ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

ছুটি নিয়ে স্বাস্থ্য বিভাগের চার নারী চিকিৎসক নিখোঁজ!

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:৫৫:৩৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৯ অক্টোবর ২০১৭
  • / ৩১৩ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহ জেলায় ১৩৩ জন চিকিৎসকের পদ শূন্য : সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে মানুষ

ঝিনাইদহ অফিস: ঝিনাইদহ জেলা ব্যাপী চিকিৎসা সংকটের মধ্যে চার জন নারী চিকিৎসক ছুটি নিয়ে বিদেশে পাড়ি জমিয়েছেন। দফায় দফায় তাদের চিঠি দিয়েও তারা কর্মস্থলে যোগদান করছেন না। খোঁজ না পাওয়া চিকিৎসকরা হলেন ডা. শানজিনা ইয়াসমিন শম্পা, শাহানারা সুলতানা, মুনিরা শারমিন ও সাদিয়া আফরিন মুন্না। তথ্যানুসন্ধান করে জানা গেছে ডা. শানজিদা ইয়াসমিন শম্পা ২০১৪ সালের ২৭ আগষ্ট থেকে নিখোজ রয়েছেন। তার বাড়ি কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার চরকালীদাসপুর (সুতাইল চর) গ্রামে। তার বাবার নাম আব্দুল মান্নান। সিভিল সার্জনের দপ্তর থেকে দফায় দফায় ডাকযোগে তার স্থায়ী ঠিকানায় চিঠি পাঠানো হচ্ছে, কিন্তু কর্মস্থলে যোগদানে কোন সাড়া নেই। একই ভাবে সহকারী সার্জন ডা. শাহানারা সুলতানা ২০০৯ সালের ২ মে থেকে কর্মস্থলে অনুপস্থিত। কোটচাদপুর উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের সহকারী সার্জন ডা. মুনিরা শারমীন ২০১২ সালের ১৭ জুন থেকে এবং হরিনাকুন্ডু উপজেলার রঘুনাথপুর ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের সহকারী সার্জন ডা. সাদিয়া আফরিন মুন্না ২০১৪ সালের ২৫ মে থেকে কর্মস্থলে আসছেন না। ছুটির পর নিখোজ ৪ জন নারী ডাক্তার বিদেশে পাড়ি জমিয়েছেন বলে বিভিন্ন সুত্রে জানা গেছে। এরা কোন দেশে আছে এবং কি করছেন তা জানেন না সিভিল সার্জন ডা. রাশেদা সুলতানা। এদিকে জেলা সদর হাসপাতাল, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র গুলোতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক ডাক্তার নার্স কর্মচারি নেই। তবুও স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনায় ( এইচএসএস) সারা দেশের মধ্যে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ টানা কয়েক মাস টপ-ফাইভে অবস্থান করছে। টপ-ফাইভে অবস্থান ধরে রাখতে জেলার ১৮ লাখ মানুষের স্বাস্থ্য সেবা দিয়ে আসছেন চিকিৎসকরা। এমন দাবী করেছেন ঝিনাইদহের সিভিল সার্জন ডাক্তার রাশেদা সুলতানা। সিভিল সার্জনের দপ্তর সুত্রে জানা গেছে, এ জেলায় প্রথম শ্রেণী থেকে ৪র্থ শ্রেনীর কর্মকর্তা কর্মচারির পদ রয়েছে ১১২৪টি। এর মধ্যে শুন্য পদের সংখ্যা ৩৫৭ টি । ২১০ জন ডাক্তারের পদ রয়েছে । তদস্থলে কর্মরত আছেন মাত্র ৭৭ জন। ১৩৩ জন ডাক্তারের পদ শুন্য। সিভিল সার্জনের দপ্তরে দীর্ঘদিন জেলা স্বাস্থ্য তত্বাবধায়ক  নেই। নেই ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র গুলোতে ডাক্তার। নার্সিং সুপার ভাইজার দুইজন এবং সিনিয়র স্টাফ নার্সের ১১টি পদ শুন্য। সদর হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট চক্ষু ও সিনিয়র কনসালটেন্ট শিশু পদে বছরের পর বছর কোন ডাক্তার নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে না । একই হাসপাতালে জুনিয়ার কসসালটেন্ট রেডিওলজী ও প্যাথলজীর কোন ডাক্তার নেই। জুনিয়ার কনসালটেন্ট সার্জারী ও গাইনী পদে  ডা: মো: কাওসার হামিদ ও ডা: আমীন মোস্তফা আলী নামে দুই মেডিকেল অফিসার চাকরি করছেন। সদর হাসপাতালে জুনিয়ার কনসালটেন্ট এ্যানেস-থেসিয়া পদটি বছরের পর বছর শুন্য। কোটচাদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের জুনিয়ার কনসালটেন্ট চর্ম ও যৌন ডা: মো: হুমায়ুন শাহেদ ডেপুটেশনে (সংযুক্তি) মনিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং  একই হাসপাতালের জরুরী বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা: কাজী জুবায়ের হাসান কুর্মিটুলা জেনারেল হাসাতালে ডেপুটেশনে (সংযুক্তি) চাকরি করছেন। সুত্র জানায় ৩৩ তম বিসিএস থেকে ৭৪ জন, ৩৪ তম থেকে ৪ জন ডাক্তার নিয়োগ দেওয়া হলেও ৩৫ তম বিসিএস থেকে কোন ডাক্তারকে ঝিনাইদহ জেলায় নিয়োগ দেয়া হয়নি। শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সকে ৩১ শয্যা থেকে ৫০ করা হলেও আজো এই হাসপাতালের জনবল  অনুমোদন দেয়নি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রনালয়। প্রাপ্ত তথ্য মতে ঝিনাইদহ জেলায় ৫টি আধুনিক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স রয়েছে। এর মধ্যে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা  কর্মকর্তাসহ ৬ জন, হরিনাকুন্ডু ৭ জন,  শৈলকুপা ৫ জন, কোটচাদপুরে ৫ জন এবং ভারত সীমান্ত সংলগ্ন মহেশপুর উপজেলায় মাত্র ৩ জন চিকিৎসক রয়েছেন। ঝিনাইদহ জেলায় উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র (সাব-সেন্টার) রয়েছে মোট ১৩ টি। সব গুলোতে একজন করে মেডিকেল অফিসারের পদ রয়েছে। ১১ টিতে কোন ডাক্তার নেই। শুধু মাত্র সদর উপজেলার হরিশংকরপুর উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ডা: শাহীন ঢালী ও কাগজ কলমে কালীগঞ্জ উপজেলার বলরামপুর উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ডা: শানজিনা ইয়াসমিন শম্পা কর্মরত আছেন। ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র মোট ৫৪ টি। ২০১৪ সালের দিকে সহকারী সার্জন পদ সৃষ্টি করে সেখানে ডাক্তার নিয়োগ দেওয়া হয়। অথচ আজো কোন ভবন নিমার্ণ করা হয়নি। বিকল্প হিসেবে পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের ইউনিয়ন কেন্দ্র গুলোতে সহকারী সার্জন পদে নিয়োগ পাওয়া ডাক্তারদের দুই বছর তৃণমুলের জনগোষ্ঠিকে চিকিৎসা সেবা দেওয়ার কথা ছিল। কেও চাকরির সেই শর্ত মানেন নি কেও। নানা অজুহাতে দুই বছর পার করেছেন এবং চলে গেছেন তারা। এছাড়াও জেলায় কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করা হয়েছে ১৭৩টি। এর মধ্যে ১২ টিতে আজো হেলথ কেয়ার প্রভাইডার নিয়োগ করা যায়নি। ঝিনাইদহের সিভিল সার্জন ডাক্তার রাশেদা সুলতানা চিকিৎসা সংকটের মধ্যেও সেবার মান নিয়ে সন্তষ্ট প্রকাশ করে বলেন, কিছু জটিলতদার কারণে সব সমস্যার সমাধান করা যাচ্ছে না। তবে দ্রুতই চিকিৎসা সংকট কেটে যাবে। তিনি বলেন, ছুটি নিয়ে নিখোঁজ চার নারী চিকিৎসককে কাজে যোদ দিতে বারবার চিঠি দেওয়া হচ্ছে, কিন্তু তারা সাড়া দিচ্ছে না।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

ছুটি নিয়ে স্বাস্থ্য বিভাগের চার নারী চিকিৎসক নিখোঁজ!

আপলোড টাইম : ০৯:৫৫:৩৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৯ অক্টোবর ২০১৭

ঝিনাইদহ জেলায় ১৩৩ জন চিকিৎসকের পদ শূন্য : সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে মানুষ

ঝিনাইদহ অফিস: ঝিনাইদহ জেলা ব্যাপী চিকিৎসা সংকটের মধ্যে চার জন নারী চিকিৎসক ছুটি নিয়ে বিদেশে পাড়ি জমিয়েছেন। দফায় দফায় তাদের চিঠি দিয়েও তারা কর্মস্থলে যোগদান করছেন না। খোঁজ না পাওয়া চিকিৎসকরা হলেন ডা. শানজিনা ইয়াসমিন শম্পা, শাহানারা সুলতানা, মুনিরা শারমিন ও সাদিয়া আফরিন মুন্না। তথ্যানুসন্ধান করে জানা গেছে ডা. শানজিদা ইয়াসমিন শম্পা ২০১৪ সালের ২৭ আগষ্ট থেকে নিখোজ রয়েছেন। তার বাড়ি কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার চরকালীদাসপুর (সুতাইল চর) গ্রামে। তার বাবার নাম আব্দুল মান্নান। সিভিল সার্জনের দপ্তর থেকে দফায় দফায় ডাকযোগে তার স্থায়ী ঠিকানায় চিঠি পাঠানো হচ্ছে, কিন্তু কর্মস্থলে যোগদানে কোন সাড়া নেই। একই ভাবে সহকারী সার্জন ডা. শাহানারা সুলতানা ২০০৯ সালের ২ মে থেকে কর্মস্থলে অনুপস্থিত। কোটচাদপুর উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের সহকারী সার্জন ডা. মুনিরা শারমীন ২০১২ সালের ১৭ জুন থেকে এবং হরিনাকুন্ডু উপজেলার রঘুনাথপুর ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের সহকারী সার্জন ডা. সাদিয়া আফরিন মুন্না ২০১৪ সালের ২৫ মে থেকে কর্মস্থলে আসছেন না। ছুটির পর নিখোজ ৪ জন নারী ডাক্তার বিদেশে পাড়ি জমিয়েছেন বলে বিভিন্ন সুত্রে জানা গেছে। এরা কোন দেশে আছে এবং কি করছেন তা জানেন না সিভিল সার্জন ডা. রাশেদা সুলতানা। এদিকে জেলা সদর হাসপাতাল, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র গুলোতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক ডাক্তার নার্স কর্মচারি নেই। তবুও স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনায় ( এইচএসএস) সারা দেশের মধ্যে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ টানা কয়েক মাস টপ-ফাইভে অবস্থান করছে। টপ-ফাইভে অবস্থান ধরে রাখতে জেলার ১৮ লাখ মানুষের স্বাস্থ্য সেবা দিয়ে আসছেন চিকিৎসকরা। এমন দাবী করেছেন ঝিনাইদহের সিভিল সার্জন ডাক্তার রাশেদা সুলতানা। সিভিল সার্জনের দপ্তর সুত্রে জানা গেছে, এ জেলায় প্রথম শ্রেণী থেকে ৪র্থ শ্রেনীর কর্মকর্তা কর্মচারির পদ রয়েছে ১১২৪টি। এর মধ্যে শুন্য পদের সংখ্যা ৩৫৭ টি । ২১০ জন ডাক্তারের পদ রয়েছে । তদস্থলে কর্মরত আছেন মাত্র ৭৭ জন। ১৩৩ জন ডাক্তারের পদ শুন্য। সিভিল সার্জনের দপ্তরে দীর্ঘদিন জেলা স্বাস্থ্য তত্বাবধায়ক  নেই। নেই ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র গুলোতে ডাক্তার। নার্সিং সুপার ভাইজার দুইজন এবং সিনিয়র স্টাফ নার্সের ১১টি পদ শুন্য। সদর হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট চক্ষু ও সিনিয়র কনসালটেন্ট শিশু পদে বছরের পর বছর কোন ডাক্তার নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে না । একই হাসপাতালে জুনিয়ার কসসালটেন্ট রেডিওলজী ও প্যাথলজীর কোন ডাক্তার নেই। জুনিয়ার কনসালটেন্ট সার্জারী ও গাইনী পদে  ডা: মো: কাওসার হামিদ ও ডা: আমীন মোস্তফা আলী নামে দুই মেডিকেল অফিসার চাকরি করছেন। সদর হাসপাতালে জুনিয়ার কনসালটেন্ট এ্যানেস-থেসিয়া পদটি বছরের পর বছর শুন্য। কোটচাদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের জুনিয়ার কনসালটেন্ট চর্ম ও যৌন ডা: মো: হুমায়ুন শাহেদ ডেপুটেশনে (সংযুক্তি) মনিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং  একই হাসপাতালের জরুরী বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা: কাজী জুবায়ের হাসান কুর্মিটুলা জেনারেল হাসাতালে ডেপুটেশনে (সংযুক্তি) চাকরি করছেন। সুত্র জানায় ৩৩ তম বিসিএস থেকে ৭৪ জন, ৩৪ তম থেকে ৪ জন ডাক্তার নিয়োগ দেওয়া হলেও ৩৫ তম বিসিএস থেকে কোন ডাক্তারকে ঝিনাইদহ জেলায় নিয়োগ দেয়া হয়নি। শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সকে ৩১ শয্যা থেকে ৫০ করা হলেও আজো এই হাসপাতালের জনবল  অনুমোদন দেয়নি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রনালয়। প্রাপ্ত তথ্য মতে ঝিনাইদহ জেলায় ৫টি আধুনিক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স রয়েছে। এর মধ্যে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা  কর্মকর্তাসহ ৬ জন, হরিনাকুন্ডু ৭ জন,  শৈলকুপা ৫ জন, কোটচাদপুরে ৫ জন এবং ভারত সীমান্ত সংলগ্ন মহেশপুর উপজেলায় মাত্র ৩ জন চিকিৎসক রয়েছেন। ঝিনাইদহ জেলায় উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র (সাব-সেন্টার) রয়েছে মোট ১৩ টি। সব গুলোতে একজন করে মেডিকেল অফিসারের পদ রয়েছে। ১১ টিতে কোন ডাক্তার নেই। শুধু মাত্র সদর উপজেলার হরিশংকরপুর উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ডা: শাহীন ঢালী ও কাগজ কলমে কালীগঞ্জ উপজেলার বলরামপুর উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ডা: শানজিনা ইয়াসমিন শম্পা কর্মরত আছেন। ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র মোট ৫৪ টি। ২০১৪ সালের দিকে সহকারী সার্জন পদ সৃষ্টি করে সেখানে ডাক্তার নিয়োগ দেওয়া হয়। অথচ আজো কোন ভবন নিমার্ণ করা হয়নি। বিকল্প হিসেবে পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের ইউনিয়ন কেন্দ্র গুলোতে সহকারী সার্জন পদে নিয়োগ পাওয়া ডাক্তারদের দুই বছর তৃণমুলের জনগোষ্ঠিকে চিকিৎসা সেবা দেওয়ার কথা ছিল। কেও চাকরির সেই শর্ত মানেন নি কেও। নানা অজুহাতে দুই বছর পার করেছেন এবং চলে গেছেন তারা। এছাড়াও জেলায় কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করা হয়েছে ১৭৩টি। এর মধ্যে ১২ টিতে আজো হেলথ কেয়ার প্রভাইডার নিয়োগ করা যায়নি। ঝিনাইদহের সিভিল সার্জন ডাক্তার রাশেদা সুলতানা চিকিৎসা সংকটের মধ্যেও সেবার মান নিয়ে সন্তষ্ট প্রকাশ করে বলেন, কিছু জটিলতদার কারণে সব সমস্যার সমাধান করা যাচ্ছে না। তবে দ্রুতই চিকিৎসা সংকট কেটে যাবে। তিনি বলেন, ছুটি নিয়ে নিখোঁজ চার নারী চিকিৎসককে কাজে যোদ দিতে বারবার চিঠি দেওয়া হচ্ছে, কিন্তু তারা সাড়া দিচ্ছে না।