ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

জিকির কেন করবেন?

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:১৯:৪৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ অগাস্ট ২০২২
  • / ১৪ বার পড়া হয়েছে

ধর্ম প্রতিবেদন: ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’র মর্যাদা সীমাহীন। এটা এমন একটা বাক্য যা একজন মানুষকে অন্ধকার থেকে আলোতে নিয়ে আসে। মুহূর্তেই একজন মানুষের জীবনে আমূল পরিবর্তন সাধিত হয়। তবে শর্ত হলো এ বাক্যটি মুখে বলার সঙ্গে সঙ্গে অন্তরের বিশ্বাস ও কাজে বাস্তবায়ন জরুরি। তবেই মানুষ পাবে সোনালী জীবনের সন্ধান। ছোট্ট এ কালিমার জিকিরের ফজিলত ও মর্যাদা অত্যাধিক। হাদিসে পাকে নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাওহিদের এ কালিমার বিশেষ ফজিলত ও মর্যাদা তুলে ধরেছেন। কী সেই ফজিলত?

হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহু সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘আল্লাহর নবি নুহ আলাইহিস সালাম মৃত্যুকালে তাঁর ছেলেকে বলেন, আমি তোমাকে অসিয়ত করছি। দুটি জিনিসের নির্দেশ করছি এবং অপর দুটি নিজিস থেকে নিষেধ করছি। আদেশ করছি ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’র স্মরণ রাখ! যদি সাত আসমান ও সাত জমিন এক পাল্লায় রাখা হয় আর অপর পাল্লায় ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ রাখা হয়; তবে ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’র পাল্লা ভারি হবে। যদি সাত আসমান ও সাত জমিন একটি অবিচ্ছদ্য গোলাকার বৃত্ত হত, তাহলে ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ ও ‘সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি’ সবকিছুকে চুর্ণ-বিচুর্ণ করে ফেলতো। ইহা প্রতিটি জিনিসের দোয়া এবং এর মাধ্যমেই সৃষ্টিরাজি রুজি পেয়ে থাকে। আর তোমাকে নিষেধ করি শিরক ও অহংকার থেকে। (মুসনাদে আহমাদ, বুখারি, আদাবুল মুফরাদ)

কালেমার জিকিরের মর্যাদা ও ফজিলত এ হাদিস থেকেই প্রমানিত। যা হজরত নুহ আলাইহিস সালাম তার সন্তানদের নসিহত করেছেন। মুমিন মুসলমানের উচিত, কালেমার জিকির করা। তাওহিদের কালেমার ফজিলত অর্জন করা। আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’র ফজিলত অর্জনের তাওফিক দান করুন। লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’র জিকির করে এর হক আদায় করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

জিকির কেন করবেন?

আপলোড টাইম : ০৯:১৯:৪৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ অগাস্ট ২০২২

ধর্ম প্রতিবেদন: ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’র মর্যাদা সীমাহীন। এটা এমন একটা বাক্য যা একজন মানুষকে অন্ধকার থেকে আলোতে নিয়ে আসে। মুহূর্তেই একজন মানুষের জীবনে আমূল পরিবর্তন সাধিত হয়। তবে শর্ত হলো এ বাক্যটি মুখে বলার সঙ্গে সঙ্গে অন্তরের বিশ্বাস ও কাজে বাস্তবায়ন জরুরি। তবেই মানুষ পাবে সোনালী জীবনের সন্ধান। ছোট্ট এ কালিমার জিকিরের ফজিলত ও মর্যাদা অত্যাধিক। হাদিসে পাকে নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাওহিদের এ কালিমার বিশেষ ফজিলত ও মর্যাদা তুলে ধরেছেন। কী সেই ফজিলত?

হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহু সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘আল্লাহর নবি নুহ আলাইহিস সালাম মৃত্যুকালে তাঁর ছেলেকে বলেন, আমি তোমাকে অসিয়ত করছি। দুটি জিনিসের নির্দেশ করছি এবং অপর দুটি নিজিস থেকে নিষেধ করছি। আদেশ করছি ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’র স্মরণ রাখ! যদি সাত আসমান ও সাত জমিন এক পাল্লায় রাখা হয় আর অপর পাল্লায় ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ রাখা হয়; তবে ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’র পাল্লা ভারি হবে। যদি সাত আসমান ও সাত জমিন একটি অবিচ্ছদ্য গোলাকার বৃত্ত হত, তাহলে ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ ও ‘সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি’ সবকিছুকে চুর্ণ-বিচুর্ণ করে ফেলতো। ইহা প্রতিটি জিনিসের দোয়া এবং এর মাধ্যমেই সৃষ্টিরাজি রুজি পেয়ে থাকে। আর তোমাকে নিষেধ করি শিরক ও অহংকার থেকে। (মুসনাদে আহমাদ, বুখারি, আদাবুল মুফরাদ)

কালেমার জিকিরের মর্যাদা ও ফজিলত এ হাদিস থেকেই প্রমানিত। যা হজরত নুহ আলাইহিস সালাম তার সন্তানদের নসিহত করেছেন। মুমিন মুসলমানের উচিত, কালেমার জিকির করা। তাওহিদের কালেমার ফজিলত অর্জন করা। আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’র ফজিলত অর্জনের তাওফিক দান করুন। লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’র জিকির করে এর হক আদায় করার তাওফিক দান করুন। আমিন।