ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

জমির মালিককে প্রাণনাশের হুমকি

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৮:৩০:৪৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২০
  • / ২৫২ বার পড়া হয়েছে

চুয়াডাঙ্গা মুক্তিপাড়ায় জোরপূর্বক জমি দখলের চেষ্টা
নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার মুক্তিপাড়ায় প্রকাশ্যে জোরপূর্বক জমি দখলের চেষ্টা চালিয়ে সীমানা প্রাচীর ভাঙচুরসহ জমির মালিককে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে মোহা. মিষ্টিসহ তাঁর সহযোগীদের বিরুদ্ধে। গতকাল শুক্রবার সকাল নয়টার দিকে মুক্তিপাড়াস্থ আলী হোসেন সুপার মার্কেটের পিছনে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় জমির মালিক আব্দুল খালেক দেওয়ানের ভাগ্নে মিজানুর রহমান বাধা প্রদান করলে তাঁকে প্রাণনাশের হুমকিও দেন তাঁরা। এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন জমির মালিক আব্দুল খালেক দেওয়ানের ভাগ্নে মিজানুর রহমান।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গার দর্শনা থানার আমতলাপাড়ার মৃত নাজিম উদ্দীন দেওয়ানের ছেলে আব্দুল খালেক দেওয়ান তাঁর ভাগ্নে মিজানুর রহমানের মারফতে আলী হোসেন সুপার মার্কেটের পিছনে ০.৩৫০ একর জমি ক্রয় করেন এবং তিনি জমিতে সীমানা প্রাচীর দেন। এরপর থেকেই তাঁর পাশের জমির মালিক মুক্তিপাড়ার শামসুল হকের ছেলে আজমল হক উক্ত জমিটি জোরপূর্বক দখলের পাঁয়তারা করেন। এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় অভিযোগ করলে উভয় পক্ষের উপস্থিতিতে বিষয়টি মীমাংশা করা হয়। গতকাল শুক্রবার আবারও জোরপূর্বক জমি দখলের চেষ্টা চালায়। এ সময় ভাগ্নে মিজানুর রহমান ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বাধা প্রদান করলে তাঁরা প্রাণনাশের হুমকি দেন ও জমির সীমানা প্রাচীর ভাঙচুর করেন।
মিজানুর রহমান বলেন, ‘শুক্রবার সকালে চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার মুক্তিপাড়ার শামসুল হকের ছেলে ভূমিদস্যু আজমল হক, জোয়ার্দ্দার পাড়ার মিষ্টি, মসজিদপাড়ার আলোসহ কয়েকজন জোরপূর্বক আমার মামার জমি দখলের চেষ্টা চালায়। আমি বাধা প্রদান করলে তারা আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজসহ প্রাণনাশের হুমকি দেন। পরে তাঁরা জোরপূর্বক লেবার দিয়ে জমির সীমানা প্রাচীর ভাঙচুর করেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি উক্ত জমা-জমি খরিদের পর পরিমাপ করে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ কাজ করাকালে ভূমিদস্যু আজমল হক চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। উক্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে থানা কর্তৃপক্ষ উভয় পক্ষের উপস্থিতিতে জমি মেপে বুঝিয়ে দেন। তারপর আমি আমার জমিতে সীমানা প্রাচীর দিয়ে দিই। এরপরও শুক্রবার সকালে আবারও তারা থানার নির্দেশ আমান্য করে জোরপূর্বক জমির দখলের চেষ্টা চালিয়ে সীমানা প্রাচীর ভেঙে দেয়।’
এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জিহাদ খান বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ তিনি আরও বলেন, এর আগে এ বিষয়ে অভিযোগ পাওয়ার পর থানা থেকে জমি মেপে উভয়পক্ষকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়। তবে থানার নির্দেশ অমান্য করে কেন আব্দুল খালেক দেওয়ানের জমির সীমানা প্রাচীর ভেঙে দিলো, এটা গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেওয়া হচ্ছে।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

জমির মালিককে প্রাণনাশের হুমকি

আপলোড টাইম : ০৮:৩০:৪৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২০

চুয়াডাঙ্গা মুক্তিপাড়ায় জোরপূর্বক জমি দখলের চেষ্টা
নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার মুক্তিপাড়ায় প্রকাশ্যে জোরপূর্বক জমি দখলের চেষ্টা চালিয়ে সীমানা প্রাচীর ভাঙচুরসহ জমির মালিককে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে মোহা. মিষ্টিসহ তাঁর সহযোগীদের বিরুদ্ধে। গতকাল শুক্রবার সকাল নয়টার দিকে মুক্তিপাড়াস্থ আলী হোসেন সুপার মার্কেটের পিছনে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় জমির মালিক আব্দুল খালেক দেওয়ানের ভাগ্নে মিজানুর রহমান বাধা প্রদান করলে তাঁকে প্রাণনাশের হুমকিও দেন তাঁরা। এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন জমির মালিক আব্দুল খালেক দেওয়ানের ভাগ্নে মিজানুর রহমান।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গার দর্শনা থানার আমতলাপাড়ার মৃত নাজিম উদ্দীন দেওয়ানের ছেলে আব্দুল খালেক দেওয়ান তাঁর ভাগ্নে মিজানুর রহমানের মারফতে আলী হোসেন সুপার মার্কেটের পিছনে ০.৩৫০ একর জমি ক্রয় করেন এবং তিনি জমিতে সীমানা প্রাচীর দেন। এরপর থেকেই তাঁর পাশের জমির মালিক মুক্তিপাড়ার শামসুল হকের ছেলে আজমল হক উক্ত জমিটি জোরপূর্বক দখলের পাঁয়তারা করেন। এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় অভিযোগ করলে উভয় পক্ষের উপস্থিতিতে বিষয়টি মীমাংশা করা হয়। গতকাল শুক্রবার আবারও জোরপূর্বক জমি দখলের চেষ্টা চালায়। এ সময় ভাগ্নে মিজানুর রহমান ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বাধা প্রদান করলে তাঁরা প্রাণনাশের হুমকি দেন ও জমির সীমানা প্রাচীর ভাঙচুর করেন।
মিজানুর রহমান বলেন, ‘শুক্রবার সকালে চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার মুক্তিপাড়ার শামসুল হকের ছেলে ভূমিদস্যু আজমল হক, জোয়ার্দ্দার পাড়ার মিষ্টি, মসজিদপাড়ার আলোসহ কয়েকজন জোরপূর্বক আমার মামার জমি দখলের চেষ্টা চালায়। আমি বাধা প্রদান করলে তারা আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজসহ প্রাণনাশের হুমকি দেন। পরে তাঁরা জোরপূর্বক লেবার দিয়ে জমির সীমানা প্রাচীর ভাঙচুর করেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি উক্ত জমা-জমি খরিদের পর পরিমাপ করে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ কাজ করাকালে ভূমিদস্যু আজমল হক চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। উক্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে থানা কর্তৃপক্ষ উভয় পক্ষের উপস্থিতিতে জমি মেপে বুঝিয়ে দেন। তারপর আমি আমার জমিতে সীমানা প্রাচীর দিয়ে দিই। এরপরও শুক্রবার সকালে আবারও তারা থানার নির্দেশ আমান্য করে জোরপূর্বক জমির দখলের চেষ্টা চালিয়ে সীমানা প্রাচীর ভেঙে দেয়।’
এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জিহাদ খান বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ তিনি আরও বলেন, এর আগে এ বিষয়ে অভিযোগ পাওয়ার পর থানা থেকে জমি মেপে উভয়পক্ষকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়। তবে থানার নির্দেশ অমান্য করে কেন আব্দুল খালেক দেওয়ানের জমির সীমানা প্রাচীর ভেঙে দিলো, এটা গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেওয়া হচ্ছে।’