ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে যত্রতত্র ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা বেপরোয়া পার্কিঙে বিপাকে রোগী সাধারণ!

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৮:১৮:১১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ অগাস্ট ২০১৬
  • / ৪৫৯ বার পড়া হয়েছে

drfgdrfgআফজালুল হক: চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগের সামনে ব্যাটারি চালিত অটোরিকশার বেপরোয়া পার্কিংয়ে প্রতিনিয়ত বিপাকে পড়ছেন হাসপাতালে আগত চিকিৎসক, নার্স, রোগীসহ সাধারন মানুষ এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে। বেশ কিছুদিন ধরে  হাসপাতালের সামনে মোটরসাইকেল, রিক্সা, অটো রিক্সাসহ বিভিন্ন যানবাহন পার্কিংয়ের উৎপাতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে রোগি, চিকিৎসক, নার্সসহ জরুরী প্রয়োজনে হাসপাতালে আসা সাধারন মানুষ। হাসপাতালের জরুরী বিভাগের সামনে রয়েছে একটি  ফাঁকা স্থান। হাসপাতালে ঢুকে ডান দিকে রয়েছে হাসপাতালের নিজস্ব গ্যারেজ। এখানে রাখা হয় হাসপাতালের রোগিদের সাইকেল, মোটরসাইকেল। কিন্তু প্রতিদিনই ঐ গ্যারেজের সামনে ফাঁকাস্থানে লক্ষ্য করলে দেখা যায়, বিভিন্ন সরকারী-বেসরকারী এ্যাম্বুলেন্সসহ বিভিন্ন প্রাইভেট কার, মোটরসাইকেল, রিক্সা, ও অটোরিক্সার হাটবাজার। এখানে এ সমস্ত গাড়ী রাখার কোন নিয়মই নেই। তবে রোগী সাধারন যেন সহজে পরিবহন সুবিধা পান, সেদিকটি বিবেচনায় নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ স্বল্পসংখ্যক অটোবাইক/রিকসা-ভ্যানকে এখানে পার্কিংয়ের সুযোগ দিলে এই সুযোগে অটোবাইক চালকেরা এই বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। ঐ গ্যারেজের দেয়ালে পোস্টার দিয়ে লেখা আছে গাড়ি পার্কিং করা নিষিদ্ধ। তবুও এখানে গাড়ি পার্কিং করে হাসপাতালের সামনে জটের সৃষ্টি হচ্ছে নিয়মিত এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে। ফলে এখানে আসা লোকেরা পড়ছেন বিপাকে। দিনভর  হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে থাকে রিক্সা ও অটো রিক্সার দীর্ঘ লাইন। সদর হাসপাতালের একজন স্টাফ নাম না প্রকাশ করার শর্তে জানালেন, গত কয়েক মাস থেকে হাসপাতালের জরুরী বিভাগের সামনে গাড়ি পার্কিংয়ের মাত্রা বেড়ে গেছে। এতে করে আমাদের হাসপাতালে ঢুকতে বেগ পেতে হয়। কেননা যানবহন ও লোকজন এই দুই মিলে এখানে প্রচন্ড জটলা থাকে। এলোপাথাড়ি গাড়ি পার্কিংয়ের বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে তিনি অভিযোগ করেন।
অন্যদিকে চিকিৎসা নিতে আসা একজন রোগী জানালেন, হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে মোটরসাইকেল, রিক্সা,অটোরিক্সা রাস্তায় এলোপাতাড়িভাবে দাড়িয়ে থাকার ফলে হাসপাতালের ভেতরে প্রবেশ খুবই কষ্টদায়ক হয়ে ওঠে। তিনি আরো অভিযোগ করে বলেন, বিভিন্ন ক্লিনিকের দালালেরা রোগী ও রোগীর স্বজনদের ভুলিয়ে-ভালিয়ে দ্রুত নির্দিষ্ট ক্লিনিকে নিয়ে যেতে হাসপাতাল চত্বরে ২৪ ঘন্টায় তাদের রিজার্ভ যানবহন প্রস্তুত রাখার কারণেও এখানে যানজটের সৃষ্টি হয়। আর এজন্য তারা নির্দিষ্ট হারে কমিশনও পেয়ে থাকে। এখানে যানবহন ও এর দ্বিগুন দালালের উপস্থিতি চিকিৎসার্থে হাসপাতালে আসা রোগীদের ভোগান্তি বাড়িয়ে দেয় কয়েকগুন। হাসপাতাল চত্বরের এই যান-দালালজট নিরসনে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ তোজাম্মেল হক ইতোপূর্বে কয়েকদফা উচ্ছেদ অভিযান চালালে বেশ কিছুদিন সুশৃঙ্খল পরিবেশ বিরাজ করলেও পুলিশী অভিযান স্থগিতের সাথে সাথে আবারো সেই পূর্বের বিশৃঙ্খল অবস্থা ফিরে আসে। ওই সময় উচ্ছেদ অভিযানে প্রাপ্ত সাফল্যে জনসাধারণ  ওসি তোজাম্মেল হককে সাধুবাদও জানিয়েছিলেন। তবে তিনি নিয়মিত অভিযানের হাল কেন ছেড়ে দিলেন তা অস্পষ্ট।
চুয়াডাঙ্গা  সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার মাসুদ রানার নিকট এ বিষয়ে জানতে মোবাইল ফোনে তার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি ফোন কল রিসিভ করেননি।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে যত্রতত্র ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা বেপরোয়া পার্কিঙে বিপাকে রোগী সাধারণ!

আপলোড টাইম : ০৮:১৮:১১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ অগাস্ট ২০১৬

drfgdrfgআফজালুল হক: চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগের সামনে ব্যাটারি চালিত অটোরিকশার বেপরোয়া পার্কিংয়ে প্রতিনিয়ত বিপাকে পড়ছেন হাসপাতালে আগত চিকিৎসক, নার্স, রোগীসহ সাধারন মানুষ এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে। বেশ কিছুদিন ধরে  হাসপাতালের সামনে মোটরসাইকেল, রিক্সা, অটো রিক্সাসহ বিভিন্ন যানবাহন পার্কিংয়ের উৎপাতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে রোগি, চিকিৎসক, নার্সসহ জরুরী প্রয়োজনে হাসপাতালে আসা সাধারন মানুষ। হাসপাতালের জরুরী বিভাগের সামনে রয়েছে একটি  ফাঁকা স্থান। হাসপাতালে ঢুকে ডান দিকে রয়েছে হাসপাতালের নিজস্ব গ্যারেজ। এখানে রাখা হয় হাসপাতালের রোগিদের সাইকেল, মোটরসাইকেল। কিন্তু প্রতিদিনই ঐ গ্যারেজের সামনে ফাঁকাস্থানে লক্ষ্য করলে দেখা যায়, বিভিন্ন সরকারী-বেসরকারী এ্যাম্বুলেন্সসহ বিভিন্ন প্রাইভেট কার, মোটরসাইকেল, রিক্সা, ও অটোরিক্সার হাটবাজার। এখানে এ সমস্ত গাড়ী রাখার কোন নিয়মই নেই। তবে রোগী সাধারন যেন সহজে পরিবহন সুবিধা পান, সেদিকটি বিবেচনায় নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ স্বল্পসংখ্যক অটোবাইক/রিকসা-ভ্যানকে এখানে পার্কিংয়ের সুযোগ দিলে এই সুযোগে অটোবাইক চালকেরা এই বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। ঐ গ্যারেজের দেয়ালে পোস্টার দিয়ে লেখা আছে গাড়ি পার্কিং করা নিষিদ্ধ। তবুও এখানে গাড়ি পার্কিং করে হাসপাতালের সামনে জটের সৃষ্টি হচ্ছে নিয়মিত এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে। ফলে এখানে আসা লোকেরা পড়ছেন বিপাকে। দিনভর  হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে থাকে রিক্সা ও অটো রিক্সার দীর্ঘ লাইন। সদর হাসপাতালের একজন স্টাফ নাম না প্রকাশ করার শর্তে জানালেন, গত কয়েক মাস থেকে হাসপাতালের জরুরী বিভাগের সামনে গাড়ি পার্কিংয়ের মাত্রা বেড়ে গেছে। এতে করে আমাদের হাসপাতালে ঢুকতে বেগ পেতে হয়। কেননা যানবহন ও লোকজন এই দুই মিলে এখানে প্রচন্ড জটলা থাকে। এলোপাথাড়ি গাড়ি পার্কিংয়ের বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে তিনি অভিযোগ করেন।
অন্যদিকে চিকিৎসা নিতে আসা একজন রোগী জানালেন, হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে মোটরসাইকেল, রিক্সা,অটোরিক্সা রাস্তায় এলোপাতাড়িভাবে দাড়িয়ে থাকার ফলে হাসপাতালের ভেতরে প্রবেশ খুবই কষ্টদায়ক হয়ে ওঠে। তিনি আরো অভিযোগ করে বলেন, বিভিন্ন ক্লিনিকের দালালেরা রোগী ও রোগীর স্বজনদের ভুলিয়ে-ভালিয়ে দ্রুত নির্দিষ্ট ক্লিনিকে নিয়ে যেতে হাসপাতাল চত্বরে ২৪ ঘন্টায় তাদের রিজার্ভ যানবহন প্রস্তুত রাখার কারণেও এখানে যানজটের সৃষ্টি হয়। আর এজন্য তারা নির্দিষ্ট হারে কমিশনও পেয়ে থাকে। এখানে যানবহন ও এর দ্বিগুন দালালের উপস্থিতি চিকিৎসার্থে হাসপাতালে আসা রোগীদের ভোগান্তি বাড়িয়ে দেয় কয়েকগুন। হাসপাতাল চত্বরের এই যান-দালালজট নিরসনে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ তোজাম্মেল হক ইতোপূর্বে কয়েকদফা উচ্ছেদ অভিযান চালালে বেশ কিছুদিন সুশৃঙ্খল পরিবেশ বিরাজ করলেও পুলিশী অভিযান স্থগিতের সাথে সাথে আবারো সেই পূর্বের বিশৃঙ্খল অবস্থা ফিরে আসে। ওই সময় উচ্ছেদ অভিযানে প্রাপ্ত সাফল্যে জনসাধারণ  ওসি তোজাম্মেল হককে সাধুবাদও জানিয়েছিলেন। তবে তিনি নিয়মিত অভিযানের হাল কেন ছেড়ে দিলেন তা অস্পষ্ট।
চুয়াডাঙ্গা  সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার মাসুদ রানার নিকট এ বিষয়ে জানতে মোবাইল ফোনে তার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি ফোন কল রিসিভ করেননি।