ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ঘটছে একের পর এক চুরির ঘটনা

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:১০:৩৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৫ অগাস্ট ২০১৮
  • / ৪৬১ বার পড়া হয়েছে

তিন নারীর টাকা, স্বর্ণালংকার ও মোবাইলফোন চুরি!
নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ঘটছে একের পর এক চুরির ঘটনা। হাসপাতাল চত্বরসহ ভেতরে ও বাইরে চুরি যেন নিত্যদিনের ঘটনায় পরিণত হয়েছে। জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রতিদিন শতশত রোগি এ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে থাকেন। এই সুযোগে হাসপাতালকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে একটি চোরচক্র। প্রায় প্রতিদিনই এই চোরচক্রটি নিরীহ রোগিদের টাকা-পয়সা, স্বর্ণালংকার ও মোবাইলফোনসহ লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। বহির বিভাগসহ ভর্তিকৃত রোগিরাও এ চক্রের খপ্পরে পরে সর্বস্ব খোয়াচ্ছেন।গতকাল শনিবার চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসে টাকা, স্বর্ণালংকার ও মোবাইলফোন খোয়ালেন ৩ নারী। শুধু রোগিদের টাকা-পয়সা, স্বর্ণালংকার, বা মোবাইলফোন চুরি হয় না। কর্তব্যরত চিকিৎসকদের মোবাইলফোন ও চিকিৎসা ক্ষেত্রে ব্যবহৃত জিনিসপত্র চুরি হয়ে থাকে বলে জানায় হাসপাতালের একটি সূত্র।জানা যায়, গতকাল শনিবার হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসে চোরচক্রের খপ্পরে পরে সর্বস্ব খোয়ানো তিন নারীরা হলো- চুয়াডাঙ্গা ঘোলদাড়ীর শাহাবদ্দীনের মেয়ে চামেলী খাতুন (২৪), চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদা উপজেলার গোপালপুর গ্রামের জামালের স্ত্রী সাবিনা (২৫) ও আলমডাঙ্গার খাসকররা মাঝেরপাড়ার আবু সাঈদের স্ত্রী শিউলী খাতুন (২০)। হাসপাতালের ২০৯নং কক্ষের সামনে থেকে চামেলীর ভানেটি ব্যাগ থেকে ৯২০ টাকা ও নতুন কেনা সোনার কানের দুল ও সাবিনার ভানেটি ব্যাগ থেকে চিকিৎসার জন্য সঙ্গে আনা ১৬ হাজার টাকা এবং হাসপাতালের ১০৭ নং কক্ষের সামনে থেকে শিউলী খাতুনের ভানেটি ব্যাগ থেকে ৬ হাজার টাকা চুরি হয়েছে বলে জানায় ওই ৩ নারী।নিত্যদিনের এই চুরির ব্যাপারে জানতে চাইলে, চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. শামীম কবির বলেন, রোগি ও রোগির আত্মীয় সেজে রোগিদের সাথে মিশে যেয়ে চুরি করছে একটি চোরচক্র। এ বিষয়ে হাসপাতালের দেয়ালে লেখা সতর্কবার্তা ও সাউন্ড সিস্টেমের মাধ্যমে সবাইকে সচেতন করা হয় বলেও তিনি জানান।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ঘটছে একের পর এক চুরির ঘটনা

আপলোড টাইম : ১০:১০:৩৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৫ অগাস্ট ২০১৮

তিন নারীর টাকা, স্বর্ণালংকার ও মোবাইলফোন চুরি!
নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ঘটছে একের পর এক চুরির ঘটনা। হাসপাতাল চত্বরসহ ভেতরে ও বাইরে চুরি যেন নিত্যদিনের ঘটনায় পরিণত হয়েছে। জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রতিদিন শতশত রোগি এ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে থাকেন। এই সুযোগে হাসপাতালকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে একটি চোরচক্র। প্রায় প্রতিদিনই এই চোরচক্রটি নিরীহ রোগিদের টাকা-পয়সা, স্বর্ণালংকার ও মোবাইলফোনসহ লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। বহির বিভাগসহ ভর্তিকৃত রোগিরাও এ চক্রের খপ্পরে পরে সর্বস্ব খোয়াচ্ছেন।গতকাল শনিবার চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসে টাকা, স্বর্ণালংকার ও মোবাইলফোন খোয়ালেন ৩ নারী। শুধু রোগিদের টাকা-পয়সা, স্বর্ণালংকার, বা মোবাইলফোন চুরি হয় না। কর্তব্যরত চিকিৎসকদের মোবাইলফোন ও চিকিৎসা ক্ষেত্রে ব্যবহৃত জিনিসপত্র চুরি হয়ে থাকে বলে জানায় হাসপাতালের একটি সূত্র।জানা যায়, গতকাল শনিবার হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসে চোরচক্রের খপ্পরে পরে সর্বস্ব খোয়ানো তিন নারীরা হলো- চুয়াডাঙ্গা ঘোলদাড়ীর শাহাবদ্দীনের মেয়ে চামেলী খাতুন (২৪), চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদা উপজেলার গোপালপুর গ্রামের জামালের স্ত্রী সাবিনা (২৫) ও আলমডাঙ্গার খাসকররা মাঝেরপাড়ার আবু সাঈদের স্ত্রী শিউলী খাতুন (২০)। হাসপাতালের ২০৯নং কক্ষের সামনে থেকে চামেলীর ভানেটি ব্যাগ থেকে ৯২০ টাকা ও নতুন কেনা সোনার কানের দুল ও সাবিনার ভানেটি ব্যাগ থেকে চিকিৎসার জন্য সঙ্গে আনা ১৬ হাজার টাকা এবং হাসপাতালের ১০৭ নং কক্ষের সামনে থেকে শিউলী খাতুনের ভানেটি ব্যাগ থেকে ৬ হাজার টাকা চুরি হয়েছে বলে জানায় ওই ৩ নারী।নিত্যদিনের এই চুরির ব্যাপারে জানতে চাইলে, চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. শামীম কবির বলেন, রোগি ও রোগির আত্মীয় সেজে রোগিদের সাথে মিশে যেয়ে চুরি করছে একটি চোরচক্র। এ বিষয়ে হাসপাতালের দেয়ালে লেখা সতর্কবার্তা ও সাউন্ড সিস্টেমের মাধ্যমে সবাইকে সচেতন করা হয় বলেও তিনি জানান।