ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

জীবননগরের আলোচিত সেই শিক্ষক ধর্ষণ মামলায় জেলহাজতে!

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:২৭:২৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ অগাস্ট ২০২০
  • / ১৪৩ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার মোক্তারপুর গ্রামের মাঝপাড়ার ফজলু বিশ্বাসের ছেলে এবং কুলতলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক আল-মামুন ছাত্রী ধর্ষণ মামলায় গতকাল রোববার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাজেদুর রহমানের আদালতে তাঁর কৌঁশুলীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করলে বিজ্ঞ বিচারক জামিন না মঞ্জুর করে তাঁকে জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দেন। আগামী ২০২০ সালের ১৯ অক্টোবর জিআর-১৮৮/২০ মামলার শুনানির দিন ধার্য করা হয়। উল্লেখ্য, চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার নিভৃতপল্লী মোক্তারপুর গ্রামের ৮ম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে ওই উপজেলার কুলতলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক শিক্ষক আল-মামুন ধর্ষণ করে। গত ২৬ এপ্রিল ওই ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটলেও কেডিকে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শুকুর সরকারের মেয়ে জামাই হওয়ায় এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তিরা ব্যাপারটি নিয়ে পুলিশের কাছে না যাওয়ার জন্য তাদের পরিবারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে থাকে। স্থানীয় ইউপি সদস্য ও গ্রামের প্রভাবশালীরা উপযুক্ত বিচারের আশ্বাস দিয়ে কেবল সময় ক্ষেপণ ও হুমকি দিতেই থাকে। এসব হুমকি উপেক্ষা করে মেয়েটির বাবা জীবননগর থানায় গেলে সেখানেও পুলিশের মাধ্যমে নানা ভাবে হেনস্তার শিকার হয়। ধর্ষিত মেয়ের সামনে ওই থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলামসহ উপস্থিত অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা আমাদের বলতে থাকে ‘ তোমরা মেয়ে নিয়ে ব্যবসা করছো নাকি, এতদিন থানায় না এসে টাকা কামানোর ধান্দায় ছিলে ?’ স্থানীয় ইউপি সদস্য ও প্রভাবশালীদের করনেই থানায় মামলা করতে এসেও ফিরে গেছে এমন কথা বললে ওই থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলামসহ উপস্থিত অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে আরো অপমান জনক কথা বলে।
ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনাটির ব্যাপারে গত ৯ আগস্ট ভুক্তভোগী মেয়ের বাবা তার বাড়িতে সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করার পর ওই দিন দুপুরে জীবননগর থানার সাংবাদিকরা উপস্থিত হয়ে অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলামের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি মামলা নিতে সম্মোতি জানান এবং ধর্ষিতা ছাত্রীসহ তাদের অভিভাবককে ওই দিনই থানায় আসার জন্য সাংবাদিকদের মাধ্যমে অনুরোধ করেন।
ধর্ষিতা ছাত্রীর বাবা জীবননগর থানায় উপস্থিত হলে তাকে বাদী করে গত ৯ আগস্ট বিকাল ৫টায় থানায় একটি ধর্ষণ মামলা রুজু করা হয়।
ওই দিন জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম জানান, ধর্ষিতা মেয়ের বাবা বাদী হয়ে মোক্তারপুর গ্রামের ফজলু বিশ্বাসের ছেলে কুলতলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আল-মামুনের বিরুদ্ধে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছে। মামলা নম্বর ১৪, তারিখ: ০৯.০৮.২০২০।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

জীবননগরের আলোচিত সেই শিক্ষক ধর্ষণ মামলায় জেলহাজতে!

আপলোড টাইম : ০৯:২৭:২৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ অগাস্ট ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার মোক্তারপুর গ্রামের মাঝপাড়ার ফজলু বিশ্বাসের ছেলে এবং কুলতলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক আল-মামুন ছাত্রী ধর্ষণ মামলায় গতকাল রোববার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাজেদুর রহমানের আদালতে তাঁর কৌঁশুলীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করলে বিজ্ঞ বিচারক জামিন না মঞ্জুর করে তাঁকে জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দেন। আগামী ২০২০ সালের ১৯ অক্টোবর জিআর-১৮৮/২০ মামলার শুনানির দিন ধার্য করা হয়। উল্লেখ্য, চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার নিভৃতপল্লী মোক্তারপুর গ্রামের ৮ম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে ওই উপজেলার কুলতলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক শিক্ষক আল-মামুন ধর্ষণ করে। গত ২৬ এপ্রিল ওই ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটলেও কেডিকে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শুকুর সরকারের মেয়ে জামাই হওয়ায় এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তিরা ব্যাপারটি নিয়ে পুলিশের কাছে না যাওয়ার জন্য তাদের পরিবারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে থাকে। স্থানীয় ইউপি সদস্য ও গ্রামের প্রভাবশালীরা উপযুক্ত বিচারের আশ্বাস দিয়ে কেবল সময় ক্ষেপণ ও হুমকি দিতেই থাকে। এসব হুমকি উপেক্ষা করে মেয়েটির বাবা জীবননগর থানায় গেলে সেখানেও পুলিশের মাধ্যমে নানা ভাবে হেনস্তার শিকার হয়। ধর্ষিত মেয়ের সামনে ওই থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলামসহ উপস্থিত অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা আমাদের বলতে থাকে ‘ তোমরা মেয়ে নিয়ে ব্যবসা করছো নাকি, এতদিন থানায় না এসে টাকা কামানোর ধান্দায় ছিলে ?’ স্থানীয় ইউপি সদস্য ও প্রভাবশালীদের করনেই থানায় মামলা করতে এসেও ফিরে গেছে এমন কথা বললে ওই থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলামসহ উপস্থিত অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে আরো অপমান জনক কথা বলে।
ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনাটির ব্যাপারে গত ৯ আগস্ট ভুক্তভোগী মেয়ের বাবা তার বাড়িতে সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করার পর ওই দিন দুপুরে জীবননগর থানার সাংবাদিকরা উপস্থিত হয়ে অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলামের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি মামলা নিতে সম্মোতি জানান এবং ধর্ষিতা ছাত্রীসহ তাদের অভিভাবককে ওই দিনই থানায় আসার জন্য সাংবাদিকদের মাধ্যমে অনুরোধ করেন।
ধর্ষিতা ছাত্রীর বাবা জীবননগর থানায় উপস্থিত হলে তাকে বাদী করে গত ৯ আগস্ট বিকাল ৫টায় থানায় একটি ধর্ষণ মামলা রুজু করা হয়।
ওই দিন জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম জানান, ধর্ষিতা মেয়ের বাবা বাদী হয়ে মোক্তারপুর গ্রামের ফজলু বিশ্বাসের ছেলে কুলতলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আল-মামুনের বিরুদ্ধে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছে। মামলা নম্বর ১৪, তারিখ: ০৯.০৮.২০২০।