ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গা তেঘরীর আ.লীগ নেতা মোফাজ্জেলের বিরুদ্ধে বিদ্যুত সংযোগ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১২:৩১:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ অক্টোবর ২০১৮
  • / ৩৫৭ বার পড়া হয়েছে

দেয়ার নামে দেড়লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গা সদরের তিতুদহ ইউনিয়নের তেঘরী গ্রামের আ.লীগ নেতা মোফাজ্জেলের বিরুদ্ধে পল্লী বিদ্যুতের সংযোগ দেয়া বাবদ তেঘরী ও কলাগাছি গ্রামের ২৬ জন গ্রাহকের কাছ থেকে বিভিন্ন অঙ্কের মোট দেড়লাখ টাকা আত্মসাত করার অভিযোগ উঠেছে। আর আদায়কৃত ওই টাকা একই ইউনিয়নের সড়াবাড়ীয়া গ্রামের পল্লী বিদ্যুতের মিস্ত্রি রহমানের সাথে ভাগাভাগি করে নিয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। এদিকে, নিজের দোষ এড়াতে মোফাজ্জেল হোসেন বাদী হয়ে বিজ্ঞ আমলী আদালতে রহমান মিস্ত্রির বিরুদ্ধে ৪০৬/৪২০ দ-বিধিতে মামলা দায়ের করেছে।
সরেজমিনে গ্রাম ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার তিতুদহ তেঘরী গ্রামের মৃত. সোবহান ম-লের ছেলে আ.লীগ নেতা মোফাজ্জেল হোসেন গতবছর মে মাসে বিদ্যুতের সংযোগ দেয়া বাবদ তেঘরী গ্রামের ইলা বক্সের ছেলে রহেদ আলী, ইউসুফ আলীর ছেলে সলেমান হোসেন, কাদের আলীর ছেলে নুর আলম, আশরাফ হোসেন, জমির আলি, কাদেরের ছেলে শাহ আলম, আকবার হোসেন এবং কলাগাছি গ্রামের নিতাই ঘোষের ছেলে গোবিন্দঘোষ, সুবোল ঘোষের ছেলে রিপন ঘোষ, মজিদের ছেলে আ. রসিদ, হাদিজ আলীসহ মোট ২৬ জন গ্রাহকের মোট ১ লাখ ৫১ হাজার টাকা আদায় করে সড়াবাড়ীয়া গ্রামের জয়নাল ম-লের ছেলে পল্লী বিদ্যুতের মিস্ত্রি আব্দুর রহমানের সাথে ভাগাভাগি করে নেয়। দীর্ঘদিন পরেও বিদ্যুৎ সংযোগ না পেয়ে ঘুরে ঘুরে বিকল্প উপায়ে গ্রাহকগণ বিদ্যুৎ সংযোগ পায়। অন্যদিকে, ওই ঘটনার একবছর অতিবাহিত হলেও বার বার চেষ্টা করেও টাকা ফেরত না পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে গ্রাহকেরা। আর আদৌও টাকা ফেরত পাবে কি তারও সংশয় প্রকাশ করেছে অনেকে।
এ বিষয়ে পল্লী বিদ্যুতের মিস্ত্রি আব্দুর রহমান বলেন, মোফাজ্জেল গ্রাহকদের কাছ থেকে কত টাকা নিয়েছে তা আমার জানা নেই, তবে আমি ওয়্যারিং এবং মালামাল বাবদ ২২শ’ করে টাকা নিয়েছি। আমি সংযোগ বা মিটার বাবদ কোন টাকা গ্রহণ করিনি। গ্রাহক প্রতি ৪/৫ হাজার করে টাকা নিয়ে মোফাজ্জেল আত্মসাত করে এখন আমাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। এ বিষয়ে আমাদের উভয়পক্ষের তিতুদহের টিপু মিয়ার সাথে বসার কথা আছে।
এদিকে, মোফাজ্জেলের সাথে কথা বললে সমস্ত ঘটনা অস্বীকার করে বলেন, আমি টাকা নিয়েছি কিন্তু সব টাকা রহমান মিস্ত্রির কাছে দিয়েছি। এখন সে অস্বীকার করছে। সে মিটিং এ টাকার কথা গ্রাকদের সামনে অকপটে স্বীকার করেছে। এখন টাকা দিতে বিভিন্ন বাহানা করছে তাই আমি প্রতারণা ও টাকা আত্মসাতের মামলা দায়ের করেছি। গ্রাহকের কাছ থেকে টাকা নিয়ে রহমান মিস্ত্রির কাছে দেয়ায় আপনার লাভ কি? এ প্রশ্নের সদোত্তর তিনি সাংবাদিককে দিতে পারেনি। এদিকে সব গ্রাহকদের অভিযোগ আমরা টাকা দিয়েছি মোফাজ্জেলের হাতে। আমরা টাকা তার কাছ থেকেই আদায় করব। রহমান মিস্ত্রির সাথে আমাদের কোন কথাবার্তা বা টাকা লেনদেন হয়নি। এলাকাবাসীর বক্তব্য মোফাজ্জেল যেহেতু পল্লী বিদ্যুতের সাথে জড়িত নয় কেন সে নাম ভাঙ্গিয়ে সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারনা করে পার পেয়ে যাচ্ছে। এ বিষয়ে উর্দ্ধতন কর্মকর্তার হস্তক্ষেপ কামনা করছে ভুক্তভোগীরা।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

চুয়াডাঙ্গা তেঘরীর আ.লীগ নেতা মোফাজ্জেলের বিরুদ্ধে বিদ্যুত সংযোগ

আপলোড টাইম : ১২:৩১:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ অক্টোবর ২০১৮

দেয়ার নামে দেড়লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গা সদরের তিতুদহ ইউনিয়নের তেঘরী গ্রামের আ.লীগ নেতা মোফাজ্জেলের বিরুদ্ধে পল্লী বিদ্যুতের সংযোগ দেয়া বাবদ তেঘরী ও কলাগাছি গ্রামের ২৬ জন গ্রাহকের কাছ থেকে বিভিন্ন অঙ্কের মোট দেড়লাখ টাকা আত্মসাত করার অভিযোগ উঠেছে। আর আদায়কৃত ওই টাকা একই ইউনিয়নের সড়াবাড়ীয়া গ্রামের পল্লী বিদ্যুতের মিস্ত্রি রহমানের সাথে ভাগাভাগি করে নিয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। এদিকে, নিজের দোষ এড়াতে মোফাজ্জেল হোসেন বাদী হয়ে বিজ্ঞ আমলী আদালতে রহমান মিস্ত্রির বিরুদ্ধে ৪০৬/৪২০ দ-বিধিতে মামলা দায়ের করেছে।
সরেজমিনে গ্রাম ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার তিতুদহ তেঘরী গ্রামের মৃত. সোবহান ম-লের ছেলে আ.লীগ নেতা মোফাজ্জেল হোসেন গতবছর মে মাসে বিদ্যুতের সংযোগ দেয়া বাবদ তেঘরী গ্রামের ইলা বক্সের ছেলে রহেদ আলী, ইউসুফ আলীর ছেলে সলেমান হোসেন, কাদের আলীর ছেলে নুর আলম, আশরাফ হোসেন, জমির আলি, কাদেরের ছেলে শাহ আলম, আকবার হোসেন এবং কলাগাছি গ্রামের নিতাই ঘোষের ছেলে গোবিন্দঘোষ, সুবোল ঘোষের ছেলে রিপন ঘোষ, মজিদের ছেলে আ. রসিদ, হাদিজ আলীসহ মোট ২৬ জন গ্রাহকের মোট ১ লাখ ৫১ হাজার টাকা আদায় করে সড়াবাড়ীয়া গ্রামের জয়নাল ম-লের ছেলে পল্লী বিদ্যুতের মিস্ত্রি আব্দুর রহমানের সাথে ভাগাভাগি করে নেয়। দীর্ঘদিন পরেও বিদ্যুৎ সংযোগ না পেয়ে ঘুরে ঘুরে বিকল্প উপায়ে গ্রাহকগণ বিদ্যুৎ সংযোগ পায়। অন্যদিকে, ওই ঘটনার একবছর অতিবাহিত হলেও বার বার চেষ্টা করেও টাকা ফেরত না পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে গ্রাহকেরা। আর আদৌও টাকা ফেরত পাবে কি তারও সংশয় প্রকাশ করেছে অনেকে।
এ বিষয়ে পল্লী বিদ্যুতের মিস্ত্রি আব্দুর রহমান বলেন, মোফাজ্জেল গ্রাহকদের কাছ থেকে কত টাকা নিয়েছে তা আমার জানা নেই, তবে আমি ওয়্যারিং এবং মালামাল বাবদ ২২শ’ করে টাকা নিয়েছি। আমি সংযোগ বা মিটার বাবদ কোন টাকা গ্রহণ করিনি। গ্রাহক প্রতি ৪/৫ হাজার করে টাকা নিয়ে মোফাজ্জেল আত্মসাত করে এখন আমাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। এ বিষয়ে আমাদের উভয়পক্ষের তিতুদহের টিপু মিয়ার সাথে বসার কথা আছে।
এদিকে, মোফাজ্জেলের সাথে কথা বললে সমস্ত ঘটনা অস্বীকার করে বলেন, আমি টাকা নিয়েছি কিন্তু সব টাকা রহমান মিস্ত্রির কাছে দিয়েছি। এখন সে অস্বীকার করছে। সে মিটিং এ টাকার কথা গ্রাকদের সামনে অকপটে স্বীকার করেছে। এখন টাকা দিতে বিভিন্ন বাহানা করছে তাই আমি প্রতারণা ও টাকা আত্মসাতের মামলা দায়ের করেছি। গ্রাহকের কাছ থেকে টাকা নিয়ে রহমান মিস্ত্রির কাছে দেয়ায় আপনার লাভ কি? এ প্রশ্নের সদোত্তর তিনি সাংবাদিককে দিতে পারেনি। এদিকে সব গ্রাহকদের অভিযোগ আমরা টাকা দিয়েছি মোফাজ্জেলের হাতে। আমরা টাকা তার কাছ থেকেই আদায় করব। রহমান মিস্ত্রির সাথে আমাদের কোন কথাবার্তা বা টাকা লেনদেন হয়নি। এলাকাবাসীর বক্তব্য মোফাজ্জেল যেহেতু পল্লী বিদ্যুতের সাথে জড়িত নয় কেন সে নাম ভাঙ্গিয়ে সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারনা করে পার পেয়ে যাচ্ছে। এ বিষয়ে উর্দ্ধতন কর্মকর্তার হস্তক্ষেপ কামনা করছে ভুক্তভোগীরা।