ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

ছোট আমলও তুচ্ছ নয়

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৫:০৪:২৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ মে ২০১৭
  • / ৫৯০ বার পড়া হয়েছে

ধর্ম ডেস্ক: দৈনন্দিন জীবনে আমরা ফরজ-ওয়াজিব আমলগুলোর বাইরেও অনেক ছোটখাটো আমল করে থাকি। অনেক সময় এসব আমলের ক্ষেত্রে তেমন গুরুত্ব দিই না। কিন্তু এই আমলগুলোই একদিন আমাদের নাজাতের উসিলা হয়ে যেতে পারে। ময়দানে হাশরে আমাদের কোন আমলটি কাজে আসবে, কোন আমলের কারণে আমরা নাজাত পেয়ে যাব সেটা কেউ জানি না। এজন্য কোনো সামান্য আমলকেও তুচ্ছ ভাবার কারণ নেই। সুতরাং ছোটখাটো আমল করার সুযোগ পেলেও তা গণ্য করা উচিত। অনেক আমল এমন আছে সাধারণত এটাকে দীনের কাজই মনে করা হয় না। মনে করা হয় এটা তো দুনিয়ার কাজ। অথচ এটা অনেক বেশি ফজিলতের কাজ। অনেক বলেন, আমি তো বড় কাজ করব; ছোট কাজ করে কী লাভ! বড় কাজের অপেক্ষায় ছোট কাজ ছেড়ে দেয়া সমীচীন নয়। কারণ কারও জানা নেই, বড় কাজের সুযোগ আদৌ মিলবে কি-না। সেই সময় পর্যন্ত বেঁচে থাকবে কি-না এরও কোনো গ্যারান্টি নেই। সেই সময় কাজ করার সামর্থ্য থাকবে কি-না এরও কোনো নিশ্চয়তা নেই। এসব ব্যাপারে কারো কোনো নির্ভরতা নেই। এজন্য এসব কাজকে তুচ্ছ মনে করে ছেড়ে দেয়া উচিত নয়। হাদিসে রাসুল (সা.) মুমিনের জীবনের নানা দিক সম্পর্কে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছেন। সেখানে অনেক ছোট ছোট নেকির কাজের কথাও উল্লেখ আছে। যেমন রাস্তায় চলতে গিয়ে দেখলেন কোনো কষ্টদায়ক জিনিস পড়ে আছে, সম্ভব হলে এটা রাস্তা থেকে সরিয়ে দিন। এটা অনেক বড় সওয়াবের কাজ। কেউ একটি বোঝা একা মাথায় উঠাতে পারছেন না, তাকে বোঝা উঠাতে সহযোগিতা করলেন এটাও নগণ্য কোনো কাজ নয়। এমনকি একটি প্রাণী পিপাসায় কাতরাচ্ছে, তাকে যদি পানি পানের ব্যবস্থা করে দেন এটাও সওয়াবের কাজ। সামনে যখন কোনো নেক কাজের সুযোগ আসবে সঙ্গে সঙ্গে তা করে নেন। নেক কাজের ক্ষেত্রে কোনো অপেক্ষা করা সমীচীন নয়। কোন নেক কাজ জীবনের নাজাতের উসিলা হয়ে যাবে সেটা আমরা কেউই জানি না। এজন্য নেকির ভা-ার সমৃদ্ধ করতে হবে। তবেই মিলতে পারে নাজাত।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

ছোট আমলও তুচ্ছ নয়

আপলোড টাইম : ০৫:০৪:২৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ মে ২০১৭

ধর্ম ডেস্ক: দৈনন্দিন জীবনে আমরা ফরজ-ওয়াজিব আমলগুলোর বাইরেও অনেক ছোটখাটো আমল করে থাকি। অনেক সময় এসব আমলের ক্ষেত্রে তেমন গুরুত্ব দিই না। কিন্তু এই আমলগুলোই একদিন আমাদের নাজাতের উসিলা হয়ে যেতে পারে। ময়দানে হাশরে আমাদের কোন আমলটি কাজে আসবে, কোন আমলের কারণে আমরা নাজাত পেয়ে যাব সেটা কেউ জানি না। এজন্য কোনো সামান্য আমলকেও তুচ্ছ ভাবার কারণ নেই। সুতরাং ছোটখাটো আমল করার সুযোগ পেলেও তা গণ্য করা উচিত। অনেক আমল এমন আছে সাধারণত এটাকে দীনের কাজই মনে করা হয় না। মনে করা হয় এটা তো দুনিয়ার কাজ। অথচ এটা অনেক বেশি ফজিলতের কাজ। অনেক বলেন, আমি তো বড় কাজ করব; ছোট কাজ করে কী লাভ! বড় কাজের অপেক্ষায় ছোট কাজ ছেড়ে দেয়া সমীচীন নয়। কারণ কারও জানা নেই, বড় কাজের সুযোগ আদৌ মিলবে কি-না। সেই সময় পর্যন্ত বেঁচে থাকবে কি-না এরও কোনো গ্যারান্টি নেই। সেই সময় কাজ করার সামর্থ্য থাকবে কি-না এরও কোনো নিশ্চয়তা নেই। এসব ব্যাপারে কারো কোনো নির্ভরতা নেই। এজন্য এসব কাজকে তুচ্ছ মনে করে ছেড়ে দেয়া উচিত নয়। হাদিসে রাসুল (সা.) মুমিনের জীবনের নানা দিক সম্পর্কে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছেন। সেখানে অনেক ছোট ছোট নেকির কাজের কথাও উল্লেখ আছে। যেমন রাস্তায় চলতে গিয়ে দেখলেন কোনো কষ্টদায়ক জিনিস পড়ে আছে, সম্ভব হলে এটা রাস্তা থেকে সরিয়ে দিন। এটা অনেক বড় সওয়াবের কাজ। কেউ একটি বোঝা একা মাথায় উঠাতে পারছেন না, তাকে বোঝা উঠাতে সহযোগিতা করলেন এটাও নগণ্য কোনো কাজ নয়। এমনকি একটি প্রাণী পিপাসায় কাতরাচ্ছে, তাকে যদি পানি পানের ব্যবস্থা করে দেন এটাও সওয়াবের কাজ। সামনে যখন কোনো নেক কাজের সুযোগ আসবে সঙ্গে সঙ্গে তা করে নেন। নেক কাজের ক্ষেত্রে কোনো অপেক্ষা করা সমীচীন নয়। কোন নেক কাজ জীবনের নাজাতের উসিলা হয়ে যাবে সেটা আমরা কেউই জানি না। এজন্য নেকির ভা-ার সমৃদ্ধ করতে হবে। তবেই মিলতে পারে নাজাত।