ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

জান্নাত ও জাহান্নামের অস্তিত্ব

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১১:১৭:০৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০১৭
  • / ৪৩৫ বার পড়া হয়েছে

ধর্ম ডেস্ক: মানুষের চূড়ান্ত ও চিরস্থায়ী আবাস জান্নাত ও জাহান্নামের অস্তিত্ব সম্পর্কে কোরআন-হাদিসে অনেক প্রমাণ রয়েছে। মিরাজের ঘটনায় হজরত আনাস (রা.) রাসুলুল্লাহ (সা.) থেকে বর্ণনা করেন, ‘…তারপর জিবরাইল (আ.) আমাকে নিয়ে চলতে থাকে। সিদরাতুল মুনতাহা পর্যন্ত পৌঁছলে তাকে কিছু রঙ এসে ঢেকে ফেলে। আমি বুঝতে পারিনি এটি কী? তারপর আমি জান্নাতে প্রবেশ করলাম। জান্নাতকে আমি দেখতে পেলাম মণি-মুক্তার গম্বুজ। আরও দেখতে পেলাম জান্নাতের মাটি হলো মিসক’ (বুখারি: ৩৩৪২, মুসলিম: ১৬২)। এ হাদিসটি আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের পক্ষে প্রমাণস্বরূপ। তারা বলেন, জান্নাত ও জাহান্নাম মাখলুক তথা আল্লাহর সৃষ্টি এবং জান্নাত আসমানে অবস্থিত।  হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, আল্লাহ তায়ালা জান্নাত ও জাহান্নাম সৃষ্টি করার পর জিবরাইল (আ.) কে জান্নাতে পাঠান এবং বলেন, তুমি জান্নাতের দিকে তাকাও এবং দেখ আমি জান্নাতে জান্নাতিদের জন্য কী কী তৈরি করে রেখেছি। তারপর তিনি জান্নাতে প্রবেশ করেন এবং আল্লাহ তায়ালা জান্নাতিদের জন্য কী কী তৈরি করে রেখেছেন তা দেখেন। তারপর আল্লাহ তায়ালা বলেন, তুমি এখন জাহান্নামে প্রবেশ কর। আল্লাহর কথায় তিনি জাহান্নামে প্রবেশ করলেন, আল্লাহ বললেন, দেখ আমি জাহান্নামিদের জন্য কী কী তৈরি করে রেখেছি। তারপর তিনি জাহান্নামের দিকে তাকিয়ে দেখেন, জাহান্নামের এক অংশ অপর অংশের উপর দাপাদাপি করছে (তিরমিজি : ২৫৬০, নাসায়ি : ৩৭৭২)। ইমাম তাহাবী (রহ.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, জান্নাত ও জাহান্নাম আল্লাহর মাখলুক, কখনো তা ধ্বংস হবে না এবং ক্ষয় হবে না। কারণ, আল্লাহ মাখলুককে সৃষ্টির পূর্বে জান্নাত ও জাহান্নাম সৃষ্টি করেন। আর জান্নাত ও জাহান্নাম উভয়টির জন্য তিনি মাখলুক থেকে অধিবাসী সৃষ্টি করেন। যাদের তিনি জান্নাত দেবেন তা হবে তার পক্ষ থেকে তাদের প্রতি অনুগ্রহ। আর যাদের তিনি জাহান্নামে দেবেন তা হবে তার প্রতি আল্লাহর পক্ষ থেকে ইনসাফ। প্রত্যেকেই তার সুবিধা অনুযায়ী আমল করবে এবং তাকে যে জন্য সৃষ্টি করা হয়েছে সে দিকে ধাবিত হবে। আর ভালো ও মন্দ বান্দার উপর নির্ধারিত (আকিদাতুত তহাবি, পৃষ্ঠা ১২)। সুতরাং মহান আল্লাহর সৃষ্টি জান্নাত ও জাহান্নামের অস্তিত্ব সম্পর্কে সংশয় পোষণ করার কোনোই সুযোগ নেই।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

জান্নাত ও জাহান্নামের অস্তিত্ব

আপলোড টাইম : ১১:১৭:০৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০১৭

ধর্ম ডেস্ক: মানুষের চূড়ান্ত ও চিরস্থায়ী আবাস জান্নাত ও জাহান্নামের অস্তিত্ব সম্পর্কে কোরআন-হাদিসে অনেক প্রমাণ রয়েছে। মিরাজের ঘটনায় হজরত আনাস (রা.) রাসুলুল্লাহ (সা.) থেকে বর্ণনা করেন, ‘…তারপর জিবরাইল (আ.) আমাকে নিয়ে চলতে থাকে। সিদরাতুল মুনতাহা পর্যন্ত পৌঁছলে তাকে কিছু রঙ এসে ঢেকে ফেলে। আমি বুঝতে পারিনি এটি কী? তারপর আমি জান্নাতে প্রবেশ করলাম। জান্নাতকে আমি দেখতে পেলাম মণি-মুক্তার গম্বুজ। আরও দেখতে পেলাম জান্নাতের মাটি হলো মিসক’ (বুখারি: ৩৩৪২, মুসলিম: ১৬২)। এ হাদিসটি আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের পক্ষে প্রমাণস্বরূপ। তারা বলেন, জান্নাত ও জাহান্নাম মাখলুক তথা আল্লাহর সৃষ্টি এবং জান্নাত আসমানে অবস্থিত।  হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, আল্লাহ তায়ালা জান্নাত ও জাহান্নাম সৃষ্টি করার পর জিবরাইল (আ.) কে জান্নাতে পাঠান এবং বলেন, তুমি জান্নাতের দিকে তাকাও এবং দেখ আমি জান্নাতে জান্নাতিদের জন্য কী কী তৈরি করে রেখেছি। তারপর তিনি জান্নাতে প্রবেশ করেন এবং আল্লাহ তায়ালা জান্নাতিদের জন্য কী কী তৈরি করে রেখেছেন তা দেখেন। তারপর আল্লাহ তায়ালা বলেন, তুমি এখন জাহান্নামে প্রবেশ কর। আল্লাহর কথায় তিনি জাহান্নামে প্রবেশ করলেন, আল্লাহ বললেন, দেখ আমি জাহান্নামিদের জন্য কী কী তৈরি করে রেখেছি। তারপর তিনি জাহান্নামের দিকে তাকিয়ে দেখেন, জাহান্নামের এক অংশ অপর অংশের উপর দাপাদাপি করছে (তিরমিজি : ২৫৬০, নাসায়ি : ৩৭৭২)। ইমাম তাহাবী (রহ.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, জান্নাত ও জাহান্নাম আল্লাহর মাখলুক, কখনো তা ধ্বংস হবে না এবং ক্ষয় হবে না। কারণ, আল্লাহ মাখলুককে সৃষ্টির পূর্বে জান্নাত ও জাহান্নাম সৃষ্টি করেন। আর জান্নাত ও জাহান্নাম উভয়টির জন্য তিনি মাখলুক থেকে অধিবাসী সৃষ্টি করেন। যাদের তিনি জান্নাত দেবেন তা হবে তার পক্ষ থেকে তাদের প্রতি অনুগ্রহ। আর যাদের তিনি জাহান্নামে দেবেন তা হবে তার প্রতি আল্লাহর পক্ষ থেকে ইনসাফ। প্রত্যেকেই তার সুবিধা অনুযায়ী আমল করবে এবং তাকে যে জন্য সৃষ্টি করা হয়েছে সে দিকে ধাবিত হবে। আর ভালো ও মন্দ বান্দার উপর নির্ধারিত (আকিদাতুত তহাবি, পৃষ্ঠা ১২)। সুতরাং মহান আল্লাহর সৃষ্টি জান্নাত ও জাহান্নামের অস্তিত্ব সম্পর্কে সংশয় পোষণ করার কোনোই সুযোগ নেই।