ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

চেহারা বলে দেবে মনের কথা

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৬:২৮:৪৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ মে ২০১৮
  • / ৩৫৪ বার পড়া হয়েছে

প্রযুক্তি ডেস্ক : চেহারা দেখে মন বোঝার কৌশল মানুষের আদিকালের। তবে একসঙ্গে অনেকের মন বোঝার চেষ্টা করাটা কঠিন। আর সে কাজটি করা হবে প্রযুক্তির সাহায্যে। চীনের এক স্কুলে শিক্ষার্থীদের আচরণ পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ করতে ব্যবহার করা হচ্ছে চেহারা শনাক্তকরণ বা ফেসিয়াল রিকগনিশন প্রযুক্তি। প্রযুক্তিটি শ্রেণিকক্ষের শিক্ষার্থীদের প্রতি ৩০ সেকেন্ড পরপর খুঁটিয়ে দেখে তাদের অভিব্যক্তি ধারণ করে। ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে বোঝার চেষ্টা করা হয় সেই শিক্ষার্থীরা আনন্দিত, রাগান্বিত, ভীত, বিভ্রান্ত নাকি তাদের মন খারাপ। একই সঙ্গে তারা লিখছে, পড়ছে, জিজ্ঞাসার জন্য হাত তুলছে নাকি ডেস্কে বসে ঘুমাচ্ছে, তা-ও ধারণ করে রাখে। চীনা সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল টাইমস জানিয়েছে, প্রযুক্তিটি তাৎক্ষণিকভাবে শিক্ষার্থীদের হাজিরা ধারণ করে এবং শুধু চেহারা দেখিয়েই তারা ক্যানটিনে টিফিনের অর্থ পরিশোধ বা লাইব্রেরি থেকে বই ধার করার মতো কাজ করতে পারে। আর এই পুরো ব্যবস্থাকে বলা হচ্ছে ‘ইন্টেলিজেন্ট ক্লাসরুম বিহেভিয়ার ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম’। হাংঝৌ নাম্বার ইলেভেন হাইস্কুল নামের সে বিদ্যালয়ের উপাধ্যক্ষ বলেছেন, শিক্ষার্থীদের গোপনীয়তা সম্পূর্ণভাবে সংরক্ষিত। কারণ, প্রযুক্তিটি কোনো ছবি ধারণ করে না, শুধু পর্যবেক্ষণ করে শিক্ষার্থীদের সম্পর্কে তথ্য সংরক্ষণ করে। তা ছাড়া পুরো কাজ হয় বিদ্যালয়ের স্থানীয় সার্ভারের সঙ্গে যুক্ত করে, ক্লাউড কম্পিউটিং ব্যবস্থায় নয়। ফলে হ্যাকিংয়ের ঝুঁকি কম। চীনা কিন্ডারগার্টেনগুলোতে সহিংসতা এবং সন্দেহজনক বিষয় বাড়ার ফলে নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। আর ফেসিয়াল রিকগনিশন প্রযুক্তির সাহায্যে সম্ভাব্য অপরাধের পূর্বাভাস দেওয়া সম্ভব। আর শুধু চীনেই নয়, এ বছরের শুরুর দিকে ভারতের নয়াদিল্লির সরকারি স্কুলগুলোতে নজরদারির ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। এতে অভিভাবকেরা সরাসরি শ্রেণিকক্ষের চিত্র দেখতে পারবেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

চেহারা বলে দেবে মনের কথা

আপলোড টাইম : ০৬:২৮:৪৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ মে ২০১৮

প্রযুক্তি ডেস্ক : চেহারা দেখে মন বোঝার কৌশল মানুষের আদিকালের। তবে একসঙ্গে অনেকের মন বোঝার চেষ্টা করাটা কঠিন। আর সে কাজটি করা হবে প্রযুক্তির সাহায্যে। চীনের এক স্কুলে শিক্ষার্থীদের আচরণ পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ করতে ব্যবহার করা হচ্ছে চেহারা শনাক্তকরণ বা ফেসিয়াল রিকগনিশন প্রযুক্তি। প্রযুক্তিটি শ্রেণিকক্ষের শিক্ষার্থীদের প্রতি ৩০ সেকেন্ড পরপর খুঁটিয়ে দেখে তাদের অভিব্যক্তি ধারণ করে। ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে বোঝার চেষ্টা করা হয় সেই শিক্ষার্থীরা আনন্দিত, রাগান্বিত, ভীত, বিভ্রান্ত নাকি তাদের মন খারাপ। একই সঙ্গে তারা লিখছে, পড়ছে, জিজ্ঞাসার জন্য হাত তুলছে নাকি ডেস্কে বসে ঘুমাচ্ছে, তা-ও ধারণ করে রাখে। চীনা সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল টাইমস জানিয়েছে, প্রযুক্তিটি তাৎক্ষণিকভাবে শিক্ষার্থীদের হাজিরা ধারণ করে এবং শুধু চেহারা দেখিয়েই তারা ক্যানটিনে টিফিনের অর্থ পরিশোধ বা লাইব্রেরি থেকে বই ধার করার মতো কাজ করতে পারে। আর এই পুরো ব্যবস্থাকে বলা হচ্ছে ‘ইন্টেলিজেন্ট ক্লাসরুম বিহেভিয়ার ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম’। হাংঝৌ নাম্বার ইলেভেন হাইস্কুল নামের সে বিদ্যালয়ের উপাধ্যক্ষ বলেছেন, শিক্ষার্থীদের গোপনীয়তা সম্পূর্ণভাবে সংরক্ষিত। কারণ, প্রযুক্তিটি কোনো ছবি ধারণ করে না, শুধু পর্যবেক্ষণ করে শিক্ষার্থীদের সম্পর্কে তথ্য সংরক্ষণ করে। তা ছাড়া পুরো কাজ হয় বিদ্যালয়ের স্থানীয় সার্ভারের সঙ্গে যুক্ত করে, ক্লাউড কম্পিউটিং ব্যবস্থায় নয়। ফলে হ্যাকিংয়ের ঝুঁকি কম। চীনা কিন্ডারগার্টেনগুলোতে সহিংসতা এবং সন্দেহজনক বিষয় বাড়ার ফলে নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। আর ফেসিয়াল রিকগনিশন প্রযুক্তির সাহায্যে সম্ভাব্য অপরাধের পূর্বাভাস দেওয়া সম্ভব। আর শুধু চীনেই নয়, এ বছরের শুরুর দিকে ভারতের নয়াদিল্লির সরকারি স্কুলগুলোতে নজরদারির ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। এতে অভিভাবকেরা সরাসরি শ্রেণিকক্ষের চিত্র দেখতে পারবেন।