ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

জাল সার্টিফিকেটে চাকরি, শৈলকুপায় ইফার কেয়ারটেকার বরখাস্ত

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:৩২:১১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০১৯
  • / ৩৪৫ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহ অফিস:
জাল সার্টিফিকেট দিয়ে চাকরি করছিলেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের শৈলকুপা উপজেলার তমালতলা বাজার সাধারণ রিসোর্স সেন্টারের কেয়ারটেকার মো. আসাদুজ্জামান ফারুক। অবশেষে ধরা পড়ে চাকরি খোয়ালেন তিনি। আসাদুজ্জামান ফারুক শৈলকুপার রামজয়পুর গ্রামের কোবাদ আলীর ছেলে। মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম বিভাগের প্রকল্প পরিচালক (যুগ্ম সচিব) ফারুক আহম্মেদ স্বাক্ষরিত এক চিঠি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
১৬.০১.০০০০.০২৫.১৯.১০০.০৯.২০০ স্মারকের চিঠি সূত্রে জানা গেছে, রিসোর্স সেন্টারের কেয়ারটেকার মো. আসাদুজ্জামান ফারুক চাকরি গ্রহণের সময় জাল এইচএসসির সার্টিফিকেট জমা দেন। তদন্ত শেষে তা প্রমাণিত হয় এবং সাধারণ কেয়ারটেকারের অব্যহতি নীতিমালার অনুচ্ছেদ ৪ অনুসারে তাঁকে চাকরি থেকে অব্যহতি প্রদান করা হয়। অব্যহতি দেওয়া হলেও রাষ্ট্রীয় গোষাগার থেকে মো. আসাদুজ্জামান ফারুক ২০১৬ থেকে ১৯ সাল পর্যন্ত বেতন নিয়েছেন ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা, ঈদ বোনাস নিয়েছেন ৪০ হাজার টাকা ও টিএডিএ বিল নিয়েছেন ৪৩ হাজার ২০০ টাকা। সর্বমোট তিনি আনুমানিক ৩ লাখ ২৩ হাজার টাকা নিয়েছেন। প্রকল্প পরিচালক (যুগ্ম সচিব) ফারুক আহম্মেদের চিঠিতে ওই টাকা সরকারি কোষাগারে ফেরত দেওয়ার কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি।
অভিযোগ পাওয়া গেছে, কেয়ারটেকার মো. আসাদুজ্জামান ফারুকের আরেক ভাই মাগুরা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ফিল্ড অফিসার মোহাম্মদ তৌহিদুর রহমান জাল সার্টিফিকেট জোগাড় করে তাঁর বড় ভাইকে চাকরি দেন। ২০১৬ সালে ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক অফিসে ভাইভা পরীক্ষার সময় তৎকালীন ঝিনাইদহ ইফার উপপরিচালক সুলতান আহম্মেদ বিষয়টি ধরে ফেলেন। তিনি তিনবার আসাদুজ্জামান ফারুকের ফাইল ফেরত দেন। কিন্তু তৌহিদ রাজনৈতিক ও পেশি শক্তি খাটিয়ে ভাইকে চাকরি দিতে সক্ষম হন। এ খবর নিজেই সাংবাদিকদের জানান সম্প্রতি অবসরে যাওয়া ঝিনাইদহ ইফার উপপরিচালক সুলতান আহম্মেদ। তিনি বলেন, ‘আমাকে চাপ দিয়ে তৌহিদ তাঁর ভাই আসাদকে চাকরি দিতে বাধ্য করেন।
এদিকে, মাগুরা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ফিল্ড অফিসার মোহাম্মদ তৌহিদুর রহমানকেও দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত করা হয়েছে। ইফার এক চিঠিতে বলা হয়, আপন বড় ভাইকে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভুয়া সার্টিফিকেট জোগাড় করে চাকরি দেন। এ বিষয়ে গঠিত দুই সদস্যের তদন্ত কমিটি তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিল করেন। প্রতিবেদনে তৌহিদের বিরুদ্ধে দোষ প্রমাণিত হয় এবং দায়িত্ব পালনে অবহেলা, অসদাচরণ ও প্রতারণার দায়ে অভিযুক্ত করা হয়।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

জাল সার্টিফিকেটে চাকরি, শৈলকুপায় ইফার কেয়ারটেকার বরখাস্ত

আপলোড টাইম : ১০:৩২:১১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০১৯

ঝিনাইদহ অফিস:
জাল সার্টিফিকেট দিয়ে চাকরি করছিলেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের শৈলকুপা উপজেলার তমালতলা বাজার সাধারণ রিসোর্স সেন্টারের কেয়ারটেকার মো. আসাদুজ্জামান ফারুক। অবশেষে ধরা পড়ে চাকরি খোয়ালেন তিনি। আসাদুজ্জামান ফারুক শৈলকুপার রামজয়পুর গ্রামের কোবাদ আলীর ছেলে। মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম বিভাগের প্রকল্প পরিচালক (যুগ্ম সচিব) ফারুক আহম্মেদ স্বাক্ষরিত এক চিঠি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
১৬.০১.০০০০.০২৫.১৯.১০০.০৯.২০০ স্মারকের চিঠি সূত্রে জানা গেছে, রিসোর্স সেন্টারের কেয়ারটেকার মো. আসাদুজ্জামান ফারুক চাকরি গ্রহণের সময় জাল এইচএসসির সার্টিফিকেট জমা দেন। তদন্ত শেষে তা প্রমাণিত হয় এবং সাধারণ কেয়ারটেকারের অব্যহতি নীতিমালার অনুচ্ছেদ ৪ অনুসারে তাঁকে চাকরি থেকে অব্যহতি প্রদান করা হয়। অব্যহতি দেওয়া হলেও রাষ্ট্রীয় গোষাগার থেকে মো. আসাদুজ্জামান ফারুক ২০১৬ থেকে ১৯ সাল পর্যন্ত বেতন নিয়েছেন ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা, ঈদ বোনাস নিয়েছেন ৪০ হাজার টাকা ও টিএডিএ বিল নিয়েছেন ৪৩ হাজার ২০০ টাকা। সর্বমোট তিনি আনুমানিক ৩ লাখ ২৩ হাজার টাকা নিয়েছেন। প্রকল্প পরিচালক (যুগ্ম সচিব) ফারুক আহম্মেদের চিঠিতে ওই টাকা সরকারি কোষাগারে ফেরত দেওয়ার কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি।
অভিযোগ পাওয়া গেছে, কেয়ারটেকার মো. আসাদুজ্জামান ফারুকের আরেক ভাই মাগুরা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ফিল্ড অফিসার মোহাম্মদ তৌহিদুর রহমান জাল সার্টিফিকেট জোগাড় করে তাঁর বড় ভাইকে চাকরি দেন। ২০১৬ সালে ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক অফিসে ভাইভা পরীক্ষার সময় তৎকালীন ঝিনাইদহ ইফার উপপরিচালক সুলতান আহম্মেদ বিষয়টি ধরে ফেলেন। তিনি তিনবার আসাদুজ্জামান ফারুকের ফাইল ফেরত দেন। কিন্তু তৌহিদ রাজনৈতিক ও পেশি শক্তি খাটিয়ে ভাইকে চাকরি দিতে সক্ষম হন। এ খবর নিজেই সাংবাদিকদের জানান সম্প্রতি অবসরে যাওয়া ঝিনাইদহ ইফার উপপরিচালক সুলতান আহম্মেদ। তিনি বলেন, ‘আমাকে চাপ দিয়ে তৌহিদ তাঁর ভাই আসাদকে চাকরি দিতে বাধ্য করেন।
এদিকে, মাগুরা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ফিল্ড অফিসার মোহাম্মদ তৌহিদুর রহমানকেও দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত করা হয়েছে। ইফার এক চিঠিতে বলা হয়, আপন বড় ভাইকে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভুয়া সার্টিফিকেট জোগাড় করে চাকরি দেন। এ বিষয়ে গঠিত দুই সদস্যের তদন্ত কমিটি তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিল করেন। প্রতিবেদনে তৌহিদের বিরুদ্ধে দোষ প্রমাণিত হয় এবং দায়িত্ব পালনে অবহেলা, অসদাচরণ ও প্রতারণার দায়ে অভিযুক্ত করা হয়।