ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গা পৌর নির্বাচন : ভোট কেন্দ্রে উপেক্ষিত স্বাস্থ্যবিধি!

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:৪১:৫৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২০
  • / ১৩৭ বার পড়া হয়েছে

সোহেল রানা:
উৎসবমুখর ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে প্রথম ধাপে পৌরসভা নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। সকাল থেকেই শীত উপেক্ষা করে ভোটারদের ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। প্রতিটি কেন্দ্রেই পুরুষ ভোটারদের চাইতে নারী ভোটারদের সংখ্যা বেশি ছিল। বরাবরের মতো সারিবদ্ধভাবে লাইনে দাঁড়িয়ে বুথে ঢোকার অপেক্ষামান দৃশ্য চোখে পড়ে। কিছুটা ধীরগতিতে ভোট গ্রহণ হওয়ার সুযোগে নারী লাইনে নানান গল্পের চুটকি সুর ভেসে আসে কানে। এগিয়ে যেতেই চোখে পড়ে সবাই দাঁড়িয়ে আছেন একে অপরে গা-ঘেঁষে। মাস্ক নেই অধিকাংশ ভোটারের মুখে। হাতে গোনা কয়েকজন মাস্ক পরলেও তাদের সঙ্গে কথা বলতেই ‘চক্ষু চড়ক গাছ!’।
আলিয়া খাতুন নামে এক গৃহিনী ভোট দিতে এসেছেন। শত শত ভোটারের মধ্যে তাঁর মুখে মাস্ক থাকায় আগ্রহ নিয়ে জানতে চাওয়া হয়, ‘অধিকাংশ ভোটারই তো মাস্ক পরেননি, আপনি মাস্ক পরেছেন। বেশ সচেতন মানুষ’ উত্তরে জানা গেল, তিনি মূলত মাস্ক পরেছেন নাক-মুখের উপরে উড়ে পড়া ধুলাবালি থেকে নিজেকে বাঁচাতে। তিনি বলেন, ‘ভোটের মাঠে মেলা মানুষ আসে। আর শিতির সুমায় প্রচুর ধুলোবালি ওড়ে। তাই নাক মুক ঢেকে রাখায় ভালো।’ এমন দৃশ্য দেখা যায় পৌর শহরের বাইরের তথা গ্রামীণ কেন্দ্রগুলোতে। এছাড়া শহরের কেন্দ্রগুলোতে ভোটাররা মাস্ক পরলেও মানা হয়নি সামাজিক দূরত্ব। এতে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি রয়েছে বলে মনে করছেন অনেকে। সকাল থেকে পৌর এলাকার তালতলা, হাজরাহাটি, বেলগাছি, সাতগাড়ি, পৌর ডিগ্রি কলেজ, সরকারি কলেজ, রেলবাজার, এম এ বারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রসহ বিভিন্ন কেন্দ্র সরেজমিন ঘুরে মাস্ক পরা, সামজিক দূরত্ব মানা-না মানার চিত্র দেখা যায়।
চুয়াডাঙ্গা পৌর ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রে ভোট দিতে আসা মতিয়ার রহমান নামের এক ভোটার বলেন, ২য় দফায় করোনা আঘাত হানতে শুরু করেছে।’ এরমধ্যে শীতে করোনা সংক্রমণ বেড়ে চলছে। ভোট কেন্দ্রে অনেকে মাস্ক পরলেও লাইনগুলোতে মানা হচ্ছে না সামাজিক দূরত্ব। এতে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়বে বলে মনে করেন তিনি।
এদিকে, প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা ভোটের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে থাকায় স্বাস্থ্যবিধির কথা যেন ভুলেই গিয়েছিলেন দাবি সচেতন নাগরিকদের। তবে দায়িত্বে থাকা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, প্রিসাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসার, এজেন্ট, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন করতে দেখা গেছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

চুয়াডাঙ্গা পৌর নির্বাচন : ভোট কেন্দ্রে উপেক্ষিত স্বাস্থ্যবিধি!

আপলোড টাইম : ১০:৪১:৫৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২০

সোহেল রানা:
উৎসবমুখর ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে প্রথম ধাপে পৌরসভা নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। সকাল থেকেই শীত উপেক্ষা করে ভোটারদের ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। প্রতিটি কেন্দ্রেই পুরুষ ভোটারদের চাইতে নারী ভোটারদের সংখ্যা বেশি ছিল। বরাবরের মতো সারিবদ্ধভাবে লাইনে দাঁড়িয়ে বুথে ঢোকার অপেক্ষামান দৃশ্য চোখে পড়ে। কিছুটা ধীরগতিতে ভোট গ্রহণ হওয়ার সুযোগে নারী লাইনে নানান গল্পের চুটকি সুর ভেসে আসে কানে। এগিয়ে যেতেই চোখে পড়ে সবাই দাঁড়িয়ে আছেন একে অপরে গা-ঘেঁষে। মাস্ক নেই অধিকাংশ ভোটারের মুখে। হাতে গোনা কয়েকজন মাস্ক পরলেও তাদের সঙ্গে কথা বলতেই ‘চক্ষু চড়ক গাছ!’।
আলিয়া খাতুন নামে এক গৃহিনী ভোট দিতে এসেছেন। শত শত ভোটারের মধ্যে তাঁর মুখে মাস্ক থাকায় আগ্রহ নিয়ে জানতে চাওয়া হয়, ‘অধিকাংশ ভোটারই তো মাস্ক পরেননি, আপনি মাস্ক পরেছেন। বেশ সচেতন মানুষ’ উত্তরে জানা গেল, তিনি মূলত মাস্ক পরেছেন নাক-মুখের উপরে উড়ে পড়া ধুলাবালি থেকে নিজেকে বাঁচাতে। তিনি বলেন, ‘ভোটের মাঠে মেলা মানুষ আসে। আর শিতির সুমায় প্রচুর ধুলোবালি ওড়ে। তাই নাক মুক ঢেকে রাখায় ভালো।’ এমন দৃশ্য দেখা যায় পৌর শহরের বাইরের তথা গ্রামীণ কেন্দ্রগুলোতে। এছাড়া শহরের কেন্দ্রগুলোতে ভোটাররা মাস্ক পরলেও মানা হয়নি সামাজিক দূরত্ব। এতে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি রয়েছে বলে মনে করছেন অনেকে। সকাল থেকে পৌর এলাকার তালতলা, হাজরাহাটি, বেলগাছি, সাতগাড়ি, পৌর ডিগ্রি কলেজ, সরকারি কলেজ, রেলবাজার, এম এ বারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রসহ বিভিন্ন কেন্দ্র সরেজমিন ঘুরে মাস্ক পরা, সামজিক দূরত্ব মানা-না মানার চিত্র দেখা যায়।
চুয়াডাঙ্গা পৌর ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রে ভোট দিতে আসা মতিয়ার রহমান নামের এক ভোটার বলেন, ২য় দফায় করোনা আঘাত হানতে শুরু করেছে।’ এরমধ্যে শীতে করোনা সংক্রমণ বেড়ে চলছে। ভোট কেন্দ্রে অনেকে মাস্ক পরলেও লাইনগুলোতে মানা হচ্ছে না সামাজিক দূরত্ব। এতে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়বে বলে মনে করেন তিনি।
এদিকে, প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা ভোটের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে থাকায় স্বাস্থ্যবিধির কথা যেন ভুলেই গিয়েছিলেন দাবি সচেতন নাগরিকদের। তবে দায়িত্বে থাকা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, প্রিসাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসার, এজেন্ট, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন করতে দেখা গেছে।