ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

জলবায়ু পরিবর্তনে উদ্বাস্তু হতে পারে ১০০ কোটি মানুষ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:৪২:০৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ নভেম্বর ২০১৭
  • / ৩৩৭ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ ডেস্ক: জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ১০০ কোটির বেশি মানুষ উদ্বাস্তু হতে পারে। বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির কারণে বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের মুখে এ বিশালসংখ্যক মানুষ তাদের ঘরবাড়ি ছাড়তে বাধ্য হবে। এদিকে বিশ্বব্যাপী দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে গত বছর ১২৯ বিলিয়ন ডলারের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে খরা, ঝড় ও বন্যা বেড়ে যাওয়ায় এ ক্ষতির পরিমাণ ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত মঙ্গলবার এক গবেষণা প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়। খবর এএফপির। দ্য ল্যানসেট মেডিকেল জার্নালে প্রকাশিত ওই গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১০ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত বিশ্বে আবহাওয়া সংক্রান্ত দুর্যোগ ৪৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। গত বছর বিশ্বে ৭৯৭টি চরম দুর্যোগপূর্ণ ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় বিশ্বের ১২৯ বিলিয়ন ডলারের আর্থিক ক্ষতি হয়। এটি প্রায় ফিনল্যান্ডের এক বছরের বাজেটের সমান। এসব দুর্যোগে বস্তুগত সম্পদের ক্ষতির হিসাব করা হলেও প্রাণহানিজনিত বা রোগবালাই ছড়িয়ে পড়ার কারণে যে আর্থিক ক্ষতি হয়েছে সেটি অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। এ গবেষণা প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ১০০ কোটির বেশি মানুষ উদ্বাস্তু হতে পারে। ফলে বড় ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকির মুখে পড়বে তারা। প্রতিবেদনে বলা হয়, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট অভিবাসন মানুষের মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে। ভুক্তভোগীরা প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা ও সামাজিক সেবা থেকে বঞ্চিত হয়। এদিকে নিউজিল্যান্ডের নতুন সরকার জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে উদ্বাস্তুদের পুনর্বাসনের জন্য শরণার্থী ভিসা চালু করার কথা বিবেচনা করছে। প্রশান্ত মহাসাগরে অবস্থিত দ্বীপরাষ্ট্রগুলোর নাগরিকদের জন্য এ ভিসা সুবিধা দেয়া হবে।
দ্য গার্ডিয়ান জানায়, সমুদ্রে পানিস্তর বৃদ্ধির কারণে কিরিবাতির মতো বেশ কয়েকটি দ্বীপরাষ্ট্রের জনগণ জলবায়ু পরিবর্তনজনিত দুর্যোগের চাপের মধ্যে রয়েছে। তাদের পুনর্বাসনে সহায়তা করতে নিউজিল্যান্ড নতুন এক ধরনের ভিসা চালু করতে যাচ্ছে। দেশটির জোট সরকারের নতুন জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন গ্রিন পার্টির নেতা জেমস শ। গত মঙ্গলবার স্থানীয় একটি সংবাদপত্রকে তিনি বলেন, ‘মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে পরীক্ষামূলক এ ভিসা প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকার জনগণের জন্য বাস্তবায়ন করা হতে পারে।’ নির্বাচনের আগে গ্রিন পার্টি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তারা শরণার্থী কোটা ৭৫০ থেকে বাড়িয়ে ৪ হাজার করবে। এর মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ১০০ শরণার্থীকে পুনর্বাসনের প্রতিশ্রুতিও দেয় তারা।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

জলবায়ু পরিবর্তনে উদ্বাস্তু হতে পারে ১০০ কোটি মানুষ

আপলোড টাইম : ১০:৪২:০৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ নভেম্বর ২০১৭

সমীকরণ ডেস্ক: জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ১০০ কোটির বেশি মানুষ উদ্বাস্তু হতে পারে। বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির কারণে বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের মুখে এ বিশালসংখ্যক মানুষ তাদের ঘরবাড়ি ছাড়তে বাধ্য হবে। এদিকে বিশ্বব্যাপী দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে গত বছর ১২৯ বিলিয়ন ডলারের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে খরা, ঝড় ও বন্যা বেড়ে যাওয়ায় এ ক্ষতির পরিমাণ ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত মঙ্গলবার এক গবেষণা প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়। খবর এএফপির। দ্য ল্যানসেট মেডিকেল জার্নালে প্রকাশিত ওই গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১০ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত বিশ্বে আবহাওয়া সংক্রান্ত দুর্যোগ ৪৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। গত বছর বিশ্বে ৭৯৭টি চরম দুর্যোগপূর্ণ ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় বিশ্বের ১২৯ বিলিয়ন ডলারের আর্থিক ক্ষতি হয়। এটি প্রায় ফিনল্যান্ডের এক বছরের বাজেটের সমান। এসব দুর্যোগে বস্তুগত সম্পদের ক্ষতির হিসাব করা হলেও প্রাণহানিজনিত বা রোগবালাই ছড়িয়ে পড়ার কারণে যে আর্থিক ক্ষতি হয়েছে সেটি অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। এ গবেষণা প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ১০০ কোটির বেশি মানুষ উদ্বাস্তু হতে পারে। ফলে বড় ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকির মুখে পড়বে তারা। প্রতিবেদনে বলা হয়, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট অভিবাসন মানুষের মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে। ভুক্তভোগীরা প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা ও সামাজিক সেবা থেকে বঞ্চিত হয়। এদিকে নিউজিল্যান্ডের নতুন সরকার জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে উদ্বাস্তুদের পুনর্বাসনের জন্য শরণার্থী ভিসা চালু করার কথা বিবেচনা করছে। প্রশান্ত মহাসাগরে অবস্থিত দ্বীপরাষ্ট্রগুলোর নাগরিকদের জন্য এ ভিসা সুবিধা দেয়া হবে।
দ্য গার্ডিয়ান জানায়, সমুদ্রে পানিস্তর বৃদ্ধির কারণে কিরিবাতির মতো বেশ কয়েকটি দ্বীপরাষ্ট্রের জনগণ জলবায়ু পরিবর্তনজনিত দুর্যোগের চাপের মধ্যে রয়েছে। তাদের পুনর্বাসনে সহায়তা করতে নিউজিল্যান্ড নতুন এক ধরনের ভিসা চালু করতে যাচ্ছে। দেশটির জোট সরকারের নতুন জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন গ্রিন পার্টির নেতা জেমস শ। গত মঙ্গলবার স্থানীয় একটি সংবাদপত্রকে তিনি বলেন, ‘মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে পরীক্ষামূলক এ ভিসা প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকার জনগণের জন্য বাস্তবায়ন করা হতে পারে।’ নির্বাচনের আগে গ্রিন পার্টি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তারা শরণার্থী কোটা ৭৫০ থেকে বাড়িয়ে ৪ হাজার করবে। এর মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ১০০ শরণার্থীকে পুনর্বাসনের প্রতিশ্রুতিও দেয় তারা।