ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

জনগণের সেবায় আমার জীবনটা উৎসর্গ করতে চাই

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১১:৩১:১৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ নভেম্বর ২০১৮
  • / ৬৬৬ বার পড়া হয়েছে

আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত একক প্রার্থী হিসেবে চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, জাতীয় সংসদের হুইপ, বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন-এমপি। টানা দু’বারের নির্বাচিত এই সংসদ সদস্য এবার সপ্তম বারের মতো দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন। এ নিয়ে তাঁর উচ্ছ্বাস, ব্যক্তিগত জীবন ও সমসাময়িক রাজনৈতিক ভাবনা নিয়ে কথা বলেছেন সময়ের সমীকরণ-নির্বাচনী সমীকরণ সাক্ষাৎকারে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন এসএম শাফায়েত।

আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে আপনাকে। এ নিয়ে টানা সপ্তম বার দলের সভাপতি শেখ হাসিনা ও নীতিনির্ধারকদের পছন্দের তালিকায় শীর্ষে আপনি। এর কারণে কী?
ছেলুন জোয়ার্দ্দার: আমি একটি রাজনৈতিক আদর্শের দল করি এবং দীর্ঘদিন ধরে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে ওতপ্রোত ভাবে জড়িত এই দলের সঙ্গে। যে দলের সঙ্গে রাজনীতি করি সেটি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী। এই দলকে ভালোবেসে, আওয়ামী লীগকে ভালোবেসে টানা ৫৭ বছর রাজনীতির সঙ্গে নিজেকে জড়িয়ে রেখেছি। আমার নেতা শেখ মুজিব শাহদাত বরণ করার পর ২১ বছর রাজনীতি করা তো দূরের কথা আমরা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায়ই ছিলাম না। দীর্ঘ এই সময়ে অনেক নির্যাতন নিপীড়ন সহ্য করতে হয়েছে, জেল খাটতে হয়েছে। কিন্তু কখনও থমকে যায়নি। বঙ্গবন্ধু যা কিছু রেখে গিয়েছিলেন তা দিয়েই নতুন করে এই সোনার বাংলাকে সাজিয়েছি। আপনারা জানেন, এই জনপদ (চুয়াডাঙ্গা জেলা) সন্ত্রাসীদের অভয়ারন্য ছিল। তাদের হাত থেকে মানুষকে রক্ষা করতে সক্ষম হয়েছি। এই চুয়াডাঙ্গাকে নতুন ভাবে গড়ে তুলেছি। যার পরিপ্রেক্ষিতে জননেত্রী শেখ হাসিনা বার বারই এই আসনটি আমাকে উপহার দিয়েছেন। এ কারণে আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
সপ্তম বারের মতো দলীয় মনোনয়ন পেয়ে আপনার অনুভুতি কেমন?
ছেলুন জোয়ার্দ্দার: আমরা যারা রাজনীতি করি তাদের হারের যেমন অভিজ্ঞতা আছে, তেমনি জেতারও অভিজ্ঞতা আছে। সুতরাং তখনি আমাদের আশা পূরণ হবে যখন দেখবো, মানুষের চাহিদা পূরণ করতে পেরেছি। এ ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের অনুভুতিই আমার অনুভুতি।
প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের নিয়ে কোন অভিযোগ আছে, কী ভাবছেন তাদের নিয়ে?
ছেলুন জোয়ার্দ্দার: কারো বিরুদ্ধে আমার কোন অভিযোগ নাই। কিন্তু ভাবনা একটা, আমাদের দেশে একটা প্রচলিত কথা আছে ‘পঁচা শামুকেও পা কাটে’। সুতরাং প্রতিপক্ষকে কখনও দুর্বল ভাবতে নেই।
নৌকার পক্ষে কাজ করতে নেতাকর্মীদের কেমন সহযোগিতা পাচ্ছেন?
ছেলুন জোয়ার্দ্দার: নিঃসন্দেহে আমাদের কর্মীরা ঐক্যবদ্ধ। দলের পক্ষ থেকে যখন আমাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে তখন থেকে সবাই এক হয়ে কাজ শুরু করেছে। সবাই নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে। তবে আমি শতভাগ আশা করিনা। কারণ আ.লীগ একটি বৃহৎ রাজনৈতিক দল, এরমধ্যে ভাগ থাকবেই। কিন্তু আমার সঙ্গে বেশির ভাগ নেতাকর্মীই রয়েছেন।
গেল ১০ বছরে আপনি উল্লেখযোগ্য কী করেছেন। কেনো জনগণ আপনাকে আবারো ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবে?
ছেলুন জোয়ার্দ্দার: আমাদের চুয়াডাঙ্গায় অনেক কিছুই ছিল না। বিগত সরকারের আমলে যা হয়নি গেল ১০ বছরে অনেক কিছুই হয়েছে। তারা যা স্বপ্নেও ভাবেনি তা কিন্তু দৃশ্যমান হয়েছে। চুয়াডাঙ্গায় ভালো স্টেডিয়াম ছিল না, তা করেছি। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালকে ২৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়েছে, কারিগরী প্রশিক্ষণ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠিত করেছি, যুব উন্নয়ন ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র করেছি, সার্ভার স্টেশন হয়েছে, আলমডাঙ্গায় ২০০ কিলোমিটার রাস্তা করেছি, চুয়াডাঙ্গায় ৮০ কিলোমিটার রাস্তার কাজ করা হচ্ছে, স্কুল-কলেজ-মাদ্রসাগুলোর আমুল পরিবর্তন হয়েছে। জেলার এমন কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নেই যেখানে এই সরকারের আমলে বিল্ডিং হয়নি। জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলেও পিচ রাস্তা হয়েছে। যা এই সরকারের আমলেই হয়েছে। আমি আর কিছু বলবো না, জনগণ এবং সাংবাদিকরা নিজ চোখে দেখে বিচার বিবেচনা করে বলবেন আমাকে নির্বাচিত করা যাবে কী না।
দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে আপনার অপূর্ণ কোন ইচ্ছা আছে কী?
ছেলুন জোয়ার্দ্দার: আমার মূল ইচ্ছা জনগণের সেবা করা। জনগণের সেবায় আমার জীবনটা উৎসর্গ করতে চাই। এখন জনগণ আমার কাছ থেকে, আমাদের সরকারের কাছ থেকে কতটুকু সেবা পাচ্ছে এটাই দেখছি। আর যতটুকু সেবা পেতে বাকী রয়েছে সেটুকু দিতে পারলে আমার স্বার্থকতা। এক কথায় আমার জীবনটা মানুষের সেবায় উৎসর্গ করাটাই আমার শেষ ইচ্ছা।
পরিবারের সঙ্গে কতটা সময় কাটানো হয়?
ছেলুন জোয়ার্দ্দার: পরিবারের সঙ্গে অবসর সময় কাটানো হয়। ছুটি থাকলে তাদের সঙ্গেই থাকি। সারাদিন বাইরে থাকলেও রাতে পরিবারের সঙ্গেই থাকতে হয়। শত ব্যস্ততার মধ্যে যে টুকু সময় দিই তাতে আমার পরিবারের সঙ্গে মধুর সম্পর্ক রয়েছে। সবমিলিয়ে সুখে, শান্তিতেই আছি বেশ।
জীবনটা আসলে আপনার কাছে কী?
ছেলুন জোয়ার্দ্দার: জীবনের ব্যাখ্যা দিয়ে শেষ করা যাবে না। তবে আল্লাহ প্রদত্ত এই জীবনে আমি একজন মুসাফির। কয়দিন ঘুরবো, তারপর আবার আল্লাহ নিয়ে চলে যাবেন। এরমধ্যে যা কিছু করা যায়। জন্মের সময় আমরা কেউ কোন দায়িত্ব নিয়ে আসিনি। তাই যা কিছু করতে হবে নিজে থেকেই। আর তাই করে যাচ্ছি।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে কী বলবেন?
ছেলুন জোয়ার্দ্দার: আমরা একটা আদর্শের উপরে দাড়িয়ে রাজনীতি করছি। বঙ্গবন্ধু আমাদের যে পথ দেখিয়ে গেছেন সেই পথে হাঁটা উচিৎ। কিন্তু এখন আর তেমন কেউ আদর্শকে ধারণ করে না। আদর্শ নিয়ে রাজনীতি করতেও এখন আর খুব বেশি মানুষ আসে না। কর্মীদের উদ্দেশ্যে এ টুকুই বলবো, ‘বঙ্গবন্ধু আমাদের যে আদর্শে অনুপ্রাণিত করেছিলেন সেই আদর্শ বুকে ধারণ করে মানুষের সঙ্গে মিশে তাদের জন্য কাজ করতে হবে’।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

জনগণের সেবায় আমার জীবনটা উৎসর্গ করতে চাই

আপলোড টাইম : ১১:৩১:১৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ নভেম্বর ২০১৮

আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত একক প্রার্থী হিসেবে চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, জাতীয় সংসদের হুইপ, বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন-এমপি। টানা দু’বারের নির্বাচিত এই সংসদ সদস্য এবার সপ্তম বারের মতো দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন। এ নিয়ে তাঁর উচ্ছ্বাস, ব্যক্তিগত জীবন ও সমসাময়িক রাজনৈতিক ভাবনা নিয়ে কথা বলেছেন সময়ের সমীকরণ-নির্বাচনী সমীকরণ সাক্ষাৎকারে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন এসএম শাফায়েত।

আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে আপনাকে। এ নিয়ে টানা সপ্তম বার দলের সভাপতি শেখ হাসিনা ও নীতিনির্ধারকদের পছন্দের তালিকায় শীর্ষে আপনি। এর কারণে কী?
ছেলুন জোয়ার্দ্দার: আমি একটি রাজনৈতিক আদর্শের দল করি এবং দীর্ঘদিন ধরে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে ওতপ্রোত ভাবে জড়িত এই দলের সঙ্গে। যে দলের সঙ্গে রাজনীতি করি সেটি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী। এই দলকে ভালোবেসে, আওয়ামী লীগকে ভালোবেসে টানা ৫৭ বছর রাজনীতির সঙ্গে নিজেকে জড়িয়ে রেখেছি। আমার নেতা শেখ মুজিব শাহদাত বরণ করার পর ২১ বছর রাজনীতি করা তো দূরের কথা আমরা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায়ই ছিলাম না। দীর্ঘ এই সময়ে অনেক নির্যাতন নিপীড়ন সহ্য করতে হয়েছে, জেল খাটতে হয়েছে। কিন্তু কখনও থমকে যায়নি। বঙ্গবন্ধু যা কিছু রেখে গিয়েছিলেন তা দিয়েই নতুন করে এই সোনার বাংলাকে সাজিয়েছি। আপনারা জানেন, এই জনপদ (চুয়াডাঙ্গা জেলা) সন্ত্রাসীদের অভয়ারন্য ছিল। তাদের হাত থেকে মানুষকে রক্ষা করতে সক্ষম হয়েছি। এই চুয়াডাঙ্গাকে নতুন ভাবে গড়ে তুলেছি। যার পরিপ্রেক্ষিতে জননেত্রী শেখ হাসিনা বার বারই এই আসনটি আমাকে উপহার দিয়েছেন। এ কারণে আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
সপ্তম বারের মতো দলীয় মনোনয়ন পেয়ে আপনার অনুভুতি কেমন?
ছেলুন জোয়ার্দ্দার: আমরা যারা রাজনীতি করি তাদের হারের যেমন অভিজ্ঞতা আছে, তেমনি জেতারও অভিজ্ঞতা আছে। সুতরাং তখনি আমাদের আশা পূরণ হবে যখন দেখবো, মানুষের চাহিদা পূরণ করতে পেরেছি। এ ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের অনুভুতিই আমার অনুভুতি।
প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের নিয়ে কোন অভিযোগ আছে, কী ভাবছেন তাদের নিয়ে?
ছেলুন জোয়ার্দ্দার: কারো বিরুদ্ধে আমার কোন অভিযোগ নাই। কিন্তু ভাবনা একটা, আমাদের দেশে একটা প্রচলিত কথা আছে ‘পঁচা শামুকেও পা কাটে’। সুতরাং প্রতিপক্ষকে কখনও দুর্বল ভাবতে নেই।
নৌকার পক্ষে কাজ করতে নেতাকর্মীদের কেমন সহযোগিতা পাচ্ছেন?
ছেলুন জোয়ার্দ্দার: নিঃসন্দেহে আমাদের কর্মীরা ঐক্যবদ্ধ। দলের পক্ষ থেকে যখন আমাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে তখন থেকে সবাই এক হয়ে কাজ শুরু করেছে। সবাই নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে। তবে আমি শতভাগ আশা করিনা। কারণ আ.লীগ একটি বৃহৎ রাজনৈতিক দল, এরমধ্যে ভাগ থাকবেই। কিন্তু আমার সঙ্গে বেশির ভাগ নেতাকর্মীই রয়েছেন।
গেল ১০ বছরে আপনি উল্লেখযোগ্য কী করেছেন। কেনো জনগণ আপনাকে আবারো ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবে?
ছেলুন জোয়ার্দ্দার: আমাদের চুয়াডাঙ্গায় অনেক কিছুই ছিল না। বিগত সরকারের আমলে যা হয়নি গেল ১০ বছরে অনেক কিছুই হয়েছে। তারা যা স্বপ্নেও ভাবেনি তা কিন্তু দৃশ্যমান হয়েছে। চুয়াডাঙ্গায় ভালো স্টেডিয়াম ছিল না, তা করেছি। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালকে ২৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়েছে, কারিগরী প্রশিক্ষণ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠিত করেছি, যুব উন্নয়ন ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র করেছি, সার্ভার স্টেশন হয়েছে, আলমডাঙ্গায় ২০০ কিলোমিটার রাস্তা করেছি, চুয়াডাঙ্গায় ৮০ কিলোমিটার রাস্তার কাজ করা হচ্ছে, স্কুল-কলেজ-মাদ্রসাগুলোর আমুল পরিবর্তন হয়েছে। জেলার এমন কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নেই যেখানে এই সরকারের আমলে বিল্ডিং হয়নি। জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলেও পিচ রাস্তা হয়েছে। যা এই সরকারের আমলেই হয়েছে। আমি আর কিছু বলবো না, জনগণ এবং সাংবাদিকরা নিজ চোখে দেখে বিচার বিবেচনা করে বলবেন আমাকে নির্বাচিত করা যাবে কী না।
দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে আপনার অপূর্ণ কোন ইচ্ছা আছে কী?
ছেলুন জোয়ার্দ্দার: আমার মূল ইচ্ছা জনগণের সেবা করা। জনগণের সেবায় আমার জীবনটা উৎসর্গ করতে চাই। এখন জনগণ আমার কাছ থেকে, আমাদের সরকারের কাছ থেকে কতটুকু সেবা পাচ্ছে এটাই দেখছি। আর যতটুকু সেবা পেতে বাকী রয়েছে সেটুকু দিতে পারলে আমার স্বার্থকতা। এক কথায় আমার জীবনটা মানুষের সেবায় উৎসর্গ করাটাই আমার শেষ ইচ্ছা।
পরিবারের সঙ্গে কতটা সময় কাটানো হয়?
ছেলুন জোয়ার্দ্দার: পরিবারের সঙ্গে অবসর সময় কাটানো হয়। ছুটি থাকলে তাদের সঙ্গেই থাকি। সারাদিন বাইরে থাকলেও রাতে পরিবারের সঙ্গেই থাকতে হয়। শত ব্যস্ততার মধ্যে যে টুকু সময় দিই তাতে আমার পরিবারের সঙ্গে মধুর সম্পর্ক রয়েছে। সবমিলিয়ে সুখে, শান্তিতেই আছি বেশ।
জীবনটা আসলে আপনার কাছে কী?
ছেলুন জোয়ার্দ্দার: জীবনের ব্যাখ্যা দিয়ে শেষ করা যাবে না। তবে আল্লাহ প্রদত্ত এই জীবনে আমি একজন মুসাফির। কয়দিন ঘুরবো, তারপর আবার আল্লাহ নিয়ে চলে যাবেন। এরমধ্যে যা কিছু করা যায়। জন্মের সময় আমরা কেউ কোন দায়িত্ব নিয়ে আসিনি। তাই যা কিছু করতে হবে নিজে থেকেই। আর তাই করে যাচ্ছি।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে কী বলবেন?
ছেলুন জোয়ার্দ্দার: আমরা একটা আদর্শের উপরে দাড়িয়ে রাজনীতি করছি। বঙ্গবন্ধু আমাদের যে পথ দেখিয়ে গেছেন সেই পথে হাঁটা উচিৎ। কিন্তু এখন আর তেমন কেউ আদর্শকে ধারণ করে না। আদর্শ নিয়ে রাজনীতি করতেও এখন আর খুব বেশি মানুষ আসে না। কর্মীদের উদ্দেশ্যে এ টুকুই বলবো, ‘বঙ্গবন্ধু আমাদের যে আদর্শে অনুপ্রাণিত করেছিলেন সেই আদর্শ বুকে ধারণ করে মানুষের সঙ্গে মিশে তাদের জন্য কাজ করতে হবে’।