ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

ছাত্রদল নেতার জানাজায় মানুষের ঢল

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৩:৩৯:৪৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৩
  • / ১২ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ প্রতিবেদন:

ক্রন্দন নয়, জেগে ওঠার ডাক দিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ভোলা ছাত্রদলের সভাপতি নূরে আলমের নামাজে জানাজার আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে উপস্থিত হাজার হাজার নেতাকর্মীর উদ্দেশে এই আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, আন্দোলনের মধ্য দিয়ে সরকার পতন ঘটাতে হবে। বর্তমান অবস্থা থেকে উত্তরণ ঘটাতে প্রয়োজন সমগ্র জাতির ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে গণ আন্দোলন সৃষ্টি করে আমাদের এই সন্তান, আমাদের ভাই নূরে আলমের হত্যার প্রতিশোধ নেবো ইনশাআল্লাহ। আজকে আমি আপনাদেরকে অনুরোধ করব- আপনারা সবাই শান্ত থাকবেন। শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আমরা ইনশাআল্লাহ আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছাতে সক্ষম হবো। মির্জা ফখরুল বলেন, আর কোনো ক্রন্দন নয়, এখন আমাদেরকে জেগে উঠতে হবে। এই ভয়াবহ কর্তৃত্ববাদী ফ্যাসিবাদী সরকারের নির্যাতনের হাত থেকে জাতিকে রক্ষা করতে হবে। আমাদের গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করতে হবে, গণতন্ত্রের মাতা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে, আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে নিয়ে এসে ৩৫ লাখ মামলার অবসান ঘটাতে হবে।

ভোলা ছাত্রদলের সভাপতি নূরে আলমের নামাজে জানাজা গত বুধবার সন্ধ্যায় হওয়ার কথা থাকলেও পোস্টমোর্টেমসহ আনুষঙ্গিক কার্যক্রমের জন্য লাশ আনা যায়নি নয়াপল্টনে। এসব কাজ শেষে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গ থেকে গতকাল বেলা ১২টা ৪৫ মিনিটে কফিন নয়াপল্টন কার্যালয়ের সামনে এসে পৌঁছায়। কফিন এলে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের অনেককে কাঁদতে দেখা যায়। নূরে আলমের নামাজে জানাজায় অংশ নিতে সকাল থেকে হাজার হাজার নেতাকর্মী নয়াপল্টনের সড়কে অবস্থান নেয়। ফলে এই সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। জানাজার আগে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল সভাপতি কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণ, সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল ও নূরে আলমের বড় ভাই জাকির হোসেন সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন। জানাজায় অংশ নিতে সকাল ৯টা থেকে নেতাকর্মীরা নয়াপল্টনের কার্যালয়ের সামনে সমবেত হতে থাকে। ফকিরাপুল থেকে পল্টন পর্যন্ত নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে তা সমাবেশে রূপ নেয়। জানাজা শেষে নূরে আলমের কফিন বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সটি ভোলার উদ্দেশে রওনা হয়।

আবেগাপ্লুত কণ্ঠে মির্জা ফখরুল বলেন, বাবার কাঁধে ছেলের লাশ। এর চেয়ে বড় বেদনার আর যন্ত্রণার কিছু নেই। আজকে আমাদের সামনে আমাদের ছেলে ভোলা ছাত্রদলের সভাপতি নূরে আলম, তাকে গুলি করে হত্যা করেছে এই ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পুলিশ বাহিনী। গুলি করে হত্যা করেছে ভোলা জেলার স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আবদুর রহিমকে। আরো ১৯ জন ঢাকায় ও বরিশাল হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে লড়ছে। এটা আজকে নতুন নয়। এই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকেই তারা একদলীয় সরকার পাকাপোক্ত করতে ১৫ বছর ধরে আমাদের ছয় শ’ নেতাকর্মীকে গুম করেছে, সহস্রাধিক নেতাকর্মীকে খুন করেছে, ৩৫ লাখের বেশি আমাদের নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে।

শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন:

বেলা পৌনে ১টার দিকে নূরে আলমের লাশ নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আনা হলে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ নেতৃবৃন্দ তার কফিনে দলীয় পতাকা মুড়ে দিয়ে এতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে তার প্রতি শ্রদ্ধা জানায়। এ সময় ছাত্রদলের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ সিনিয়র সহসভাপতি রাশেদ ইকবাল খান, সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম রাকিব, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু আফসান ইয়াহিয়াসহ অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, গত ৩১ জুলাই ভোলায় বিদ্যুতের লোডশেডিং ও জ্বালানি খাতে অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশে পুলিশ গুলিবর্ষণ করলে মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন নূরে আলম। তাকে দ্রুত ঢাকায় নিয়ে আসা হয়। গত বুধবার ঢাকার কমফোর্ট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান নূরে আলম। ওই ঘটনায় ঘটনাস্থলেই মারা যায় স্বেচ্ছাসেবক দলের স্থানীয় নেতা আবদুর রহিমও।

নামাজে জানাজায় মানুষের ঢল:

গতকাল নামাজে জানাজায় অসংখ্য নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেন। তন্মধ্যে বিএনপির মহাসচিব ও স্থায়ী কমিটির সদস্যরা ছাড়াও কেন্দ্রীয় নেতা ডা: এ জেড এম জাহিদ হোসেন, আহমেদ আযম খান, জয়নুল আবদিন ফারুক, হাবিবুর রহমান হাবিব, খায়রুল কবির খোকন, হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, ফজলুল হক মিলন, শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, কামরুজ্জামান রতন, মীর সরফত আলী সপু, ডা: রফিকুল ইসলাম, মো: মুনির হোসেন, তারিকুল আলম তেনজিং, আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারী, মীর আশরাফ আলী আযম, সাইফুল আলম নীরব, ঢাকা জেলা বিএনপির খন্দকার আবু আশফাক, ঢাকা মহানগর বিএনপির রফিকুল আলম মজনু, আমিনুল হক, প্রকৌশলী ইশরাক হোসেন, অঙ্গসংগঠনের সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, মামুন হাসান, শফিকুল ইসলাম মিল্টন, গোলাম মাওলা শাহিন, মোস্তাফিজুর রহমান, আব্দুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল, অধ্যাপক ইমতিয়াজ বকুল, সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, হাসান জাফির তুহিন, শহিদুল ইসলাম বাবুল, আনোয়ার হোসাইনসহ কয়েক হাজার নেতাকর্মী অংশ নেন। অন্যদের মধ্যে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা: জাফরুল্লাহ চৌধুরী, ভাসানী অনুসারী পরিষদের শেখ রফিকুল ইসলাম বাবুল, এলডিপির ড. রেদোয়ান আহমেদ, শাহাদাত হোসেন সেলিম, এনপিপির ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, ন্যাপ-ভাসানীর আজহারুল ইসলাম, জাগপার খন্দকার লুতফর রহমান, জাতীয় দলের সৈয়দ এহসানুল হুদা, ডিএলের সাইফুদ্দিন মনি, এনডিপির আবু তাহেরসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সংগঠনের নেতৃবৃন্দ জানাজায় ছিলেন। জানাজা শেষে নূরে আলমের রূহের মাগফিরাত কামনায় বিশেষ মুনাজাত করা হয়।

বিএনপির শোক ও অঙ্গসংগঠনের কর্মসূচি:

নূরে আলমের মৃত্যুতে ৫ থেকে ৭ আগস্ট তিন দিনের শোক পালনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, এই সময়ে সারা দেশে দলীয় কার্যালয়ে দলীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে, কালো পতাকা উত্তোলন করা হবে। এ ছাড়া হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদের অঙ্গসংগঠনগুলো কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। কর্মসূচির মধ্যে ৬ আগস্ট ছাত্রদল ৭ আগস্ট কৃষক দল, ৮ আগস্ট যুবদল, ১০ আগস্ট শ্রমিক দল, ১১ আগস্ট মহিলা দল এবং ১২ আগস্ট স্বেচ্ছাসেবক দল সমাবেশ করবে। কৃষক দল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সমাবেশ ঢাকাসহ সারা দেশে হবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

ছাত্রদল নেতার জানাজায় মানুষের ঢল

আপলোড টাইম : ০৩:৩৯:৪৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৩

সমীকরণ প্রতিবেদন:

ক্রন্দন নয়, জেগে ওঠার ডাক দিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ভোলা ছাত্রদলের সভাপতি নূরে আলমের নামাজে জানাজার আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে উপস্থিত হাজার হাজার নেতাকর্মীর উদ্দেশে এই আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, আন্দোলনের মধ্য দিয়ে সরকার পতন ঘটাতে হবে। বর্তমান অবস্থা থেকে উত্তরণ ঘটাতে প্রয়োজন সমগ্র জাতির ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে গণ আন্দোলন সৃষ্টি করে আমাদের এই সন্তান, আমাদের ভাই নূরে আলমের হত্যার প্রতিশোধ নেবো ইনশাআল্লাহ। আজকে আমি আপনাদেরকে অনুরোধ করব- আপনারা সবাই শান্ত থাকবেন। শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আমরা ইনশাআল্লাহ আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছাতে সক্ষম হবো। মির্জা ফখরুল বলেন, আর কোনো ক্রন্দন নয়, এখন আমাদেরকে জেগে উঠতে হবে। এই ভয়াবহ কর্তৃত্ববাদী ফ্যাসিবাদী সরকারের নির্যাতনের হাত থেকে জাতিকে রক্ষা করতে হবে। আমাদের গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করতে হবে, গণতন্ত্রের মাতা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে, আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে নিয়ে এসে ৩৫ লাখ মামলার অবসান ঘটাতে হবে।

ভোলা ছাত্রদলের সভাপতি নূরে আলমের নামাজে জানাজা গত বুধবার সন্ধ্যায় হওয়ার কথা থাকলেও পোস্টমোর্টেমসহ আনুষঙ্গিক কার্যক্রমের জন্য লাশ আনা যায়নি নয়াপল্টনে। এসব কাজ শেষে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গ থেকে গতকাল বেলা ১২টা ৪৫ মিনিটে কফিন নয়াপল্টন কার্যালয়ের সামনে এসে পৌঁছায়। কফিন এলে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের অনেককে কাঁদতে দেখা যায়। নূরে আলমের নামাজে জানাজায় অংশ নিতে সকাল থেকে হাজার হাজার নেতাকর্মী নয়াপল্টনের সড়কে অবস্থান নেয়। ফলে এই সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। জানাজার আগে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল সভাপতি কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণ, সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল ও নূরে আলমের বড় ভাই জাকির হোসেন সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন। জানাজায় অংশ নিতে সকাল ৯টা থেকে নেতাকর্মীরা নয়াপল্টনের কার্যালয়ের সামনে সমবেত হতে থাকে। ফকিরাপুল থেকে পল্টন পর্যন্ত নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে তা সমাবেশে রূপ নেয়। জানাজা শেষে নূরে আলমের কফিন বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সটি ভোলার উদ্দেশে রওনা হয়।

আবেগাপ্লুত কণ্ঠে মির্জা ফখরুল বলেন, বাবার কাঁধে ছেলের লাশ। এর চেয়ে বড় বেদনার আর যন্ত্রণার কিছু নেই। আজকে আমাদের সামনে আমাদের ছেলে ভোলা ছাত্রদলের সভাপতি নূরে আলম, তাকে গুলি করে হত্যা করেছে এই ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পুলিশ বাহিনী। গুলি করে হত্যা করেছে ভোলা জেলার স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আবদুর রহিমকে। আরো ১৯ জন ঢাকায় ও বরিশাল হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে লড়ছে। এটা আজকে নতুন নয়। এই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকেই তারা একদলীয় সরকার পাকাপোক্ত করতে ১৫ বছর ধরে আমাদের ছয় শ’ নেতাকর্মীকে গুম করেছে, সহস্রাধিক নেতাকর্মীকে খুন করেছে, ৩৫ লাখের বেশি আমাদের নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে।

শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন:

বেলা পৌনে ১টার দিকে নূরে আলমের লাশ নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আনা হলে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ নেতৃবৃন্দ তার কফিনে দলীয় পতাকা মুড়ে দিয়ে এতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে তার প্রতি শ্রদ্ধা জানায়। এ সময় ছাত্রদলের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ সিনিয়র সহসভাপতি রাশেদ ইকবাল খান, সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম রাকিব, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু আফসান ইয়াহিয়াসহ অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, গত ৩১ জুলাই ভোলায় বিদ্যুতের লোডশেডিং ও জ্বালানি খাতে অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশে পুলিশ গুলিবর্ষণ করলে মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন নূরে আলম। তাকে দ্রুত ঢাকায় নিয়ে আসা হয়। গত বুধবার ঢাকার কমফোর্ট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান নূরে আলম। ওই ঘটনায় ঘটনাস্থলেই মারা যায় স্বেচ্ছাসেবক দলের স্থানীয় নেতা আবদুর রহিমও।

নামাজে জানাজায় মানুষের ঢল:

গতকাল নামাজে জানাজায় অসংখ্য নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেন। তন্মধ্যে বিএনপির মহাসচিব ও স্থায়ী কমিটির সদস্যরা ছাড়াও কেন্দ্রীয় নেতা ডা: এ জেড এম জাহিদ হোসেন, আহমেদ আযম খান, জয়নুল আবদিন ফারুক, হাবিবুর রহমান হাবিব, খায়রুল কবির খোকন, হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, ফজলুল হক মিলন, শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, কামরুজ্জামান রতন, মীর সরফত আলী সপু, ডা: রফিকুল ইসলাম, মো: মুনির হোসেন, তারিকুল আলম তেনজিং, আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারী, মীর আশরাফ আলী আযম, সাইফুল আলম নীরব, ঢাকা জেলা বিএনপির খন্দকার আবু আশফাক, ঢাকা মহানগর বিএনপির রফিকুল আলম মজনু, আমিনুল হক, প্রকৌশলী ইশরাক হোসেন, অঙ্গসংগঠনের সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, মামুন হাসান, শফিকুল ইসলাম মিল্টন, গোলাম মাওলা শাহিন, মোস্তাফিজুর রহমান, আব্দুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল, অধ্যাপক ইমতিয়াজ বকুল, সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, হাসান জাফির তুহিন, শহিদুল ইসলাম বাবুল, আনোয়ার হোসাইনসহ কয়েক হাজার নেতাকর্মী অংশ নেন। অন্যদের মধ্যে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা: জাফরুল্লাহ চৌধুরী, ভাসানী অনুসারী পরিষদের শেখ রফিকুল ইসলাম বাবুল, এলডিপির ড. রেদোয়ান আহমেদ, শাহাদাত হোসেন সেলিম, এনপিপির ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, ন্যাপ-ভাসানীর আজহারুল ইসলাম, জাগপার খন্দকার লুতফর রহমান, জাতীয় দলের সৈয়দ এহসানুল হুদা, ডিএলের সাইফুদ্দিন মনি, এনডিপির আবু তাহেরসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সংগঠনের নেতৃবৃন্দ জানাজায় ছিলেন। জানাজা শেষে নূরে আলমের রূহের মাগফিরাত কামনায় বিশেষ মুনাজাত করা হয়।

বিএনপির শোক ও অঙ্গসংগঠনের কর্মসূচি:

নূরে আলমের মৃত্যুতে ৫ থেকে ৭ আগস্ট তিন দিনের শোক পালনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, এই সময়ে সারা দেশে দলীয় কার্যালয়ে দলীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে, কালো পতাকা উত্তোলন করা হবে। এ ছাড়া হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদের অঙ্গসংগঠনগুলো কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। কর্মসূচির মধ্যে ৬ আগস্ট ছাত্রদল ৭ আগস্ট কৃষক দল, ৮ আগস্ট যুবদল, ১০ আগস্ট শ্রমিক দল, ১১ আগস্ট মহিলা দল এবং ১২ আগস্ট স্বেচ্ছাসেবক দল সমাবেশ করবে। কৃষক দল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সমাবেশ ঢাকাসহ সারা দেশে হবে।