ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের নতুন ভবনে জরুরি বিভাগ চালু

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:১১:১৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ মার্চ ২০২০
  • / ৬১২ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের অনুমোতি না পেলেও হাসপাতালের ১৫০ শয্যার নতুন ভবনে চালু করা হয়েছে জরুরি বিভাগ ও ফ্লু-কর্নার। গতকাল শনিবার সকালে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের পুরোনো জরুরি বিভাগটি স্থানান্তর করা হয়েছে ১৫০ শয্যার নতুন ভবনের জরুরি বিভাগের জন্য নির্ধারিত স্থানে। নতুন ভবনের জরুরি বিভাগের আধুনিক সব কার্যক্রম শুরু করা না গেলেও সম্প্রতি বিশ্বজুড়ে করোনা মোকাবিলায় পুরোনো জরুরি বিভাগটি স্থানান্তর করা হয়। গতকাল বেলা দুইটা থেকে নতুন ভবনের জরুরি বিভাগে চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, নতুন জরুরি বিভাগে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন চিকিৎসক ও স্বেচ্ছাসেবকেরা। নতুন জরুরি বিভাগকে নিজদের মতো করে সাজিয়েও নিচ্ছেন তাঁরা। নতুন এ জরুরি বিভাগে চিকিৎসা কর্মকর্তাদের জন্য আলাদা কক্ষ থাকলেও অবজারভেশন কক্ষে আপাতত চেয়ার-টেবিল ভিড়িয়েই তাঁরা সেবা প্রদান করছেন। অবজারভেশন কক্ষের সামনের ডেসিং রুমেই রোগীদের দেওয়া হচ্ছে চিকিৎসাসেবা।
জরুরি বিভাগের স্বেচ্ছাসেবকেরা বলেন, ‘পুরাতন ভবনের জরুরি বিভাগ থেকে নতুন ভবনের জরুরি বিভাগ অনেক আধুনিক ও পরিপাটি। আমরা আনন্দের সঙ্গে এ জরুরি বিভাগে কাজ করছি।’
বিকেল সিফটে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. ফাতিমা হক আর গতকাল রাতে দায়িত্ব পালন করেছেন হাসপাতালের চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. সাজিদ হাসান। নতুন জরুরি বিভাগের চিকিৎসাসেবার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পুরোনো জরুরি বিভাগের সামনে করোনা আক্রান্ত রোগীদের জন্য আইসোলেশন ওয়ার্ড আছে। সাধারণ রোগী ও চিকিৎসকেরাও এ কারণে জরুরি বিভাগে কাজ করতে এবং আইসোলেশন ওয়ার্ডের সামনে দিয়ে চলাফেরা করতে ভীতি বোধ করছিলেন। ঠিক এ সময় হাসপাতালের জরুরি বিভাগটিকে নতুন ভবনের জরুরি বিভাগে স্থানান্তর করায় চিকিৎসক ও সাধারণ রোগীরা বেশ খুশি। যদিও সম্পূর্ণরূপে জরুরি বিভাগের সব কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব হয়নি।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের নতুন ভবনে জরুরি বিভাগ চালু

আপলোড টাইম : ১০:১১:১৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ মার্চ ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের অনুমোতি না পেলেও হাসপাতালের ১৫০ শয্যার নতুন ভবনে চালু করা হয়েছে জরুরি বিভাগ ও ফ্লু-কর্নার। গতকাল শনিবার সকালে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের পুরোনো জরুরি বিভাগটি স্থানান্তর করা হয়েছে ১৫০ শয্যার নতুন ভবনের জরুরি বিভাগের জন্য নির্ধারিত স্থানে। নতুন ভবনের জরুরি বিভাগের আধুনিক সব কার্যক্রম শুরু করা না গেলেও সম্প্রতি বিশ্বজুড়ে করোনা মোকাবিলায় পুরোনো জরুরি বিভাগটি স্থানান্তর করা হয়। গতকাল বেলা দুইটা থেকে নতুন ভবনের জরুরি বিভাগে চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, নতুন জরুরি বিভাগে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন চিকিৎসক ও স্বেচ্ছাসেবকেরা। নতুন জরুরি বিভাগকে নিজদের মতো করে সাজিয়েও নিচ্ছেন তাঁরা। নতুন এ জরুরি বিভাগে চিকিৎসা কর্মকর্তাদের জন্য আলাদা কক্ষ থাকলেও অবজারভেশন কক্ষে আপাতত চেয়ার-টেবিল ভিড়িয়েই তাঁরা সেবা প্রদান করছেন। অবজারভেশন কক্ষের সামনের ডেসিং রুমেই রোগীদের দেওয়া হচ্ছে চিকিৎসাসেবা।
জরুরি বিভাগের স্বেচ্ছাসেবকেরা বলেন, ‘পুরাতন ভবনের জরুরি বিভাগ থেকে নতুন ভবনের জরুরি বিভাগ অনেক আধুনিক ও পরিপাটি। আমরা আনন্দের সঙ্গে এ জরুরি বিভাগে কাজ করছি।’
বিকেল সিফটে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. ফাতিমা হক আর গতকাল রাতে দায়িত্ব পালন করেছেন হাসপাতালের চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. সাজিদ হাসান। নতুন জরুরি বিভাগের চিকিৎসাসেবার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পুরোনো জরুরি বিভাগের সামনে করোনা আক্রান্ত রোগীদের জন্য আইসোলেশন ওয়ার্ড আছে। সাধারণ রোগী ও চিকিৎসকেরাও এ কারণে জরুরি বিভাগে কাজ করতে এবং আইসোলেশন ওয়ার্ডের সামনে দিয়ে চলাফেরা করতে ভীতি বোধ করছিলেন। ঠিক এ সময় হাসপাতালের জরুরি বিভাগটিকে নতুন ভবনের জরুরি বিভাগে স্থানান্তর করায় চিকিৎসক ও সাধারণ রোগীরা বেশ খুশি। যদিও সম্পূর্ণরূপে জরুরি বিভাগের সব কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব হয়নি।