ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

ছেলের সুন্নতে খাৎনার কথা বলে মেয়ের বাল্যবিয়ে

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৫:৩২:৫৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১২ অগাস্ট ২০১৭
  • / ৪৭১ বার পড়া হয়েছে

দামুড়হুদা উপজেলার দেউলী গ্রামে অভিনব কায়দায় বাল্যবিবাহ সম্পন্ন
ছেলের সুন্নতে খাৎনার কথা বলে মেয়ের বাল্যবিয়ে
দামুড়হুদা প্রতিনিধি: বাল্যবিবাহ রোধে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন আহমেদ যখন জেলার বিভিন্ন বিদ্যালয় ঘুরে সভা-সেমিনার করে বেড়াচ্ছেন, ঠিক সেই মুহুর্তে দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদের অদুরে দেউলী গ্রামে অভিনব কায়দায় বাল্যবিবাহ সম্পন্ন হয়েছে। প্রশাসনের কর্মকর্তাদের বিষয়টি জানিয়েও বন্ধ হয়নি বাল্যবিবাহ।
জানা যায়, দামুড়হুদা উপজেলা শহরের অদুরবর্তী দেউলী গ্রামের সানোয়ার মিস্ত্রীর কন্যা দামুড়হুদা পাইলট গার্লস হাইস্কুল এ্যান্ড কলেজের ৬ষ্ঠ শ্রেনীর ছাত্রী সাবিনা খাতুন (১৩) এর সাথে চুয়াডাঙ্গা শহরের জনৈক প্রবাসী ছেলের সাথে মোবাইলে বিয়ে পড়িয়ে রাখা হয়। পরবর্তীতে ছেলে দেশে আসলে, গতকাল শুক্রবার দিনক্ষন ধার্য করে ছেলে পক্ষ সাবিনাকে তাদের বাড়িতে নিয়ে যায়। সানোয়ার মিস্ত্রী প্রশাসনের ভয়ে এলাকার মানুষ ও বরযাত্রীদের বলে দেয় কেউ জানতে চাইলে যেন তারা বলে সানোয়ারের ছেলের মুসলমানি ছিলো।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, এ রকমের পন্থা যদি বাল্যবিবাহের বৈধতা দেয়, তবে কোনোভাবে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ কল্পে নেয়া পদক্ষেপ গুলো তুলনামুলক সুফল বয়ে আনতে পারবে না। এ ধরনের সমাজ বিরোধী কাজে যারা সহযোগিতা করেন তাদেরকেও আইনের আওতায় আনতে হবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

ছেলের সুন্নতে খাৎনার কথা বলে মেয়ের বাল্যবিয়ে

আপলোড টাইম : ০৫:৩২:৫৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১২ অগাস্ট ২০১৭

দামুড়হুদা উপজেলার দেউলী গ্রামে অভিনব কায়দায় বাল্যবিবাহ সম্পন্ন
ছেলের সুন্নতে খাৎনার কথা বলে মেয়ের বাল্যবিয়ে
দামুড়হুদা প্রতিনিধি: বাল্যবিবাহ রোধে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন আহমেদ যখন জেলার বিভিন্ন বিদ্যালয় ঘুরে সভা-সেমিনার করে বেড়াচ্ছেন, ঠিক সেই মুহুর্তে দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদের অদুরে দেউলী গ্রামে অভিনব কায়দায় বাল্যবিবাহ সম্পন্ন হয়েছে। প্রশাসনের কর্মকর্তাদের বিষয়টি জানিয়েও বন্ধ হয়নি বাল্যবিবাহ।
জানা যায়, দামুড়হুদা উপজেলা শহরের অদুরবর্তী দেউলী গ্রামের সানোয়ার মিস্ত্রীর কন্যা দামুড়হুদা পাইলট গার্লস হাইস্কুল এ্যান্ড কলেজের ৬ষ্ঠ শ্রেনীর ছাত্রী সাবিনা খাতুন (১৩) এর সাথে চুয়াডাঙ্গা শহরের জনৈক প্রবাসী ছেলের সাথে মোবাইলে বিয়ে পড়িয়ে রাখা হয়। পরবর্তীতে ছেলে দেশে আসলে, গতকাল শুক্রবার দিনক্ষন ধার্য করে ছেলে পক্ষ সাবিনাকে তাদের বাড়িতে নিয়ে যায়। সানোয়ার মিস্ত্রী প্রশাসনের ভয়ে এলাকার মানুষ ও বরযাত্রীদের বলে দেয় কেউ জানতে চাইলে যেন তারা বলে সানোয়ারের ছেলের মুসলমানি ছিলো।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, এ রকমের পন্থা যদি বাল্যবিবাহের বৈধতা দেয়, তবে কোনোভাবে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ কল্পে নেয়া পদক্ষেপ গুলো তুলনামুলক সুফল বয়ে আনতে পারবে না। এ ধরনের সমাজ বিরোধী কাজে যারা সহযোগিতা করেন তাদেরকেও আইনের আওতায় আনতে হবে।