ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গা রেলবাজারের দুই দোকানে বিএসটিআই’র সিলবিহীন ও মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য বিক্রির দায়ে ভ্রাম্যমান আদালতে জরিমানা : তুলকালাম কা-! : পুলিশ সুপার নিজাম উদ্দীনের হাতে দোকান মালিক সমিতির সভাপতি-সম্পাদক লাঞ্ছিত : পুলিশ সুপারের অপসারণ দাবিতে ব্যবসায়ীদের অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট : বিভিন্ন সংগঠনের একাত্মতা : আজ ১১টায় সংবাদ সম্মেলন

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৬:৩১:৫৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১২ জুন ২০১৭
  • / ৩৯৫ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গার রেলবাজারে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে দুই ব্যবসায়ীকে আটকের প্রতিবাদ করায় দোকান মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেছে পুলিশ। এসময় পুলিশের সাথে সরাসরি অ্যাকশনে যান স্বয়ং পুলিশ সুপার নিজাম উদ্দীন। জেলা দোকান মালিক সমিতির সভাপতি আসাদুল হক জোয়ার্দ্দার লেমন ও সাধারণ সম্পাদক ইবরুল হাসান জোয়ার্দ্দার ইবুকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন তিনি। প্রতিবাদ করলে তাদের মারধরও করেন পুলিশ সুপার নিজাম উদ্দীন।
এদিকে, পুলিশ সুপারের হাতে ব্যবসায়ী নেতাদের লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনায় ফুঁসে ওঠে জেলার সর্বস্তরের ব্যবসায়ীরা। ঘটনার পরপরই পুলিশ নিজাম উদ্দীনের অপসারণ দাবিতে জেলা শহরের সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয় তারা। একই দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ ও সমাবেশ করে ব্যবসায়ীরা। চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার নিজাম উদ্দীনের অপসারণ দাবি না মানলে অনির্দিষ্টকালের জন্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার দেয় বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখা। ব্যবসায়ীদের এই আন্দোলনের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেছে জেলা পরিবেশক সমিতি, শিল্প ও বনিক সমিতিসহ স্থানীয় সকল ব্যবসায়ী সংগঠন। আকস্মিক দোকান বন্ধের ঘোষণায় চড়ম দুর্ভোগে পড়েন মার্কেটে আসা ক্রেতারা।
অপরদিকে, দোকান মালিক সমিতির সভাপতি-সম্পাদক এবং সংগঠনের কোন নেতৃবৃন্দকেই মারধর করা হয়নি। সভাপতি আসাদুল হোসেন জোয়ার্দ্দার লেমন ও সাধারণ সম্পাদক ইবরুল হাসান জোয়ার্দ্দার ইবুকে লাঞ্ছিত করার ঘটনাটিও মিথ্যা বলেও জানান পুলিশ সুপার।
তবে, পুলিশ সুপার নিজাম উদ্দীনসহ পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের সদস্য কর্তৃক দোকান মালিক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ নেতৃবৃন্দকে মারধরের ভিডিওটি ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এছাড়া, স্থানীয় বিভিন্ন মানুষের হাতে হাতে ছড়িয়ে গেছে ভিডিওটি। পুলিশের এক কনস্টেবলের ধাক্কায় সাধারণ সম্পাদককে পিকআপে তোলার চিত্রও ফুটে ওঠে সেখানে।
যেভাবে ঘটনার সুত্রপাত
গতকাল রোববার বেলা ১১টার দিকে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার জন্য চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে শহরের রেলবাজারে যান নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেট ফকরুল ইসলাম। বিএসটিআই’র অনুমোদন না থাকা এবং মেয়াদোত্তীর্ণ টোস্ট বিস্কুট রাখার দায়ে রেলবাজারের দুইটি দোকান মালিককে জরিমানা করেন ভ্রাম্যমান আদালত। খুলনা বিএসটিআই’র পরিদর্শক মো. কামরুজ্জামানের সহযোগিতায় বিশ্বাস স্টোরের মালিক আলাউদ্দিন ও নিউ বিশ্বাস স্টোরের মালিক সালাউদ্দিনকে দুই হাজার টাকা করে দুই হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। এসময় দোকানীরা আদালতে আরজি করে যে, তাদের দোকানে থাকা টোস্ট বিস্কুটে বিএসটিআই’র সিল আছে। ফলে জরিমানার টাকা অস্বীকার জানান তারা। জরিমানার টাকা পরিশোধ না করায় ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক ও পুলিশ সদস্যদের সাথে বাকবিত-ায় জড়িয়ে পড়ে ব্যবসায়ীরা। একপর্যায়ে দুই ব্যবসায়ীকে আটক করে পুলিশ পিকআপে তোলার চেষ্টা করলে তাদের বাধা দিয়ে ছেড়ে দেয়ার আবেদন জানায় অন্যান্য ব্যবসায়ীরা। এঘটনা ক্রমেই ঘনিভুত হলে নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেট ফখরুল ইসলাম ঘটনার বর্ণনা দিয়ে জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীনকে জানালে, এনডিসি তরিকুল ইসলাম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েও পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খান।
যেভাবে বিরোধে জড়ালেন পুলিশ সুপার
খবর পেয়ে সেখানে উপস্থিত হন পুলিশ সুপার নিজাম উদ্দীন। তিনি ঘটনার বর্ণনা শুনে ওই দুই ব্যবসায়ীকে পূনরায় আটকের নির্দেশ দেন তিনি। তার ওই নির্দেশের প্রতিবাদ জানালে, ক্ষিপ্ত হয়ে ব্যবসায়ীদের ওপর চড়াও হন পুলিশ সুপার। এসময় ব্যবসায়ী ও পুলিশের সমস্যার সমাধানে ছুটে আসে জেলা দোকান মালিক সমিতির সভাপতি আসাদুল হোসেন জোয়ার্দ্দার লেমন ও সাধারণ সম্পাদক ইবরুল হাসান জোয়ার্দ্দার ইবু। পুলিশ সুপারের সাথে আলোচনা শুরু করেন সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা। একপর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে পুলিশ সুপার নিজাম উদ্দীন স্থানীয় ব্যবসায়ী শামসুল ইসলাম ও সেলিম হোসেনকে আটক করার নির্দেশ দেন। কোন কারণ ছাড়াই তাদের আটকের প্রতিবাদ জানালে দোকান মালিক সমিতির সভাপতি আসাদুল হোসেন জোয়ার্দ্দার লেমনকে মারপিট করে রক্তাক্ত জখম করে পুলিশ সুপারসহ পুলিশের অন্যান্য সদস্যরা। এসময় সভাপতি রোজাদার ও অসুস্থ্য বলে আঁকুতি জানালেও মারপিট থামায়নি পুলিশ। একইসাথে সাধারণ সম্পাদক ইবরুল হাসান জোয়ার্দ্দার ইবুকেও চড়-থাপ্পড় মারেন পুলিশ সুপার। তিনিও হার্টের রোগি এবং তার হার্টে রিং বসানো বলে জানালেও মন গলেনি পুলিশ সুপারের। বরং তাকে চ্যাংদোলা পিকআপ ভ্যানে তোলে পুলিশ সদস্যরা। এসময় কয়েকজন কনস্টেবল তাকে ধাক্কা দিয়ে পিকআপ ভ্যানে ঠেলে দেয়। পরে ইবরুল হাসান জোয়ার্দ্দার ইবু, ব্যবসায়ী শামসুল ইসলাম ও সেলিম হোসেনকে আটক করে নেয়া হয় থানায়।
একপর্যায়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন আহমেদ। ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক ও ব্যবসায়ীদের কাছে ঘটনার বর্ণনা শুনে উত্তেজিত সকলকে শান্ত হওয়ার আহ্বান জানান তিনি। এসময় জেলা প্রশাসক বলেন, আইন মেনে ব্যবসা করলে জেলা প্রশাসন তাদের পাশে থাকবে, অমান্য করলেই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এদিকে, চুয়াডাঙ্গা জেলা দোকান মালিক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে মারপিট, গালিগালাজ, ব্যবসায়ীদের আটকের খবরে ফুঁসে ওঠে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। নেতৃবৃন্দের লাঞ্ছিতের প্রতিবাদ জানায় বিক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীরা। ঘটনার পর দুপুর ২টার দিকে জেলা দোকান মালিক সমিতির কার্যালয়ে এক জরুরী বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সকল ব্যবসায়ীদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত বৈঠকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে পুলিশ সুপার নিজাম উদ্দীনের অপসারণ দাবি করেন নেতৃবৃন্দরা। একই দাবিতে জেলার সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে দোকান মালিক সমিতি। দাবি না মানলে কঠোর কর্মসুচির হুশিয়ারী দেন নেতৃবৃন্দরা।
দোকান মালিক সমিতির সভাপতি-সম্পাদকের বক্তব্য:
চুয়াডাঙ্গা জেলা দোকান মালিক সমিতির সভাপতি আসাদুল হোসেন জোয়ার্দ্দার লেমন জানান, চুয়াডাঙ্গা শহরের রেলবাজারের দুটি দোকানে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালনাকে কেন্দ্র করে ব্যবসায়ীদের সাথে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সমস্যার সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন পুলিশ সুপার নিজাম উদ্দীন। এসময় রেলবাজারের ঘটনাটি জানার জন্য সভাপতি লেমন জোয়ার্দ্দারের মোবাইলফোনে কল দেন পৌর মেয়র ওবায়দুর রহমান চৌধুরী জিপু। মোবাইলফোনে কথা বলার সাথে সাথে পুলিশ সুপার নিজাম উদ্দীন তাকে চড়-থাপ্পড় মারতে থাকেন। এসময় বাবা-মা তুলে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজের সাথে লেমন জোয়ার্দ্দারকে মারপিট করে রক্তাক্ত জখম করেন পুলিশ সুপার। বারবার পুলিশ সুপারকে তিনি অনুরোধ করেন যে, তিনি হার্টের রোগী বুকে রিং বসানো আছে এবং আমি রোজায় আছি । সেটা শুনেও তাকে মারতে থাকেন পুলিশ সুপার।
তিনি আরো বলেন, পরে জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন আহমেদ ঘটনাস্থলে পৌছে বিষয়টি সামাল দিলেও পরক্ষণে পুলিশ সুপার নিজাম উদ্দীন সেটাকে আরো উসকে দেন। এই পুলিশ কর্মকর্তার ভাষা এতটাই জঘন্য যে, সে পুলিশ সুপারের যোগ্যতাই রাখেননা। সেকারনে ব্যবসায়ীদের দাবীর প্রেক্ষিতে জঘন্য অযোগ্য অপদার্থ পুলিশ সুপারের অপসারণের দাবীতে অনির্দিষ্টকালের জন্য জেলার সকল দোকানপাট, রেস্তোরা ও বেকারী বন্ধ থাকবে।
সাধারণ সম্পাদক ইবরুল হাসান জোয়ার্দ্দার ইবু বলেন, ঘটনা শুনে আমি রেলবাজারে যায়। এসময় আমার সাথে বেশ কিছু ব্যবসায়ী থাকায় পুলিশ সুপার ক্ষিপ্ত হয়ে লাঠি দিয়ে আমাকে মারার জন্য পুলিশ সদস্যদের বলেন। এ ঘটনায় হতবিহব্বল হয়ে অন্য ব্যবসায়ীরা আমাকে রক্ষা করতে গেলে এক ব্যবসায়ীকে ছাতা দিয়ে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেয় এক পুলিশ সদস্য। এছাড়া, প্রতিবাদী দুজন ব্যবসায়ী সেলিম হোসেন ও শামসুল ইসলাম এবং আমাকে চ্যাংদোলা করে পুলিশের গাড়িতে তুলে সদর থানায় নিয়ে যায়। সেখানে সাদা কাগজে মুচলেকা নিয়ে আমাদের ছেড়ে দেয়া হয়।
পুলিশ সুপারের অস্বীকার:
পুলিশ সুপার নিজাম উদ্দীন বলেন, ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনায় ছিল জেলা প্রশাসন। সেখানে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সাথে সাথে ব্যবসায়ীরা দ্বন্দে জড়িয়ে পড়লে সেখানে দায়ীত্বরত পুলিশ সদস্যরা দায়ীত্ব পালন করতে গেলে ব্যবসায়ীদের সাথে সামান্য ধস্তাধস্তি হয়। এছাড়া, সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে মারধর ও গালিগালাজের ঘটনা সম্পূর্ণ মিথ্যা। বরঞ্চ ব্যবসায়ীরা সরকারী কাজ এবং পুলিশের দায়ীত্ব পালনে বাধা প্রদান করেছে।
তবে, পুলিশ সুপার নিজাম উদ্দীনসহ পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের সদস্য কর্তৃক দোকান মালিক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ নেতৃবৃন্দকে মারধরের ভিডিওটি ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এছাড়া, স্থানীয় বিভিন্ন মানুষের হাতে হাতে ছড়িয়ে গেছে ভিডিওটি। পুলিশের এক কনস্টেবলের ধাক্কায় সাধারণ সম্পাদককে পিকআপে তোলার চিত্রও ফুটে ওঠে সেখানে।
দোকান মালিক সমিতির ঘোষিত কর্মসূচি ও বিভিন্ন সংগঠনের একাত্মতা
ন্যাক্কারজনক ও দুঃখজনক ঘটনার প্রতিবাদে গতকাল সন্ধ্যার পর দোকান মালিক সমিতির কার্যালয়ে চুয়াডাঙ্গার পেশাজীবী সংগঠনসহ সকল প্রকার ব্যবসায়ীদের নিয়ে প্রতিবাদসভার আয়োজন করে। দোকান মালিক সমিতির পুলিশ কর্তৃক আহত সভাপতি হাজী আসাদুল হোসেন জোয়ার্দ্দার লেমনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভা পরিচালনা করেন সেক্রেটারী ইবরুল হাসান জোয়ার্দ্দার ইবু। সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ইট-ভাটা মালিক সমিতি, শিল্প ও বনিক সমিতি, মৎস আড়তদার মালিক সমিতি, কাঁচামাল আড়তদার ব্যবসায়ী সমিতি, নিউ মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতি, প্রিন্স প্লাজা ব্যবসায়ী সমিতি, ফাতেমা প্লাজা, আলী হোসেন মার্কেট সমিতি, রেলবাজার দোকান মালিক সমিতি, কেদারগঞ্জ বাজার, কোর্টমোড় বাজার ব্যবসায়ী সমিতি, পরিবেশক সমিতিসহ বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠন একাত্মতা প্রকাশ করে প্রতিবাদসভায় অংশ নেয়।
সভায় সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় যে, আজ সকাল ১১টা পর্যন্ত কাঁচামাল ও মাছ বেচাকেনা করা যাবে, তবে ১১টার পর থেকে সব কিছু বন্ধ থাকবে। বেলা ১১টায় চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এই সম্মেলন থেকে পরবর্তী কর্মসূচী ঘোষণা করা হবে বলে দোকান মালিক সমিতির সভা থেকে জানানো হয়। এসব কর্মসূচী সমূহ সফল করার লক্ষ্যে গতকাল রাত থেকেই সর্বসাধারণের জ্ঞাতার্থে শহরব্যাপী মাইকযোগে ব্যবসায়ীদের কর্মসূচি প্রচার করা হয়।
উল্লেখ্য, এর আগেও নির্বাচনী প্রশিক্ষণ চলাকালীন উপস্থিত নির্বাচনী কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে অশালীন বক্তব্য প্রদান করায় পুলিশ সুপার নিজাম উদ্দীনকে জামালপুর থেকে প্রত্যাহার করে ঢাকা হেডকোয়ার্টারে ন্যাস্ত করা হয়। খবরটি সেসময় বিভিন্ন গণমাধ্যমে ব্যাপক সাড়া ফেলে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

চুয়াডাঙ্গা রেলবাজারের দুই দোকানে বিএসটিআই’র সিলবিহীন ও মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য বিক্রির দায়ে ভ্রাম্যমান আদালতে জরিমানা : তুলকালাম কা-! : পুলিশ সুপার নিজাম উদ্দীনের হাতে দোকান মালিক সমিতির সভাপতি-সম্পাদক লাঞ্ছিত : পুলিশ সুপারের অপসারণ দাবিতে ব্যবসায়ীদের অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট : বিভিন্ন সংগঠনের একাত্মতা : আজ ১১টায় সংবাদ সম্মেলন

আপলোড টাইম : ০৬:৩১:৫৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১২ জুন ২০১৭

নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গার রেলবাজারে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে দুই ব্যবসায়ীকে আটকের প্রতিবাদ করায় দোকান মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেছে পুলিশ। এসময় পুলিশের সাথে সরাসরি অ্যাকশনে যান স্বয়ং পুলিশ সুপার নিজাম উদ্দীন। জেলা দোকান মালিক সমিতির সভাপতি আসাদুল হক জোয়ার্দ্দার লেমন ও সাধারণ সম্পাদক ইবরুল হাসান জোয়ার্দ্দার ইবুকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন তিনি। প্রতিবাদ করলে তাদের মারধরও করেন পুলিশ সুপার নিজাম উদ্দীন।
এদিকে, পুলিশ সুপারের হাতে ব্যবসায়ী নেতাদের লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনায় ফুঁসে ওঠে জেলার সর্বস্তরের ব্যবসায়ীরা। ঘটনার পরপরই পুলিশ নিজাম উদ্দীনের অপসারণ দাবিতে জেলা শহরের সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয় তারা। একই দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ ও সমাবেশ করে ব্যবসায়ীরা। চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার নিজাম উদ্দীনের অপসারণ দাবি না মানলে অনির্দিষ্টকালের জন্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার দেয় বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখা। ব্যবসায়ীদের এই আন্দোলনের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেছে জেলা পরিবেশক সমিতি, শিল্প ও বনিক সমিতিসহ স্থানীয় সকল ব্যবসায়ী সংগঠন। আকস্মিক দোকান বন্ধের ঘোষণায় চড়ম দুর্ভোগে পড়েন মার্কেটে আসা ক্রেতারা।
অপরদিকে, দোকান মালিক সমিতির সভাপতি-সম্পাদক এবং সংগঠনের কোন নেতৃবৃন্দকেই মারধর করা হয়নি। সভাপতি আসাদুল হোসেন জোয়ার্দ্দার লেমন ও সাধারণ সম্পাদক ইবরুল হাসান জোয়ার্দ্দার ইবুকে লাঞ্ছিত করার ঘটনাটিও মিথ্যা বলেও জানান পুলিশ সুপার।
তবে, পুলিশ সুপার নিজাম উদ্দীনসহ পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের সদস্য কর্তৃক দোকান মালিক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ নেতৃবৃন্দকে মারধরের ভিডিওটি ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এছাড়া, স্থানীয় বিভিন্ন মানুষের হাতে হাতে ছড়িয়ে গেছে ভিডিওটি। পুলিশের এক কনস্টেবলের ধাক্কায় সাধারণ সম্পাদককে পিকআপে তোলার চিত্রও ফুটে ওঠে সেখানে।
যেভাবে ঘটনার সুত্রপাত
গতকাল রোববার বেলা ১১টার দিকে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার জন্য চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে শহরের রেলবাজারে যান নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেট ফকরুল ইসলাম। বিএসটিআই’র অনুমোদন না থাকা এবং মেয়াদোত্তীর্ণ টোস্ট বিস্কুট রাখার দায়ে রেলবাজারের দুইটি দোকান মালিককে জরিমানা করেন ভ্রাম্যমান আদালত। খুলনা বিএসটিআই’র পরিদর্শক মো. কামরুজ্জামানের সহযোগিতায় বিশ্বাস স্টোরের মালিক আলাউদ্দিন ও নিউ বিশ্বাস স্টোরের মালিক সালাউদ্দিনকে দুই হাজার টাকা করে দুই হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। এসময় দোকানীরা আদালতে আরজি করে যে, তাদের দোকানে থাকা টোস্ট বিস্কুটে বিএসটিআই’র সিল আছে। ফলে জরিমানার টাকা অস্বীকার জানান তারা। জরিমানার টাকা পরিশোধ না করায় ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক ও পুলিশ সদস্যদের সাথে বাকবিত-ায় জড়িয়ে পড়ে ব্যবসায়ীরা। একপর্যায়ে দুই ব্যবসায়ীকে আটক করে পুলিশ পিকআপে তোলার চেষ্টা করলে তাদের বাধা দিয়ে ছেড়ে দেয়ার আবেদন জানায় অন্যান্য ব্যবসায়ীরা। এঘটনা ক্রমেই ঘনিভুত হলে নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেট ফখরুল ইসলাম ঘটনার বর্ণনা দিয়ে জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীনকে জানালে, এনডিসি তরিকুল ইসলাম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েও পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খান।
যেভাবে বিরোধে জড়ালেন পুলিশ সুপার
খবর পেয়ে সেখানে উপস্থিত হন পুলিশ সুপার নিজাম উদ্দীন। তিনি ঘটনার বর্ণনা শুনে ওই দুই ব্যবসায়ীকে পূনরায় আটকের নির্দেশ দেন তিনি। তার ওই নির্দেশের প্রতিবাদ জানালে, ক্ষিপ্ত হয়ে ব্যবসায়ীদের ওপর চড়াও হন পুলিশ সুপার। এসময় ব্যবসায়ী ও পুলিশের সমস্যার সমাধানে ছুটে আসে জেলা দোকান মালিক সমিতির সভাপতি আসাদুল হোসেন জোয়ার্দ্দার লেমন ও সাধারণ সম্পাদক ইবরুল হাসান জোয়ার্দ্দার ইবু। পুলিশ সুপারের সাথে আলোচনা শুরু করেন সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা। একপর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে পুলিশ সুপার নিজাম উদ্দীন স্থানীয় ব্যবসায়ী শামসুল ইসলাম ও সেলিম হোসেনকে আটক করার নির্দেশ দেন। কোন কারণ ছাড়াই তাদের আটকের প্রতিবাদ জানালে দোকান মালিক সমিতির সভাপতি আসাদুল হোসেন জোয়ার্দ্দার লেমনকে মারপিট করে রক্তাক্ত জখম করে পুলিশ সুপারসহ পুলিশের অন্যান্য সদস্যরা। এসময় সভাপতি রোজাদার ও অসুস্থ্য বলে আঁকুতি জানালেও মারপিট থামায়নি পুলিশ। একইসাথে সাধারণ সম্পাদক ইবরুল হাসান জোয়ার্দ্দার ইবুকেও চড়-থাপ্পড় মারেন পুলিশ সুপার। তিনিও হার্টের রোগি এবং তার হার্টে রিং বসানো বলে জানালেও মন গলেনি পুলিশ সুপারের। বরং তাকে চ্যাংদোলা পিকআপ ভ্যানে তোলে পুলিশ সদস্যরা। এসময় কয়েকজন কনস্টেবল তাকে ধাক্কা দিয়ে পিকআপ ভ্যানে ঠেলে দেয়। পরে ইবরুল হাসান জোয়ার্দ্দার ইবু, ব্যবসায়ী শামসুল ইসলাম ও সেলিম হোসেনকে আটক করে নেয়া হয় থানায়।
একপর্যায়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন আহমেদ। ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক ও ব্যবসায়ীদের কাছে ঘটনার বর্ণনা শুনে উত্তেজিত সকলকে শান্ত হওয়ার আহ্বান জানান তিনি। এসময় জেলা প্রশাসক বলেন, আইন মেনে ব্যবসা করলে জেলা প্রশাসন তাদের পাশে থাকবে, অমান্য করলেই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এদিকে, চুয়াডাঙ্গা জেলা দোকান মালিক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে মারপিট, গালিগালাজ, ব্যবসায়ীদের আটকের খবরে ফুঁসে ওঠে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। নেতৃবৃন্দের লাঞ্ছিতের প্রতিবাদ জানায় বিক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীরা। ঘটনার পর দুপুর ২টার দিকে জেলা দোকান মালিক সমিতির কার্যালয়ে এক জরুরী বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সকল ব্যবসায়ীদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত বৈঠকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে পুলিশ সুপার নিজাম উদ্দীনের অপসারণ দাবি করেন নেতৃবৃন্দরা। একই দাবিতে জেলার সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে দোকান মালিক সমিতি। দাবি না মানলে কঠোর কর্মসুচির হুশিয়ারী দেন নেতৃবৃন্দরা।
দোকান মালিক সমিতির সভাপতি-সম্পাদকের বক্তব্য:
চুয়াডাঙ্গা জেলা দোকান মালিক সমিতির সভাপতি আসাদুল হোসেন জোয়ার্দ্দার লেমন জানান, চুয়াডাঙ্গা শহরের রেলবাজারের দুটি দোকানে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালনাকে কেন্দ্র করে ব্যবসায়ীদের সাথে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সমস্যার সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন পুলিশ সুপার নিজাম উদ্দীন। এসময় রেলবাজারের ঘটনাটি জানার জন্য সভাপতি লেমন জোয়ার্দ্দারের মোবাইলফোনে কল দেন পৌর মেয়র ওবায়দুর রহমান চৌধুরী জিপু। মোবাইলফোনে কথা বলার সাথে সাথে পুলিশ সুপার নিজাম উদ্দীন তাকে চড়-থাপ্পড় মারতে থাকেন। এসময় বাবা-মা তুলে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজের সাথে লেমন জোয়ার্দ্দারকে মারপিট করে রক্তাক্ত জখম করেন পুলিশ সুপার। বারবার পুলিশ সুপারকে তিনি অনুরোধ করেন যে, তিনি হার্টের রোগী বুকে রিং বসানো আছে এবং আমি রোজায় আছি । সেটা শুনেও তাকে মারতে থাকেন পুলিশ সুপার।
তিনি আরো বলেন, পরে জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন আহমেদ ঘটনাস্থলে পৌছে বিষয়টি সামাল দিলেও পরক্ষণে পুলিশ সুপার নিজাম উদ্দীন সেটাকে আরো উসকে দেন। এই পুলিশ কর্মকর্তার ভাষা এতটাই জঘন্য যে, সে পুলিশ সুপারের যোগ্যতাই রাখেননা। সেকারনে ব্যবসায়ীদের দাবীর প্রেক্ষিতে জঘন্য অযোগ্য অপদার্থ পুলিশ সুপারের অপসারণের দাবীতে অনির্দিষ্টকালের জন্য জেলার সকল দোকানপাট, রেস্তোরা ও বেকারী বন্ধ থাকবে।
সাধারণ সম্পাদক ইবরুল হাসান জোয়ার্দ্দার ইবু বলেন, ঘটনা শুনে আমি রেলবাজারে যায়। এসময় আমার সাথে বেশ কিছু ব্যবসায়ী থাকায় পুলিশ সুপার ক্ষিপ্ত হয়ে লাঠি দিয়ে আমাকে মারার জন্য পুলিশ সদস্যদের বলেন। এ ঘটনায় হতবিহব্বল হয়ে অন্য ব্যবসায়ীরা আমাকে রক্ষা করতে গেলে এক ব্যবসায়ীকে ছাতা দিয়ে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেয় এক পুলিশ সদস্য। এছাড়া, প্রতিবাদী দুজন ব্যবসায়ী সেলিম হোসেন ও শামসুল ইসলাম এবং আমাকে চ্যাংদোলা করে পুলিশের গাড়িতে তুলে সদর থানায় নিয়ে যায়। সেখানে সাদা কাগজে মুচলেকা নিয়ে আমাদের ছেড়ে দেয়া হয়।
পুলিশ সুপারের অস্বীকার:
পুলিশ সুপার নিজাম উদ্দীন বলেন, ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনায় ছিল জেলা প্রশাসন। সেখানে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সাথে সাথে ব্যবসায়ীরা দ্বন্দে জড়িয়ে পড়লে সেখানে দায়ীত্বরত পুলিশ সদস্যরা দায়ীত্ব পালন করতে গেলে ব্যবসায়ীদের সাথে সামান্য ধস্তাধস্তি হয়। এছাড়া, সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে মারধর ও গালিগালাজের ঘটনা সম্পূর্ণ মিথ্যা। বরঞ্চ ব্যবসায়ীরা সরকারী কাজ এবং পুলিশের দায়ীত্ব পালনে বাধা প্রদান করেছে।
তবে, পুলিশ সুপার নিজাম উদ্দীনসহ পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের সদস্য কর্তৃক দোকান মালিক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ নেতৃবৃন্দকে মারধরের ভিডিওটি ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এছাড়া, স্থানীয় বিভিন্ন মানুষের হাতে হাতে ছড়িয়ে গেছে ভিডিওটি। পুলিশের এক কনস্টেবলের ধাক্কায় সাধারণ সম্পাদককে পিকআপে তোলার চিত্রও ফুটে ওঠে সেখানে।
দোকান মালিক সমিতির ঘোষিত কর্মসূচি ও বিভিন্ন সংগঠনের একাত্মতা
ন্যাক্কারজনক ও দুঃখজনক ঘটনার প্রতিবাদে গতকাল সন্ধ্যার পর দোকান মালিক সমিতির কার্যালয়ে চুয়াডাঙ্গার পেশাজীবী সংগঠনসহ সকল প্রকার ব্যবসায়ীদের নিয়ে প্রতিবাদসভার আয়োজন করে। দোকান মালিক সমিতির পুলিশ কর্তৃক আহত সভাপতি হাজী আসাদুল হোসেন জোয়ার্দ্দার লেমনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভা পরিচালনা করেন সেক্রেটারী ইবরুল হাসান জোয়ার্দ্দার ইবু। সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ইট-ভাটা মালিক সমিতি, শিল্প ও বনিক সমিতি, মৎস আড়তদার মালিক সমিতি, কাঁচামাল আড়তদার ব্যবসায়ী সমিতি, নিউ মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতি, প্রিন্স প্লাজা ব্যবসায়ী সমিতি, ফাতেমা প্লাজা, আলী হোসেন মার্কেট সমিতি, রেলবাজার দোকান মালিক সমিতি, কেদারগঞ্জ বাজার, কোর্টমোড় বাজার ব্যবসায়ী সমিতি, পরিবেশক সমিতিসহ বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠন একাত্মতা প্রকাশ করে প্রতিবাদসভায় অংশ নেয়।
সভায় সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় যে, আজ সকাল ১১টা পর্যন্ত কাঁচামাল ও মাছ বেচাকেনা করা যাবে, তবে ১১টার পর থেকে সব কিছু বন্ধ থাকবে। বেলা ১১টায় চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এই সম্মেলন থেকে পরবর্তী কর্মসূচী ঘোষণা করা হবে বলে দোকান মালিক সমিতির সভা থেকে জানানো হয়। এসব কর্মসূচী সমূহ সফল করার লক্ষ্যে গতকাল রাত থেকেই সর্বসাধারণের জ্ঞাতার্থে শহরব্যাপী মাইকযোগে ব্যবসায়ীদের কর্মসূচি প্রচার করা হয়।
উল্লেখ্য, এর আগেও নির্বাচনী প্রশিক্ষণ চলাকালীন উপস্থিত নির্বাচনী কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে অশালীন বক্তব্য প্রদান করায় পুলিশ সুপার নিজাম উদ্দীনকে জামালপুর থেকে প্রত্যাহার করে ঢাকা হেডকোয়ার্টারে ন্যাস্ত করা হয়। খবরটি সেসময় বিভিন্ন গণমাধ্যমে ব্যাপক সাড়া ফেলে।