ইপেপার । আজমঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে চাই সর্বাত্মক প্রতিরোধ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:০৫:১৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ জুলাই ২০১৮
  • / ৩৮১ বার পড়া হয়েছে

রাজধানীর গুলশানে হলি আর্টিসানে হামলার ঘটনায় ২১ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দেয়া হয়েছে। হয়েছে। যার মধ্যে ১৩ জন নিহত ও বাকি ৮ জনের মধ্যে ৬ জন কারাগারে আটক রয়েছেন। গত সোমবার (২৩ জুলাই) হলি আর্টিসানের খসড়া চার্জশিট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জমা দেয়া হয়েছে। সেখানে অনুমোদিত হলে আদালতে উপস্থাপন করা হবে। চার্জশিটে ২১ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে, যার মধ্যে ৮ জন বিভিন্ন অভিযানে ও ৫ জন হলি আর্টিসানেই নিহত হয়েছেন। এছাড়া জীবিত ৮ জনের মধ্যে ৬ জন কারাগারে ও বাকি দুইজন পলাতক রয়েছেন। সে রাতে ১৭ বিদেশিসহ ২০ জনকে হত্যা করে জঙ্গিরা। হামলার প্রাথমিক প্রতিরোধে নিহত হন দুই পুলিশ কর্মকর্তাও। পরদিন সকালে সেনাবাহিনীর কমান্ডো অভিযান ‘অপারেশন থান্ডারবোল্টে’র মধ্যদিয়ে সঙ্কটের অবসান ঘটে। রাজধানীর গুলশানে হলি আর্টিজানে হামলার পর দেশব্যাপী জঙ্গিবাদবিরোধী একটি বাতাবরণ তৈরি হয়। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সাঁড়াশি অভিযানের মুখে বেরিয়ে আসছে একের পর এক জঙ্গি আস্তানা। ধরা পড়ছে অনেক বিপথগামী। ফলে জঙ্গি দমনে স্বস্তি এলেও শঙ্কা কাটেনি। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বাংলাদেশকে জঙ্গিমুক্ত করতে পারলেই হলি আর্টিসান হামলার ক্ষত কিছুটা হলেও প্রশমন হবে। জঙ্গিবাদের সমস্যা থেকে বাংলাদেশও মুক্ত নয়। বৈশ্বিক এই সমস্যা নিরসনে জিরো টলারেন্স দেখাচ্ছে সরকার। কিন্তু পুরোপুরি জঙ্গি নিপাত করা যায়নি। হলি আর্টিসান হামলার চার্জশীট দেয়া হয়েছে। এটি আশার কথা। এই নারকীয় ঘটনার পেছনে যারা জড়িত তাদের খুঁজে বের করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। জঙ্গিবাদের পেছনে রয়েছে দেশি বিদেশি নানাচক্রও। জঙ্গিদের অর্থের উৎসব বন্ধ করা জরুরি। বন্ধ করতে হবে অস্ত্রের সরবরাহও। জঙ্গিবিরোধী সামাজিক আন্দোলন আরো জোরদার করাটাও এখন সময়ের দাবি। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা বাড়াতে হবে এটা ঠিক কিন্তু জঙ্গিবাদ শুধু আইন-শৃঙ্খলাজনিত সমস্যা নয়। তাই প্রয়োজন সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রতিরোধ। অভিযানে গিয়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর যাতে কোনো ক্ষতি না হয় সে ব্যাপারে আরো সতর্ক থাকতে হবে। সক্ষমতা বাড়াতে হবে আরো। দেখা যাচ্ছে গোটা পরিবারই জঙ্গিবাদে জড়িয়ে যাচ্ছে। নারী ও শিশুরাও জঙ্গিবাদের অভিশাপে জড়িয়ে যাচ্ছে পরিবারের কারণে। ধনাঢ্য পরিবারের পাশাপাশি দরিদ্র ও অসহায়দের ভেড়ানো হচ্ছে জঙ্গিবাদে। এ ব্যাপারে গভীর চিন্তাভাবনা করতে হবে। জঙ্গিতৎপরতা নজরে এলেই সেটি বন্ধে নিতে হবে কার্যকর পদক্ষেপ। সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে চলছে বাংলাদেশ। জঙ্গিবাদ সেখানে বাধা হয়ে দাঁড়াক এটা কখনো কাম্য হতে পারে না। এ জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে। কারণ জঙ্গিবাদ উন্নয়ন ও প্রগতির অন্তরায়। এর অভিশাপ থেকে কেউ মুক্ত নয়। তাই জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে যার যার অবস্থান থেকে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার কোনো বিকল্প নেই।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে চাই সর্বাত্মক প্রতিরোধ

আপলোড টাইম : ১০:০৫:১৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ জুলাই ২০১৮

রাজধানীর গুলশানে হলি আর্টিসানে হামলার ঘটনায় ২১ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দেয়া হয়েছে। হয়েছে। যার মধ্যে ১৩ জন নিহত ও বাকি ৮ জনের মধ্যে ৬ জন কারাগারে আটক রয়েছেন। গত সোমবার (২৩ জুলাই) হলি আর্টিসানের খসড়া চার্জশিট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জমা দেয়া হয়েছে। সেখানে অনুমোদিত হলে আদালতে উপস্থাপন করা হবে। চার্জশিটে ২১ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে, যার মধ্যে ৮ জন বিভিন্ন অভিযানে ও ৫ জন হলি আর্টিসানেই নিহত হয়েছেন। এছাড়া জীবিত ৮ জনের মধ্যে ৬ জন কারাগারে ও বাকি দুইজন পলাতক রয়েছেন। সে রাতে ১৭ বিদেশিসহ ২০ জনকে হত্যা করে জঙ্গিরা। হামলার প্রাথমিক প্রতিরোধে নিহত হন দুই পুলিশ কর্মকর্তাও। পরদিন সকালে সেনাবাহিনীর কমান্ডো অভিযান ‘অপারেশন থান্ডারবোল্টে’র মধ্যদিয়ে সঙ্কটের অবসান ঘটে। রাজধানীর গুলশানে হলি আর্টিজানে হামলার পর দেশব্যাপী জঙ্গিবাদবিরোধী একটি বাতাবরণ তৈরি হয়। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সাঁড়াশি অভিযানের মুখে বেরিয়ে আসছে একের পর এক জঙ্গি আস্তানা। ধরা পড়ছে অনেক বিপথগামী। ফলে জঙ্গি দমনে স্বস্তি এলেও শঙ্কা কাটেনি। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বাংলাদেশকে জঙ্গিমুক্ত করতে পারলেই হলি আর্টিসান হামলার ক্ষত কিছুটা হলেও প্রশমন হবে। জঙ্গিবাদের সমস্যা থেকে বাংলাদেশও মুক্ত নয়। বৈশ্বিক এই সমস্যা নিরসনে জিরো টলারেন্স দেখাচ্ছে সরকার। কিন্তু পুরোপুরি জঙ্গি নিপাত করা যায়নি। হলি আর্টিসান হামলার চার্জশীট দেয়া হয়েছে। এটি আশার কথা। এই নারকীয় ঘটনার পেছনে যারা জড়িত তাদের খুঁজে বের করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। জঙ্গিবাদের পেছনে রয়েছে দেশি বিদেশি নানাচক্রও। জঙ্গিদের অর্থের উৎসব বন্ধ করা জরুরি। বন্ধ করতে হবে অস্ত্রের সরবরাহও। জঙ্গিবিরোধী সামাজিক আন্দোলন আরো জোরদার করাটাও এখন সময়ের দাবি। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা বাড়াতে হবে এটা ঠিক কিন্তু জঙ্গিবাদ শুধু আইন-শৃঙ্খলাজনিত সমস্যা নয়। তাই প্রয়োজন সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রতিরোধ। অভিযানে গিয়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর যাতে কোনো ক্ষতি না হয় সে ব্যাপারে আরো সতর্ক থাকতে হবে। সক্ষমতা বাড়াতে হবে আরো। দেখা যাচ্ছে গোটা পরিবারই জঙ্গিবাদে জড়িয়ে যাচ্ছে। নারী ও শিশুরাও জঙ্গিবাদের অভিশাপে জড়িয়ে যাচ্ছে পরিবারের কারণে। ধনাঢ্য পরিবারের পাশাপাশি দরিদ্র ও অসহায়দের ভেড়ানো হচ্ছে জঙ্গিবাদে। এ ব্যাপারে গভীর চিন্তাভাবনা করতে হবে। জঙ্গিতৎপরতা নজরে এলেই সেটি বন্ধে নিতে হবে কার্যকর পদক্ষেপ। সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে চলছে বাংলাদেশ। জঙ্গিবাদ সেখানে বাধা হয়ে দাঁড়াক এটা কখনো কাম্য হতে পারে না। এ জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে। কারণ জঙ্গিবাদ উন্নয়ন ও প্রগতির অন্তরায়। এর অভিশাপ থেকে কেউ মুক্ত নয়। তাই জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে যার যার অবস্থান থেকে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার কোনো বিকল্প নেই।