ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

জাতীয় সংসদের উপনেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ সাজেদা চৌধুরীর মৃত্যুতে আদম তমিজী হকের শোক প্রকাশ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৪:২০:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • / ১৪ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য, জাতীয় সংসদের উপনেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন ঢাকা উত্তর মহানগর আওয়ামীলীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মানবিক বাংলাদেশ সোসাইটির চেয়ারম্যান, হক গ্রুপের কর্ণধার মানবিক বন্ধু আদম তমিজী হক (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন )।

তিনি ১১ সেপ্টেম্বর রোববার দিবাগত রাত ১১ টা ৪০ মিনিটে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচে) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
সাজেদা চৌধুরীর মৃত্যুতে আওয়ামী লীগ হারিয়েছে একজন মেধাবী সাহসী বলিষ্ট নেতাকে।দেশ হারিয়েছে একজন প্রতিথযশা দেশ প্রেমিক গুণীজনকে।তাঁর শূন্যস্থান অপূরণীয়।

মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহযোগী, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর অন্যতম সদস্য,মহান জাতীয় সংসদের মাননীয় সংসদ উপনেতা, ফরিদপুর-২, আসনের সাংসদ, বর্ষীয়ান জননেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী ১৯৩৫ সালের ৮ মে মাগুড়ায় নানাবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন।

সাজেদা চৌধুরীর বাবা সৈয়দ শাহ হামিদ উল্লাহ এবং মাতা সৈয়দা আছিয়া খাতুন। তার প্রয়াত স্বামী গোলাম আকবর চৌধুরী ছিলেন বিশিষ্ট ভাষা সৈনিক ওএকজন বীমা ব্যক্তিত্ব।

সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী বঙ্গবন্ধুর হাত ধরে ১৯৫৬ সালে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যোগ দেন। তিনি মহিলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাকাল থেকে ১৯৬৯ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, মুক্তিযুদ্ধকালীন কলকাতা গোবরা নার্সিং ক্যাম্পের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৭০ সালের ঐতিহাসিক নির্বাচনে তিনি সংরক্ষিত নারী আসনে এমএনএ নির্বাচিত হন।সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী ১৯৭৪ সালে গ্রামীণ উন্নয়ন ও শিক্ষায় বিশেষ অবদানের জন্য ইউনেস্কো ফেলোশিপ প্রাপ্ত হন। একই বছর তিনি বাংলাদেশ গার্ল-গাইড অ্যাসোসিয়েশনের ন্যাশনাল কমিশনার হিসেবে সর্বোচ্চ সম্মান সূচক সনদ ‘সিলভার এলিফ্যান্ট পদক’ লাভ করেন।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর হত্যাকান্ডের পর আওয়ামী লীগ যখন ক্রান্তিকালে অতিক্রম করছিল তখন সাজেদা চৌধুরী দলের কান্ডারী হিসেবে আবির্ভূত হন।
তিনি আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৮১ সালে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দেশে ফেরার পর যে কয়জন আওয়ামী লীগের একনিষ্ঠ নেতাদের কাছে পেয়েছিলেন সাজেদা চৌধুরী ছিল তার মধ্যে অন্যতম।জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগে ১৯৮৬ থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন সাজেদা চৌধুরী।

এরপর থেকে বর্তমান পর্যন্ত আওয়ামী লীগের যতগুলো কমিটি গঠন করা হয়েছে তার প্রত্যেকটিতে সভাপতি মন্ডলীর সদস্য হিসেবে স্থান পেয়েছেন তিনি। বর্তমানে তিনি দলের সভাপতিমন্ডলীর সিনিয়র সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে সরকারের পরিবেশ ও বনমন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।

তিনি ২০০০ সালে আমেরিকান বায়োগ্রাফিক্যাল ইনস্টিটিউট কর্তৃক ‘উইমেন অব দ্য ইয়ার’ নির্বাচিত হন। এছাড়াও তিনি ২০১০ সালে রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ পদক স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত হন। পর পর তিনবার জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি ফরিদপুর- ২(নগরকান্দা-সালথা) আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে সংসদ উপনেতা নির্বাচিত হন।

কিংবদন্তি জননেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছেন। আল্লাহ উনাকে বেহেশত নসিব করুণ ও কবরকে সহজ করে দাও, আমিন। শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেছেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

জাতীয় সংসদের উপনেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ সাজেদা চৌধুরীর মৃত্যুতে আদম তমিজী হকের শোক প্রকাশ

আপলোড টাইম : ০৪:২০:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য, জাতীয় সংসদের উপনেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন ঢাকা উত্তর মহানগর আওয়ামীলীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মানবিক বাংলাদেশ সোসাইটির চেয়ারম্যান, হক গ্রুপের কর্ণধার মানবিক বন্ধু আদম তমিজী হক (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন )।

তিনি ১১ সেপ্টেম্বর রোববার দিবাগত রাত ১১ টা ৪০ মিনিটে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচে) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
সাজেদা চৌধুরীর মৃত্যুতে আওয়ামী লীগ হারিয়েছে একজন মেধাবী সাহসী বলিষ্ট নেতাকে।দেশ হারিয়েছে একজন প্রতিথযশা দেশ প্রেমিক গুণীজনকে।তাঁর শূন্যস্থান অপূরণীয়।

মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহযোগী, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর অন্যতম সদস্য,মহান জাতীয় সংসদের মাননীয় সংসদ উপনেতা, ফরিদপুর-২, আসনের সাংসদ, বর্ষীয়ান জননেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী ১৯৩৫ সালের ৮ মে মাগুড়ায় নানাবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন।

সাজেদা চৌধুরীর বাবা সৈয়দ শাহ হামিদ উল্লাহ এবং মাতা সৈয়দা আছিয়া খাতুন। তার প্রয়াত স্বামী গোলাম আকবর চৌধুরী ছিলেন বিশিষ্ট ভাষা সৈনিক ওএকজন বীমা ব্যক্তিত্ব।

সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী বঙ্গবন্ধুর হাত ধরে ১৯৫৬ সালে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যোগ দেন। তিনি মহিলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাকাল থেকে ১৯৬৯ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, মুক্তিযুদ্ধকালীন কলকাতা গোবরা নার্সিং ক্যাম্পের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৭০ সালের ঐতিহাসিক নির্বাচনে তিনি সংরক্ষিত নারী আসনে এমএনএ নির্বাচিত হন।সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী ১৯৭৪ সালে গ্রামীণ উন্নয়ন ও শিক্ষায় বিশেষ অবদানের জন্য ইউনেস্কো ফেলোশিপ প্রাপ্ত হন। একই বছর তিনি বাংলাদেশ গার্ল-গাইড অ্যাসোসিয়েশনের ন্যাশনাল কমিশনার হিসেবে সর্বোচ্চ সম্মান সূচক সনদ ‘সিলভার এলিফ্যান্ট পদক’ লাভ করেন।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর হত্যাকান্ডের পর আওয়ামী লীগ যখন ক্রান্তিকালে অতিক্রম করছিল তখন সাজেদা চৌধুরী দলের কান্ডারী হিসেবে আবির্ভূত হন।
তিনি আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৮১ সালে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দেশে ফেরার পর যে কয়জন আওয়ামী লীগের একনিষ্ঠ নেতাদের কাছে পেয়েছিলেন সাজেদা চৌধুরী ছিল তার মধ্যে অন্যতম।জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগে ১৯৮৬ থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন সাজেদা চৌধুরী।

এরপর থেকে বর্তমান পর্যন্ত আওয়ামী লীগের যতগুলো কমিটি গঠন করা হয়েছে তার প্রত্যেকটিতে সভাপতি মন্ডলীর সদস্য হিসেবে স্থান পেয়েছেন তিনি। বর্তমানে তিনি দলের সভাপতিমন্ডলীর সিনিয়র সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে সরকারের পরিবেশ ও বনমন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।

তিনি ২০০০ সালে আমেরিকান বায়োগ্রাফিক্যাল ইনস্টিটিউট কর্তৃক ‘উইমেন অব দ্য ইয়ার’ নির্বাচিত হন। এছাড়াও তিনি ২০১০ সালে রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ পদক স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত হন। পর পর তিনবার জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি ফরিদপুর- ২(নগরকান্দা-সালথা) আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে সংসদ উপনেতা নির্বাচিত হন।

কিংবদন্তি জননেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছেন। আল্লাহ উনাকে বেহেশত নসিব করুণ ও কবরকে সহজ করে দাও, আমিন। শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেছেন।