ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

ছাউনী উধাও; খোলা আকাশের নিচে শিক্ষার্থীরা!

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:১৫:৪০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০১৯
  • / ৩০৮ বার পড়া হয়েছে

All-focus

দামুড়হুদায় কালবৈশাখীর তান্ডব : মাদরাসার শ্রেণিকক্ষের
প্রতিবেদক, দামুড়হুদা:
দামুড়হুদায় কালবৈশাখী ঝড়ের তান্ডবে জয়রামপুর ডিএস দাখিল মাদরাসার ৩টি শ্রেণিকক্ষের টিনের ছাউনী উড়ে গেছে। ফলে গতকাল বুধবার খোলা আকাশের নীচে শিক্ষার্থীদের ক্লাস নিতে হয়েছে বলে জানিয়েছেন মাদরাসার সুপার মাওলানা শহিদুল ইসলাম। চুয়াডাঙ্গা-জীবননগর সড়কের দু’ধারের গাছপালা ভেঙ্গে তছনছ হয়ে গেছে। গাছপালা ভেঙ্গে বিদ্যুতের তার ছিড়ে বিদ্যুত সংযোগ বন্ধ হয়ে যায়। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে গতকাল রাত ৯টা পর্যন্ত বিদ্যুত সরবরাহ বন্ধ থাকায় গোসলসহ প্রয়োজনীয় কাজকর্ম সারতে পারেনি অনেকেই। এ ছাড়া মাঠে থাকা ধান, পেঁপে বাগান ও কলাবাগানের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বিদ্যুত সংযোগ সচল করতে গতকাল বুধবার ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অক্লান্ত পরিশ্রম করতে হয়েছে বিদ্যুত বিভাগের লোকজনকে।
দামুড়হুদা উপজেলা কৃষি অফিসার মোহাম্মদ শামিউর রহমান জানান, দামুড়হুদা উপজেলায় চলতি মরসুমে মোট ৮ হাজার ৯০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে। এরমধ্যে গত মঙ্গলবারের কালবৈশাখী ঝড়ে ৮০৯ হেক্টর জমির বোরো ধান নুয়ে পড়েছে। ২৩০ হেক্টর পেঁপে বাগানের মধ্যে ৪৫ হেক্টর জমির পেঁপে বাগান এবং ১৭১ হেক্টর কলা বাগানের মধ্যে ৯ হেক্টর জমির কলা বাগান ঝড়ে বিনষ্ট হয়েছে। এছাড়া ১৭৫ হেক্টর পানবরজের মধ্যে ৩৫ হেক্টর জমির পানবরজ ভেঙ্গে গেছে। তবে পানের বিশেষ ক্ষতি হয়নি। ২০ ভাগ আমের মুকুল ঝরে পড়েছে। তবে মোট ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করতে কয়েক দিন সময় লাগবে।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার রাত ৮টার পরপরই দামুড়হুদায় শুরু হয় বৃষ্টিসহ কালবৈশাখী ঝড়। প্রায় ১০ থেকে ১৫ মিনিটের কালবৈশাখী ঝড়ে এলাকার গাছপালা ভেঙ্গে তছনছ হয়ে যায়। উপজেলা পরিষদ চত্তরের দুটি লম্বু গাছ ও একটি কদম গাছ ভেঙ্গে গেছে। বিদ্যুতের তার ছিড়ে বিদ্যুত সংযোগ বন্ধ হয়ে যায়। বিদ্যুত না থাকায় এক ভূতুড়ে অন্ধকার পরিবেশে তৈরী হয়। দামুড়হুদা গালর্স স্কুলের সামনে মার্কেটের এক পাশের টিনের সেড ভেঙ্গে গেছে। দামুড়হুদা বাসস্ট্যান্ডস্থ সাপ্তাহিক হাটের মধ্যে একটি বড় বটগাছ উপড়ে গিয়ে বেশ কয়েকটি দোকানঘর ভেঙ্গে তছনছ হয়েছে। দামুড়হুদা বাজারের বিভিন্ন দোকানের সাইনবোর্ড উড়ে গেছে। চুয়াডাঙ্গা-জীবননগর সড়কে দামুড়হুদা উজিরপুর থেকে ব্র্যাক মোড় এবং জয়রামপুর শেখপাড়া থেকে দর্শনা হঠাৎপাড়া পর্যন্ত সড়কের দু’ধারের অসংখ্য গাছপালা ভেঙ্গে পড়ায় প্রায় দু’ঘন্টাব্যাপি সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সড়কে পড়ে থাকা গাছপালা অপসারণে পুলিশ প্রশাসনকে হিমশিম খেতে হয়েছে। এ ছাড়া মাঠে থাকা ধান, পেঁপেবাগান, কলাবাগানসহ বিভিন্ন ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

ছাউনী উধাও; খোলা আকাশের নিচে শিক্ষার্থীরা!

আপলোড টাইম : ১০:১৫:৪০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০১৯

দামুড়হুদায় কালবৈশাখীর তান্ডব : মাদরাসার শ্রেণিকক্ষের
প্রতিবেদক, দামুড়হুদা:
দামুড়হুদায় কালবৈশাখী ঝড়ের তান্ডবে জয়রামপুর ডিএস দাখিল মাদরাসার ৩টি শ্রেণিকক্ষের টিনের ছাউনী উড়ে গেছে। ফলে গতকাল বুধবার খোলা আকাশের নীচে শিক্ষার্থীদের ক্লাস নিতে হয়েছে বলে জানিয়েছেন মাদরাসার সুপার মাওলানা শহিদুল ইসলাম। চুয়াডাঙ্গা-জীবননগর সড়কের দু’ধারের গাছপালা ভেঙ্গে তছনছ হয়ে গেছে। গাছপালা ভেঙ্গে বিদ্যুতের তার ছিড়ে বিদ্যুত সংযোগ বন্ধ হয়ে যায়। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে গতকাল রাত ৯টা পর্যন্ত বিদ্যুত সরবরাহ বন্ধ থাকায় গোসলসহ প্রয়োজনীয় কাজকর্ম সারতে পারেনি অনেকেই। এ ছাড়া মাঠে থাকা ধান, পেঁপে বাগান ও কলাবাগানের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বিদ্যুত সংযোগ সচল করতে গতকাল বুধবার ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অক্লান্ত পরিশ্রম করতে হয়েছে বিদ্যুত বিভাগের লোকজনকে।
দামুড়হুদা উপজেলা কৃষি অফিসার মোহাম্মদ শামিউর রহমান জানান, দামুড়হুদা উপজেলায় চলতি মরসুমে মোট ৮ হাজার ৯০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে। এরমধ্যে গত মঙ্গলবারের কালবৈশাখী ঝড়ে ৮০৯ হেক্টর জমির বোরো ধান নুয়ে পড়েছে। ২৩০ হেক্টর পেঁপে বাগানের মধ্যে ৪৫ হেক্টর জমির পেঁপে বাগান এবং ১৭১ হেক্টর কলা বাগানের মধ্যে ৯ হেক্টর জমির কলা বাগান ঝড়ে বিনষ্ট হয়েছে। এছাড়া ১৭৫ হেক্টর পানবরজের মধ্যে ৩৫ হেক্টর জমির পানবরজ ভেঙ্গে গেছে। তবে পানের বিশেষ ক্ষতি হয়নি। ২০ ভাগ আমের মুকুল ঝরে পড়েছে। তবে মোট ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করতে কয়েক দিন সময় লাগবে।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার রাত ৮টার পরপরই দামুড়হুদায় শুরু হয় বৃষ্টিসহ কালবৈশাখী ঝড়। প্রায় ১০ থেকে ১৫ মিনিটের কালবৈশাখী ঝড়ে এলাকার গাছপালা ভেঙ্গে তছনছ হয়ে যায়। উপজেলা পরিষদ চত্তরের দুটি লম্বু গাছ ও একটি কদম গাছ ভেঙ্গে গেছে। বিদ্যুতের তার ছিড়ে বিদ্যুত সংযোগ বন্ধ হয়ে যায়। বিদ্যুত না থাকায় এক ভূতুড়ে অন্ধকার পরিবেশে তৈরী হয়। দামুড়হুদা গালর্স স্কুলের সামনে মার্কেটের এক পাশের টিনের সেড ভেঙ্গে গেছে। দামুড়হুদা বাসস্ট্যান্ডস্থ সাপ্তাহিক হাটের মধ্যে একটি বড় বটগাছ উপড়ে গিয়ে বেশ কয়েকটি দোকানঘর ভেঙ্গে তছনছ হয়েছে। দামুড়হুদা বাজারের বিভিন্ন দোকানের সাইনবোর্ড উড়ে গেছে। চুয়াডাঙ্গা-জীবননগর সড়কে দামুড়হুদা উজিরপুর থেকে ব্র্যাক মোড় এবং জয়রামপুর শেখপাড়া থেকে দর্শনা হঠাৎপাড়া পর্যন্ত সড়কের দু’ধারের অসংখ্য গাছপালা ভেঙ্গে পড়ায় প্রায় দু’ঘন্টাব্যাপি সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সড়কে পড়ে থাকা গাছপালা অপসারণে পুলিশ প্রশাসনকে হিমশিম খেতে হয়েছে। এ ছাড়া মাঠে থাকা ধান, পেঁপেবাগান, কলাবাগানসহ বিভিন্ন ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।