ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

ছাত্রদল-পুলিশ সংঘর্ষে প্রেসক্লাব রণক্ষেত্র

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:১৩:৩৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১ মার্চ ২০২১
  • / ৯৩ বার পড়া হয়েছে

দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, লাঠিচার্জে অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মী আহত
সমীকরণ প্রতিবেদন:
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল ও কারাগারে লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর প্রতিবাদে ছাত্রদলের প্রতিবাদ সমাবেশকে কেন্দ্র করে পুলিশের সাথে দফায় দফায় সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। নেতা-কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশের লাঠিচার্জ, টিয়ারশেল নিক্ষেপ ও নেতাকর্মীদের ইট-পাটকেল নিক্ষেপে জাতীয় প্রেসক্লাব এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। সাধারণ মানুষ এদিক-ওদিকে ছুটতে শুরু করে। পুলিশের সাথে নেতাকর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধওয়ার মধ্যেই পুলিশ ২০ রাউন্ডের ওপর টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ এবং বেপরোয়া লাঠিচার্জ করে। ছাত্রদলের বিক্ষুব্ধ ছাত্ররা দফায় দফায় প্রতিবাদ জানায়। পুলিশও বেপরোয়া লাঠিপেটা করতে থাকে। পরে পুলিশ বিক্ষুব্ধ ছাত্রদের রুখতে রাবার বুলেটও ছুঁড়তে দেখেছে প্রত্যক্ষদর্শীরা। এই ঘটনায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেল, ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন, সহ-সভাপতি মামুন খান, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েলসহ অর্ধ শতাধিক নেতা-কর্মী আহত হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ছাত্রদলের বেশ কয়েকজনকে আটক করেছে। গতকাল রোববার ছাত্রদলের এই বিক্ষোভ সমাবেশে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখার কথা ছিল।
এর আগে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বিক্ষোভ সমাবেশে অংশ নিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমবেত হতে থাকে। সকাল ১১টায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল জাতীয় প্রেসক্লাবের চত্বরে এসে পুলিশের কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলেন। পুলিশ সোহেলকে জানিয়ে দেয় অনুমতি ছাড়া কোনো সমাবেশ প্রেসক্লাবের সামনে করা যাবে না। এ সময়ে ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন ও সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামলসহ ছাত্রদলের সিনিয়র নেতারাও ছিলেন। পুলিশের সাথে আলোচনার পরপরই সোহেল জাতীয় প্রেসক্লাবের মূল গেইট দিয়ে বাইরে এসে ফুটপাতে নেতাকর্মী নিয়ে সমবেত হলে পুলিশ অ্যাকশনে যায়। শুরু হয় পুলিশের লাঠিচার্জ। এরকম পরিস্থিতিতে পুলিশের লাঠিপেটায় ছাত্রদল কর্মীরা প্রেসক্লাব চত্বরে আশ্রয় নিয়ে সেখান থেকে প্রতিবাদ জানাতে থাকে। সেখান থেকে পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে কেউ কেউ। পরে পুলিশের একটি দল জাতীয় প্রেসক্লাবের ভেতরে প্রবেশ করে লাঠিচার্জ করে এবং কয়েক রাউন্ড টিয়ারসেল ছুঁড়ে।
এই ঘটনার পরপর দ্বিতীয় দফায় আবারো ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা বিভিন্ন জায়গায় একত্রিত হয়ে প্রতিবাদ করলে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা পুলিশের মারমুখী অবস্থানের মধ্যেও ‘মুশতাক হত্যার বিচার চাই’, ‘খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান এগিয়ে চলো, আমরা আছি তোমাদের সাথে’ ইত্যাদি শ্লোগান দিতে থাকে। ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের ইটপাটকেল নিক্ষেপে কয়েকজন পুলিশ কনস্টেবলও আহত হয়েছে। পেশাগত দায়িত্ব পালনের এটিএন বাংলার সিনিয়র ক্যামেরাপারসন মামুনসহ কয়েকজন সাংবাদিকও আহত হন। এছাড়া জাতীয় প্রেসক্লাবের ভেতরে পুলিশের লাঠিচার্জের ঘটনায় প্রেস ক্লাবের ৫/৬ জন কর্মচারিরা আহত হন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

ছাত্রদল-পুলিশ সংঘর্ষে প্রেসক্লাব রণক্ষেত্র

আপলোড টাইম : ০৯:১৩:৩৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১ মার্চ ২০২১

দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, লাঠিচার্জে অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মী আহত
সমীকরণ প্রতিবেদন:
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল ও কারাগারে লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর প্রতিবাদে ছাত্রদলের প্রতিবাদ সমাবেশকে কেন্দ্র করে পুলিশের সাথে দফায় দফায় সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। নেতা-কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশের লাঠিচার্জ, টিয়ারশেল নিক্ষেপ ও নেতাকর্মীদের ইট-পাটকেল নিক্ষেপে জাতীয় প্রেসক্লাব এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। সাধারণ মানুষ এদিক-ওদিকে ছুটতে শুরু করে। পুলিশের সাথে নেতাকর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধওয়ার মধ্যেই পুলিশ ২০ রাউন্ডের ওপর টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ এবং বেপরোয়া লাঠিচার্জ করে। ছাত্রদলের বিক্ষুব্ধ ছাত্ররা দফায় দফায় প্রতিবাদ জানায়। পুলিশও বেপরোয়া লাঠিপেটা করতে থাকে। পরে পুলিশ বিক্ষুব্ধ ছাত্রদের রুখতে রাবার বুলেটও ছুঁড়তে দেখেছে প্রত্যক্ষদর্শীরা। এই ঘটনায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেল, ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন, সহ-সভাপতি মামুন খান, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েলসহ অর্ধ শতাধিক নেতা-কর্মী আহত হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ছাত্রদলের বেশ কয়েকজনকে আটক করেছে। গতকাল রোববার ছাত্রদলের এই বিক্ষোভ সমাবেশে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখার কথা ছিল।
এর আগে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বিক্ষোভ সমাবেশে অংশ নিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমবেত হতে থাকে। সকাল ১১টায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল জাতীয় প্রেসক্লাবের চত্বরে এসে পুলিশের কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলেন। পুলিশ সোহেলকে জানিয়ে দেয় অনুমতি ছাড়া কোনো সমাবেশ প্রেসক্লাবের সামনে করা যাবে না। এ সময়ে ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন ও সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামলসহ ছাত্রদলের সিনিয়র নেতারাও ছিলেন। পুলিশের সাথে আলোচনার পরপরই সোহেল জাতীয় প্রেসক্লাবের মূল গেইট দিয়ে বাইরে এসে ফুটপাতে নেতাকর্মী নিয়ে সমবেত হলে পুলিশ অ্যাকশনে যায়। শুরু হয় পুলিশের লাঠিচার্জ। এরকম পরিস্থিতিতে পুলিশের লাঠিপেটায় ছাত্রদল কর্মীরা প্রেসক্লাব চত্বরে আশ্রয় নিয়ে সেখান থেকে প্রতিবাদ জানাতে থাকে। সেখান থেকে পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে কেউ কেউ। পরে পুলিশের একটি দল জাতীয় প্রেসক্লাবের ভেতরে প্রবেশ করে লাঠিচার্জ করে এবং কয়েক রাউন্ড টিয়ারসেল ছুঁড়ে।
এই ঘটনার পরপর দ্বিতীয় দফায় আবারো ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা বিভিন্ন জায়গায় একত্রিত হয়ে প্রতিবাদ করলে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা পুলিশের মারমুখী অবস্থানের মধ্যেও ‘মুশতাক হত্যার বিচার চাই’, ‘খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান এগিয়ে চলো, আমরা আছি তোমাদের সাথে’ ইত্যাদি শ্লোগান দিতে থাকে। ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের ইটপাটকেল নিক্ষেপে কয়েকজন পুলিশ কনস্টেবলও আহত হয়েছে। পেশাগত দায়িত্ব পালনের এটিএন বাংলার সিনিয়র ক্যামেরাপারসন মামুনসহ কয়েকজন সাংবাদিকও আহত হন। এছাড়া জাতীয় প্রেসক্লাবের ভেতরে পুলিশের লাঠিচার্জের ঘটনায় প্রেস ক্লাবের ৫/৬ জন কর্মচারিরা আহত হন।