ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

জান্নাতের অফুরন্ত আরাম-আয়েশ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:২০:৪২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০১৯
  • / ২৫৩ বার পড়া হয়েছে

ধর্ম ডেস্ক: আরবি ‘জান্নাত’ অর্থ ঘন সন্নিবেশিত বাগান। আরবিতে বাগানকে ‘রওজা’ এবং ‘হাদিকা’ও বলা হয়। কিন্তু জান্নাত শব্দটি আল্লাহ তায়ালার নিজস্ব একটি পরিভাষা। পারিভাষিক অর্থে জান্নাত বলতে এমন স্থানকে বোঝায় যা আল্লাহ তায়ালা তার অনুগত বান্দাদের জন্য নির্দিষ্ট করে রেখেছেন যা দিগন্ত বিস্তৃত নানা রকম ফুলে-ফলে সুশোভিত সুরম্য অট্টালিকা সংবলিত মনোমুগ্ধকর বাগান; যার পাশ দিয়ে প্রবহমান বিভিন্ন ধরনের নদীনালা ও ঝরনাধারা। যেখানে চির বসন্ত বিরাজমান। জান্নাত চিরশান্তির জায়গা। সেখানে আরাম-আয়েশ, সুখ-শান্তি, আমোদ-প্রমোদ, চিত্ত-বিনোদন ও আনন্দ-আহলাদের চরম ও পরম ব্যবস্থা রয়েছে। সেখানে রয়েছে ভোগ-বিলাস ও পানাহারের আতিশয্য। জান্নাতিরা যা কামনা করবে এর সবকিছুই পাবে। সেখানে সবাই যুবক হয়ে বাস করবে। শরীরে কোনো রোগ-শোক, জরাজীর্ণতা, মন্দা, বার্ধক্য, দুর্বলতা ও অপারগতা থাকবে না। যত ধরনের ফল-ফলাদি, খাদ্য-খাবার, পানীয়, দুধ, মধু সুস্বাদু খাবার সব খেতে পারবে। ভোগ-বিলাসের সব উপায়-উপকরণ সেখানে বিদ্যমান। সেগুলো স্বাদ ও গন্ধে অপূর্ব। আমোদ-প্রমোদ, ভ্রমণ-বিহার, খেলাধুলা, বেড়ানো, বাজার করা ও শুভেচ্ছা-স্বাগত জানাতে পারবে। প্রাচুর্যের কোনো অভাব হবে না। মনের ইচ্ছা চোখের নিমেষে পূরণ করতে পারবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

জান্নাতের অফুরন্ত আরাম-আয়েশ

আপলোড টাইম : ০৯:২০:৪২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০১৯

ধর্ম ডেস্ক: আরবি ‘জান্নাত’ অর্থ ঘন সন্নিবেশিত বাগান। আরবিতে বাগানকে ‘রওজা’ এবং ‘হাদিকা’ও বলা হয়। কিন্তু জান্নাত শব্দটি আল্লাহ তায়ালার নিজস্ব একটি পরিভাষা। পারিভাষিক অর্থে জান্নাত বলতে এমন স্থানকে বোঝায় যা আল্লাহ তায়ালা তার অনুগত বান্দাদের জন্য নির্দিষ্ট করে রেখেছেন যা দিগন্ত বিস্তৃত নানা রকম ফুলে-ফলে সুশোভিত সুরম্য অট্টালিকা সংবলিত মনোমুগ্ধকর বাগান; যার পাশ দিয়ে প্রবহমান বিভিন্ন ধরনের নদীনালা ও ঝরনাধারা। যেখানে চির বসন্ত বিরাজমান। জান্নাত চিরশান্তির জায়গা। সেখানে আরাম-আয়েশ, সুখ-শান্তি, আমোদ-প্রমোদ, চিত্ত-বিনোদন ও আনন্দ-আহলাদের চরম ও পরম ব্যবস্থা রয়েছে। সেখানে রয়েছে ভোগ-বিলাস ও পানাহারের আতিশয্য। জান্নাতিরা যা কামনা করবে এর সবকিছুই পাবে। সেখানে সবাই যুবক হয়ে বাস করবে। শরীরে কোনো রোগ-শোক, জরাজীর্ণতা, মন্দা, বার্ধক্য, দুর্বলতা ও অপারগতা থাকবে না। যত ধরনের ফল-ফলাদি, খাদ্য-খাবার, পানীয়, দুধ, মধু সুস্বাদু খাবার সব খেতে পারবে। ভোগ-বিলাসের সব উপায়-উপকরণ সেখানে বিদ্যমান। সেগুলো স্বাদ ও গন্ধে অপূর্ব। আমোদ-প্রমোদ, ভ্রমণ-বিহার, খেলাধুলা, বেড়ানো, বাজার করা ও শুভেচ্ছা-স্বাগত জানাতে পারবে। প্রাচুর্যের কোনো অভাব হবে না। মনের ইচ্ছা চোখের নিমেষে পূরণ করতে পারবে।