ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

জমির ফুল জমিতেই হচ্ছে নষ্ট : পহেলা বৈশাখেও ক্ষতিতে চুয়াডাঙ্গার চাষিরা

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১২:৩৩:৩৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ এপ্রিল ২০২০
  • / ৪৭৭ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক:
উৎসব, অনুষ্ঠান মানেই ফুলের প্রয়োজন। কিন্তু করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে সকল ধরনের উৎসব ও অনুষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। বন্ধ থাকায় বিক্রি করতে না পেরে ক্ষেতের ফুল ক্ষেতেই পচে শুকিয়ে যাচ্ছে, বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েছে ফুল ব্যবসায়ী ও চাষিরা। সারা বছরে কয়েকটি অনুষ্ঠানকে ঘিরেই চাষিরা ফুল বিক্রি করে থাকে। সেই সমস্ত অনুষ্ঠানের মধ্যে গত ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস ছিল, এই দিবসে কোটি কোটি টাকার ফুল বিক্রি হয়, কিন্তু এবার অনুষ্ঠান না হওয়ায় বিক্রি ছিল না। পহেলা বৈশাখও ফুলের বড় বাজার কিন্তু এই দিনটিও আনুষ্ঠানিকভাবে পালন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তাহলে দুইটি অনুষ্ঠানে চলতি মৌসুমে কৃষকের প্রায় আড়াইশ কোটি টাকার ফুল নষ্ট হবে। গত অর্থবছরে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকার ফুল বিক্রি হয়েছিল। গত কয়েক বছর ধরে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতেও কিছু কিছু ফুল রপ্তানি হয়। বর্তমানে ফুল উৎপাদন, বাজারজাতকরণ ও ফুলের খুচরা ব্যবসার সাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় অর্ধকোটি মানুষ জড়িত রয়েছে। এ অবস্থায় তারা মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে। চুয়াডাঙ্গা জেলায় ৬৩ হাজার হেক্টর জমিতে বিভিন্ন ধরনের ফুল চাষ করা হয়েছে। ফুল বিক্রি করতে না পারায় জমির ফুল জমিতে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ফুল নিয়ে বিপাকে পড়েছেন চুয়াডাঙ্গার চাষিরা। ফুল চাষিদের বাঁচিয়ে রাখার স্বার্থে আর্থিক অনুদান দেওয়ার দাবি জানান চাষিরা। করোনাভাইরাসের কারণে দেশের এই দূর্যোগ পরিস্থিতিতে সম্ভবনাময় ফুল সেক্টরের বর্তমান সার্বিক অবস্থা তুলে ধরে গত ২ এপ্রিল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ফ্লাওয়ার সোসাইটি’র সভাপতি মো. আব্দুর রহিম কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে চিঠিও দিয়েছেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

জমির ফুল জমিতেই হচ্ছে নষ্ট : পহেলা বৈশাখেও ক্ষতিতে চুয়াডাঙ্গার চাষিরা

আপলোড টাইম : ১২:৩৩:৩৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ এপ্রিল ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক:
উৎসব, অনুষ্ঠান মানেই ফুলের প্রয়োজন। কিন্তু করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে সকল ধরনের উৎসব ও অনুষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। বন্ধ থাকায় বিক্রি করতে না পেরে ক্ষেতের ফুল ক্ষেতেই পচে শুকিয়ে যাচ্ছে, বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েছে ফুল ব্যবসায়ী ও চাষিরা। সারা বছরে কয়েকটি অনুষ্ঠানকে ঘিরেই চাষিরা ফুল বিক্রি করে থাকে। সেই সমস্ত অনুষ্ঠানের মধ্যে গত ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস ছিল, এই দিবসে কোটি কোটি টাকার ফুল বিক্রি হয়, কিন্তু এবার অনুষ্ঠান না হওয়ায় বিক্রি ছিল না। পহেলা বৈশাখও ফুলের বড় বাজার কিন্তু এই দিনটিও আনুষ্ঠানিকভাবে পালন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তাহলে দুইটি অনুষ্ঠানে চলতি মৌসুমে কৃষকের প্রায় আড়াইশ কোটি টাকার ফুল নষ্ট হবে। গত অর্থবছরে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকার ফুল বিক্রি হয়েছিল। গত কয়েক বছর ধরে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতেও কিছু কিছু ফুল রপ্তানি হয়। বর্তমানে ফুল উৎপাদন, বাজারজাতকরণ ও ফুলের খুচরা ব্যবসার সাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় অর্ধকোটি মানুষ জড়িত রয়েছে। এ অবস্থায় তারা মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে। চুয়াডাঙ্গা জেলায় ৬৩ হাজার হেক্টর জমিতে বিভিন্ন ধরনের ফুল চাষ করা হয়েছে। ফুল বিক্রি করতে না পারায় জমির ফুল জমিতে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ফুল নিয়ে বিপাকে পড়েছেন চুয়াডাঙ্গার চাষিরা। ফুল চাষিদের বাঁচিয়ে রাখার স্বার্থে আর্থিক অনুদান দেওয়ার দাবি জানান চাষিরা। করোনাভাইরাসের কারণে দেশের এই দূর্যোগ পরিস্থিতিতে সম্ভবনাময় ফুল সেক্টরের বর্তমান সার্বিক অবস্থা তুলে ধরে গত ২ এপ্রিল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ফ্লাওয়ার সোসাইটি’র সভাপতি মো. আব্দুর রহিম কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে চিঠিও দিয়েছেন।