে ছেলের পরিবারের লোকজন বিয়ে মেনে না নেওয়ায় গত বৃহস্পতিবার মেয়ের মা মনোহরপুর ইউনিয়নের কালা গ্রামের স্কুলপাড়ার বদর উদ্দিনের ছেলে ভুয়া কাজী আনিসের কাছে বিয়ের কাবিননামা চাইলে ভুয়া কাজী আনিস ও তার ভাই ফরহাদ ক্ষিপ্ত হয়ে মেয়ের মা ফহিমাকে মারধর করে। এ সময় স্থানীয় জনগন তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
আহত মেয়ের মা ফাহিমা অভিযোগ করে বলেন, আমার মেয়ে আসমাউল হুসনার সাথে কেডিকে ইউনিয়নের খয়েরহুদা গ্রামের রিফুজিপাড়ার আমির হোসেনের ছেলে সেনা সদস্য তুহিনের সাথে দীর্ঘ্যদিন মোবাইলে ফোনের মাধ্যমে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এ বিষয়টি জানাজানি হলে ছেলেকে আমি আমার মেয়ের সাথে কথা বলতে নিষেধ করি। কিন্তু ছেলে কোন কথা না শুনে গত ১লা জুন রাতে আমার বাড়িতে উপস্থিত হয়ে ৫ লাখ টাকা দেনমোহর করে বিয়ে করেন। আর ওই বিয়ে পড়ান আমার এলাকার আনিস কাজী। কিন্তু বিয়ের কয়েকদিনের মধ্যেই কাজী আনিসকে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ম্যানেজ করে তুহিন বিয়ের কথা অস্বীকার করতে থাকে। আমি বুধবার সন্ধ্যায় কাজী আনিসের কাছে আমার মেয়ের কাবিননামা চাইতে গেলে সে বিয়ের ব্যাপারে কিছুই জানেনা এবং বিয়ে পড়ানোর কথা সম্পূর্ণ অস্বীকার করে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করতে থাকে।
আমি প্রতিবাদ করলে আনিস ও তার ছোটভাই ফরহাদ আমাকে মারপিট করে আমার গলায় ৮আনা ওজনের একটি স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নিয়ে আমাকে শ্লীলতাহানি করে। এ ব্যাপারে কাজী আনিসের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ থাকায় তার বক্তব্যে নেওয়া সম্ভব হয়নি। এ ব্যাপারে জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহমুদুর রহমান জানান, কালা গ্রামে যে ঘটনা ঘটেছে এ বিষয়ে এখনো পর্যন্ত কোন অভিযোগ পায়নি। তবে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

জীবননগরে কাবিননামা চাওয়ায় কনের মাতাকে

আপলোড টাইম : ১০:৪৬:০৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৪ জুলাই ২০১৮

পিটিয়ে জখম করলো কাজী ও তার ভাই
জীবননগর অফিস: জীবননগরে মেয়ের বিয়ের কাবিননামা চাওয়ায় মেয়ের মাকে পিটিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার সময় উপজেলার কালা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি গত এক মাস আগে কেডিকে ইউনিয়নের খয়েরহুদা গ্রামের রিফুজিপাড়ার আমির হোসেনের ছেলে সেনা সদস্য তুহিনের সাথে মনোহরপুর ইউনিয়নের কালা গ্রামের আসমাউল হুসনার সাথে মোবাইলে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক পর্যায়ে ৫ লাখ টাকা দেনমোহর করে তাদের বিয়ে হয়। পরবর্তীতে ছেলের পরিবারের লোকজন বিয়ে মেনে না নেওয়ায় গত বৃহস্পতিবার মেয়ের মা মনোহরপুর ইউনিয়নের কালা গ্রামের স্কুলপাড়ার বদর উদ্দিনের ছেলে ভুয়া কাজী আনিসের কাছে বিয়ের কাবিননামা চাইলে ভুয়া কাজী আনিস ও তার ভাই ফরহাদ ক্ষিপ্ত হয়ে মেয়ের মা ফহিমাকে মারধর করে। এ সময় স্থানীয় জনগন তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
আহত মেয়ের মা ফাহিমা অভিযোগ করে বলেন, আমার মেয়ে আসমাউল হুসনার সাথে কেডিকে ইউনিয়নের খয়েরহুদা গ্রামের রিফুজিপাড়ার আমির হোসেনের ছেলে সেনা সদস্য তুহিনের সাথে দীর্ঘ্যদিন মোবাইলে ফোনের মাধ্যমে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এ বিষয়টি জানাজানি হলে ছেলেকে আমি আমার মেয়ের সাথে কথা বলতে নিষেধ করি। কিন্তু ছেলে কোন কথা না শুনে গত ১লা জুন রাতে আমার বাড়িতে উপস্থিত হয়ে ৫ লাখ টাকা দেনমোহর করে বিয়ে করেন। আর ওই বিয়ে পড়ান আমার এলাকার আনিস কাজী। কিন্তু বিয়ের কয়েকদিনের মধ্যেই কাজী আনিসকে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ম্যানেজ করে তুহিন বিয়ের কথা অস্বীকার করতে থাকে। আমি বুধবার সন্ধ্যায় কাজী আনিসের কাছে আমার মেয়ের কাবিননামা চাইতে গেলে সে বিয়ের ব্যাপারে কিছুই জানেনা এবং বিয়ে পড়ানোর কথা সম্পূর্ণ অস্বীকার করে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করতে থাকে।
আমি প্রতিবাদ করলে আনিস ও তার ছোটভাই ফরহাদ আমাকে মারপিট করে আমার গলায় ৮আনা ওজনের একটি স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নিয়ে আমাকে শ্লীলতাহানি করে। এ ব্যাপারে কাজী আনিসের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ থাকায় তার বক্তব্যে নেওয়া সম্ভব হয়নি। এ ব্যাপারে জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহমুদুর রহমান জানান, কালা গ্রামে যে ঘটনা ঘটেছে এ বিষয়ে এখনো পর্যন্ত কোন অভিযোগ পায়নি। তবে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।