ইপেপার । আজমঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক যা বললেন….

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:২৭:৩৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ জুলাই ২০১৮
  • / ৯৭৯ বার পড়া হয়েছে

ডেস্ক রিপোর্ট: জেলা প্রশাসক সম্মেলনে দেওয়া জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন আহমেদের বক্তব্যটিকে হুবহু তুলে ধরা হলো: “বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম, জেলা প্রশাসক সম্মেলন ২০১৮ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রীসভার মাননীয় সদস্যবর্গ, মাননীয় উপদেষ্টাবৃন্দ, শ্রদ্ধেয় মন্ত্রী পরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব মহোদয়, সিনিয়র সচিব, সচিব মহোদয়গণ, বিভাগীয় কমিশনারবৃন্দ, জেলা প্রশাসকবৃন্দ, সুধিবৃন্দ আসসালামুআলাইকুম। শুরুতেই বিন¤্র শ্রদ্ধা জানাচ্ছি স্বাধিন বাংলাদেশের মহান স্থপতি সর্বকালেন সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার সুযোগ্য সহধর্মীনী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুননেছা মুজিবকে, স্মরণ করছি জাতির পিতার পরিবারের সদস্যগণকে যারা ১৯৭৫ সালের ১৫ ই আগস্ট কালো রাতে শাহাদত বরণ করেন। শ্রদ্ধা জানায় জাতীয় চার নেতাসহ সকল বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তযুদ্ধকালিন নির্যাতিতা মা বোনদের।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, বাংলাদেশ এখন শুধু স্বপ্ন দেখে না, স্বপ্নকে বাস্তেবে রুপ দেওয়ায় এদেশ আজ বিশ্বে রোল মডেল, আপনিই এই অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন। মাঠ পর্যায়ে আপনার নির্দেশনায় জেলা প্রশাসকগণ তাদের উদ্ভাবনী দক্ষতা জনসেবার মানসীকতা ও জনসম্পৃক্ততার মাধ্যমে, নিরলসভাবে ভিশন ২০২১ এবং ভিশন ২০৪১ এর স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করে চলেছেন।
সম্মানিত সূধিমন্ডলী, ২০৬ টি উপজেলায় ইমিউটেশন চালু হওয়ায় মানুষের নিকট স্বল্পসময়ে ভূমি সেবা পৌছে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে। ‘ভূমি ব্যবস্থাপনা ডিজিটাল, বদলে যাচ্ছে দিনকাল’ এই চেতনায় ডিজিটাল রেকর্ড রুম থেকে তিনদিনেই অনলাইনে খতিয়ান সরবরাহ করায় জনগণ ঘরে বসেই ই-পর্চা পাচ্ছেন। মাঠ পর্যায়ে ইউনিয়ন, উপ-সহকারি ভূমি কর্মকর্তা ও সার্ভেয়ারের তীব্র সংকট থাকা সত্বেও উপজেলা ও ইউনিয়ন ভূমি অফিস নতুনভাবে নির্মাণ ও ডিজিটাল লজিস্টিট সাপোর্ট বৃদ্ধির ফলে রেকর্ড সংরক্ষণ ব্যবস্থার উন্নতি হয়েছে এবং সেবা প্রার্থীরা আগের চেয়ে অনেক বেশি সেবা পাচ্ছেন।
সম্মানিত উপস্থিতি, জাতীয় সামাজিক নিরাপত্তা পরিষদের আওতায় বর্তমানে ১৩৬ প্রকারের সামাজিক নিরাপত্তা দেওয়াসহ বিভিন্ন প্রকার ভাতার হার ও পরিধি ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি করা হয়েছে। একটি বাড়ি একটি খামার, জমি আছে ঘর নেই প্রকল্পসমূহ, আজ সারা বিশ্বে সামাজিক নিরাপত্তার মডেল হিসাবে পরিচিত। আশ্রায়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে এ প্রর্যন্ত তিন ডিফিউএতে ১ হাজার ৭ শত ৭৭ কোটি টাকা ব্যায়ে মোট ১ লক্ষ ৪০ হাজার ১ শত ২৮টি পরিবারকে পুর্নবাসন করা হয়, যা উন্নয়নে অভিষ্ঠ পূরনে একটি মাইল ফলক। বছরের প্রথমদিনেই বই উৎসবে প্রায় ৩৫ লক্ষ নতুন বই বিতরণ ও মিড ডে মিল চালুকরণ, মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম স্থাপন, উপবৃত্তি প্রদানের মত শিক্ষা সহায়ক কর্মসূচি বিদ্যালয় থেকে ঝরে পড়া শিক্ষার্থীর হার প্রায় শূন্যের কোটায় নামিয়ে এনেছে। শিক্ষার গুণগতমান বুদ্ধি এবং পাবলিক পরিক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন সর্বোচ্চ দায়িক্তবোধ নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন, চুয়াডাঙ্গা জেলায় প্রায় ৬০ ভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ডিজিটাল হাজিরা ও সিসিটিভি স্থাপিত হয়েছে। শিক্ষক সংকট নিরসনে টিচার কোর গঠন শিশু মনকে আন্দোলিত করতে রঙিন স্কুল, টিফিন বক্স ও বাইসাইকেল প্রদানসহ বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসনের জেলা প্রশাসক হিসাবে চুয়াডাঙ্গা জেলায় একটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, একটি হাইটেক পার্ক, এবং ঢাকা থেকে খুলনা রেলপথটি ডাবল লেন করে দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চলের প্রধান যোগাযোগ ব্যবস্থাকে উন্নত ও আধুনিক করার অনুরোধ করছি। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গঠনে প্রশাসনসহ সারাদেশ আজ আপনার শাসনে বলিয়ান, আপনার শক্তিতে একতাবদ্ধ, টেকসই উন্নয়ন মন্ত্র ও শক্তিশালী প্রশাসন যন্ত্র ২০২১ আর ২০৪১ এর মুলমন্ত্র। সবাইকে ধন্যবাদ, বাংলাদেশ চিরজিবী হোক, আসসালামুআলাইকুম।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক যা বললেন….

আপলোড টাইম : ১০:২৭:৩৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ জুলাই ২০১৮

ডেস্ক রিপোর্ট: জেলা প্রশাসক সম্মেলনে দেওয়া জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন আহমেদের বক্তব্যটিকে হুবহু তুলে ধরা হলো: “বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম, জেলা প্রশাসক সম্মেলন ২০১৮ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রীসভার মাননীয় সদস্যবর্গ, মাননীয় উপদেষ্টাবৃন্দ, শ্রদ্ধেয় মন্ত্রী পরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব মহোদয়, সিনিয়র সচিব, সচিব মহোদয়গণ, বিভাগীয় কমিশনারবৃন্দ, জেলা প্রশাসকবৃন্দ, সুধিবৃন্দ আসসালামুআলাইকুম। শুরুতেই বিন¤্র শ্রদ্ধা জানাচ্ছি স্বাধিন বাংলাদেশের মহান স্থপতি সর্বকালেন সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার সুযোগ্য সহধর্মীনী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুননেছা মুজিবকে, স্মরণ করছি জাতির পিতার পরিবারের সদস্যগণকে যারা ১৯৭৫ সালের ১৫ ই আগস্ট কালো রাতে শাহাদত বরণ করেন। শ্রদ্ধা জানায় জাতীয় চার নেতাসহ সকল বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তযুদ্ধকালিন নির্যাতিতা মা বোনদের।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, বাংলাদেশ এখন শুধু স্বপ্ন দেখে না, স্বপ্নকে বাস্তেবে রুপ দেওয়ায় এদেশ আজ বিশ্বে রোল মডেল, আপনিই এই অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন। মাঠ পর্যায়ে আপনার নির্দেশনায় জেলা প্রশাসকগণ তাদের উদ্ভাবনী দক্ষতা জনসেবার মানসীকতা ও জনসম্পৃক্ততার মাধ্যমে, নিরলসভাবে ভিশন ২০২১ এবং ভিশন ২০৪১ এর স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করে চলেছেন।
সম্মানিত সূধিমন্ডলী, ২০৬ টি উপজেলায় ইমিউটেশন চালু হওয়ায় মানুষের নিকট স্বল্পসময়ে ভূমি সেবা পৌছে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে। ‘ভূমি ব্যবস্থাপনা ডিজিটাল, বদলে যাচ্ছে দিনকাল’ এই চেতনায় ডিজিটাল রেকর্ড রুম থেকে তিনদিনেই অনলাইনে খতিয়ান সরবরাহ করায় জনগণ ঘরে বসেই ই-পর্চা পাচ্ছেন। মাঠ পর্যায়ে ইউনিয়ন, উপ-সহকারি ভূমি কর্মকর্তা ও সার্ভেয়ারের তীব্র সংকট থাকা সত্বেও উপজেলা ও ইউনিয়ন ভূমি অফিস নতুনভাবে নির্মাণ ও ডিজিটাল লজিস্টিট সাপোর্ট বৃদ্ধির ফলে রেকর্ড সংরক্ষণ ব্যবস্থার উন্নতি হয়েছে এবং সেবা প্রার্থীরা আগের চেয়ে অনেক বেশি সেবা পাচ্ছেন।
সম্মানিত উপস্থিতি, জাতীয় সামাজিক নিরাপত্তা পরিষদের আওতায় বর্তমানে ১৩৬ প্রকারের সামাজিক নিরাপত্তা দেওয়াসহ বিভিন্ন প্রকার ভাতার হার ও পরিধি ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি করা হয়েছে। একটি বাড়ি একটি খামার, জমি আছে ঘর নেই প্রকল্পসমূহ, আজ সারা বিশ্বে সামাজিক নিরাপত্তার মডেল হিসাবে পরিচিত। আশ্রায়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে এ প্রর্যন্ত তিন ডিফিউএতে ১ হাজার ৭ শত ৭৭ কোটি টাকা ব্যায়ে মোট ১ লক্ষ ৪০ হাজার ১ শত ২৮টি পরিবারকে পুর্নবাসন করা হয়, যা উন্নয়নে অভিষ্ঠ পূরনে একটি মাইল ফলক। বছরের প্রথমদিনেই বই উৎসবে প্রায় ৩৫ লক্ষ নতুন বই বিতরণ ও মিড ডে মিল চালুকরণ, মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম স্থাপন, উপবৃত্তি প্রদানের মত শিক্ষা সহায়ক কর্মসূচি বিদ্যালয় থেকে ঝরে পড়া শিক্ষার্থীর হার প্রায় শূন্যের কোটায় নামিয়ে এনেছে। শিক্ষার গুণগতমান বুদ্ধি এবং পাবলিক পরিক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন সর্বোচ্চ দায়িক্তবোধ নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন, চুয়াডাঙ্গা জেলায় প্রায় ৬০ ভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ডিজিটাল হাজিরা ও সিসিটিভি স্থাপিত হয়েছে। শিক্ষক সংকট নিরসনে টিচার কোর গঠন শিশু মনকে আন্দোলিত করতে রঙিন স্কুল, টিফিন বক্স ও বাইসাইকেল প্রদানসহ বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসনের জেলা প্রশাসক হিসাবে চুয়াডাঙ্গা জেলায় একটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, একটি হাইটেক পার্ক, এবং ঢাকা থেকে খুলনা রেলপথটি ডাবল লেন করে দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চলের প্রধান যোগাযোগ ব্যবস্থাকে উন্নত ও আধুনিক করার অনুরোধ করছি। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গঠনে প্রশাসনসহ সারাদেশ আজ আপনার শাসনে বলিয়ান, আপনার শক্তিতে একতাবদ্ধ, টেকসই উন্নয়ন মন্ত্র ও শক্তিশালী প্রশাসন যন্ত্র ২০২১ আর ২০৪১ এর মুলমন্ত্র। সবাইকে ধন্যবাদ, বাংলাদেশ চিরজিবী হোক, আসসালামুআলাইকুম।