ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

জাবি বন্ধ ঘোষণা, হল ত্যাগের নির্দেশ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:২৫:৫১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৬ নভেম্বর ২০১৯
  • / ১৮৩ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ প্রতিবেদন:
অনির্দিষ্টকালের জন্য জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। গতকাল মঙ্গলবার বিকেল চারটার মধ্যে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটার দিকে উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের সভাপতিত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবনে অনুষ্ঠিত জরুরি সিন্ডিকেট সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ও সিন্ডিকেট সচিব রহিমা কানিজ গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে দুর্নীতির অভিযোগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের অপসারণ দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর শাখা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) দুপুর ১২টা থেকে সোয়া ১২টা পর্যন্ত উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থানরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর এ হামলা চালানো হয়। হামলায় শিক্ষার্থী, সাংবাদিকসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। উপাচার্যের অপসারণ দাবিতে সোমবার (৪ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টা থেকে উপাচার্যের বাসভবন ঘেরাও করে রেখেছিলেন দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর ব্যানারে আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
এদিকে, আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা হামলা করেনি বলে দাবি করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম। মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে প্রশাসনিক ভবনে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি বলেন, আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর কোনো হামলা হয়নি। ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা সুশৃঙ্খলভাবে আন্দোলনকারীদের আমার বাসভবনের সামনে থেকে সরিয়ে দিয়েছে। তিনি বলেন, আন্দোলনকারীদের পেছনে জামায়াত-শিবির রয়েছে। তারা গত কয়েকদিন ধরে আমাকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে। আমি বের হতে পারিনি। আমি এখন অফিস করব।
উল্লেখ্য, দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’ ব্যানারে প্রায় আড়াই মাস ধরে আন্দোলন করে আসছে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের একটি অংশ। বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে উপাচার্য ফারজানা ইসলামের ‘মধ্যস্থতায়’ ছাত্রলীগকে বড় অঙ্কের আর্থিক সুবিধা দেয়ার অভিযোগের তদন্তের দাবিতে এই আন্দোলন শুরু হয়। দাবি পূরণ না হওয়ায় গত ২ অক্টোবর থেকে উপাচার্যকে অপসারণের দাবিতে আন্দোলন করছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এর মধ্যে গতকাল রোববার থেকে সপ্তাহব্যাপী লাগাতার অবরোধ-ধর্মঘট পালন করেছেন তাঁরা। টানা অবরোধ ও ধর্মঘটে বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক শিক্ষা কার্যক্রমে স্থবিরতা তৈরি হয়েছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

জাবি বন্ধ ঘোষণা, হল ত্যাগের নির্দেশ

আপলোড টাইম : ০৯:২৫:৫১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৬ নভেম্বর ২০১৯

সমীকরণ প্রতিবেদন:
অনির্দিষ্টকালের জন্য জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। গতকাল মঙ্গলবার বিকেল চারটার মধ্যে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটার দিকে উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের সভাপতিত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবনে অনুষ্ঠিত জরুরি সিন্ডিকেট সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ও সিন্ডিকেট সচিব রহিমা কানিজ গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে দুর্নীতির অভিযোগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের অপসারণ দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর শাখা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) দুপুর ১২টা থেকে সোয়া ১২টা পর্যন্ত উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থানরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর এ হামলা চালানো হয়। হামলায় শিক্ষার্থী, সাংবাদিকসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। উপাচার্যের অপসারণ দাবিতে সোমবার (৪ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টা থেকে উপাচার্যের বাসভবন ঘেরাও করে রেখেছিলেন দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর ব্যানারে আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
এদিকে, আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা হামলা করেনি বলে দাবি করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম। মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে প্রশাসনিক ভবনে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি বলেন, আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর কোনো হামলা হয়নি। ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা সুশৃঙ্খলভাবে আন্দোলনকারীদের আমার বাসভবনের সামনে থেকে সরিয়ে দিয়েছে। তিনি বলেন, আন্দোলনকারীদের পেছনে জামায়াত-শিবির রয়েছে। তারা গত কয়েকদিন ধরে আমাকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে। আমি বের হতে পারিনি। আমি এখন অফিস করব।
উল্লেখ্য, দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’ ব্যানারে প্রায় আড়াই মাস ধরে আন্দোলন করে আসছে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের একটি অংশ। বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে উপাচার্য ফারজানা ইসলামের ‘মধ্যস্থতায়’ ছাত্রলীগকে বড় অঙ্কের আর্থিক সুবিধা দেয়ার অভিযোগের তদন্তের দাবিতে এই আন্দোলন শুরু হয়। দাবি পূরণ না হওয়ায় গত ২ অক্টোবর থেকে উপাচার্যকে অপসারণের দাবিতে আন্দোলন করছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এর মধ্যে গতকাল রোববার থেকে সপ্তাহব্যাপী লাগাতার অবরোধ-ধর্মঘট পালন করেছেন তাঁরা। টানা অবরোধ ও ধর্মঘটে বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক শিক্ষা কার্যক্রমে স্থবিরতা তৈরি হয়েছে।