ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গা হায়দারপুরে টিউবওয়েল মিস্ত্রী নিখোঁজের পর পানবরজে রক্তমাখা লুঙ্গি ও সেন্ডেল উদ্ধার : কি ঘটেছে ফারুকের কপালে! আতঙ্কিত এলাকাবাসী

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৫:৩৪:১৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩০ এপ্রিল ২০১৭
  • / ৬৭৭ বার পড়া হয়েছে

ঘটনাস্থল থেকে ফিরে আফজালুল হক: চুয়াডাঙ্গা পদ্মবিলা ইউনিয়নে হায়দারপুর গ্রামে ফারুক (৩৫) নামের  এক টিউবওয়েল মিস্ত্রী নিখোঁজ হয়েছে। এ ঘটনার ১২ঘন্টা পরে গতকাল সকালে রক্তমাখা লুঙ্গি ও পায়ের স্যান্ডেল দেখতে টিউবওয়েল মিস্ত্রী ফারুকের নিজের পানবরজে। এসময় গ্রামবাসী পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে একটু দেরীতে পৌছান বলে গ্রামবাসির অভিযোগ আছে। স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, চুয়াডাঙ্গার সদরের শংকরচন্দ্র ইউনিয়নের হায়দারপুর গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে ফারুক গত ২৮ এপ্রিল শুক্রবার বিকালে বাড়ি মাঠে নিজের পানবরজে যাওয়ার কথা বলে বের হয়। এরপর সে আর বাড়ি ফেরেনি। সারারাত বাড়ী না ফিরলে ফারুকের পরিবারের সদস্যরা গ্রামের কয়েকজনকে সাথে নিয়ে গ্রামের বিভিন্ন পাড়া ও মাঠে খুঁজতে থাকে। কিন্তু তাকে পাওয়া যায়নি। একপর্যায়ে গ্রামের মাঠে ফারুকের নিজের পানবরজে গতকাল রক্তমাখা লুঙ্গি ও ১ জোড়া স্যান্ডেল দেখতে পেয়ে নিখোঁজ ফারুকের পরিবারকে জানায় মাঠে কাজ করতে সাধারণ কৃষকরা। এসময় নিখোঁজ ফারুকের প্রথম স্ত্রী জলি পানবরজে এসে রক্তমাখা লুঙ্গি ও স্যান্ডেল তার স্বামীর বলে জানায়। এসময় গ্রামবাসী পুলিশে খবর দিলে যথা সময়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে না পৌছে ফোনে সদর থানার কোন এক অফিসার তথ্য প্রদানকারি গ্রামবাসীকে বলে লুঙ্গি ও স্যান্ডেল বাড়ী নিয়ে তুলে রাখেন অথবা থানায় এসে অভিযোগ করে যান। সাংবাদিকরা এবিষয়ে সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে তথ্য সংগ্রহে গেলে জানতে পারে সকালে পুলিশকে জানানোর পরেও পুলিশ আসেনি। এবিষয়ে পুলিশের বক্তব্য নেওয়ার সদর থানার অফিসার ইনচার্জ তোজাম্মেল হককে রাত আনুমানিক ১০টার দিকে ফোন দিলে তিনি কিছু জানেন না বলে জানান। তখন ওসি সাংবাদিকদের কাছ থেকে ঘটনার বিস্তারিত শোনেন এবং দ্রুত ঘটনাস্থলে টিম পাঠান। ওসি এঘটনা সম্পর্কে মোবাইলে জানান, টিউবওয়েল মিস্ত্রী ফারুক নিখোঁজের ব্যাপারে কোন অভিযোগ পায়নি। যখন সাংবাদিকদের কাছে শুনেছি দ্রুত ঘটনাস্থলে টিম পাঠিয়েছি। আমরা বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করে প্রকৃত ঘটনা উৎঘাটনের চেষ্টা করছি। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত পুলিশ ফারুকের রক্তমাখা লুঙ্গি ও স্যান্ডেল উদ্ধার করে আনা হয়েছে বলে জানা গেছে। ফারুকের স্ত্রী জলি সাংবাদিকদের বলেন, আমার স্বামীর সাথে কারোর কোন গন্ডগোল বা শত্রুতা নেই। ১৫ দিন আগে আমার স্বামী জাফরপুর ব্রাক সমিতি থেকে পঞ্চাশ হাজার টাকা উত্তোলন করে এবং আমার শাশুড়ি খাদিজা খাতুনের কাছ থেকে ১৫ হাজার টাকা নেয় পানবরজে কাজে লাগানোর কথা বলে। আমার স্বামী নগত ৪০ হাজার টাকা নিয়ে শুক্রবার বাড়ী থেকে পানবরজের উদ্দেশ্যে বের হয়ে আর বাড়ি ফেরেনি। পান বরজে যাওয়ার সময় এতো টাকা নিয়ে বাড়ী থেকে বেরুনো সন্দেহের জন্ম দিয়েছে? হায়দারপুর গ্রামের টিউবওয়েল মিস্ত্রী ফারুক ঘরে প্রথম স্ত্রী রেখে ৩টা বিয়ে করে এবং পরবর্তীতে তিনজনইকে তালাক দিয়ে প্রথম স্ত্রী নিয়ে সংসার করছে। তার হঠাৎ নিখোঁজ এবং রক্তমাখা লুঙ্গি ও স্যান্ডেল উদ্ধারের ঘটনাকে অনেকে ফারুকের সাজানো নাটক বলছে। আবার অনেকে এঘটনায় আতঙ্কিত কি ঘটলো ফারুকের কপালে এই ভেবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

চুয়াডাঙ্গা হায়দারপুরে টিউবওয়েল মিস্ত্রী নিখোঁজের পর পানবরজে রক্তমাখা লুঙ্গি ও সেন্ডেল উদ্ধার : কি ঘটেছে ফারুকের কপালে! আতঙ্কিত এলাকাবাসী

আপলোড টাইম : ০৫:৩৪:১৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩০ এপ্রিল ২০১৭

ঘটনাস্থল থেকে ফিরে আফজালুল হক: চুয়াডাঙ্গা পদ্মবিলা ইউনিয়নে হায়দারপুর গ্রামে ফারুক (৩৫) নামের  এক টিউবওয়েল মিস্ত্রী নিখোঁজ হয়েছে। এ ঘটনার ১২ঘন্টা পরে গতকাল সকালে রক্তমাখা লুঙ্গি ও পায়ের স্যান্ডেল দেখতে টিউবওয়েল মিস্ত্রী ফারুকের নিজের পানবরজে। এসময় গ্রামবাসী পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে একটু দেরীতে পৌছান বলে গ্রামবাসির অভিযোগ আছে। স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, চুয়াডাঙ্গার সদরের শংকরচন্দ্র ইউনিয়নের হায়দারপুর গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে ফারুক গত ২৮ এপ্রিল শুক্রবার বিকালে বাড়ি মাঠে নিজের পানবরজে যাওয়ার কথা বলে বের হয়। এরপর সে আর বাড়ি ফেরেনি। সারারাত বাড়ী না ফিরলে ফারুকের পরিবারের সদস্যরা গ্রামের কয়েকজনকে সাথে নিয়ে গ্রামের বিভিন্ন পাড়া ও মাঠে খুঁজতে থাকে। কিন্তু তাকে পাওয়া যায়নি। একপর্যায়ে গ্রামের মাঠে ফারুকের নিজের পানবরজে গতকাল রক্তমাখা লুঙ্গি ও ১ জোড়া স্যান্ডেল দেখতে পেয়ে নিখোঁজ ফারুকের পরিবারকে জানায় মাঠে কাজ করতে সাধারণ কৃষকরা। এসময় নিখোঁজ ফারুকের প্রথম স্ত্রী জলি পানবরজে এসে রক্তমাখা লুঙ্গি ও স্যান্ডেল তার স্বামীর বলে জানায়। এসময় গ্রামবাসী পুলিশে খবর দিলে যথা সময়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে না পৌছে ফোনে সদর থানার কোন এক অফিসার তথ্য প্রদানকারি গ্রামবাসীকে বলে লুঙ্গি ও স্যান্ডেল বাড়ী নিয়ে তুলে রাখেন অথবা থানায় এসে অভিযোগ করে যান। সাংবাদিকরা এবিষয়ে সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে তথ্য সংগ্রহে গেলে জানতে পারে সকালে পুলিশকে জানানোর পরেও পুলিশ আসেনি। এবিষয়ে পুলিশের বক্তব্য নেওয়ার সদর থানার অফিসার ইনচার্জ তোজাম্মেল হককে রাত আনুমানিক ১০টার দিকে ফোন দিলে তিনি কিছু জানেন না বলে জানান। তখন ওসি সাংবাদিকদের কাছ থেকে ঘটনার বিস্তারিত শোনেন এবং দ্রুত ঘটনাস্থলে টিম পাঠান। ওসি এঘটনা সম্পর্কে মোবাইলে জানান, টিউবওয়েল মিস্ত্রী ফারুক নিখোঁজের ব্যাপারে কোন অভিযোগ পায়নি। যখন সাংবাদিকদের কাছে শুনেছি দ্রুত ঘটনাস্থলে টিম পাঠিয়েছি। আমরা বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করে প্রকৃত ঘটনা উৎঘাটনের চেষ্টা করছি। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত পুলিশ ফারুকের রক্তমাখা লুঙ্গি ও স্যান্ডেল উদ্ধার করে আনা হয়েছে বলে জানা গেছে। ফারুকের স্ত্রী জলি সাংবাদিকদের বলেন, আমার স্বামীর সাথে কারোর কোন গন্ডগোল বা শত্রুতা নেই। ১৫ দিন আগে আমার স্বামী জাফরপুর ব্রাক সমিতি থেকে পঞ্চাশ হাজার টাকা উত্তোলন করে এবং আমার শাশুড়ি খাদিজা খাতুনের কাছ থেকে ১৫ হাজার টাকা নেয় পানবরজে কাজে লাগানোর কথা বলে। আমার স্বামী নগত ৪০ হাজার টাকা নিয়ে শুক্রবার বাড়ী থেকে পানবরজের উদ্দেশ্যে বের হয়ে আর বাড়ি ফেরেনি। পান বরজে যাওয়ার সময় এতো টাকা নিয়ে বাড়ী থেকে বেরুনো সন্দেহের জন্ম দিয়েছে? হায়দারপুর গ্রামের টিউবওয়েল মিস্ত্রী ফারুক ঘরে প্রথম স্ত্রী রেখে ৩টা বিয়ে করে এবং পরবর্তীতে তিনজনইকে তালাক দিয়ে প্রথম স্ত্রী নিয়ে সংসার করছে। তার হঠাৎ নিখোঁজ এবং রক্তমাখা লুঙ্গি ও স্যান্ডেল উদ্ধারের ঘটনাকে অনেকে ফারুকের সাজানো নাটক বলছে। আবার অনেকে এঘটনায় আতঙ্কিত কি ঘটলো ফারুকের কপালে এই ভেবে।