ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গা জেলার কৃষকরা পড়েছে বিপাকে!

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:৩৬:৪৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ অক্টোবর ২০১৮
  • / ৪৬৭ বার পড়া হয়েছে

দু’দিনের পরিবহন ধর্মঘটে বাজারজাত হয়নি কৃষিপণ্য
নতিপোতা প্রতিনিধি: শ্রমিকদের ডাকা ৪৮ ঘন্টার টানা পরিবহন ধর্মঘটে কৃষিপণ্য বাজারজাত নিয়ে বিপাকে পড়েছে চুয়াডাঙ্গা জেলার কৃষকরা। সকল ধরনের যানবাহন বন্ধ থাকায় এসব পন্য রপ্তানি সম্ভব হচ্ছেনা বাজারে। ধর্মঘটের কারণে উৎপাদিত সবজি বাজারজাত করতে পারেননি তারা। এতে করে মাঠের ফসল মাঠেই পঁচে নষ্ট হয়েছে। এতে গ্রামের সাধারণ কৃষকের লোকসান হচ্ছে লাখ লাখ টাকা। প্রতিবছর চলতি মৌসুমে চুয়াডাঙ্গা জেলার কৃষকরা শীতকালীন আগাম সবজি চাষ করে। স্বল্প সময়ে অধিকলাভ হওয়ায় জেলার অধিকাংশ কৃষক আগাম সবজি চাষ করে। এরপর এই পণ্য দেশের বিভিন্ন প্রান্তের হাটে বাজারে পাঠানো হয়। কিন্তু গত দু’দিন ধরে যানবাহন না চলায় এসব পণ্য কোথাও রপ্তানি সম্ভব হচ্ছেনা। এতে করে চরম বিপাকে পড়েছে জেলার হাজার হাজার কৃষক। অবশেষে বাধ্য হয়ে বিকল্প অবৈধ যানবাহন আলমসাধু, নসিমনসহ বিভিন্ন ইঞ্জিনচালিত গাড়িতে পণ্য বাইরে পাঠাচ্ছে কৃষকেরা। তারপরই মাঝ রাস্তায় শ্রমিকদের বাধার মুধে পড়ছে তারা। দামুড়হুদা উপজেলার কৃষক আবুল কালাম বলেন, উৎপাদনের পর বিক্রয়যোগ্য হওয়ার কয়েকদিনের মধ্যে এসব কৃষিপণ্য বাজারজাত করতে হয়। কিন্তু সময় অনুযায়ী বাজারজাত করতে না পারায় সব ফসল মাঠেই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। প্রতিদিনি বিঘা প্রতি জমিতে প্রায় ২০-২৫ লাখ টাকার পণ্য মাঠেই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। একই এলাকার কৃষক ফয়সাল বলেন, লাভের আশায় জমিতে যে আগাম ফসল এবার লাগিয়ে ছিলাম তা যদি দু একদিনের ভিতর ঢাকার ব্যাপারির কাছে বিক্রি না করতে পারি তা হলে আমাদের পথে বসতে হবে। জেলা বিপনন কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম জানান, প্রতিদিন চুয়াডাঙ্গা জেলা থেকে গড়ে ১০০-১৫০টি ট্রাক সবজি বোঝাই করে দেশের বিভিন্ন স্থানে পৌঁছে যায়। কিন্তু এখন পরিবহন ধর্মঘটের কারনে সেসব পণ্য রপ্তানি সম্ভব হচ্ছেনা। যার ফলে কৃষকরা ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। সরকারের কাছে দ্রুত এ ধর্মঘট প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে সাধারণ কৃষকেরা।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

চুয়াডাঙ্গা জেলার কৃষকরা পড়েছে বিপাকে!

আপলোড টাইম : ১০:৩৬:৪৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ অক্টোবর ২০১৮

দু’দিনের পরিবহন ধর্মঘটে বাজারজাত হয়নি কৃষিপণ্য
নতিপোতা প্রতিনিধি: শ্রমিকদের ডাকা ৪৮ ঘন্টার টানা পরিবহন ধর্মঘটে কৃষিপণ্য বাজারজাত নিয়ে বিপাকে পড়েছে চুয়াডাঙ্গা জেলার কৃষকরা। সকল ধরনের যানবাহন বন্ধ থাকায় এসব পন্য রপ্তানি সম্ভব হচ্ছেনা বাজারে। ধর্মঘটের কারণে উৎপাদিত সবজি বাজারজাত করতে পারেননি তারা। এতে করে মাঠের ফসল মাঠেই পঁচে নষ্ট হয়েছে। এতে গ্রামের সাধারণ কৃষকের লোকসান হচ্ছে লাখ লাখ টাকা। প্রতিবছর চলতি মৌসুমে চুয়াডাঙ্গা জেলার কৃষকরা শীতকালীন আগাম সবজি চাষ করে। স্বল্প সময়ে অধিকলাভ হওয়ায় জেলার অধিকাংশ কৃষক আগাম সবজি চাষ করে। এরপর এই পণ্য দেশের বিভিন্ন প্রান্তের হাটে বাজারে পাঠানো হয়। কিন্তু গত দু’দিন ধরে যানবাহন না চলায় এসব পণ্য কোথাও রপ্তানি সম্ভব হচ্ছেনা। এতে করে চরম বিপাকে পড়েছে জেলার হাজার হাজার কৃষক। অবশেষে বাধ্য হয়ে বিকল্প অবৈধ যানবাহন আলমসাধু, নসিমনসহ বিভিন্ন ইঞ্জিনচালিত গাড়িতে পণ্য বাইরে পাঠাচ্ছে কৃষকেরা। তারপরই মাঝ রাস্তায় শ্রমিকদের বাধার মুধে পড়ছে তারা। দামুড়হুদা উপজেলার কৃষক আবুল কালাম বলেন, উৎপাদনের পর বিক্রয়যোগ্য হওয়ার কয়েকদিনের মধ্যে এসব কৃষিপণ্য বাজারজাত করতে হয়। কিন্তু সময় অনুযায়ী বাজারজাত করতে না পারায় সব ফসল মাঠেই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। প্রতিদিনি বিঘা প্রতি জমিতে প্রায় ২০-২৫ লাখ টাকার পণ্য মাঠেই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। একই এলাকার কৃষক ফয়সাল বলেন, লাভের আশায় জমিতে যে আগাম ফসল এবার লাগিয়ে ছিলাম তা যদি দু একদিনের ভিতর ঢাকার ব্যাপারির কাছে বিক্রি না করতে পারি তা হলে আমাদের পথে বসতে হবে। জেলা বিপনন কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম জানান, প্রতিদিন চুয়াডাঙ্গা জেলা থেকে গড়ে ১০০-১৫০টি ট্রাক সবজি বোঝাই করে দেশের বিভিন্ন স্থানে পৌঁছে যায়। কিন্তু এখন পরিবহন ধর্মঘটের কারনে সেসব পণ্য রপ্তানি সম্ভব হচ্ছেনা। যার ফলে কৃষকরা ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। সরকারের কাছে দ্রুত এ ধর্মঘট প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে সাধারণ কৃষকেরা।