ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে জেলা প্রশাসনের সেমিনার

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:২৩:১৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ নভেম্বর ২০১৭
  • / ৩৮১ বার পড়া হয়েছে

চুয়াডাঙ্গায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন প্রচারের মাধ্যমে

নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন অধিকতর প্রচারের মাধ্যমে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বুধবার বেলা ১১টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে যৌথ ভাবে জেলা প্রশাসন ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর এ সেমিনারের আয়োজন করে। এতে সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক। প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন আহমেদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট খোন্দকার ফরহাদ আহমেদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল মোমেন, জেলা পরিষদ সচিব নূরজাহান খানম, সিভিল সার্জন ডা. খাইরুল ইসলাম, সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ নওরোজ মোহাম্মদ সাঈদ, প্যানেল মেয়র একরামুল হক মুক্তা, জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা চুয়াডাঙ্গা’র উপ-পরিচালক জাফর ইকবাল।
সেমিনারে আরো অংশ নেন জেলা মার্কেটিং কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম, জেলা ব্র্যাক প্রতিনিধি জাহাঙ্গীর আলম, জেলা দোকান মালিক সমিতির সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুল কাদের জগলুসহ সরকারী বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা। শুরুতে ভোক্তা অধিকার আইন সম্পর্কে প্রজেক্টরের মাধ্যমে উপস্থাপন করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক মো. সেলিমুজ্জামান। সেমিনারে ভোক্তা অধিকার আইন সম্পর্কে অবহিতকরণ এবং তা প্রচারের মাধ্যমে জনসচেতনতা বৃদ্ধির বিষয়ে সুদূর প্রসারী আলোচনা করা হয়।
এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক বলেন, ‘মিথ্যা বিজ্ঞাপনের প্রলোভনে নকল ও মানহীন পণ্য কিনে প্রতারিত হওয়ার আগে আমাকে জানান; ওই বিক্রেতার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ওজনে কারচুপির সন্দেহ হলে ডিজিটাল ব্রিজ স্কেলে মেপে দেখবেন; এতে ওই ব্যবসায়ীর হালাল ব্যবসা অটুট থাকবে। একই সাথে কোন ভোক্তার অধিকার হরণ হবে না।’
ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘মানুষ কষ্টে উপার্জিত অর্থ দিয়ে আপনাদের কাছ থেকে পণ্য/দ্রব্য ক্রয় করে। তার বিপরিতে যদি আপনারা টাকা নিয়ে ভেজাল পণ্যসামগ্রী দেন তাহলে তাকে ঠকানো হল। এই ধরনের কোন প্রকার অভিযোগ যদি পাওয়া যায়- তাহলে যে কোন ব্যবসায়ীকে ভোক্তা অধিকার আইনে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জেল জরিমানা করা হবে। তাই এ ব্যাপারে ব্যবসায়ী নেতাদের সব সময় সজাগ থাকতে হবে।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে জেলা প্রশাসনের সেমিনার

আপলোড টাইম : ০৯:২৩:১৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ নভেম্বর ২০১৭

চুয়াডাঙ্গায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন প্রচারের মাধ্যমে

নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন অধিকতর প্রচারের মাধ্যমে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বুধবার বেলা ১১টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে যৌথ ভাবে জেলা প্রশাসন ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর এ সেমিনারের আয়োজন করে। এতে সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক। প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন আহমেদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট খোন্দকার ফরহাদ আহমেদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল মোমেন, জেলা পরিষদ সচিব নূরজাহান খানম, সিভিল সার্জন ডা. খাইরুল ইসলাম, সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ নওরোজ মোহাম্মদ সাঈদ, প্যানেল মেয়র একরামুল হক মুক্তা, জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা চুয়াডাঙ্গা’র উপ-পরিচালক জাফর ইকবাল।
সেমিনারে আরো অংশ নেন জেলা মার্কেটিং কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম, জেলা ব্র্যাক প্রতিনিধি জাহাঙ্গীর আলম, জেলা দোকান মালিক সমিতির সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুল কাদের জগলুসহ সরকারী বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা। শুরুতে ভোক্তা অধিকার আইন সম্পর্কে প্রজেক্টরের মাধ্যমে উপস্থাপন করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক মো. সেলিমুজ্জামান। সেমিনারে ভোক্তা অধিকার আইন সম্পর্কে অবহিতকরণ এবং তা প্রচারের মাধ্যমে জনসচেতনতা বৃদ্ধির বিষয়ে সুদূর প্রসারী আলোচনা করা হয়।
এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক বলেন, ‘মিথ্যা বিজ্ঞাপনের প্রলোভনে নকল ও মানহীন পণ্য কিনে প্রতারিত হওয়ার আগে আমাকে জানান; ওই বিক্রেতার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ওজনে কারচুপির সন্দেহ হলে ডিজিটাল ব্রিজ স্কেলে মেপে দেখবেন; এতে ওই ব্যবসায়ীর হালাল ব্যবসা অটুট থাকবে। একই সাথে কোন ভোক্তার অধিকার হরণ হবে না।’
ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘মানুষ কষ্টে উপার্জিত অর্থ দিয়ে আপনাদের কাছ থেকে পণ্য/দ্রব্য ক্রয় করে। তার বিপরিতে যদি আপনারা টাকা নিয়ে ভেজাল পণ্যসামগ্রী দেন তাহলে তাকে ঠকানো হল। এই ধরনের কোন প্রকার অভিযোগ যদি পাওয়া যায়- তাহলে যে কোন ব্যবসায়ীকে ভোক্তা অধিকার আইনে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জেল জরিমানা করা হবে। তাই এ ব্যাপারে ব্যবসায়ী নেতাদের সব সময় সজাগ থাকতে হবে।’