ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুরসহ উত্তর ও দক্ষিণ অঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহ চরমভাবে বিঘ্ন বিদ্যুতের আসা যাওয়ার খেলায় অতিষ্ঠ জনজীবন

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৬:০৬:০৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২১ মে ২০১৭
  • / ৮১১ বার পড়া হয়েছে

images

সমীকরণ ডেস্ক: ভৈরবে ঝড়ের কারণে জাতীয় গ্রিডের একটি রিভারক্রসিং টাওয়ার ভেঙ্গে পড়ায় এবং আরেকটি টাওয়ার ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর ও ঝিনাইদহ জেলা সহ দেশের উত্তর ও দক্ষিণের জেলাগুলোতে বিঘিœত হচ্ছে বিদ্যুৎ সরবরাহ। বিকল্প ব্যবস্থায় বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু হলেও সমস্যার স্থায়ী সমাধানে প্রতিস্থাপন করতে হবে টাওয়ার দু’টি। বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয় বলছে, এজন্য সময় লাগবে অন্তত চারমাস । পহেলা মে রাতের ঝড়ে ভৈরবের কালীপুরে জাতীয় গ্রীডের আশুগঞ্জ ২৩০ কেভি মেঘনা রিভারক্রসিং টাওয়ার ভেঙ্গে যায় ও আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয় আরো একটি টাওয়ার। এতে দেশের উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোতে বিদ্যুৎ সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীতে বিকল্প হিসেবে ঈশ্বরদী ও কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করা হয়। তবে, মূল উৎস থেকে বিচ্ছিন্ন থাকায় সংশ্লিষ্ট জেলাগুলোতে পূর্ণাঙ্গ লোড দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। এতে নিয়মিতই ঘটছে লোডশেডিং। টাওয়ার দু’টি প্রতিস্থাপনের আগ পর্যন্ত এ সমস্যা সমাধান সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়। শিগগিরই ভেঙ্গে পড়া টাওয়ার সরিয়ে নেয়া হবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। তবে, দ্রুততম সময়ে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিলেও টাওয়ার দু’টি প্রতিস্থাপনে অন্তত ৪ মাস সময় লাগবে বলে জানালেন পিজিসিবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুম আল বেরুনি। এদিকে আসন্ন রমজান আর গ্রীষ্মকালীন অতিরিক্ত বিদ্যুৎ চাহিদার কথা মাথায় রেখে সমস্যা সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। এছাড়া বৈশাখের দাবদাহের সঙ্গে পাল¬া দিয়ে বিদ্যুতের এই ভেল্কিবাজিতে অতিষ্ঠ গ্রাম ও শহরবাসী। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত অবিরাম চলছে বিদ্যুতের আসা যাওয়ার খেলা। দিনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে চলছে লোডশেডিং। সন্ধ্যা নামলেই গ্রাম ও শহরজুড়ে বিরাজ করছে ঘুটঘুটে অন্ধকার। বৈশাখের শুরু থেকেই দুঃসহ গরমের সঙ্গে দিনে-রাতে চলছে প্রচ- দাবদাহ। দিনে বিদ্যুত থাকে না। সন্ধ্যায় বিদ্যুত থাকে না। আর রাতে ত দেখায় মেলে না। বিদ্যুতের একজন কর্মকর্তা জানান, কয়েক দিন ধরে জাতীয় গ্রিড থেকে বিদ্যুত সরবরাহ মিলছে চাহিদার অর্ধেক। ফলে লোডশেডিং করতে হচ্ছে। সর্বোপরি এমন অসহনীয় গরমে এত ঘন ঘন বিদ্যুতের লোডশেডিং বন্ধে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছে সাধারণ জনগন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুরসহ উত্তর ও দক্ষিণ অঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহ চরমভাবে বিঘ্ন বিদ্যুতের আসা যাওয়ার খেলায় অতিষ্ঠ জনজীবন

আপলোড টাইম : ০৬:০৬:০৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২১ মে ২০১৭

images

সমীকরণ ডেস্ক: ভৈরবে ঝড়ের কারণে জাতীয় গ্রিডের একটি রিভারক্রসিং টাওয়ার ভেঙ্গে পড়ায় এবং আরেকটি টাওয়ার ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর ও ঝিনাইদহ জেলা সহ দেশের উত্তর ও দক্ষিণের জেলাগুলোতে বিঘিœত হচ্ছে বিদ্যুৎ সরবরাহ। বিকল্প ব্যবস্থায় বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু হলেও সমস্যার স্থায়ী সমাধানে প্রতিস্থাপন করতে হবে টাওয়ার দু’টি। বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয় বলছে, এজন্য সময় লাগবে অন্তত চারমাস । পহেলা মে রাতের ঝড়ে ভৈরবের কালীপুরে জাতীয় গ্রীডের আশুগঞ্জ ২৩০ কেভি মেঘনা রিভারক্রসিং টাওয়ার ভেঙ্গে যায় ও আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয় আরো একটি টাওয়ার। এতে দেশের উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোতে বিদ্যুৎ সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীতে বিকল্প হিসেবে ঈশ্বরদী ও কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করা হয়। তবে, মূল উৎস থেকে বিচ্ছিন্ন থাকায় সংশ্লিষ্ট জেলাগুলোতে পূর্ণাঙ্গ লোড দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। এতে নিয়মিতই ঘটছে লোডশেডিং। টাওয়ার দু’টি প্রতিস্থাপনের আগ পর্যন্ত এ সমস্যা সমাধান সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়। শিগগিরই ভেঙ্গে পড়া টাওয়ার সরিয়ে নেয়া হবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। তবে, দ্রুততম সময়ে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিলেও টাওয়ার দু’টি প্রতিস্থাপনে অন্তত ৪ মাস সময় লাগবে বলে জানালেন পিজিসিবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুম আল বেরুনি। এদিকে আসন্ন রমজান আর গ্রীষ্মকালীন অতিরিক্ত বিদ্যুৎ চাহিদার কথা মাথায় রেখে সমস্যা সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। এছাড়া বৈশাখের দাবদাহের সঙ্গে পাল¬া দিয়ে বিদ্যুতের এই ভেল্কিবাজিতে অতিষ্ঠ গ্রাম ও শহরবাসী। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত অবিরাম চলছে বিদ্যুতের আসা যাওয়ার খেলা। দিনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে চলছে লোডশেডিং। সন্ধ্যা নামলেই গ্রাম ও শহরজুড়ে বিরাজ করছে ঘুটঘুটে অন্ধকার। বৈশাখের শুরু থেকেই দুঃসহ গরমের সঙ্গে দিনে-রাতে চলছে প্রচ- দাবদাহ। দিনে বিদ্যুত থাকে না। সন্ধ্যায় বিদ্যুত থাকে না। আর রাতে ত দেখায় মেলে না। বিদ্যুতের একজন কর্মকর্তা জানান, কয়েক দিন ধরে জাতীয় গ্রিড থেকে বিদ্যুত সরবরাহ মিলছে চাহিদার অর্ধেক। ফলে লোডশেডিং করতে হচ্ছে। সর্বোপরি এমন অসহনীয় গরমে এত ঘন ঘন বিদ্যুতের লোডশেডিং বন্ধে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছে সাধারণ জনগন।