ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন অভিযান পরিদর্শনকালে জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন হাসপাতালের ন্যায় শহরেও পরিষ্কার অভিযান চালাতে পারি আবারও সকলের সহযোগিতা চাইলেন পৌর মেয়র জিপু চৌধুরী

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৬:০১:১৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২১ মে ২০১৭
  • / ৪৬৭ বার পড়া হয়েছে

Hospital Clen Pic 1

নিজস্ব প্রতিবেদক: পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন মনোরম চুয়াডাঙ্গা গড়ার লক্ষ্যে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করণ অভিযান চালানো হয়েছে। ‘চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা কমিউনিটি সাপোর্ট কমিটি’ চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখা ও পৌর সভার যৌথ উদ্যোগে গতকাল শনিবার সকাল ১০টা হতে কয়েকঘন্টা ব্যাপী এই পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালানো হয়। এ সময় পুরুষ ও মহিলা মেডিসিন বিভাগে পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালানো হয়। চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা কমিউনিটি সাপোর্ট কমিটি চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার চেয়ারপারসন ও পৌর মেয়র ওবায়দুর রহমান চৌধুরী জিপু ও জেলার সিভিল সার্জন ডা. রওশন আরার নেতৃত্বে পৌর কর্মচারী ও জেলা ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ এবং সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য বিভাগীয় কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পরিচ্ছন্নতা অভিযানে অংশ নেন। এ ছাড়া বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত অর্ধশত স্বেচ্ছাসেবক এই কাজে সহায়তা করে। পরে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিদর্শন করে সন্তোষ প্রকাশ করেন জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন আহমেদ। তিনি মহতী এ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে ধারাবাহিক কর্মকান্ডের খোজখবর নেন। সাথে সাথে হাসপাতালের অন্যান্য সমস্যা নিরসনে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেন।
এ সময় সদর হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা জেলা বিএমএর সাবেক সভাপতি ডা. মার্টিন হীরক চৌধুরী, পৌর প্যানেল মেয়র-১ একরামুল হক মুক্তা, পৌর প্যানেল মেয়র-২ মুন্সি রেজাউল করিম, পৌর কাউন্সিলর, স্বাস্থ্য বিভাগীয় কর্মকর্তা, জেলা যুবলীগের সাবেক সদস্য আব্দুর রাজ্জাক, পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো. জানিফ,  চুয়াডাঙ্গা পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সজল, সহ-সভাপতি জাহাঙ্গীর, যুগ্ম সম্পাদক মাফিজুর রহমান মাফি, সদর থানা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক ইমরানসহ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের কাছে দেওয়া বক্তব্যে নবাগত জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন আহমেদ বলেন, আমি নিজেকে পরিচ্ছন্নতাকর্মী ভাবতে স্বাচ্ছন্দবোধ করি। পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের সঙ্গে মিশে কাজ করেছি। হাসপাতালটিকে ট্রেনিং গ্রাউন্ড হিসেবে নিতে পারি। পরবর্তী সময়ে চুয়াডাঙ্গা শহরে পরিষ্কার অভিযান চালাতে পারি। একটি বিষয় ভালো লেগেছে ছাত্রলীগের কর্মীরা এ কাজে অংশ নিয়েছে। পৌর মেয়র পজিটিভ, সিভিল সার্জন করিৎকর্মা এবং পজিটিভ।
পৌর মেয়র ওবায়দুর রহমান চৌধুরী বলেন, সদর হাসপাতাল পরিষ্কার- পরিচ্ছন্নতা অভিযান পাইলট প্রকল্প হিসেবে কাজ করা হচ্ছে। এ কাজে বিত্তবানসহ সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি। যদি তাঁরা এ কাজে এগিয়ে আসেন, কাজটি এগিয়ে নিতে সহজ হবে।
তিনি আরো বলেন, ১ম ধাপে সদর হাসপাতালের ৩য় তলায় শিশু ও গাইনী ওয়ার্ড পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে মনোরম পরিবেশ তৈরী করে দেওয়া হয়েছে। সেখানে এখনও পর্যন্ত ৬জন পরিচ্ছন্নকর্মী সার্বক্ষণিক নিয়োজিত রয়েছে। এবার ২য় দফায় হাসপাতালের পুরুষ ও মহিলা (মেডিসিন) ওয়ার্ড পরিচ্ছন্ন করা হচ্ছে। ময়লা আবর্জনা নির্দিষ্ট স্থানে ফেলতে ডাস্টবিন প্রদান করা হয়েছে। পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখতে আগত সকলকে নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে। আগত রোগী ও তাদের স্বজনরাই পারে হাসপাতালের পরিচ্ছন্ন পরিবেশ ধরে রাখতে। এ কাজে তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। তাহলে অচিরেই চুয়াডাঙ্গা শহরকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
চুয়াডাঙ্গার সিভিল সার্জন ডা. রওশন আরা বলেন, পৌর মেয়র ছয়জন পরিচ্ছন্নতাকর্মী নিয়োগের পাশাপাশি বর্জ্য ফেলার জন্য প্রয়োজনীয় ডাস্টবিন দিয়েছেন। এর ফলে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা হয়েছে। সারা দেশে ১০ সরকারি হাসপাতালকে এ প্রকল্পভুক্ত করা হয়েছে। তার মধ্যে চুয়াডাঙ্গায় এ কার্যক্রম এগিয়ে চলেছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন অভিযান পরিদর্শনকালে জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন হাসপাতালের ন্যায় শহরেও পরিষ্কার অভিযান চালাতে পারি আবারও সকলের সহযোগিতা চাইলেন পৌর মেয়র জিপু চৌধুরী

আপলোড টাইম : ০৬:০১:১৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২১ মে ২০১৭

Hospital Clen Pic 1

নিজস্ব প্রতিবেদক: পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন মনোরম চুয়াডাঙ্গা গড়ার লক্ষ্যে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করণ অভিযান চালানো হয়েছে। ‘চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা কমিউনিটি সাপোর্ট কমিটি’ চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখা ও পৌর সভার যৌথ উদ্যোগে গতকাল শনিবার সকাল ১০টা হতে কয়েকঘন্টা ব্যাপী এই পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালানো হয়। এ সময় পুরুষ ও মহিলা মেডিসিন বিভাগে পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালানো হয়। চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা কমিউনিটি সাপোর্ট কমিটি চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার চেয়ারপারসন ও পৌর মেয়র ওবায়দুর রহমান চৌধুরী জিপু ও জেলার সিভিল সার্জন ডা. রওশন আরার নেতৃত্বে পৌর কর্মচারী ও জেলা ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ এবং সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য বিভাগীয় কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পরিচ্ছন্নতা অভিযানে অংশ নেন। এ ছাড়া বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত অর্ধশত স্বেচ্ছাসেবক এই কাজে সহায়তা করে। পরে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিদর্শন করে সন্তোষ প্রকাশ করেন জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন আহমেদ। তিনি মহতী এ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে ধারাবাহিক কর্মকান্ডের খোজখবর নেন। সাথে সাথে হাসপাতালের অন্যান্য সমস্যা নিরসনে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেন।
এ সময় সদর হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা জেলা বিএমএর সাবেক সভাপতি ডা. মার্টিন হীরক চৌধুরী, পৌর প্যানেল মেয়র-১ একরামুল হক মুক্তা, পৌর প্যানেল মেয়র-২ মুন্সি রেজাউল করিম, পৌর কাউন্সিলর, স্বাস্থ্য বিভাগীয় কর্মকর্তা, জেলা যুবলীগের সাবেক সদস্য আব্দুর রাজ্জাক, পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো. জানিফ,  চুয়াডাঙ্গা পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সজল, সহ-সভাপতি জাহাঙ্গীর, যুগ্ম সম্পাদক মাফিজুর রহমান মাফি, সদর থানা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক ইমরানসহ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের কাছে দেওয়া বক্তব্যে নবাগত জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন আহমেদ বলেন, আমি নিজেকে পরিচ্ছন্নতাকর্মী ভাবতে স্বাচ্ছন্দবোধ করি। পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের সঙ্গে মিশে কাজ করেছি। হাসপাতালটিকে ট্রেনিং গ্রাউন্ড হিসেবে নিতে পারি। পরবর্তী সময়ে চুয়াডাঙ্গা শহরে পরিষ্কার অভিযান চালাতে পারি। একটি বিষয় ভালো লেগেছে ছাত্রলীগের কর্মীরা এ কাজে অংশ নিয়েছে। পৌর মেয়র পজিটিভ, সিভিল সার্জন করিৎকর্মা এবং পজিটিভ।
পৌর মেয়র ওবায়দুর রহমান চৌধুরী বলেন, সদর হাসপাতাল পরিষ্কার- পরিচ্ছন্নতা অভিযান পাইলট প্রকল্প হিসেবে কাজ করা হচ্ছে। এ কাজে বিত্তবানসহ সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি। যদি তাঁরা এ কাজে এগিয়ে আসেন, কাজটি এগিয়ে নিতে সহজ হবে।
তিনি আরো বলেন, ১ম ধাপে সদর হাসপাতালের ৩য় তলায় শিশু ও গাইনী ওয়ার্ড পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে মনোরম পরিবেশ তৈরী করে দেওয়া হয়েছে। সেখানে এখনও পর্যন্ত ৬জন পরিচ্ছন্নকর্মী সার্বক্ষণিক নিয়োজিত রয়েছে। এবার ২য় দফায় হাসপাতালের পুরুষ ও মহিলা (মেডিসিন) ওয়ার্ড পরিচ্ছন্ন করা হচ্ছে। ময়লা আবর্জনা নির্দিষ্ট স্থানে ফেলতে ডাস্টবিন প্রদান করা হয়েছে। পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখতে আগত সকলকে নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে। আগত রোগী ও তাদের স্বজনরাই পারে হাসপাতালের পরিচ্ছন্ন পরিবেশ ধরে রাখতে। এ কাজে তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। তাহলে অচিরেই চুয়াডাঙ্গা শহরকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
চুয়াডাঙ্গার সিভিল সার্জন ডা. রওশন আরা বলেন, পৌর মেয়র ছয়জন পরিচ্ছন্নতাকর্মী নিয়োগের পাশাপাশি বর্জ্য ফেলার জন্য প্রয়োজনীয় ডাস্টবিন দিয়েছেন। এর ফলে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা হয়েছে। সারা দেশে ১০ সরকারি হাসপাতালকে এ প্রকল্পভুক্ত করা হয়েছে। তার মধ্যে চুয়াডাঙ্গায় এ কার্যক্রম এগিয়ে চলেছে।