ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

জীবননগরের ৩ ইউনিয়নের দায়িত্বে একজন কাজি

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:১৩:৫৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১১ মার্চ ২০২০
  • / ৪৬৩ বার পড়া হয়েছে

জীবননগর অফিস:
জীবননগরের দুই ইউনিয়নে নিকাহ রেজিস্ট্রার কাজির পদ শুন্য। একই কাজি তিন ইউনিয়নে দায়িত্ব পালন করছেন। ফলে বিয়ে পড়নো সমস্যা সৃষ্টিসহ প্রতিবছর মোটা অঙ্কের রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার।
জানা গেছে, জীবননগর উপজেলার ১ নম্বর উথলী ইউনিয়ন ভেঙে কেডিকে ও মনোহরপুর ইউনিয়ন গঠিত করা হয়। তবে সরকারিভাবে ইউনিয়নগুলোয় কাজি নিয়োগ হয়নি। সাবেক উথলী ইউনিয়নে কাজি হিসেবে মাহমুদুল হাসান আলমকে নিয়োগ দেওয়া হলেও তাঁর স্থায়ী ঠিকানা কেডিকে ইউনিয়নের খয়েরহুদা গ্রামে। দীর্ঘ চার বছর আগে উথলী ইউনিয়ন ভেঙে তিনটি হলেও তিনি একাই তিনটি ইউনিয়নে কাজি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। বাকি দুটি ইউনিয়নে কাজি না থাকায় প্রতিবছর সরকার মোটা অঙ্কের রাজস্ব হারাচ্ছে। এই দুই ইউনিয়নে কাজি নিয়োগ দেওয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার হস্তক্ষেপ কামনা করছেন এলাকার সাধারণ মানুষ।
উথলী ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আযাদ বলেন, ‘আমরা এলাকাবসী দীর্ঘদিন যাবৎ কাজি শুন্যতায় ভুগছি। একটি কাজি একা তিন ইউনিয়নের দায়িত্বে থাকায় এলাকায় বিয়ে-শাদি পড়ানো ব্যাপক সমস্যা হয়। কাজি নিয়োগ দেওয়ার বিষয়টি আমরা একাধিকবার বলেছি। কিন্তু কোনো ফল হয়নি।’ এদিকে, জীবননগর উপজেলা চেয়ারম্যান লিখিতভাবে জেলা রেজিস্ট্রারকে উথলী ইউনিয়ন ও মনোহরপুর ইউনিয়নে কাজি নিয়োগের জন্য জানালেও এখন পর্যন্ত কোনো ফল পায়নি দুই ইউনিয়নবাসী।
জীবননগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাজি হাফিজুর রহমান বলেন, ‘উথলী এবং মনোহরপুর ইউনিয়নে কাজি নিয়োগ দেওয়ার বিষয়টি আমি লিখিতভাবে জেলা সাব-রেজিস্ট্রারকে বলেছি। আশা করি, শিগগিরই এর সমাধান হবে।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

জীবননগরের ৩ ইউনিয়নের দায়িত্বে একজন কাজি

আপলোড টাইম : ১০:১৩:৫৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১১ মার্চ ২০২০

জীবননগর অফিস:
জীবননগরের দুই ইউনিয়নে নিকাহ রেজিস্ট্রার কাজির পদ শুন্য। একই কাজি তিন ইউনিয়নে দায়িত্ব পালন করছেন। ফলে বিয়ে পড়নো সমস্যা সৃষ্টিসহ প্রতিবছর মোটা অঙ্কের রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার।
জানা গেছে, জীবননগর উপজেলার ১ নম্বর উথলী ইউনিয়ন ভেঙে কেডিকে ও মনোহরপুর ইউনিয়ন গঠিত করা হয়। তবে সরকারিভাবে ইউনিয়নগুলোয় কাজি নিয়োগ হয়নি। সাবেক উথলী ইউনিয়নে কাজি হিসেবে মাহমুদুল হাসান আলমকে নিয়োগ দেওয়া হলেও তাঁর স্থায়ী ঠিকানা কেডিকে ইউনিয়নের খয়েরহুদা গ্রামে। দীর্ঘ চার বছর আগে উথলী ইউনিয়ন ভেঙে তিনটি হলেও তিনি একাই তিনটি ইউনিয়নে কাজি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। বাকি দুটি ইউনিয়নে কাজি না থাকায় প্রতিবছর সরকার মোটা অঙ্কের রাজস্ব হারাচ্ছে। এই দুই ইউনিয়নে কাজি নিয়োগ দেওয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার হস্তক্ষেপ কামনা করছেন এলাকার সাধারণ মানুষ।
উথলী ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আযাদ বলেন, ‘আমরা এলাকাবসী দীর্ঘদিন যাবৎ কাজি শুন্যতায় ভুগছি। একটি কাজি একা তিন ইউনিয়নের দায়িত্বে থাকায় এলাকায় বিয়ে-শাদি পড়ানো ব্যাপক সমস্যা হয়। কাজি নিয়োগ দেওয়ার বিষয়টি আমরা একাধিকবার বলেছি। কিন্তু কোনো ফল হয়নি।’ এদিকে, জীবননগর উপজেলা চেয়ারম্যান লিখিতভাবে জেলা রেজিস্ট্রারকে উথলী ইউনিয়ন ও মনোহরপুর ইউনিয়নে কাজি নিয়োগের জন্য জানালেও এখন পর্যন্ত কোনো ফল পায়নি দুই ইউনিয়নবাসী।
জীবননগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাজি হাফিজুর রহমান বলেন, ‘উথলী এবং মনোহরপুর ইউনিয়নে কাজি নিয়োগ দেওয়ার বিষয়টি আমি লিখিতভাবে জেলা সাব-রেজিস্ট্রারকে বলেছি। আশা করি, শিগগিরই এর সমাধান হবে।’