ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গা গাড়াবাড়িয়ার নাজমাকে নির্যাতনের অভিযোগ দ্বিতীয় স্বামীর বিরুদ্ধে

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০১:৫৭:৪৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ নভেম্বর ২০১৭
  • / ৫৭০ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: যৌতুকের দাবিতে চুয়াডাঙ্গার গাড়াবাড়িয়া গ্রামের মেয়ে নাজমাকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে দ্বিতীয় স্বামী আসাদুলের বিরুদ্ধে। যৌতুকের দাবিতে ৬ মাস আগে বিয়ে করা স্ত্রী নাজমাকে রাতভর নির্মম নির্যাতন করে সদর উপজেলার বলদিয়া গ্রামের আসাদুল। পরে তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা গেছে, গত ছয় মাস আগে নাজমা খাতুনের প্রথম স্বামী ভালাইপুর এলাকার গোরস্থানপাড়ার মৃত করিমের ছেলে সিরাজ আলীর সাথে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। ওই দিনই নাজমা হিজলগাড়ি বলদিয়া কাজলাপাড়ার মৃত রমজান আলীর ছেলে আসাদুলকে ১০ হাজার টাকার দেনমোহরে বিয়ে করে। দ্বিতীয় বিয়ের ব্যাপারে নাজমার পরিবার জানতো না। বিয়ের পর থেকেই নাজমার কাছে এক লক্ষ টাকা যৌতুক দাবি করতে থাকে আসাদুল। এরপর থেকেই শুরু হয় নাজমাকে শারীরিক নির্যাতন করা। বেশ কয়েকবার নির্যাতনের শিকার হলেও নাজমা কাউকে বলতোনা। গত রোববার সকালে তার স্বামী আসাদুল যৌতুকের দাবিতে শাবল দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে চলে যায় এবং কাউকে না বলার হুমকি দেয়। রোববার সকালে ঘটলেও গতকাল তা জনস্মমুখে প্রকাশ হয়ে পড়ে। পরে নাজমাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
নাজমা বলেন, বিয়ের পর থেকেই আমার স্বামী আসাদুল এক লক্ষ টাকা যৌতুকের দাবিতে প্রায়ই নির্যাতন করতো। গত রোববার বাঁশ ও শাবল দিয়ে আমাকে পিটিয়েছে। চুলের মুঠি ধরে মাথা দেয়ালের ঠুকে দিয়েছে। নাজমা আরও জানান, তার পা, মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আমি নিজের ইচ্ছায় বিয়ে করেছি বলে আমাকে যা ইচ্ছা তাই করবে? আমি এর বিচার চাই।
নাজমার পিতা সিরাজুল হক বলেন, মেয়ে আমাদেরকে না জানিয়ে বিয়ে করেছিল। প্রথম প্রথম আমাদের কাছে নাজমা তাকে নির্যাতনের কথা বললেও, আমরা বিষয়টি আমলে নিতাম না। কারণ, সে আমাদেরকে না জানিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করে। গত রোববার নির্যাতন শেষে মেয়ে রক্তাক্ত জখম হয়ে আমাদেরকে জানায়। গিয়ে দেখি মেয়ের অবস্থা খুব খারাপ অবস্থা। আমরা মেয়েকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করি। যৌতুকের টাকার জন্য নাজমাকে  চাপ দিলে মেয়ে তাতে অপারগতা প্রকাশ করলে তাকে মারপিট করা হয়েছে। মেয়ে সুস্থ্য হলেই মামলা করব।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

চুয়াডাঙ্গা গাড়াবাড়িয়ার নাজমাকে নির্যাতনের অভিযোগ দ্বিতীয় স্বামীর বিরুদ্ধে

আপলোড টাইম : ০১:৫৭:৪৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ নভেম্বর ২০১৭

নিজস্ব প্রতিবেদক: যৌতুকের দাবিতে চুয়াডাঙ্গার গাড়াবাড়িয়া গ্রামের মেয়ে নাজমাকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে দ্বিতীয় স্বামী আসাদুলের বিরুদ্ধে। যৌতুকের দাবিতে ৬ মাস আগে বিয়ে করা স্ত্রী নাজমাকে রাতভর নির্মম নির্যাতন করে সদর উপজেলার বলদিয়া গ্রামের আসাদুল। পরে তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা গেছে, গত ছয় মাস আগে নাজমা খাতুনের প্রথম স্বামী ভালাইপুর এলাকার গোরস্থানপাড়ার মৃত করিমের ছেলে সিরাজ আলীর সাথে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। ওই দিনই নাজমা হিজলগাড়ি বলদিয়া কাজলাপাড়ার মৃত রমজান আলীর ছেলে আসাদুলকে ১০ হাজার টাকার দেনমোহরে বিয়ে করে। দ্বিতীয় বিয়ের ব্যাপারে নাজমার পরিবার জানতো না। বিয়ের পর থেকেই নাজমার কাছে এক লক্ষ টাকা যৌতুক দাবি করতে থাকে আসাদুল। এরপর থেকেই শুরু হয় নাজমাকে শারীরিক নির্যাতন করা। বেশ কয়েকবার নির্যাতনের শিকার হলেও নাজমা কাউকে বলতোনা। গত রোববার সকালে তার স্বামী আসাদুল যৌতুকের দাবিতে শাবল দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে চলে যায় এবং কাউকে না বলার হুমকি দেয়। রোববার সকালে ঘটলেও গতকাল তা জনস্মমুখে প্রকাশ হয়ে পড়ে। পরে নাজমাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
নাজমা বলেন, বিয়ের পর থেকেই আমার স্বামী আসাদুল এক লক্ষ টাকা যৌতুকের দাবিতে প্রায়ই নির্যাতন করতো। গত রোববার বাঁশ ও শাবল দিয়ে আমাকে পিটিয়েছে। চুলের মুঠি ধরে মাথা দেয়ালের ঠুকে দিয়েছে। নাজমা আরও জানান, তার পা, মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আমি নিজের ইচ্ছায় বিয়ে করেছি বলে আমাকে যা ইচ্ছা তাই করবে? আমি এর বিচার চাই।
নাজমার পিতা সিরাজুল হক বলেন, মেয়ে আমাদেরকে না জানিয়ে বিয়ে করেছিল। প্রথম প্রথম আমাদের কাছে নাজমা তাকে নির্যাতনের কথা বললেও, আমরা বিষয়টি আমলে নিতাম না। কারণ, সে আমাদেরকে না জানিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করে। গত রোববার নির্যাতন শেষে মেয়ে রক্তাক্ত জখম হয়ে আমাদেরকে জানায়। গিয়ে দেখি মেয়ের অবস্থা খুব খারাপ অবস্থা। আমরা মেয়েকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করি। যৌতুকের টাকার জন্য নাজমাকে  চাপ দিলে মেয়ে তাতে অপারগতা প্রকাশ করলে তাকে মারপিট করা হয়েছে। মেয়ে সুস্থ্য হলেই মামলা করব।