ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গা শিশু স্বর্গে সদর ইউএনও ওয়াশীমুল বারীর আকস্মিক অভিযান

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:৪৭:১১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ অগাস্ট ২০১৮
  • / ৯৩৯ বার পড়া হয়েছে

কলেজে পড়ুয়া ৪ প্রেমিক যুগল আটক : মুচলেকায় মুক্তি
অঙ্কন মল্লিক: চুয়াডাঙ্গা ফেরিঘাট রোডস্থ শিশুস্বর্গ পার্কে আকস্মিক অভিযান চালিয়েছেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ওয়াশীমুল বারী। গতকাল মঙ্গলবার বিকালে পুলিশ সহযোগে তিনি ওই অভিযান চালান। এসময় বিভিন্ন স্কুল কলেজে পড়–য়া চারজন মেয়ে ও চারজন ছেলেকে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় নিয়ে আসা হয়। পরে তাদের অভিভাবকদের মুচলেকা নিয়ে তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এদিকে, চুয়াডাঙ্গার সচেতন অভিভাবক মহলের শিশু স্বর্গের অভিযানের প্রশংসা করেছেন।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা পৌর শহরের ফেরীঘাট রোডের অন্যতম শিশু বিনোদন কেন্দ্র শিশুস্বর্গ শিশু পার্কে পূর্বে স্কুল/কলেজের শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে অনেক অনৈতিক কর্মকান্ড ঘটে আসছিলো। যার পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের ৫ই আগস্ট চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসন অভিযান চালিয়েছিলেন। এদিকে জানা গেছে, পার্কটিতে বেশ কয়েক বছর যাবত যুবক-যুবতীদের নিরাপদ মিলনস্থলে পরিণত হয়েছে। প্রেম ভালোবাসার নামে এখানে লঙ্ঘন হচ্ছে অবাধ মেলামেশা ও অশ্লীলতার চরমসীমা। প্রেমের নামে নির্লজ্জহীন তরুণ, তরুণী, কিশোর-কিশোরীরা আবেগঘন মুহূর্ত পার করছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই এলাকার অনেকেই জানিয়েছেন, হরেক রং বেরঙের মনমাতানো পোশাক, স্কুল-কলেজের নির্ধারিত পোশাক, বোরকা পরে প্রেমিকদের সাথে পার্কে প্রবেশ করে প্রেমিকারা। ভালোবাসার নামে প্রকাশ্যেই তারা অনৈতিক কাজে লিপ্ত হচ্ছে। প্রেমের নামে সাময়িক সুখ পেতে জলাঞ্জলি দিচ্ছে নিজেদের আত্মসম্মান।
অনুসন্ধ্যানে জানা গেছে, পার্কে ঘুরতে আসা আশপাশের লোকজনকেও তোয়াক্কা করছে না বেহায়পনা সেই সকল তরুণ তরুণীরা। নিষিদ্ধ আকাঙ্খা মিটানোর সময় ঠিক থাকে না তাদের পোশাক-পরিচ্ছদ। পার্কের ঘাস ও গাছের নিচের ঝুপড়ি জায়গাগুলো তাদের বিছানায় রূপ নেয়। পার্কে ঢুকলেই দু’পাশে দেখা গেছে, সারি সারি প্রেমিক যুগল বসে আছে। এদের মধ্যে স্কুলের ইউনিফর্ম পরা জুটির সংখ্যাও থাকে। বেশির ভাগই স্কুল-কলেজ ফাঁকি দিচ্ছে তারা। শিশু পার্কের প্রবেশ ফি ২০ টাকা হওয়ায় স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা টিকিট কেটে ঘন্টার পর ঘন্টা পার্কে বসে আড্ডায় মেতে উঠে। আর এতে সরাসরি সহযোগীতা করে পার্কের দায়িত্বরত কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ নিরাপত্তা রক্ষীরা। কেননা এখানে পুলিশি বা সাধারন মানুষের ভয় না থাকায় তারা হরহামেশায় চালাচ্ছে এসকল নির্লজ্জ কর্মকান্ড। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পার্ক পরিচালনাকারী একজনের দাবী, এখানে যৌন চাহিদা মেটানোর মত কোন সুযোগ নেই। কিন্তু মুচকি হেসে বলে- বুঝেনই তো ছেলে- মেয়েরা যাবে কোথায়? নিরিবিলি পরিবেশে দু-চারটা কথা বলার মত নিরাপদ স্থান এ শহরে কোথায় আছে বলুন? কোন ছেলে মেয়ে যদি ভাল উদ্দেশ্যে একটি শান্ত-বা নিরিবীলি পরিবেশে বসে কথা বলে তাহলে দেখবেন কেউ আবার তাদের বাজে মন্তব্য ছড়াচ্ছে। তবে চুয়াডাঙ্গার সচেতন মহলের দাবি, পার্কটিতে কড়া নিড়াপত্তায় সিসি ক্যামেরা লাগানো ও ঝোপঝাড় কেটে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে পরিবারসমেত সকলেই যেন যেতে পারে সেই ব্যবস্থা করা উচিত।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

চুয়াডাঙ্গা শিশু স্বর্গে সদর ইউএনও ওয়াশীমুল বারীর আকস্মিক অভিযান

আপলোড টাইম : ০৯:৪৭:১১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ অগাস্ট ২০১৮

কলেজে পড়ুয়া ৪ প্রেমিক যুগল আটক : মুচলেকায় মুক্তি
অঙ্কন মল্লিক: চুয়াডাঙ্গা ফেরিঘাট রোডস্থ শিশুস্বর্গ পার্কে আকস্মিক অভিযান চালিয়েছেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ওয়াশীমুল বারী। গতকাল মঙ্গলবার বিকালে পুলিশ সহযোগে তিনি ওই অভিযান চালান। এসময় বিভিন্ন স্কুল কলেজে পড়–য়া চারজন মেয়ে ও চারজন ছেলেকে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় নিয়ে আসা হয়। পরে তাদের অভিভাবকদের মুচলেকা নিয়ে তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এদিকে, চুয়াডাঙ্গার সচেতন অভিভাবক মহলের শিশু স্বর্গের অভিযানের প্রশংসা করেছেন।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা পৌর শহরের ফেরীঘাট রোডের অন্যতম শিশু বিনোদন কেন্দ্র শিশুস্বর্গ শিশু পার্কে পূর্বে স্কুল/কলেজের শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে অনেক অনৈতিক কর্মকান্ড ঘটে আসছিলো। যার পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের ৫ই আগস্ট চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসন অভিযান চালিয়েছিলেন। এদিকে জানা গেছে, পার্কটিতে বেশ কয়েক বছর যাবত যুবক-যুবতীদের নিরাপদ মিলনস্থলে পরিণত হয়েছে। প্রেম ভালোবাসার নামে এখানে লঙ্ঘন হচ্ছে অবাধ মেলামেশা ও অশ্লীলতার চরমসীমা। প্রেমের নামে নির্লজ্জহীন তরুণ, তরুণী, কিশোর-কিশোরীরা আবেগঘন মুহূর্ত পার করছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই এলাকার অনেকেই জানিয়েছেন, হরেক রং বেরঙের মনমাতানো পোশাক, স্কুল-কলেজের নির্ধারিত পোশাক, বোরকা পরে প্রেমিকদের সাথে পার্কে প্রবেশ করে প্রেমিকারা। ভালোবাসার নামে প্রকাশ্যেই তারা অনৈতিক কাজে লিপ্ত হচ্ছে। প্রেমের নামে সাময়িক সুখ পেতে জলাঞ্জলি দিচ্ছে নিজেদের আত্মসম্মান।
অনুসন্ধ্যানে জানা গেছে, পার্কে ঘুরতে আসা আশপাশের লোকজনকেও তোয়াক্কা করছে না বেহায়পনা সেই সকল তরুণ তরুণীরা। নিষিদ্ধ আকাঙ্খা মিটানোর সময় ঠিক থাকে না তাদের পোশাক-পরিচ্ছদ। পার্কের ঘাস ও গাছের নিচের ঝুপড়ি জায়গাগুলো তাদের বিছানায় রূপ নেয়। পার্কে ঢুকলেই দু’পাশে দেখা গেছে, সারি সারি প্রেমিক যুগল বসে আছে। এদের মধ্যে স্কুলের ইউনিফর্ম পরা জুটির সংখ্যাও থাকে। বেশির ভাগই স্কুল-কলেজ ফাঁকি দিচ্ছে তারা। শিশু পার্কের প্রবেশ ফি ২০ টাকা হওয়ায় স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা টিকিট কেটে ঘন্টার পর ঘন্টা পার্কে বসে আড্ডায় মেতে উঠে। আর এতে সরাসরি সহযোগীতা করে পার্কের দায়িত্বরত কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ নিরাপত্তা রক্ষীরা। কেননা এখানে পুলিশি বা সাধারন মানুষের ভয় না থাকায় তারা হরহামেশায় চালাচ্ছে এসকল নির্লজ্জ কর্মকান্ড। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পার্ক পরিচালনাকারী একজনের দাবী, এখানে যৌন চাহিদা মেটানোর মত কোন সুযোগ নেই। কিন্তু মুচকি হেসে বলে- বুঝেনই তো ছেলে- মেয়েরা যাবে কোথায়? নিরিবিলি পরিবেশে দু-চারটা কথা বলার মত নিরাপদ স্থান এ শহরে কোথায় আছে বলুন? কোন ছেলে মেয়ে যদি ভাল উদ্দেশ্যে একটি শান্ত-বা নিরিবীলি পরিবেশে বসে কথা বলে তাহলে দেখবেন কেউ আবার তাদের বাজে মন্তব্য ছড়াচ্ছে। তবে চুয়াডাঙ্গার সচেতন মহলের দাবি, পার্কটিতে কড়া নিড়াপত্তায় সিসি ক্যামেরা লাগানো ও ঝোপঝাড় কেটে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে পরিবারসমেত সকলেই যেন যেতে পারে সেই ব্যবস্থা করা উচিত।